
শিরোনাম দেখে
বিস্মিত হ’লেও ঢাকাস্থ ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস,
এগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি’র (আইইউবিএটি) একদল গবেষক একই গাছে আলু ও
বেগুন উৎপাদন করার মতো গবেষণায় সফল হয়েছেন। জোড় কলম পদ্ধতিতে এটি সম্ভব
হয়েছে। আইইউবিএটির গবেষক দল বেগুনের ইংরেজী পরিভাষা ‘ব্রিঞ্জাল’ আর ‘আলু’
একত্র করে গাছটির নাম দিয়েছে ‘ব্রিঞ্জালু’ বা ‘বেগুনালু’। গত বছরের
সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয় এই গবেষণা। গবেষক দলের নেতৃত্ব দেন
বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ফারূক।
ক্যাম্পাসের ছোট্ট এক টুকরো জমিতে শুরু হয় গাছ লাগানো ও পরিচর্যার প্রথম ধাপ। শুরুতে বেগুনের চারা রোপণ করা হয়। আর ২৫ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে রোপণ করা হয় আলুর চারা গাছ। এর ২০ থেকে ২৫ দিন পর দেখা যায়, দুই গাছের ডালের ব্যাস প্রায় সমান হয়ে গেছে। সে সময় বেগুনগাছ থেকে সায়ন সংগ্রহ করে আলুগাছের রুটস্ট্রোকের সঙ্গে জোড়া কলম পদ্ধতিতে যুক্ত করা হয়। নির্দিষ্ট সময় পর কলমের র্যাপিং খুলে ফেলা হয়। ৪০ থেকে ৬০ দিনের মাথায় নতুন এই গাছে ফুল আসতে শুরু করে। ৭০ দিনের মধ্যেই ফলন হয় বেশির ভাগ গাছে।
নতুন এই উদ্ভাবনের সুফল ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ ফারূক বলেন, আমাদের দেশে প্রতিবছর কৃষিজমির পরিমাণ কমে আসছে। তাই একই জমিতে একই গাছ থেকে যদি কম সময়ে দুই ধরনের ফসল উৎপাদন করা যায়, তা আমাদের কৃষিব্যবস্থায় বড় ভূমিকা রাখবে। ব্রিঞ্জালু উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়াতেই প্রাকৃতিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেচসহ অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও একই গাছ হওয়ায় একবারই খরচ হচ্ছে।