পিতার
দেওয়া ৬০ লাখ টাকা পুঁজি নিয়ে নিজেদের পুরানো বাড়িকে ছোট্ট কারখানায়
রূপান্তর করে চার ভাই মিলে কিনলেন ৩৭টি সেলাই মেশিন। শুরু হ’ল পোষাক তৈরী।
কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করেও দুই বছরে লাভের মুখ দেখলেন না। বিভিন্ন সময়ে
হতাশা গ্রাস করেছে তাদের। তবে পিতা-মাতা সবসময় পাশে থেকে সাহস যুগিয়েছেন।
এদিকে মুনাফা না হ’লেও পণ্যের মান ঠিক রাখা ও সময়মতো তা বুঝিয়ে দিয়ে অল্প
দিনেই অনেক ক্রেতার সুনজরে পড়ে যান তারা। ফলে ১৯৯৩ সালে যুক্তরাজ্যের এক
ক্রেতার কাছ থেকে সরাসরি ক্রয়াদেশ পাওয়ার পর থেকে চার ভাইকে আর পেছনে ফিরে
তাকাতে হয়নি। ২৯ বছরের ব্যবধানে পোশাকশিল্পের শীর্ষ রফতানীকারকদের অন্যতম
তাঁরা।
১৯৯১ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ডিবিএল গ্রুপ’ নামের এই প্রতিষ্ঠানটির মালিক সেই চার ভাই হ’লেন আব্দুল ওয়াহেদ, এম এ জববার, এম এ রহীম ও এম এ কাদের। পোশাক দিয়ে শুরু হ’লেও গত ২৯ বছরে সিরামিক, তথ্যপ্রযুক্তি, টেলিযোগাযোগ ও ড্রেজিং ব্যবসায় নাম লিখিয়েছে ডিবিএল। আগামী বছর তারা দেশে ওষুধ ব্যবসায়ও আসছেন। সব মিলিয়ে ডিবিএল গ্রুপের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বর্তমানে ২৪টি। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন ৩৬ হাযার কর্মী। বর্তমানে সব মিলিয়ে গ্রুপটির বিনিয়োগের পরিমাণ ৬ হাযার কোটি টাকার বেশী।
গ্রুপটির এমডি এম এ জববার বলেন, শুরু থেকেই চার ভাই একসাথে ব্যবসা করেছেন। কখনো আলাদা হওয়ার কথা ভাবেননি। একসঙ্গে ব্যবসা করাটাই শক্তি বলে মনে করেন তারা। তিনি বলেন, ‘আমাদের বাপ-চাচারা একসঙ্গে ব্যবসা করেছেন। আমরা দেখেছি, চাচা পিতাকে কিভাবে সম্মান করেন। আমার ভাইদের মধ্যে প্রথম থেকেই ছাড় দেওয়ার মনোভাব ছিল। কে কম নেবে, কে বেশী নেবে সেটি নিয়ে কেউ কখনোই ভাবেনি। যার যতটুকু দরকার সে ততটুকুই নিয়েছে। আর প্রত্যেকেই একসঙ্গে থাকার সুবিধা বোঝে ও বিশ্বাস করে, একসঙ্গে ব্যবসা করাটাই শক্তি।
[পারস্পরিক ক্ষমা ও উদারতাই যেকোন ঐক্য ও উন্নয়নের চাবিকাঠি। আমরা সর্বত্র এমন পরিবেশ কামনা করি (স.স.)]