হোয়াইকং, টেকনাফ ৯ই সেপ্টেম্বর’১৭ শনিবার : অদ্য দুপুর ১-ঘটিকায় কক্সবাজার যেলার টেকনাফ থানাধীন হোয়াইকং বাজারস্থ উত্তম কমিউনিটি সেন্টারে মিয়ানমার থেকে সদ্য আগত নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিম ভাই-বোনদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান।

কক্সবাজার যেলা আন্দোলন-এর সভাপতি এ্যাডভোকেট শফীউল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানের শুরুতে আমীরে জামা‘আতের আহবানে সাড়া দিয়ে সদ্য আগত নির্যাতিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্য থেকে পবিত্র কুরআনের সূরা ফুরক্বান ৬১-৬৬ আয়াত তেলাওয়াত করেন, ৭ সদস্যের পরিবারের ৫জনকে হারানো সেদেশের একটি জামে মসজিদের ইমাম ও খত্বীব মাওলানা মুহাম্মাদ আইয়াস। অতঃপর শরণার্থীদের মধ্য থেকে তাদের অবস্থা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন আরাকানের মংডু থানাধীন মেরুল্লা গ্রামের মুহাম্মাদ বশীর আহমাদ, পুরমা গ্রামের আবু মিয়া ও ফাতেমা এবং কেয়ারীপাড়া গ্রামের রহীমা। তারা যখন তাদের উপর নির্যাতনের করুণ কাহিনী বর্ণনা করেন, তখন উপস্থিত সকলের চক্ষু ভিজে ওঠে। 

অতঃপর যেলা সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আমীনুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, হোয়াইকং বাজার কমিটির সভাপতি মুহাম্মাদ আলমগীর চৌধুরী, কক্সবাজার মুনীরিয়া বাহরুল উলূম আলিম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল আউয়াল (৭১)। 

অতঃপর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত তাঁর স্বভাবসূলভ ওজস্বিনী ভাষায় ব্যথিত কণ্ঠে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি নির্যাতিত রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, ভিটে-মাটিহারা, পরিবারহারা, সম্পদহারা, সম্ভ্রমহারা ও সর্বস্বহারা মানুষগুলিকে সামনে পেয়ে আমরা আমাদের জীবনের সকল মায়া-মমতা ভুলে গেছি। আমরা আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি বাংলার এ স্বাধীন মাটিতে। আমরা আপনাদের সাথে আছি, ইনশাআল্লাহ থাকব মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। আপনারা মোটেই দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হবেন না। স্রেফ আল্লাহর উপরে ভরসা রাখুন। কেননা আল্লাহ ব্যতীত বান্দাকে সাহায্য করার কেউ নেই। তিনি বলেন, বিশ্বনেতাদের যে অবস্থা তাদের কাছে আমাদের কিছুই বলার নেই। আল্লাহপাক যদি মেহেরবানী করে কোন ভেটোধারী নেতার অন্তর এদিকে ঘুরিয়ে দেন, তখনই দ্রুত একটা পরিবর্তন আসবে ইনশাআল্লাহ। যে আল্লাহর হাতে মানুষের অন্তর তার কাছেই আমরা প্রার্থনা করছি, হে আল্লাহ! তুমি তোমার বান্দাদের অন্তরগুলিকে এই সমস্ত দুস্থ ও নির্যাতিত মানুষগুলোর দিকে ফিরিয়ে দাও। তিনি দুঃখ করে বলেন, আজকে নাফ নদীতে মানবতা ভাসছে। অথচ হতভাগা বিশ্বনেতারা চেয়ে চেয়ে দেখছে, আর বিশ্বকে গণতন্ত্রের সবক দিচ্ছে। ধিক ঐসব নেতাদের।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, বার্মায় বৌদ্ধ আগমনের দেড় শতাধিক বছর পূর্বে মুসলমানের আগমন ঘটেছে। তৎকালীন আরাকান রাজ্য ছিল ৯০ শতাংশ মুসলিম অধ্যুষিত। যা ছিল রাহমী রাজার অধিকার ভুক্ত। যিনি মুসলমানদের নবীর প্রতি সম্মান দেখিয়ে আদাভর্তি কলস পাঠিয়েছিলেন মদীনাতে (হাকেম ৪/১৩৫)। যে রোহিঙ্গারা একদিন আমাদের নবীকে সম্মান করে আদা উপঢৌকন পাঠিয়েছিল, আজ তারাই সর্বস্ব হারিয়ে আমাদের মেহমান। আমরা কি তাদের সম্মান করবো না?

তিনি বলেন, বৌদ্ধদের আদিনিবাস হ’ল ভারতে। সেখান থেকে অত্যাচারী ব্রাহ্মণ রাজাদের হাতে নির্যাতিত ও বিতাড়িত হয়ে তারা ৭৮৮ খ্রিষ্টাব্দের পরে তিববত, থাইল্যান্ড, শ্রীলংকা, মিয়ানমার, চীন, জাপান, কোরিয়া, ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশে অভিবাসী হয়। ভারত এখন প্রায় বৌদ্ধশূন্য বলা চলে। অথচ মুসলিম প্রধান বাংলাদেশে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। এটি ইসলামের উদারনীতির ফল। ইনশাআল্লাহ এই নীতি সর্বদা বহাল থাকবে। তিনি বলেন, পৃথিবীর মালিকানা আল্লাহর। এ মাটিতে তার যেকোন বান্দা, যেকোন স্থানে বসবাস করার স্বাধীন অধিকার ভোগ করবে। কোন মাটিতে কে আগে আসলো, কে পরে আসলো এটা দেখার বিষয় নয়। ইসলামের এই বিশ্বভ্রাতৃত্বের নীতি বিশ্ব মানবতার রক্ষাকবচ।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের এই মর্মান্তিক পরিণতির জন্য তিনি ব্রিটিশ সরকারকে দায়ী করে বলেন, ব্রিটিশরা যদি ১৯৩৭ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম আরাকান রাজ্যকে বার্মার সঙ্গে যুক্ত করে না দিত, তাহ’লে আজকে এই রক্ত ঝরতো না। ঠিক যেমন ১৯৪৭ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম কাশ্মীরকে ভারতের সাথে যুক্ত করে দিয়ে স্থায়ী রক্ত ঝরার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। তিনি নির্যাতিত মানবতার প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের আশু পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবী জানান।    

তিনি নির্লিপ্ত বিশ্বনেতাদের বিশেষ করে নিরাপত্তা পরিষদের ভেটো ক্ষমতাধারী নেতাদের উদ্দেশ্যে কিছু অংশ ইংরেজীতে ও কিছু অংশ আরবীতে বক্তব্য রাখেন এবং নিজ দুশ্চরিত্র কওমের প্রতি লূত (আঃ)-এর শ্লেষাত্মক আহবান উদ্ধৃত করে বলেন,أَلَيْسَ مِنْكُمْ رَجُلٌ رَشِيدٌ ‘তোমাদের মধ্যে কি কোন ভাল লোক নেই?’ (হূদ ১১/৭৮)। তিনি বলেন, সুদূর তুরস্ক থেকে তাদের ফার্ষ্ট লেডী গত পরশু কুতুপালং ঘুরে গেলেন, অথচ ঢাকা থেকে আমাদের প্রধানমন্ত্রী এখনও আসেননি। অতঃপর ভাষণের শেষাংশে তিনি উপস্থিত সবাইকে নিয়ে আল্লাহর কাছে সোচ্চার আবেগে দো‘আ করেন, اَللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِيْ نُحُوْرِهِمْ وَنَعُوْذُ بِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ ‘আল্লা-হুম্মা ইন্না নাজ‘আলুকা ফী নুহূরিহিম ওয়া না‘ঊযুবিকা মিন শুরূরিহিম’ (হে আল্লাহ! আমরা আপনাকে বর্মী দস্যুদের মুকাবিলায় পেশ করছি এবং ওদের অনিষ্ট সমূহ হ’তে আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি)। এসময় অনুষ্ঠানে কান্নার রোল পড়ে যায়। 

অতঃপর তিনি খাদ্যবস্ত্ত ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মোট ২০টি আইটেম সমৃদ্ধ ত্রাণের প্যাকেট সমূহ শরণার্থীদের হাতে তুলে দেন। যার মধ্যে ছিল- চাউল, ডাল, মুড়ি, চিড়া, সোয়াবিন তেল, চিনি, বিস্কুট, চানাচুর, পাউরুটি, পানি, প্লেইট, গ্লাস, চেরাগ, লাইটার, সাবান, ত্রিপল, স্যালাইন, প্যারাসিট্যামল ও ফ্লাজিল ট্যাবলেট।

অনুষ্ঠানের শেষে মাননীয় সভাপতি সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য সংগঠনের কর্মীদের এবং স্থানীয় সুধী ও তরুণদের ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়ে মজলিস ভঙ্গের দো‘আ পাঠ অন্তে সভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

[বিস্তারিত দ্রঃ সম্পাদকীয় ‘রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান কাম্য’ (১৫/১০ সংখ্যা, জুলাই ২০১২; দিগদর্শন-২ পৃ. ২৪৬-২৫২)। জুম‘আর খুৎবা ১৮ই নভেম্বর’১৬ এবং মানববন্ধনের বক্তব্য ১৭ই ডিসেম্বর’১৬। উক্ত অনুষ্ঠানের পূর্ণ ভিডিও দেখুন : www.multimedia.ahlehadeethbd.org]  

অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় জামে মসজিদে ছালাত আদায় করতে গিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে সেখানে ক্বিবলার দিকে দেওয়ালে আরবীতে ডান পাশে ‘আল্লাহ’ ও বাম পাশে ‘মুহাম্মাদ’ এবং উভয়ের মাঝে কালেমায়ে শাহাদাত লিখিত দীর্ঘ টাইল্স দেখে আমীরে জামা‘আত মসজিদ কমিটির নেতাদের খোঁজ করেন। তখন বাজার কমিটির সভাপতি আলমগীর চৌধুরী এগিয়ে এলে তিনি বিষয়টির আক্বীদাগত ভ্রান্তির দিকটি তাকে বুঝিয়ে দেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহ’ ‘মুহাম্মাদ’ ‘কালেমা’ ইত্যাদি আমাদের বিশ্বাসের বস্ত্ত। এগুলি কোন সাইনবোর্ডের বিষয় নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীনের যামানায় মসজিদে নববীতে এসবের কোন অস্তিত্ব ছিল না। অতএব মসজিদ জাঁকজমকপূর্ণ করা সহ নবউদ্ভূত বিষয় সমূহ থেকে আমাদের বিরত থাকা উচিত। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, লিখিত টাইল্সগুলি উঠিয়ে সাদা টাইল্স দিয়ে স্থানটি ভরে ফেলাই উত্তম হবে। তিনি সাথে সাথে সেটি মেনে নেন। এছাড়াও মসজিদের বাইরে ক্বিবলার দিকে উত্তর কোণে একটি বাঁধাই করা সুসজ্জিত কবর দেখে সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, ওটা মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা আমার বড় ভাইয়ের কবর। আমীরে জামা‘আত তাকে কবর ও মসজিদের মাঝে একটি উঁচু দেওয়াল নির্মাণের পরামর্শ দেন এবং ভবিষ্যতে মসজিদের সামনে বা পার্শ্বে কোন কবর না দেওয়ার উপদেশ দেন। অতঃপর যোহর ও আছর জমা ও ক্বছর শেষে তিনি বাজার কমিটির অন্যান্য সদস্যদের ত্রাণ কার্যে অকুণ্ঠ সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং বিশেষ করে রাসেল ও তার তরুণ বন্ধুদের গায়ে হাত বুলিয়ে আদর করেন। তিনি ‘ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)’ ও ‘আত-তাহরীক’ পাঠের খবরে তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

হোয়াইকং বাজারের আনুষ্ঠানিকতা সেরে টেকনাফের পথে রওয়ানা হয়ে আমীরে জামা‘আত সীমান্তবর্তী লম্বা বিল পয়েন্টে গমন করেন এবং সেখানে সদ্য আগত রোহিঙ্গা ভাই-বোনদের মাঝে বৃষ্টির মধ্যে ত্রাণের কিছু প্যাকেট ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। এখানে কর্মীরা ট্রাক বোঝাই বড় বড় ৫০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রীর বাকীগুলি বিতরণ করেন। অতঃপর ত্রাণবাহী খালি ট্রাক কক্সবাজার ফিরে যায়।

এরপর সেখান থেকে টেকনাফ যাওয়ার পথে নাফ নদী পেরিয়ে সদ্য আগতদের সারির মাঝে তিনি ও তাঁর সাথীগণ পরিবার ও ব্যক্তি বুঝে ১০০, ৫০০, ১০০০ টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করতে থাকেন।

বিস্ময়ের ব্যাপার এই যে, নতুন আগতগণ ত্রাণ নিতে হাত বাড়ান না। তাদেরকে একপ্রকার জোর করেই দিতে হয়। চরম কষ্টের মধ্যেও হাত না পাতার শিক্ষা তাদের মহান ইসলামী ঐতিহ্যের পরিচয় বহন করে। তাছাড়া তাদের প্রত্যেকের নাম আরবী ভাষায়। নিজেদের রোহাং ভাষায় নয়। নিঃসন্দেহে এটি তাদের ইসলামী স্বাতন্ত্র্যের অতুলনীয় নিদর্শন। বস্ত্ততঃ স্রেফ ইসলামের কারণেই তারা আজ কাফেরদের হাতে অবর্ণনীয় নির্যাতনের শিকার।    

অতঃপর পূর্ব নির্ধারিত প্রোগ্রাম অনুযায়ী মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও তাঁর সাথীগণ কক্সবাজারের নতুন আহলেহাদীছ ভাই ডা. নূরুল ইসলামের বাড়ীতে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন। যিনি ইতিমধ্যে ২০ কপি ‘আত-তাহরীকে’র এজেন্ট। অতঃপর সন্ধ্যার কিছু পূর্বে বিদায় হয়ে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে রাত ৮-টার দিকে তিনি কক্সবাজার ফিরে আসেন। ফেরার পথে সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেন।

দিন ব্যাপী এই ত্রাণ কর্মসূচীতে আমীরে জামা‘আতের সাথে ছিলেন, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি এ্যাডভোকেট শফীউল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আমীনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুজীবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ আরীফুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা নাজমুল হক, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আরমান, দফতর সম্পাদক আবুল কালাম আযাদ, স্থানীয় সুধী মাওলানা আব্দুল আউয়াল ও মুহাম্মাদ রেযাউল করীম এবং সাতকানিয়ার মাওলানা মোর্তযা প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, সফরসঙ্গী ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন পরদিন কুতুপালং সীমান্তে পুনরায় ত্রাণ বিতরণে গমন করেন এবং সেখান থেকে ফিরে রাতের কোচে চট্টগ্রাম এসে আমীরে জামা‘আতের সাথে মিলিত হন।

ত্রাণ বিতরণের খবর পরদিন কক্সবাজারের স্থানীয় আমাদের কক্সবাজার, দৈনিক আজকের দেশ-বিদেশ, দৈনিক সেঞ্চুরী, দৈনিক কক্সবাজার বাণী, দৈনিক সকালের কক্সবাজার, দৈনিক কক্সবাজার, দৈনিক রূপালী সৈকত পত্রিকায় ছবিসহ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায়ও প্রচারিত হয়।

উল্লেখ্য যে, গত ২৫ শে আগষ্ট নতুনভাবে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় উদ্যোগে এবং কক্সবাজার যেলা সংগঠনের ব্যবস্থাপনায় সদ্য আগত নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলমানদের মধ্যে গত ৩১শে আগষ্ট থেকে ত্রাণ বিতরণ শুরু হয়ে নিয়মিতভাবে চলমান আছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

[বর্মী সরকারের নির্যাতনে স্রোতের মত আগত অসহায় রোহিঙ্গা মুসলিম পরিবারগুলির প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য মুহতারাম আমীরে জামা‘আত জুম‘আর খুৎবায় আবেদন জানালে দেশ-বিদেশের অনেক দ্বীনি ভাই এতে সাড়া দেন। আমরা সকল দাতা ভাই-বোনের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে খাছ দো‘আ করছি, তিনি যেন সকলকে ইহকালে ও পরকালে এর উত্তম জাযা দান করেন -আমীন। -সম্পাদক]






যুবসমাবেশ
সংগঠন সংবাদ
জীবন থাকা পর্যন্ত সাহসিকতার সাথে কাজ করুন! (যেলা সম্মেলন : বাগেরহাট ২০২২) - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
সংগঠন সংবাদ
সুধী সমাবেশ
আত-তাহরীক টিভি (‘ব্যবসা-বাণিজ্যে ইসলামী দিক-নির্দেশনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল)
আহলেহাদীছ মহিলা সংস্থা
আবু তাহের মাস্টার ও মুহাম্মাদ মাহফূযুর রহমান (মৃত্যু সংবাদ)
সার্বিক জীবনে তাওহীদে ইবাদত প্রতিষ্ঠা করুন! (যেলা সম্মেলন : রাজশাহী-পশ্চিম ২০২৩) - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
‘শিক্ষার মৌলিক লক্ষ্য’ শীর্ষক সেমিনার (বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ)
মারকায সংবাদ (আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী)
আহলেহাদীছ মহিলাসংস্থা
আরও
আরও
.