রংপুর ২১শে ডিসেম্বর শনিবার : অদ্য বাদ যোহর যেলা শহরের শিরীন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ রংপুর যেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ার আন্দোলন। এই আন্দোলন শুধু একদল মানুষের জীবন গড়ার আন্দোলন নয়, বরং জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষকে ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির পথ দেখানোর আন্দোলন।

তিনি আরও বলেন, ইসলামে শৈথিল্যবাদ ও চরমপন্থা কোনটারই অবকাশ নেই। অতএব যাবতীয় চরমপন্থা থেকে বিরত থাকুন। আত্মঘাতি হামলা করে নিজের জীবনকে ধ্বংস করবেন না। কেননা ইসলামে আত্মহত্যা মহাপাপ। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা নিজেদেরকে হত্যা করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের প্রতি অতীব দয়াশীল’ (নিসা ৪/২৯)। আল্লাহ বলেন, ‘আমরা তোমাদেরকে মধ্যপন্থী উম্মত করেছি। যাতে তোমরা মানব জাতির উপরে (ক্বিয়ামতের দিন) সাক্ষী হ’তে পার এবং রাসূলও তোমাদের উপর সাক্ষী হন’ (বাক্বারাহ ২/১৪৩)। সাক্ষ্যদাতা উম্মত সর্বদা মধ্যপন্থী হয়ে থাকে। আর এর মধ্যেই নিহিত রয়েছে মুসলিম উম্মাহর শ্রেষ্ঠ জাতি হওয়ার চাবিকাঠি (আলে ইমরান ৩/১১০)। ইসলামের নামে প্রচলিত জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র ভূমিকা সর্বদা আপোষহীন। এ বিষয়ে আমরা জাতিকে অনেক আগেই সচেতন করেছি। ১৯৯৮ সালের ২৫শে মে সাতক্ষীরার চিলড্রেন্স পার্কে ‘আন্দোলন-এর যেলা সম্মেলনে আমরা জাতিকে এ বিষয়ে প্রথম সতর্ক করি। অতএব সাবধান! কোনরকম ধোঁকায় পা দিবেন না।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রধান উপদেষ্টা ডা. মুহাম্মাদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, দফতর সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মামূন, ‘আল-‘আওন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আবুল বাশার, যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা মাকছূদুর রহমান প্রমুখ। সম্মেলনে সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সহ-সভাপতি মতীউর রহমান।

আল-‘আওন : সম্মেলন স্থলের পার্শ্বে স্বেচ্ছাসেবী নিরাপদ রক্তদান সংস্থা ‘আল-‘আওন’-এর ক্যাম্পিং অনুষ্ঠিত হয়। এতে ২৯ জনের ব্লাড গ্রুপিং এবং ২৫ জন রক্তদাতা সদস্য (ডোনর) তালিকাভুক্ত হন।






আরও
আরও
.