আন্দোলন

মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের সাতক্ষীরা সফর

‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সিনিয়র প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ৬-৮ নভেম্বর সাতক্ষীরা যেলা সফর করেন। তিন দিনব্যাপী এই সফরে তিনি বিভিন্ন এলাকায় যেসব প্রোগ্রাম করেন, সেগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ নিম্নরূপ-

যশোর : রাজশাহী থেকে ট্রেনযোগে যশোরে এসে নামলে যশোর যেলা ‘আন্দোলন’-এর অর্থ-সম্পাদক আলহাজ আব্দুল আযীয ও যেলা ‘যুবসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক যিল্লুর রহমান এবং সাতক্ষীরা থেকে মাইক্রো নিয়ে আগত সাতক্ষীরা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মাওলানা ফযলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন তাঁকে স্বাগত জানান। তিনি যশোর যেলা দায়িত্বশীলদের নিকট সংগঠন বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেন।

কলারোয়া : যশোর থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার পথে তিনি কলারোয়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে যোহরের ছালাত আদায় করেন এবং ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ কলারোয়া উপযেলার দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলোচনা সভায় মিলিত হন। উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাষ্টার ক্বামারুয্যামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় উপযেলা দায়িত্বশীল বৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মাদ নযরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের সফরসঙ্গী ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মাওলানা ফযলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন প্রমুখ।

রাস্তার ভিত দিলেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

পূর্ব নির্ধারিত প্রোগ্রাম অনুযায়ী সাতক্ষীরা থেকে তিনি সরাসরি গ্রামে গিয়ে মসজিদে এশার ছালাত আদায় করেন। অতঃপর তিন গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে আলোচনা বৈঠকে মিলিত হন। উল্লেখ্য যে, বুলারাটি, মাহমূদপুর, তালবেড়ে তিনগ্রামের আহলেহাদীছগণ যুগ যুগ ধরে একত্রে ঈদের ছালাত আদায় করলেও ঈদগাহে আসার জন্য কোন রাস্তা নেই। বিভিন্ন জমির আইল দিয়েই মুছল্লীরা অনেক কষ্টে ঈদগাহে আসেন। বহুদিন থেকে রাস্তার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছিল। গত ৮ই অক্টোবর’১১ মাওলানা ছহীলুদ্দীনের জানাযা উপলক্ষে বাড়ীতে এলে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সবাইকে বলে যান ঈদের আগের রাতে এ বিষয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যে বুলারাটি জামে মসজিদে বৈঠকে বসার জন্য। আলোচ্য বৈঠকটি ছিল সেটাই। আলহামদুলিল্লাহ! মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের আহবানে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলে জমি দান করতে ও স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে এবং আর্থিক সহযোগিতার মাধ্যমে রাস্তা তৈরী করতে রাযী হয়ে যান। সেমতে ঈদের দু’দিন পরে ৯ নভেম্বর বুধবার সকাল ৯-টায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সকলের উপস্থিতিতে ঈদগাহের রাস্তার মাটি কেটে আল্লাহর নামে শুভ সূচনা করেন। তিনি জমিদাতা, অর্থদাতা ও শ্রমদানকারী সকলের জন্য আল্লাহর নিকটে প্রাণখোলা দো‘আ করেন।

ইবরাহীমী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হৌন!

-ঈদুল আযহার খুৎবায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

সাতক্ষীরা, ৭ই নভেম্বর, সোমবার : সাতক্ষীরার ঐতিহ্যবাহী চিলড্রেন্স পার্কে আয়োজিত ঈদুল আযহার জামা‘আতে প্রদত্ত্ব খুৎবায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত মুছল্লীদের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, ইবরাহীমী জীবন থেকে শিক্ষণীয় বিষয় ছিল চারটি : (১) আল্লাহর হুকুমকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া (২) এজন্য আপতিত সকল বিপদকে আল্লাহর পরীক্ষা হিসাবে হাসিমুখে বরণ করে নেওয়া (৩) পরীক্ষা এলে সাহসিকতার সাথে মুকাবিলা করা এবং কোনভাবেই শয়তানী ধোঁকায় বিভ্রান্ত না হওয়া (৪) সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা করা ও তাঁর নিকটে আত্মসমর্পণ করা। তিনি বলেন, আল্লাহ প্রেরিত অহি-র বিধানের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রতিষ্ঠায় বাধা আসে মূলতঃ চারভাবে : (১) পিতা-মাতার কাছ থেকে (২) সমাজ নেতাদের কাছ থেকে (৩) ধর্মনেতাদের কাছ থেকে ও (৪) সরকারের কাছ থেকে। ইবরাহীম (আঃ)-কে উপরোক্ত চার ধরনের পরীক্ষাই দিতে হয়েছিল। আজও যারা ইবরাহীমী আদর্শে সমাজ সংস্কারে ব্রতী হবেন, তাদেরকেও উপরোক্ত পরীক্ষা সমূহ দেবার জন্য প্রস্ত্তত থাকতে হবে। তিনি বলেন, কলুষিত সমাজকে আল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের দায়িত্ব সবচাইতে বেশী। তাই আহলেহাদীছ নেতা ও কর্মীদেরকে সকল সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সমাজ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে। খুৎবার শেষাংশে তিনি দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করেন এবং মৃত সকল মুসলিম নর-নারীর মাগফেরাতের জন্য দো‘আ করেন।

বন্যা উপদ্রুত এলাকা সফরে আমীরে জামা‘আত

ঈদের দিন রাতে মাহমূদপুর সফর করে পরদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি তালা, কলারোয়া ও আশাশুনি উপযেলার বন্যা উপদ্রুত এলাকা সমূহ সফর করেন। সকাল ৭-টায় বুলারাটি থেকে বের হয়ে প্রথমে মানিকহার, অতঃপর ওমরপুর, অতঃপর গড়েরডাঙ্গা সফর শেষে আশাশুনি উপযেলার কাদাকাটি জামে মসজিদে গিয়ে যোহরের ছালাত  আদায় করেন। সেখান থেকে কচুয়া, বুধহাটা বাজার ও সাতক্ষীরা হয়ে ইটাগাছায় যাত্রাবিরতি করেন। অতঃপর সেখান থেকে রাত ১০-টার দিকে বুলারাটি ফিরে রাত্রিযাপন করেন। এইসব এলাকায় দীর্ঘদিন পরে আমীরে জামা‘আতের আগমনে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র কর্মীদের হোন্ডা মিছিল, রাস্তার দু’ধারে সারিবদ্ধ মানুষের মুহুর্মুহু তাকবীর ধ্বনি ও ‘সকল বিধান বাতিল কর, অহি-র বিধান কায়েম কর’ শ্লোগানে এলাকা মুখরিত হয়। বন্যা উপদ্রুত ওমরপুর ও গড়েরডাঙ্গার জনসমাবেশে বক্তৃতায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত দীর্ঘ পাঁচ মাস ধরে এই এলাকা এখনো ডুবে আছে দেখে এবং পড়ে যাওয়া ঘর-বাড়ি আজও উঠেনি দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন। তিনি মিথ্যা আশ্বাস পরিহার করে সত্যিকার অর্থে জনগণের স্বার্থে কাজ করার জন্য নেতাদের প্রতি আহবান জানান। তিনি সকলকে ধৈর্য ধারণের উপদেশ দেন এবং নদীর পানি নিষ্কাশন ও এলাকার উন্নয়নে এগিয়ে আসার জন্য সরকার ও সচ্ছল ভাই-বোনদের প্রতি আহবান জানান। কাদাকাটির ভাষণে তিনি সকলকে ধর্মীয় ঐতিহ্যে ফিরে আসার আহবান জানান।

এই সকল সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর নযরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ডঃ এএসএম আযীযুল্লাহ, যুবসংঘের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব ও অন্যান্য যেলা নেতৃবৃন্দ। সমাবেশগুলিতে কুরআন তেলাওয়াত করেন আমীরে জামা‘আতের কনিষ্ঠ পুত্র হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির।

যেলা সম্মেলন

আহলেহাদীছ আন্দোলন মানুষের আক্বীদা ও আমল পরিবর্তনের আন্দোলন

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

চাঁপাই নবাবগঞ্জ ১৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার : অদ্য বাদ মাগরিব  যেলার গোমস্তাপুর থানাধীন তাহেরনগর মাঠে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ চাঁপাই নবাবগঞ্জ যেলা ও ‘বাংলাদেশ আহালেহাদীছ যুবসংঘ’ চাঁপাই নবাবগঞ্জ-উত্তর সাংগঠনিক যেলার যৌথ উদ্যোগে যেলা সম্মেলন ’১১ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আহলেহাদীছ আন্দোলন কারো হৃদয়ে প্রবেশ করলে তার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনে দেয়। তারা আল্লাহ প্রদত্ত অহি-র বিধানের আলোকে নিজের সার্বিক জীবনকে ঢেলে সাজাতে সচেষ্ট হয়। তারা নিজেদের সম্পদ সকলকে নিয়ে ভোগ করে। পক্ষান্তরে একদল লোক আছে যারা নিজেদের সম্পদ কেবল নিজেরা ভোগ করে। অন্যের প্রতি কোন দায়িত্ব আছে বলে মনে করে না। এ দু’দল লোক কখনও এক নয়। একদল মানুষ নিজেদের খেয়াল-খুশীমত চলে। আরেক দল আল্লাহ প্রদত্ত বিধান অনুযায়ী চলে। এ দু’দল কখনো এক নয়। সুতরাং মানুষকে প্রকৃত মানুষ হওয়ার জন্য আল্লাহর দেওয়া বিধানের আলোকে পরিচালিত হ’তে হবে। তবেই তারা মানবতার জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে।

তিনি বলেন, দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করতে হ’লে পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা ও সূদী অর্থনীতি বাতিল করতে হবে। দেশে সূদী অর্থনীতি বহাল থাকলে দারিদ্র্য কখনও দূর হবে না। সূদ চালু থাকলে কখনও গরীবের উপকার করা যায় না। মানুষ শান্তি চায়। মানুষ সুশাসন চায়। সুশাসনের জন্য চাই মানুষের আক্বীদার পরিবর্তন। কুরআন-হাদীছে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে চলতে হবে। কুরআন-হাদীছের অর্থনীতি, রাজনীতি, নারীনীতি চালু করতে হবে, তাহ’লেই সমাজে শান্তি আসবে, অন্যথায় নয়।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি মানুষের জন্য ইসলামই একমাত্র মুক্তির পথ। আর ইসলাম বলতে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছকেই বুঝায়। আহলেহাদীছ আন্দোলন মানুষকে কুরআন-হাদীছের পথে আহবানের আন্দোলন। এ আন্দোলন তাই বিশ্ব মানবতার মুক্তি আন্দোলন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. এ.এস.এম আযীযুল্লাহ ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপড়া, রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রায্যাক বিন ইউসুফ, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ আরীফুল ইসলাম। সম্মেলনে সঞ্চালক ছিলেন ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক ইমামুদ্দীন।

এলাকা সম্মেলন

মহববতপুর, রাজশাহী ৩০ অক্টোবর রবিবার : অদ্য বাদ আছর  যেলার মোহনপুর উপযেলাধীন মহববতপুর হাইস্কুল মাঠে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ মহববতপুর এলাকার উদ্যোগে এক ইসলামী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ধূরইল কামিল মাদরাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা দুররুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. এ এস এম আযীযুল্লাহ। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আল-মারকাযুল ইসলাম আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সঊদী আরব ফেরৎ নওদাপাড়া মাদরাসার সাবেক ছাত্র মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম।

বাগডোব, নওগাঁ ১ ও ২ নভেম্বর মঙ্গলবার ও বুধবার : গত ১লা ও ২রা নভেম্বর নওগাঁ যেলার মহাদেবপুর উপযেলাধীন বাগডোব উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ বাগডোব এলাকার উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী ৪র্থ তাবলীগী ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত তাবলীগী ইজতেমায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. এ এস এম আযীযুল্লাহ। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ।

আলোচনা সভা

মোহনপুর, রাজশাহী ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার : অদ্য বাদ মাগরিব মোহনপুর উপযেলাধীন জাহানাবাদ আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ জাহানাবাদ শাখার  উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শাখা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও মাসিক আত-তাহরীক-এর সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম এবং পিরোজপুর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল হামীদ। অনুষ্ঠানে মুহাম্মাদ আব্দুস সাত্তারকে সভাপতি ও মুহাম্মাদ বেলাল হোসাইনকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট জাহানাবাদ শাখা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

পবা, রাজশাহী ১১ নভেম্বর শুক্রবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ বড়গাছি এলাকার উদ্যোগে বড়গাছি উত্তরপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এলাকা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ড. এ.এস.এম আযীযুল্লাহ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর মজলিসে শূরা সদস্য ও মাসিক আত-তাহরীক-এর সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাহিত্য ও পাঠাগার সম্পাদক হাজী আইয়ূব হোসাইন। অনুষ্ঠানে জনাব এমদাদুল হককে সভাপতি ও খোরশেদ আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৯ সদস্য বিশিষ্ট বড়গাছি এলাকা ‘আন্দোলন’-এর কমিটি পুনর্গঠন করা হয়। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ রাজশাহী-উত্তর সাংগঠনিক যেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মুস্তাক্বীম।

প্রবাসী সংবাদ

সিঙ্গাপুর ৬ নভেম্বর রবিবার : অদ্য সকাল ১০-টায় সিঙ্গাপুরের বুগী এলাকায় অবস্থিত সুলতান জাতীয় মসজিদে ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ সিঙ্গাপুর শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সিঙ্গাপুর শাখা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম (কুমিল্লা)-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় বিষয় ভিত্তিক বক্তব্য রাখেন ‘যুবসংঘ’ সিঙ্গাপুর শাখার সহ-সভাপতি মু‘আযযম (বগুড়া), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফাকীরুল ইসলাম (মেহেরপুর), তাবলীগ সম্পাদক মাযহারুল ইসলাম (পটুয়াখালী), সহ-অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মানছূর (টাঙ্গাইল) এবং নতুন আহলেহাদীছদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন মুহাম্মাদ আলী (চুয়াডাঙ্গা), মুহাম্মাদ ফারূক হাসান (জয়পুরহাট) প্রমুখ। অনুষ্ঠানে কুরআন তেলাওয়াত করেন আলেফ (জয়পুরহাট) এবং  ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন মুহাম্মাদ আতাউর রহমান (সিরাজগঞ্জ), মুহাম্মাদ হাবীব (টাঙ্গাইল) ও কাওছার হোসেন (কুমিল্লা)। আলোচনা সভায় ৫ জন ভাই নতুন ‘আহলেহাদীছ’ হন। তারা হ’লেন- ১. মাহামূদুল হাসান (কুমিল্লা), ২. অলীউল্লাহ (মাদারীপুর), ৩. মুস্তাফীযুর রহমান (চাঁদপুর), ৪. হাবীবুর রহমান (কুমিল্লা) ও ৫. শামসুদ্দীন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘যুবসংঘ’ সিঙ্গাপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মুকীত (কুষ্টিয়া)। উল্লেখ্য, সকাল ১০-টায় শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭-টা পর্যন্ত একটানা অনুষ্ঠান চলে।

 

ধন্যবাদ জ্ঞাপন

আসসালা-মু আলায়কুম ওয়া রহমাতুল্লা-হি ওয়া বারাকা-তুহু

কেন্দ্রীয় সংগঠনের তাৎক্ষণিক আহবানে সাড়া দিয়ে যে সকল ভাই দেশের বন্যা উপদ্রুত এলাকার ভাইদের কুরবানীর উদ্দেশ্যে যথাসাধ্য সহযোগিতা করেছেন তাদেরকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। মুহতারাম আমীরে জামা‘আত মহান আল্লাহর নিকটে আপনাদের জন্য প্রাণখোলা দো‘আ করেছেন- ‘হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে যে রূযী দান করেছ, তাতে বরকত দান কর ও তাদের উপর তোমার রহমত বর্ষণ কর’ আমীন!

আগামীতেও যাতে মহান আল্লাহ আপনাদেরকে ‘আন্দোলন’-এর আহবানে সাড়া দিয়ে সাধ্যমত সহযোগিতার তাওফীক দেন সেই কামনা করি। ওয়াসসালাম-

আপনাদের ভাই

গোলাম মোক্তাদির

সমাজকল্যাণ সম্পাদক

আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ


হজ্জব্রত পালন শেষে ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল ও আত-তাহরীক সম্পাদকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম ও ‘আত-তাহরীক’ সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন হজ্জব্রত পালন শেষে গত ২৫ ও ২৩শে নভেম্বর ’১১ তারিখে দেশে ফিরেছেন। ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’-এর নেতৃবৃন্দ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁদেরকে সাদর অভ্যর্থনা জানান। [আল্লাহ তাঁদের হজ্জ কবুল করুন- আমীন!- ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক]

মহিলা সমাবেশ

মোহনপুর, রাজশাহী ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার : অদ্য বাদ আছর মোহনপুর উপযেলাধীন জাহানাবাদ আহলেহাদীছ জামে মসজিদ সংলগ্ন মৃত রিয়াযুদ্দীন শেখ-এর বাড়ীর আঙ্গিনায় ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ মহিলা সংস্থা’ জাহানাবাদ শাখার উদ্যোগে এক মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পিরোজপুর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল হামীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য ও মাসিক আত-তাহরীক-এর সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ৯ সদস্যা বিশিষ্ট জাহানাবাদ ‘মহিলা সংস্থা’র শাখা পুনর্গঠন করা হয়। উল্লেখ্য, সমাবেশে শতাধিক মহিলা উপস্থিত ছিলেন।






আরও
আরও
.