
যদি পৃথিবী বর্গাকার হ’ত, তবে আমাদের পরিচিত প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীবনের ওপর বড় পরিবর্তন আসত। বর্গাকার আকৃতির কারণে অভিকর্ষ ক্ষেত্র অসমান হ’ত। ফলে কেন্দ্র হ’ত শক্তিশালী আর প্রান্ত হ’ত দুর্বল। ফলে ভূমির গঠন বিকৃত হয়ে কেন্দ্রে স্ফীত ও প্রান্তে চাপা হ’ত। এ কারণে প্রাণীর দেহে মেরুদন্ড ও পেশির ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি হ’ত।
বায়ুমন্ডল কেন্দ্রে ঘন ও প্রান্তে পাতলা হয়ে বায়ুপ্রবাহে পরিবর্তন আনত। পানি কেন্দ্রের দিকে জমে বিশাল অভ্যন্তরীণ মহাসাগর গঠন করত, আর প্রান্ত অঞ্চল শুষ্ক থাকত। ভূ-আলোড়ন ও টেকটোনিক প্লেটের আচরণ বদলে নতুন ধরনের পাহাড়, আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্প দেখা যেত।
সূর্যের আলো কেন্দ্রে সরাসরি পড়ায় সেখানে অধিক তাপ থাকত, আর প্রান্তে কম। ফলে তাপমাত্রা ও ঋতুর ব্যবস্থাপনায় বড় পার্থক্য দেখা যেত। সব মিলিয়ে, বর্গাকার পৃথিবীতে জীবনধারা হ’ত সম্পূর্ণ ভিন্ন ও জটিল।