আন্দোলন
যেলা সম্মেলন
ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে শরী‘আত মেনে চলুন
-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
কেশবপুর, যশোর ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ যশোর যেলার উদ্যোগে কেশবপুর পাবলিক ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, ছাহাবায়ে কেরাম ও তাবেঈনে এযাম তাঁদের ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবনের সকল ক্ষেত্রে ইসলামী শরী‘আত মেনে চলতেন। অথচ আমরা কেবল ধর্মীয় জীবনে শরী‘আত মানি। সেখানেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে ছহীহ হাদীছ বাদ দিয়ে কথিত ধর্মনেতাদের রায়-ক্বিয়াস মেনে চলি। অন্য দিকে আমাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বিচার ব্যবস্থায় ইহুদী-নাছারা ও অন্যান্য বিধর্মীদের গোলামী করি। এক্ষণে যদি আমরা দুনিয়া ও আখেরাতে মঙ্গল চাই, তাহ’লে আমাদেরকে অবশ্যই সার্বিক জীবনে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ সুন্নাহ্র অনুসারী হতে হবে।
যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবং মাসিক আত-তাহরীক-এর সম্পাদক ডঃ মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী কমপ্লেক্স, নওদাপড়া, রাজশাহী-এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিন, সাতক্ষীরা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান, যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রচার সম্পাদক মুত্ত্বালিব বিন ঈমান, মাওলানা আবুবকর ছিদ্দীক (রাজশাহী) প্রমুখ। সম্মেলনে ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর প্রধান মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম।
প্রকৃত হানাফী তিনি, যিনি প্রকৃত আহলেহাদীছ
-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
গাংনী, মেহেরপুর ২৭ এপ্রিল শুক্রবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ মেহেরপুর যেলার উদ্যোগে গাংনী বালিকা বিদ্যালয় ময়দানে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, চার ইমামের প্রত্যেকে বলে গেছেন, ছহীহ আমাদের মাযহাব। আহলেহাদীছগণ ছহীহ হাদীছের অনুসারী। অতএব প্রকৃত আহলেহাদীছই কেবল প্রকৃত হানাফী হ’তে পারে, অন্যেরা নয়। তিনি শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী, আল্লামা তাফতাযানী, আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌবী প্রমুখ বিদ্বানগণের উদ্ধৃতি পেশ করে বলেন, প্রচলিত শিরক ও বিদ‘আতপূর্ণ এবং জাল-যঈফ হাদীছ ও রায়-ক্বিয়াসে ভরা হানাফী মাযহাবের সাথে ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর কোনই সম্পর্ক নেই। সবই পরবর্তীদের তৈরী। যা ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর নামে চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, রাজনৈতিক স্বার্থান্ধ কিছু নামধারী মাওলানা ‘বেদয়াতী দমন কমিটি’ নাম দিয়ে আমীরে জামা‘আতকে এখানে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে এবং স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় প্রচার করে ও লিফলেট ছড়িয়ে হানাফী জনগণকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করে এবং জুম‘আর ছালাতের পরে তাদের সব মসজিদ থেকে মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা যেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সভা বন্ধের জন্য দেন-দরবার করে। কিন্তু আল্লাহ্র রহমতে ও স্থানীয় হানাফী মেয়রের দৃঢ় অবস্থানের কারণে তাদের সকল অপচেষ্টা ভন্ডুল হয়ে যায়। সম্মেলনে এত বেশী লোক সমাগম হয় যে ময়দান ছাড়িয়ে উপযেলা শহরের কোথাও গাড়ী রাখার মত খালি জায়গা পাওয়া মুশকিল হয়। বক্তব্যের শেষ দিকে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত সমবেত বিশাল জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, জেনে রাখুন এদেশে যদি কাউকে হানাফী বলতে হয়, তবে আসাদুল্লাহ আল-গালিবের চাইতে বড় হানাফী আর কেউ নেই’। পরে জানা যায় যে, তাঁর এই দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা মন্ত্রের মত কাজ করে এবং স্থানীয় জনগণের মধ্যে আহলেহাদীছ হওয়ার হিড়িক পড়ে যায়। লিফলেট বিতরণকারী তথাকথিত ‘বেদয়াতী দমন কমিটি’র নেতারা অন্ধকারে মুখ লুকায়। তারা এখন জনগণের প্রশ্নবাণে জর্জরিত।
যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবং মাসিক আত-তাহরীক-এর সম্পাদক ডঃ মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, শূরা সদস্য ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী কমপ্লেক্স, নওদাপড়া, রাজশাহী-এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মাওলানা মানছূরুর রহমান, কুষ্টিয়া-পশ্চিম যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ গোলাম যিল কিবরিয়া, কুষ্টিয়া-পূর্ব যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি কাযী আব্দুল ওয়াহ্হাব, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার আব্দুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক আব্দুল হালীম প্রমুখ। সম্মেলনে ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর প্রধান শফীকুল ইসলাম ও ‘আন্দোলন’-এর কর্মী মুহাম্মাদ রুকনুয্যামান।
মানুষের মধ্যে পারস্পরিক মর্যাদার একমাত্র মাপকাঠি হ’ল আল্লাহভীরুতা
-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত
সাতক্ষীরা ২৫ বৈশাখ, ৮ মে মঙ্গলবার : অদ্য বাদ আছর ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ সাতক্ষীরা যেলার উদ্যোগে শহরের ঐতিহ্যবাহী চিলড্রেন্স পার্কে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ডঃ মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি বলেন, সকল মানুষ এক আদমের সন্তান। তাদের মধ্যে পার্থক্য কেবল আল্লাহভীরুতার। তিনি বলেন, আল্লাহ চাইলে সকল মানুষকে হেদায়াত দান করতে পারতেন। কিন্তু তিনি মানুষকে পরীক্ষা করতে চান। তাই মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদেরকে পরীক্ষা দিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। মানুষের জান-মাল ও ইযযতের গ্যারান্টি নেই। আমাদের ছেলেরা কখনোই খুনী-ধর্ষক-মদখোর ছিল না। কিন্তু দলতন্ত্রী দুঃশাসনের কারণেই তারা আজ ক্ষমতার সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠেছে’ (এ সময় বহু ছেলে তাঁর আহবানে সাড়া দিয়ে দু’হাত তুলে আল্লাহ্র নামে তওবা করে)।
তিনি সম্প্রতি জাতীয় সংসদে পাস হওয়া আন্তঃধর্ম বিবাহ আইনের তীব্র সমালোচনা করে সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, অনতিবিলম্বে এই জংলী আইন বাতিল করুন এবং প্রতিবেশী দেশের ও বিদেশীদের গোলামী ছেড়ে নিজ দেশের জনগণের ঈমান-আক্বীদার প্রতি সম্মান দেখিয়ে স্বাধীনভাবে দেশ পরিচালনা করুন। তিনি বলেন, সরকারের ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় যে, ১৯৪৭ সালে এদেশ স্বাধীন হয়েছিল কেবল ইসলামের জন্য। আর সেই মানচিত্রের উপরেই স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। অথচ আজ মুসলমানদের নির্বাচিত সরকারগুলি ইসলামের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। তিনি বলেন, যারা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সেই শেরে বাংলা ফযলুল হক, সোহরাওয়ার্দী, শেখ মুজিব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ এবং সে সময়ে নিহত, আহত ও দেশান্তরিত হাযার হাযার মুসলমানের আত্মত্যাগ ও অবদানকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের সঙ্গীতকে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত করা উচিত নয়। এটি মূলত: আমাদের পরাধীনতার সঙ্গীত। কেননা এ গান তিনি রচনা করেছিলেন একশ’ বছর আগে বিভক্ত দুই বাংলাকে এক করার জন্য। আজকে যার একমাত্র পরিণতি হ’ল ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত হওয়া। যা আমরা কল্পনাও করতে পারি না। তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ পরিশ্চমবঙ্গে মুসলমানদের মাইকে আযান দেবার স্বাধীনতা নেই। কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দুদের গান-বাজনার স্বাধীনতা রয়েছে। এসবই ইসলামের মহান শিক্ষার ফল। অতএব আমাদেরকে নতুনভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার সবক নেবার দরকার নেই।
তিনি বলেন, যদি ঈমানদার জনগণ পুনরায় আল্লাহ্র নামে জেগে ওঠে, তবে সেদিন বেশী দূরে নয়, যেদিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ভবিষ্যদ্বাণী ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশেই বাস্তবায়িত হবে। যেখানে তিনি বলেছেন, যদি তোমার হায়াত দীর্ঘ হয়, তবে তুমি দেখতে পাবে যে, আল্লাহ এই ইসলামী শাসনকে এমন পূর্ণতা দান করবেন যে, একজন উষ্ট্রারোহী (ইয়ামনের রাজধানী) ছান‘আ হ’তে হাযারামাউত পর্যন্ত একাকী নিরাপদে ভ্রমণ করবে। অথচ আল্লাহ ছাড়া সে কাউকে ভয় করবে না’ (বুখারী)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, একজন গৃহবধু ইরাকের ‘হীরা’ নগরী হ’তে একাকিনী সফর করে মক্কায় যাবে। অতঃপর কা‘বাগৃহ ত্বাওয়াফ করে হীরায় ফিরে আসবে। অথচ আল্লাহ ব্যতীত তার অন্তরে অন্য কারু ভয় থাকবে না। কিন্তু তোমরা বড়ই তাড়াহুড়া করছ’ (বুখারী)। তিনি সকলকে আল্লাহ্র পথে ফিরে আসার এবং সবদিক থেকে মুখ ফিরিয়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ার আহবান জানান।
উল্লেখ্য যে, সাতক্ষীরার ইতিহাসে এটি ছিল অন্যতম বৃহত্তম জনসমাবেশ। নারী ও পুরুষের পৃথক দু’টি বৃহৎ প্যান্ডেল ছিল। স্টেজের বাইরে খোলা ময়দানের কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। রাত্রি সাড়ে ১২-টায় সম্মেলন শেষ হওয়া অবধি মানুষ গভীর মনোযোগে বক্তব্য শোনে। ময়দানের বাইরে ব্যাপকভাবে মাইকের ব্যবস্থা থাকায় মার্কেটে, বাড়ীতে ও ছাদে সর্বত্র শতশত মানুষ গভীর আগ্রহে সম্মেলনের বক্তব্যসমূহ শ্রবণ করে। সম্মেলনে তেরখাদা, খুলনা, যশোর, মেহেরপুর থেকে এবং সাতক্ষীরা যেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাযার হাযার নারী-পুরুষ রিজার্ভ বাস ও অন্যান্য যানবাহনে যোগদান করে।
যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুল মান্নান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর নযরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক এবং মাসিক আত-তাহরীক-এর সম্পাদক ডঃ মুহাম্মদ সাখাওয়াত হুসাইন, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী কমপ্লেক্স, নওদাপড়া, রাজশাহী-এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিন, খুলনা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, সোনামণি’র কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক বযলুর রহমান প্রমুখ। সম্মেলনে ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করেন আল-হেরা শিল্পীগোষ্ঠীর প্রধান মুহাম্মাদ শফীকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য যে, সম্মেলনকে সম্মান দেখিয়ে রবীন্দ্র জয়ন্তীর সরকারী অনুষ্ঠান উক্ত ময়দান থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। এজন্য সম্মেলন কর্তৃপক্ষ ও মাননীয় প্রধান অতিথি যেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।
আইনমন্ত্রীকে অব্যাহতি দিন
-প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমীরে জামা‘আত।
বিয়ে-শাদী থেকে ধর্ম বাদ। এখন থেকে সন্তানের কোন ধর্ম পরিচয় থাকবে না। মুসলমান-কাফের পরস্পরে বিবাহ করবে ও পরস্পরের সম্পত্তির ওয়ারিছ হবে। ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত সন্তানের কোন ধর্ম পরিচয় থাকবে না। জাতীয় সংসদে পেশ করা আইনমন্ত্রীর এই উদ্ভট প্রস্তাব পাস হয়ে বর্তমানে তা আইনে পরিণত হয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, স্বাধীন দেশে মানুষ সবাই স্বাধীন। রাষ্ট্র সবাইকে স্বাধীনভাবে চলার নিশ্চয়তা দিয়ে যাবে। আইনমন্ত্রীর নাম দেখে মনে হয় তিনি একজন মুসলমান। মুসলমানরা আল্লাহ্র বিধানের অধীনে জীবন যাপন করে। এই জীবন যাপনে বাধা দেওয়ার অধিকার রাষ্ট্রের নেই। আর জনগণকে নিয়েই রাষ্ট্র। কয়েকজন নাস্তিক-সেক্যুলার মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য নিয়ে রাষ্ট্র নয়। ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী কোন কাফের ও অমুসলিম নারীর সাথে কোন মুসলিম পুরুষের বিবাহ সিদ্ধ নয়। মুসলিম ও কাফির পরস্পরের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী নয়। অথচ রাষ্ট্রের নাম করে আইনমন্ত্রী বশংবদ দলীয় সংসদকে দিয়ে আইন পাস করিয়ে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনসাধারণের উপর চাপিয়ে দিতে চান। তাহ’লে কি তারা দেশটাকে ধর্মহীন জংলী দেশে পরিণত করতে চান? অন্য ধর্মের অনুসারীরাও এ আইন মানবে না। তাহ’লে কার জন্য এ আইন করা হয়েছে? আমরা এই কালো আইন অনতিবিলম্বে বাতিলের দাবী জানাচ্ছি এবং ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ আইনমন্ত্রীকে দ্রুত অব্যাহতি দেওয়ার জন্য মাননীয়া প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
[বিবৃতিটি গত ১৩ মে রবিবার দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার ৫ম পৃষ্ঠার ১ম কলামে ও ১০ মে বৃহস্পতিবার দৈনিক নয়াদিগন্ত বড় শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। অতঃপর ১৫ তারিখের পত্রিকায় আইনমন্ত্রীর বক্তব্য আসে যে, ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন আইন তাঁরা করবেন না’। তাকে ধন্যবাদ -সম্পাদক]