আল্লাহর
অশেষ মেহেরবাণীতে হাটি হাটি পা পা করে অনেক কষ্টের ২৩টি বছরপরিয়ে গেল
তোমার প্রকাশকাল। তোমার সঙ্গে প্রথম দেখা ১৯৯৭ইং সনের সেপ্টেম্বর মাসের এক
শুক্রবার নওদাপাড়া মারকাযের পূর্ব পাশের্বর মসজিদে বসে। সেদিনই তোমার সাথে
আমার দু’টি সম্পর্ক গড়ে উঠে। পাঠক হিসাবে ও বিক্রেতা এজেন্ট হিসাবে। সময়ের
অভাবে ২০১৪ইং সনের ডিসেম্বর মাস হ’তে এজেন্ট সম্পর্ক হ’তে অবসর নিলেও পাঠক
হিসাবে সম্পর্ক আজও আছে। জীবনের শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার পূর্ব মুহূর্ত
পর্যন্ত থাকবে ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহর নিকট ফরিয়াদ তোমার প্রকাশ যেন
চলমান থাকে যুগ যুগ ধরে। তোমার গতিপথ যেন হয় নিষ্কণ্টক। তোমার দাওয়াত যেন
থাকে বেগবান।
আমার জানা মতে, গুণে ও মানে মাসিক পত্রিকা জগতে দেশে এই অল্প সময়ে তোমার স্থান শীর্ষে।
১ম বর্ষ ১ম সংখ্যা প্রচ্ছদ হাদীছ ফাউন্ডেশন, কাজলা, রাজশাহীর ছবি দিয়ে তোমার যাত্রা শুরু হ’লেও পরবর্তীতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দৃষ্টিনন্দন মনোরম মসজিদের ছবি দেখে মন জুড়ায়। দেশের মধ্যের দৃষ্টিনন্দন মসজিদের ছবি মাঝে মধ্যে প্রকাশ করার অনুরোধ রইল। বর্তমানে প্রত্রিকাতে ১৪/১৫টি কলাম চলমান। এর সঙ্গে মুসলিম দেশ পরিচিতি কলাম স্থান পেলে ভাল হ’ত।
পরিশেষে যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রায় দুই যুগ ধরে অনন্য এই ইসলামী পত্রিকা প্রকাশ হচ্ছে তাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন। আল্লাহ সবাইকে জাযায়ে খায়ের দান করুন-আমীন!
[বিঃ দ্রঃ পত্রিকার জন্ম লগ্ন থেকে আজ পর্যন্ত প্রকাশিত প্রতিটি কপি আমার হেফাযতে আছে। ফালিল্লাহিল হাম্দ।]
মুহাম্মাদ মুস্তাফীযুর রহমান
হামিদপুর, মুহুরীপাড়া, গাবতলী, বগুড়া।