মশা থেকে মানুষের শরীরে ম্যালেরিয়া জীবাণুর সংক্রমণ বন্ধে বিজ্ঞানীরা ব্যাকটেরিয়ার একটি প্রাকৃতিক ধরন খুঁজে পেয়েছেন। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, গবেষণার প্রয়োজনে আটকে রাখা এক ঝাঁক মশার শরীরে ঐ ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেন প্রয়োগের পর ম্যালেরিয়া জীবাণু আর বৃদ্ধি পায়নি। স্পেনের একটি গবেষণা কেন্দ্রে জিএসকে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি পরিচালিত এক গবেষণায় একদল বিজ্ঞানী হঠাৎ করেই ব্যাকটেরিয়ার এই স্ট্রেইনটি আবিষ্কার করেছেন।
বিজ্ঞানীদের দলটি ২০১৪ সালের তাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার স্যাম্পল বা নমুনা ডিপ-ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন। এর দু’বছর পর সেই নমুনায় কি ঘটলো তা খুঁটিয়ে দেখেন।
সায়েন্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত তথ্য বলছে, নতুন আবিষ্কৃত এই ব্যাকটেরিয়াটি মশার দেহে ম্যালেরিয়া জীবাণুর পরিমাণ ৭৩ শতাংশ কমিয়ে দিতে সক্ষম।
গবেষণাগারের বাইরে বাস্তব জগতে হরমোন প্রয়োগ কতটা নিরাপদ এবং ম্যালেরিয়া দমনে এটি কতটা কার্যকর তা নিয়ে এখন আফ্রিকার বুর্কিনা ফাসোতে ব্যাপক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
গবেষকরা বলছেন, বিশ্বে প্রাচীনতম রোগগুলির একটি ম্যালেরিয়া। প্রতি বছর সারাবিশ্বে প্রায় ৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হয় এই রোগে। আশা করা হচ্ছে বিজ্ঞানীরা নতুন একটি ওষুধ তৈরি করে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এবং প্রাণঘাতী এই রোগ নিরাময়ে সক্ষম হবেন।
ম্যালেরিয়ায় প্রতি বছরে বিশ্বে যে পরিমাণ মানুষ মারা যায়, তাদের অধিকাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশু। যদিও এর টিকা এখন বাজারে এসেছে, কিন্তু ম্যালেরিয়া-উপদ্রুত আফ্রিকায় গণহারে এর প্রয়োগ এখনও একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে।