‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর বিভিন্ন স্তরের তিনজন দায়িত্বশীল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি. ডিগ্রি অর্জন করেছেন। গত ১৪ই নভেম্বর ২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত রাবির ৫০২তম সিন্ডিকেট সভায় তাঁদের এই ডিগ্রি অনুমোদিত হয়। তারা হলেন,
১. ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর সাবেক ছাত্র ও বর্তমান সহকারী শিক্ষক মুখতারুল ইসলাম। তার গবেষণা শিরোনাম ছিল ‘ইহসান ইলাহী যহীর: ইসলামী আক্বীদা প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদান’। গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ। পরীক্ষক ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. আ.ব.ম. সাইফুল ইসলাম সিদ্দীকী এবং ভারতের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ মশিহুর রহমান।
২. ‘সোনামণি’ সংগঠনের কেন্দ্রীয় পরিচালক ও আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া রাজশাহীর সহকারী শিক্ষক মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম। তার গবেষণা শিরোনাম ছিল ‘ছফিউর রহমান মুবারকপুরী : সীরাত সাহিত্যে তাঁর অবদান’। গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ। পরীক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ শহীদুল ইসলাম ও ভারতের বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. আশফাক আহমাদ।
৩. ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর গবেষণা বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও নওদাপাড়া মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র আহমাদ আব্দুল্লাহ নাজীব। তাঁর গবেষণা শিরোনাম ছিল ‘হাদীছের বিশুদ্ধতা নিরূপণে মুহাম্মাদ নাছিরুদ্দীন আলবানী (রহ.)-এর অবদান : একটি তাত্ত্বিক পর্যালোচনা’। তার গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সালাম এবং ড. মুহাম্মাদ সেতাউর রহমান। পরীক্ষক ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রফেসর ড. আবু সাঈদ মুহাম্মাদ আলী এবং ভারতের গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ নাজমুল হক। তিনি মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব-এর দ্বিতীয় পুত্র। তারা সকলের দো‘আপ্রার্থী।