দেশে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার ক্রমেই বেড়ে চলেছে। এর মধ্যে এগিয়ে আছে নারী শিক্ষার্থীরা। ২০২২ সালের জানুয়ারী থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ মাসে গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৪৫ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। তাদের অধিকাংশ রাজধানী ঢাকার। আর প্রেমঘটিত কারণেই সবচেয়ে বেশী আত্মহত্যা হচ্ছে। গত ৯ই সেপ্টেম্বর এ তথ্য জানিয়েছে আত্মহত্যা, নারী নির্যাতন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে কাজ করা ‘অাঁচল ফাউন্ডেশন’। এক সংবাদ সম্মেলনে ‘বেড়েই চলেছে শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার হার; আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়া কতটা যরূরী?’ শীর্ষক সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে সংস্থাটি।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. কামালুদ্দীন আহমাদ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ যেলার এডিসি আজিজুল হক মামুন এবং অাঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ।
আত্মহত্যাকারীদের মধ্যে ১৯৪ জনই ছিল স্কুলশিক্ষার্থী। তন্মধ্যে ১৪ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিক্ষার্থীই ১৬০ জন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫০ জন এবং মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ৪৪ জন।
তথ্যানুসারে, আত্মহত্যাকারী নারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যা প্রায় ৬১ শতাংশ। আত্মহত্যাকারীর মধ্যে ৭৮ শতাংশই ১৩ থেকে ২০ বছর বয়সী। আর প্রেমঘটিত কারণে সবচেয়ে বেশী ২৫.২৭ শতাংশ। অন্যান্য কারণের মধ্যে রয়েছে অভিমান, সেশন জট, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, পড়াশোনার চাপ, পরিবার থেকে কিছু চেয়ে না পাওয়া, পারিবারিক কলহ, ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি, চুরি বা মিথ্যা অপবাদ, মানসিক সমস্যা, স্বামী পসন্দ না হওয়া, বাসা থেকে মোটরবাইক কিনে না দেওয়া ইত্যাদি।