১. যায়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ)।
২. আনাস বিন মালেক (রাঃ)।
৩. আনাস বিন মালেক (রাঃ)।
৪. মু‘আবিয়া বিন আবু সুফিয়ান (রাঃ)।
৫. ওমর বিন খাত্ত্বাব (রাঃ)।
৬. আবু বকর, ওমর ও আলী (রাঃ)।
৭. আসমা বিনতে উমাইস (রাঃ)।
৮. আব্দুল্লাহ বিন জুবাইর আনছারী (রাঃ)।
৯. সা‘দ বিন আবী ওয়াক্কাছ (রাঃ)।
১০. আবুল আছ বিন রবী‘ (রাঃ)।
গত সংখ্যার সাধারণ জ্ঞান (স্বদেশ)-এর সঠিক উত্তর
১. পুরাতন সংসদ ভবন। ২. রমণা হাউজ।
৩. ডি.আই.টি (Dhaka Improvement Trust)।
৪. জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
৫. হানীফ আদমজির বাসভবন।
৬. গুল মুহাম্মাদ আদমজির বাসভবন। ৭. ভিক্টোরিয়া পার্ক।
৮. সমতট। ৯. সাভাউর। ১০. টুঙ্গী।
সোনামণি কেন্দ্রীয় সম্মেলন ২০১৬
নওদাপাড়া, রাজশাহী ১১ই নভেম্বর শুক্রবার : অদ্য সকাল ৯-টায় রাজশাহী মহানগরীর নওদাপাড়াস্থ আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী কমপ্লেক্সের পূর্ব পার্শ্বস্থ ময়দানে ‘সোনামণি কেন্দ্রীয় সম্মেলন ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ২০১৬ অনুষ্ঠিত হয়। ‘সোনামণি’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুলাহ আল-গালিব সভাপতির ভাষণে বলেন, প্রত্যেক পরিবারে আদমের দুই সন্তান হাবীল-ক্বাবীলের মত সন্তান রয়েছে। আমাদের দায়িত্ব আমাদের বাচ্চাদের ছোট থেকেই হাবীলের মত আল্লাহমুখী করে গড়ে তোলা। কচি বয়স থেকেই নিজ গৃহে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি তাদেরকে আল্লাহমুখী দিক নির্দেশনা না দেওয়া যায়, তাহ’লে সে শয়তানমুখী হবে। তখন তাকে ফিরানো আর সম্ভব হবে না। একই সাথে ইসলামের সঠিক ব্যাখ্যা ছোট থেকেই জানিয়ে দিতে হবে। তাহ’লে ঐ সন্তান মানুষ হত্যাকারী বা জঙ্গী হবে না। তিনি বলেন, ‘সোনামণি’ ‘যুবসংঘ’ ‘মহিলা সংস্থা’ ও ‘আন্দোলন’-এর সকল প্রচেষ্টা নবীদের তরীকায় সুন্দর সমাজ গড়ার উদ্দেশ্যে নিবেদিত। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে গড়ে তুললে আমরা অবশ্যই ব্যর্থ হব। পরিশেষে তিনি সকল অভিভাবক ও সমাজনেতাদের স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের ও বাচ্চাদেরকে আল্লাহভীরু হয়ে গড়ে ওঠার আহবান জানান। তিনি প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও পুরস্কার বিজয়ী সোনামণিদের এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন।
উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের উপ-প্রধান চিকিৎসক (অব.) ডা. মুহাম্মাদ হেলালুদ্দীন, গ্যালাক্সি মেডিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল, তেরখাদিয়া, রাজশাহী-এর পরিচালক ডা. খন্দকার হালীমুয্যামান ও বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়-এর সহকারী পরিদর্শক মুহাম্মাদ মুজাহিদুল ইসলাম।
সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণ প্রদান করেন ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, দফতর ও যুববিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক আমীনুল ইসলাম, ‘সোনামণি’র পৃষ্ঠপোষক ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতার, সোনামণি’র সাবেক কেন্দ্রীয় পরিচালক ড. শিহাবুদ্দীন আহমাদ, কুমিল্লা যেলা পরিচালক আতীকুর রহমান, সাতক্ষীরা যেলা পরিচালক আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, রংপুর যেলা পরিচালক রবীউল হাসান প্রমুখ। সম্মেলনে ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র বিভিন্ন যেলা দায়িত্বশীলগণ ছাড়াও ১৩টি যেলার বিপুল সংখ্যক সোনামণি অংশগ্রহণ করে। সম্মেলনে সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন ‘সোনামণি’ কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ ও মারকায এলাকার সহ-পরিচালক শহীদুল্লাহ। সম্মেলনে ‘কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৬’-এর বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ। উল্লেখ্য যে, কেন্দ্রীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় ১১০ জন বালক ও ৭০ জন বালিকা সহ মোট ১৮০ জন সোনামণি অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ৩৯ জন বিজয়ীকে বিশেষ পুরস্কার ও অন্যদের উৎসাহমূলক পুরস্কার দেওয়া হয়। নিম্নে প্রতিযোগিতার বিষয় ও বিজয়ীদের নাম উল্লেখ করা হ’ল :
১. হিফযুল কুরআন তাজবীদসহ ২৮, ২৯ ও ৩০ তম পারা।
বালক গ্রুপ : ১ম : আব্দুল্লাহ আর-রিয়ায (ঝিনাইদহ), ২য় : রায়হানুদ্দীন (দিনাজপুর), ৩য় : হুযায়ফা (যশোর)।
বালিকা গ্রুপ : ১ম : জেসমিন (বগুড়া), ২য় : সুমাইয়া ইয়াসমীন (রাজশাহী), ৩য় : মাহফূযা (চাঁপাই নবাবগঞ্জ)।
২. হিফযুল কুরআন (লোক্বমান ১৩-১৯ আয়াত) মাখরাজ ও অর্থসহ এবং হিফযুল হাদীছ (১০টি) অর্থসহ :
বালক গ্রুপ : ১ম : আব্দুল হাসীব (গাইবান্ধা), ২য় : আব্দুল্লাহ আল-জাবির (রাজশাহী), ৩য় : আমানুল্লাহ (নওগাঁ)।
বালিকা গ্রুপ : ১ম : সাজেদা (কুমিল্লা), ২য় : কুলছূম (মেহেরপুর), ৩য় : তানযীলা (কুমিল্লা)।
৩. আক্বীদা ও দো‘আ
বালক গ্রুপ : ১ম : হাসীবুল ইসলাম (বগুড়া), ২য় : মুহাম্মাদ খায়রুল ইসলাম (রাজশাহী), ৩য় : শামীম আহমাদ (রাজশাহী)।
বালিকা গ্রুপ : ১ম : যয়নাব খাতুন (রাজশাহী), ২য় : সা‘দিয়া খাতুন (রাজশাহী), ৩য় : জেসমিন (বগুড়া)।
৪. সাধারণ জ্ঞান
বালক গ্রুপ : ১ম : আব্দুল মুমিন (বগুড়া), ২য় : ওমর ফারূক (কুমিল্লা), ৩য় : মি‘রাজুল ইসলাম (ঝিনাইদহ)।
বালিকা গ্রুপ : ১ম : সুমাইয়া সুমী (গাইবান্ধা), ২য় : তাসনীম তাবাসসুম (মেহেরপুর), ৩য় : জান্নাত আরা (সিরাজগঞ্জ)।
৫. সোনামণি জাগরণী
বালক গ্রুপ : ১ম : ফরীদুল ইসলাম (নাটোর), ২য় : আব্দুল মুত্তালিব (বগুড়া), ৩য় : আব্দুল মুন‘ইম (সাতক্ষীরা)।
বালিকা গ্রুপ : ১ম : লীমা (নাটোর), ২য় : উম্মে হাবীবা (বগুড়া), ৩য় : আরীফা (নাটোর)।
৬. হস্তাক্ষর প্রতিযোগিতা আরবী ও বাংলা
বালক গ্রুপ : ১ম : আব্দুল মুমিন (বগুড়া), ২য় : ফযলে রাববী (বগুড়া), ৩য় : আব্দুল্লাহ আল-মামূন (রাজশাহী)।
বালিকা গ্রুপ : ১ম : কানীয রোখসানা (রাজশাহী), ২য় : সাইমা (রাজশাহী), ৩য় : মাহফূযা আখতার (রাজশাহী)।
৭. রচনা প্রতিযোগিতা (পরিচালকদের জন্য) :
১ম : শরীফুল ইসলাম (দিনাজপুর), ২য় : আশরাফুল আলম (যশোর), ৩য় : রিয়াযুল ইসলাম (নওগাঁ)।
সম্মেলনে ‘জঙ্গীবাদ ও ইসলাম’ শিরোনামে সঠিক ইসলামী আক্বীদা বিষয়ক একটি তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় সংলাপ পরিবেশন করা হয়। সংলাপটি নিম্নে পরিবেশিত হ’ল।-
সোনামণি সংলাপ
শিরোনাম : জঙ্গীবাদ ও ইসলাম
(১ম দৃশ্য)
জঙ্গীবাদী বক্তা : আসসালামু আলায়কুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। বন্ধুগণ! আজ আমি আপনাদের কাছে জিহাদের দাওয়াত দিব। যা থেকে অধিকাংশ মুসলমান ও আমাদের সরকার মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অথচ আল্লাহ বলেন, আঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রজীম, বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম। (১) وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُوْنَ ‘যারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী বিচার বা শাসন করে না তারা কাফের’ (মায়েদাহ ৫/৪৪)। তিনি আরো বলেন, (২) فَإِذَا انْسَلَخَ الْأَشْهُرُ الْحُرُمُ فَاقْتُلُوا الْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدْتُمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَاحْصُرُوهُمْ وَاقْعُدُوا لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍ ‘অতঃপর নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিক্রান্ত হ’লে তোমরা মুশরিকদের যেখানে পাও হত্যা কর, পাকড়াও কর, অবরোধ কর এবং ওদের সন্ধানে প্রত্যেক ঘাঁটিতে ওঁৎ পেতে থাক’ (তওবা ৯/৫)। তিনি আরো বলেন, (৩)فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ‘তোমার পালনকর্তার শপথ! তারা কখনো মুমিন হ’তে পারবে না, যতক্ষণ না তারা তাদের বিবাদীয় বিষয়ে তোমাকে ফায়ছালা দানকারী হিসাবে মেনে নিবে। অতঃপর তোমার দেওয়া ফায়ছালার ব্যাপারে তাদের অন্তরে কোনরূপ দ্বিধা না রাখবে এবং সর্বান্তঃকরণে তা মেনে নিবে’ (নিসা ৪/৬৫)। (৪) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেছেন, ‘আমি লোকদের সাথে লড়াই করতে আদিষ্ট হয়েছি, যে পর্যন্ত না তারা সাক্ষ্য দেয় যে আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল (বুখারী হা/২৫, মিশকাত হা/১২)। এই হাদীছে রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ‘উক্বাতিলান্নাস’ অর্থাৎ ‘মানব সমাজের সাথে যুদ্ধ করার জন্য’। তিনি যেহেতু শেষনবী, তাঁর পরে আর কোন নবী নেই, অতএব এই নির্দেশ কিয়ামত পর্যন্ত চলবে’। সুতরাং যারা রাসূলের আদেশ মানে না, তারা ইসলামের গন্ডী থেকে বেরিয়ে যাবে। মুখে তারা যত দাবীই করুক না কেন। তাই আমাদের জান্নাত পাওয়ার জন্য জীবন দিয়ে হ’লেও জিহাদ করতে হবে। জিহাদ, জিহাদ, জিহাদ...
(বক্তব্য শোনার পর)
[রফীক : আমি তো জীবনে ভুল পথে চলে অনেক অন্যায় করেছি। এখন অতি শীঘ্রই জান্নাত পেতে হ’লে জিহাদ করে আল্লাহর রাস্তায় জীবন বিলিয়ে দিতে হবে। (এ বলে উপরোক্ত আয়াতসমূহ ও হাদীছ বার বার পড়তে ও মুখস্থ করতে লাগল।)]
শফীক : ওহে রফীক! একাকী বসে বারবার কী পড়ছ ও চিন্তা করছ?
রফীক : শোন শফীক! গতকাল একজন বক্তা জিহাদের মাধ্যমে সহজে জান্নাত লাভের উপায় বলে দিয়েছেন। তাই এদেশে যারা বিভিন্ন অন্যায় কাজে জড়িত ও আল্লাহর বিধান মান্য করে না তাদের হত্যার মাধ্যমে জান্নাত পেতে হবে।
শফীক : তাহ’লে তুমি তো ঠিকই বলেছ। আমি তো এ বিষয় নিয়ে চিন্তা করিনি।
শাহীন : তোমরা কী নিয়ে আলোচনা করছ? মনে হয় গত দিনের বক্তব্য শুনে জিহাদ নিয়ে। বুঝেছি, হ্যাঁ, তাহ’লে আমিও তোমাদের সাথে এপথে প্রস্ত্তত।
(চলো আমরা আমাদের মিশন নিয়ে দাওয়াতী কার্যক্রম চালাই)
(২য় দৃশ্য)
(সাপ্তাহিক সোনামণি বৈঠক)
হাসান : (আযান ও ছালাতের পর) আজ আমাদের সাপ্তাহিক সোনামণি বৈঠকে আলোচনা নিয়ে আসছেন পরিচালক ভাইয়া।
পরিচালক : আসসালামু আলায়কুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আলহামদু লিল্লাহি ওয়াহদাহ ওয়াছ ছালাতু ওয়াস সালামু ‘আলা মাল্লা নাবিইয়া বা‘দাহ। তোমরা সোনামণি। সোনামণি সংগঠনের মূলমন্ত্র হ’ল : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর আদর্শে নিজেকে গড়া। যেমন মহান আল্লাহ বলেন, لَقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ ‘নিশ্চয়ই তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসূলের মধ্যে উত্তম আদর্শ নিহিত রয়েছে’ (আহযাব ৩৩/২১)। আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) নম্র-ভদ্র ব্যবহার, উত্তম আচরণ ও ক্ষমার মাধ্যমে ইসলামী আদর্শের প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করেছেন। তাঁর ক্ষমাশীলতা ও অতুলনীয় ব্যক্তি মাধুর্যের প্রভাবেই বিভিন্ন গোত্র নেতা ও রুক্ষ স্বভাবের মরুচারী আরবরা দলে দলে ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিয়েছিল। ইসলাম শান্তি ও সহিষ্ণুতার ধর্ম। অন্যায়ভাবে হত্যা, মারামারি ও যু্দ্ধ-বিগ্রহ ইসলাম পসন্দ করে না। মহান আল্লাহ বলেন, مَنْ قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الْأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيْعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَأَنَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيْعًا ‘যে কেউ জীবনের বদলে জীবন অথবা জনপদে অনর্থ সৃষ্টি ব্যতীত কাউকে হত্যা করে, সে যেন সকল মানুষকে হত্যা করে। আর যে ব্যক্তি কারো জীবন রক্ষা করে, সে যেন সকল মানুষের জীবন রক্ষা করে’ (মায়েদাহ ৫/৩২)।
প্রিয় সোনামণিরা! তোমরা কি বিষয়টি বুঝেছ? তোমাদের কারো কোন প্রশ্ন থাকলে এখন বল।
জাহিদ : ভাইয়া, আমার একটা প্রশ্ন আছে?
পরিচালক : বলো শুনি!
জাহিদ : জিহাদের অর্থ কী?
পরিচালক : জিহাদ অর্থ আল্লাহর পথে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো।
জাহিদ : ভাইয়া! জিহাদের নামে বর্তমানে বিভিন্নভাবে মানুষ হত্যা চলছে। তা কি ঠিক?
পরিচালক : নাঊযুবিল্লাহ। জিহাদের নামে অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা হারাম। হোক সে মুসলিম বা অমুসলিম। তাই এ থেকে অবশ্যই সকলকে বিরত থাকতে হবে। এ বিষয়ে তোমাদের নিকট আমরা ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও সোনামণি’র প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব স্যার প্রণীত ও হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ প্রকাশিত ‘জিহাদ ও ক্বিতাল’ বই থেকে বলছি। বইটি নিশ্চয়ই তোমরাও পড়েছ। (১) আচ্ছা তোমাদের কেউ কি সূরা মায়েদাহ ৪৪ আয়াতের ব্যাখ্যা বলতে পারবে?
হাবীব : ইনশাআল্লাহ আমি পারব। উক্ত বইয়ের ৬২ পৃষ্ঠায় আছে, যারা ইসলামী বিধান অনুযায়ী দেশের শাসনকার্য পরিচালনা করে না। তাদেরকে একই অপরাধে তিন রকম পরিণতির কথা বলা হয়েছে। যথা ৪৪ আয়াতে ‘কাফের’, ৪৫ আয়াতে ‘যালেম’ ও ৪৭ আয়াতে ‘ফাসেক’। এক্ষণে ৪৪ আয়াতে বর্ণিত ‘কাফের’ অর্থ ইসলাম থেকে খারিজ প্রকৃত কাফের বা মুরতাদ নয়। বরং এর অর্থ আল্লাহর বিধানের অবাধ্যতাকারী কবীরা গোনাহগার মুমিন। ছাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, সে ইসলামের গন্ডী থেকে বহির্ভূত নয়। (২) অমনিভাবে সূরা নিসার ৬৫ আয়াতে বর্ণিত ‘লা ইউমিনূনা’ ‘তারা মুমিন হ’তে পারবে না’- অর্থ ‘লা ইয়াস্তাকমিলূনাল ঈমান’ ‘তারা পূর্ণ মুমিন হ’তে পারবে না’ (ফাৎহুল বারী শরহ বুখারী হা/২৩৫৯)। তাছাড়া উক্ত আয়াতটি নাযিল হয়েছিল দু’জন বদরী ছাহাবীর পরস্পরের ঝগড়া মিটানোর জন্য। দু’জনেই ছিলেন স্ব স্ব জীবদ্দশায় জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত। তাই তাদেরকে মুনাফিক বা কাফের বলার কোন সুযোগ নেই। তাদের রক্ত হালাল হওয়া তো দূরের কথা।
কিন্তু চরমপন্থীরা এ আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে মুসলিম সরকারকে প্রকৃত ‘কাফের’ আখ্যায়িত করে এবং তার বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে নামতে তরুণদের প্ররোচিত করে। অতএব তোমরা সাবধান!
পরিচালক : (৩) তোমাদের কেউ কি সূরা মায়েদাহ ৫ আয়াতের ব্যাখ্যা বলতে পারবে?
আবিদ : ইনশাআল্লাহ আমি পারব। অত্র আয়াতের ব্যাখ্যায় ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত ‘জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর ভূমিকা’ নামক বইয়ের ৪০ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, আয়াতটি বিদায় হজ্জের আগের বছর নাযিল হয় এবং মুশরিকদের সাথে সকল চুক্তি বাতিল করা হয়। এটি বিশেষ অবস্থায় একটি বিশেষ নির্দেশ মাত্র। এর ফলে মুশরিকদের জন্য হজ্জ চিরতরে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু চরমপন্থী খারেজী আক্বীদার লোকেরা অত্র আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, ‘যেখানেই পাও’ এটি সাধারণ নির্দেশ। অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠের ‘যেখানেই পাও না কেন তাদেরকে বধ কর, পাকড়াও কর, হারাম শরীফ ব্যতীত’। এটি চরম অন্যায়। অথচ রাসূল (ছাঃ) ও খোলাফায়ে রাশেদীনের সময় মদীনার ইসলামী রাষ্ট্রে মুনাফিক, ইহূদী, নাছারা, কাফের সবধরনের নাগরিক স্বাধীনভাবে বসবাস করতো।
পরিচালক : (৪) তোমাদের কেউ কি ছহীহ বুখারীর ২৫ নং হাদীছের ব্যাখ্যা বলতে পারবে?
হাসান : জী, আমি পারব। অত্র হাদীছের ব্যাখ্যায় ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত ‘জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর ভূমিকা’ নামক বইয়ের ৪২ পৃষ্ঠায় রয়েছে, উক্ত হাদীছে ‘উক্বাতিলা’ (যুদ্ধ করি) বলা হয়েছে, ‘আক্বতুলা’ (হত্যা করি) বলা হয়নি। ‘যুদ্ধ’ দু’পক্ষে হয়। কিন্তু ‘হত্যা’ এক পক্ষ থেকে হয়। যেটা চোরাগুপ্তা হামলার মাধ্যমে ক্বিতালপন্থীরা করে থাকে। অত্র হাদীছে বুঝানো হয়েছে যে, কাফির-মুশরিকরা যুদ্ধ করতে এলে তোমরাও যুদ্ধ করবে। কিংবা তাদের মধ্যকার যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তোমরা যুদ্ধ করবে। কিন্তু নিরস্ত্র, নিরপরাধ বা দুর্বলদের বিরুদ্ধে নয়। কাফির পেলেই তাকে হত্যা করবে সেটাও নয়।
পরিচালক : হাসান তোমাকে সহ সকল সোনামণিকে ধন্যবাদ।
(৩য় দৃশ্য)
জাহিদ : (সোনামণি জ্ঞানকোষ-১ও ২ সাথে নিয়ে : জ্ঞানকোষ-১-এর ১১ ও ৭৪ নং প্রশ্ন : আমাদের রাসূলের নাম কী ও তিনি কিসের তৈরী? তাঁর পিতা-মাতা, দাদা-দাদী ও নানা-নানীর নাম কী? ৭১ নং প্রশ্ন : আল্লাহ কোথায় আছেন? জ্ঞানকোষ-২-এর ২নং প্রশ্ন আল্লাহ কী নিরাকার ও সর্বত্র বিরাজমান?) (হঠাৎ বন্ধুর আগমন)।
রফীক : আসসালামু আলায়কুম। কেমন আছ জাহিদ?
জাহিদ : ওয়া আলায়কুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আলহামদু লিল্লাহ ভাল আছি।
শফীক : কি হে জাহিদ! শুধু বই-পুস্তক নিয়ে পড়ে আছ। আল্লাহর নবীর ছাহাবীরা লেখা-পড়া না করেও জিহাদের মাধ্যমে জান্নাতে গেছেন। তাহ’লে আমাদের সহজে জান্নাত পাওয়ার জন্য কি জিহাদ করতে হবে না?
শাহীন : শোন জাহিদ! তোমরা তো শুধু ছালাত-ছিয়াম নিয়ে ব্যস্ত থাক। জিহাদ নিয়ে তোমাদের কোন চিন্তা নেই। হয় ব্যালটের মাধ্যমে নয় বুলেটের মাধ্যমে ইসলাম কায়েম করতেই হবে। চলো আমরা জিহাদে যাই।
জাহিদ : জিহাদ মানে তুমি কি বুঝাতে চাও?
রফীক : যারা আল্লাহর হুকুম মানে না ও সে অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনা করে তাদের হত্যা করব। হয় প্রকাশ্যে না হয় গোপনে কিংবা আত্মঘাতী হওয়ার মাধ্যমে হ’লেও।
জাহিদ : কী বল! অসম্ভব এগুলো হ’তেই পারে না। ইসলাম এগুলোকে কখনই সমর্থন করে না। আমি তোমাদের সাথে একমত নই। এ বিষয়ে সঠিক জ্ঞানের জন্য তোমরা আগামী সপ্তাহে সোনামণি বৈঠকে আসবে।
(৪র্থ দৃশ্য)
(সোনামণি বৈঠক)
কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে বৈঠক শুরু (হজ্জ ২২/২৩-২৪)
পরিচালক : (৫) তোমরা কি জান ঈমান কী?
হাবীব : জী ভাইয়া জানি। আমরা সোনামণি কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ২০১৬-এর সিলেবাস ও মুহতারাম আমীরে জামা‘আত লিখিত তাফসীরুল কুরআন ৩০তম পারার ৪৬৩ পৃষ্ঠা থেকে শিখেছি, ঈমান অর্থ নিশ্চিন্ত বিশ্বাস যা ভীতির বিপরীত। সন্তান যেমন পিতামাতার কোলে নিশ্চিন্ত হয় মুমিন তেমনি আল্লাহর উপরে ভরসা করে নিশ্চিন্ত হয়। পারিভাষিক অর্থে ঈমান হ’ল হৃদয়ে বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি, ও কর্মে বাস্তবায়নের সমন্বিত নাম। যা অনুগত্যে বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয় ও গুনাহে হ্রাস প্রাপ্ত হয়। বিশ্বাস হ’ল মূল এবং কর্ম হ’ল শাখা। যা না থাকলে পূর্ণ মুমিন বা ইনসানে কামেল হওয়া যায় না।
শাহীন : আচ্ছা ভাইয়া। ঈমানের সংজ্ঞা জানলাম। (৬) কিন্তু যারা অন্তরে বিশ্বাস করে, মুখে স্বীকৃতি দেয় কিন্তু আমল করে না তারা তো কাফের। এদের হত্যা করতে পারলেই জান্নাত।
পরিচালক : না সোনামণি, তুমি ভুল বুঝেছ। এটা হ’ল খারেজীদের ঈমান। যারা বিশ্বাস, স্বীকৃতি ও কর্ম তিনটিকেই ঈমানের মূল হিসাবে গণ্য করে। তাদের মতে কবীরা গোনাহগার ব্যক্তি কাফের ও চিরস্থায়ী জাহান্নামী এবং তাদের রক্ত হালাল। যুগে যুগে সকল চরমপন্থী মুসলমান এই মতের অনুসারী। তারা ইসলামের চতুর্থ খলীফা আলী (রাঃ)-কে কাফের আখ্যা দিয়ে হত্যা করেছিল । আজও তারা বিভিন্ন দেশের মুসলিম সরকার ও সাধারণ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। রাসূল (ছাঃ) এদেরকে জাহান্নামের কুকুর বলেছেন (ইবনু মাজাহ হা/১৭৩)।
হাসান : আচ্ছা ভাইয়া, (৭) আমরা তো মুসলমান, ঈমান এনেছি। একদিন না একদিন জান্নাতে যাবই। তাই আমলের কী দরকার? আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। তিনি যেমন চালান তেমনি চলি, এতে আমরা এক ধরনের পুতুল। অতএব পুতুলের কি দোষ?
পরিচালক : হাসান যে প্রশ্ন করেছে তার কি কেউ উত্তর দিতে পারবে?
আবিদ : অবশ্যই পারব। এটা মুরজিয়া বা শৈথিল্যবাদীদের আক্বীদা। তারা বিশ্বাস অথবা স্বীকৃতিকে ঈমানের মূল হিসাবে গণ্য করে। যার কোন হ্রাস বৃদ্ধি নেই। তাদের মতে আমল ঈমানের অংশ নয়। ফলে তাদের নিকট কবীরা গোনাহগার ব্যক্তি পূর্ণ মুমিন। আমলের ব্যপারে সকল যুগের শৈথিল্যবাদী ভ্রান্ত মুসলমানরা এই মতের অনুসারী।
শাহীন : তাহ’লে ঈমানে সঠিক ব্যাখ্যা কী?
পরিচালক : শোন, (৮) খারেজী ও মুরজিয়া দুই চরমপন্থী ও শৈথিল্যবাদী মতবাদের মধ্যবর্তী হ’ল প্রকৃত ঈমান। এটাই হ’ল আহলেহাদীছের ঈমান। যাদের নিকট বিশ্বাস ও স্বীকৃতি হ’ল মূল এবং কর্ম হ’ল শাখা। অতএব কবীরা গোনাহগার ব্যক্তি তাদের নিকট কাফের নয় কিংবা পূর্ণ মুমিন নয়, বরং ফাসেক। সে তওবা না করে মারা গেলেও চিরস্থায়ী জাহান্নামী নয়। বস্ত্ততঃ এটাই হ’ল কুরআন ও সুন্নাহর অনুকূলে।
রফীক : ভাইয়া আপনারা ছালাত, ছিয়াম, হজ্জ যাকাত নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। (৯) ইক্বামতে দ্বীন তথা রাষ্ট্রে ইসলাম কায়েমের কোন কার্যক্রম তো আপনাদের নেই।
পরিচালক : শোন, ইক্বামতে দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সঠিক জ্ঞান নেই। ইক্বামতে দ্বীন অর্থ ইক্বামতে তাওহীদ। অর্থাৎ মুমিন তার সার্বিক জীবনে এক আল্লাহর দাসত্ব করবে। এ ব্যাপারে সঠিক জ্ঞানের জন্য মুহতারাম আমীরে জামা‘আত লিখিত ‘ইক্বামতে দ্বীন : পথ ও পদ্ধতি’ বইটি ভালো করে পড়বে। এই বইয়ের (২য় সংস্করণ) ৩৩ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, ‘জানা আবশ্যক যে, আমাদের নবীকে আল্লাহ পাক সশস্ত্র দারোগারূপে প্রেরণ করেননি (গাশিয়াহ ৮৮/২২)। বরং তিনি এসেছিলেন জগদ্বাসীর জন্য রহমত হিসাবে (আম্বিয়া ২১/১০৭)। তাই জিহাদের অপব্যাখ্যা করে শান্ত একটি দেশে বুলেটের মাধ্যমে রক্তগঙ্গা বইয়ে রাতারাতি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার রঙিন স্বপ্ন দেখানো জিহাদের নামে স্রেফ প্রতারণা বৈ কিছুই নয়। অনুরূপভাবে দ্বীন কায়েমের জন্য জিহাদের প্রস্ত্ততির ধোঁকা দিয়ে রাতের অন্ধকারে কোন নিরাপদ পরিবেশে অস্ত্র চালনা ও বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা জিহাদী জোশে উদ্বুদ্ধ সরলমনা তরুণদেরকে ইসলামের শত্রুদের পাতানো ফাঁদে আটকিয়ে ধ্বংস করার চক্রান্ত মাত্র’।
মূলতঃ ‘আক্বীমুদ্দীন’ ‘তোমরা তাওহীদ কায়েম কর’ এই নির্দেশটি দুনিয়ার প্রথম রাসূল হযরত নূহ (আঃ) থেকে শেষনবী ও রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (ছাঃ) পর্যন্ত সকল নবী ও রাসূলকে দেওয়া হয়েছিল। যা সূরা শূরার ১৩ আয়াতে বলা হয়েছে। যিনিই আল্লাহর দ্বীন কবুল করবেন, তিনি রাজনীতি, অর্থনীতিসহ জীবনের যে ক্ষেত্রেই থাকুন, সে ক্ষেত্রেই আল্লাহর বিধান মেনে চলবেন। না করলে তিনি আল্লাহর নিকট কৈফিয়তের সম্মুখীন হবেন। কিন্তু খারেজী লেখকগণ ‘তোমরা দ্বীন কায়েম কর’-এর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ‘তোমরা হুকূমত কায়েম করো’। অর্থাৎ নবীগণ সবাই হুকূমত দখলের রাজনীতি করেছেন, তোমরাও সেটা কর। বস্ত্ততঃ এটি নবীগণের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছাড়া কিছুই নয়।
রফীক : তাহ’লে এতদিন তো আমরা ভুল পথে ছিলাম। ‘সোনামণি’ সংগঠনের মাধ্যমে আমরা আজ সঠিক পথের সন্ধান পেলাম। তাই সকলের উদ্দেশ্যে বলছি, আসুন আমরা দ্বীন কায়েমের ভুল ব্যাখ্যা থেকে ফিরে আসি এবং ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও এর অঙ্গ সংগঠন ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘ’, ‘সোনামণি’ ও ‘মহিলা সংস্থা’র ছায়াতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জামা‘আতী যিন্দেগীর মাধ্যমে সার্বিক জীবন গড়ে তুলি। আল্লাহ আমাদের তাওফীক দান করুন-আমীন!
পরিচালক : রফীক তোমাদেরকে ধন্যবাদ। সোনামণি সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে তোমরা সোনামণি পরিচিতি, জ্ঞানকোষ-১ ও ২, গঠনতন্ত্র ও দ্বি-মাসিক ‘সোনামণি প্রতিভা’ নিয়মিত পড়বে। আমাদের শ্লোগান।-
(১) জঙ্গীবাদ ও ইসলাম, এক নয় এক নয়।
(২) জঙ্গীবাদ নিপাত যাক, ইসলাম মুক্তি পাক।
(৩) জিহাদ ও জঙ্গীবাদ, এক নয় এক নয়।
এসো আমরা সবাই বৈঠক ভঙ্গের দো‘আ পাঠ করি ও আল্লাহর রহমত কামনা করি।