ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং বাংলাদেশের দিনাজপুর যেলার পার্বতীপুরের মধ্যে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপ লাইনের নির্মাণ কাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তারা নিজ নিজ দেশের রাজধানী থেকে ১৮ই সেপ্টেম্বর বিকাল ৫-টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। একই দিন ভারতীয় এলওসি’র অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা-টঙ্গী সেকশনে ৩য় ও ৪র্থ ডুয়েলগেজ লাইন এবং টঙ্গী-জয়দেবপুর সেকশনে ডুয়েলগেজ ডাবল লাইন নির্মাণ প্রকল্প দু’টির উদ্বোধন করা হয়। প্রকল্পটিতে ভারতীয় এলওসি’র বরাদ্দ ৯০২ কোটি ৬৩ লাখ ৪১ হাযার টাকা। অপরদিকে বাংলাদেশ সরকার খরচ করবে ২০৪ কোটি ১৬ লাখ ৬৭ হাযার টাকা।

ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকন্স-কল্পতরু যৌথভাবে কাজটি করবে। চুক্তির মেয়াদ কাজ শুরুর তারিখ হ’তে ৩৬ মাস। এতে এমব্যাংকমেন্টসহ ৯৬ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেল লাইন নির্মিত হবে। এছাড়া কালভার্ট ২৫টি, প্লাটফর্ম ৬টি, প্লাটফর্ম সেড ৬টি, ফুটওভার ব্রীজ ১২টি, স্টেশন বিল্ডিং ৪টি এবং অন্যান্য পূর্ত কাজ করা হবে। এ প্রকল্পে নির্মিতব্য অবকাঠামোসমূহ রাজধানী ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, টঙ্গী-জয়দেবপুর হয়ে উত্তরাঞ্চল এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল অধিকতর স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ও গতিময় করার ক্ষেত্রে ঢাকা-টঙ্গী-জয়দেবপুর ফিডার সেকশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

এক সরকারী তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়, বর্তমানে আমদানীকৃত তেল চট্টগ্রাম বন্দরে জাহায হ’তে খালাস করে চট্টগ্রাম ডিপোতে সঞ্চয় করে রাখা হয়। পরে কোস্টাল ট্যাংকে করে খুলনার দৌলতপুর ডিপোতে আনা হয়। সেখানে আনলোড করে আবার রেলের ওয়াগনে আপলোড করে নিয়ে যাওয়া হয় পার্বতীপুরে। এই প্রক্রিয়ায়, পরিবহনজনিত সমস্যা, অতিরিক্ত সময় ও অর্থের অপচয় হয় উল্লেখ করে তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, পাইনলাইনের মাধ্যমে তেল আনলে এ তিনটারই সাশ্রয় হবে। এছাড়া জ্বালানী নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে এ পাইপলাইন কার্যকর অবদান রাখবে।

শিলিগুড়ি থেকে ভারতের ৫ কিলোমিটারসহ বাংলাদেশ অংশে দিনাজপুরের পার্বতীপুর পর্যন্ত মোট ১৩০ কিলোমিটার ডিজেল পাইপ লাইন ২০১৯ সাল নাগাদ নির্মাণ হ’লে প্রথম বছরে আড়াই ও পরবর্তীতে ৪ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল সরবরাহ করা যাবে। অন্যদিকে, টঙ্গী জয়দেবপুরের ৯৬ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল রেল লিংক ঢাকার সঙ্গে চট্টগ্রাম, সিলেট, উত্তরবঙ্গ ও পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলের রেল চলাচলকে আরো গতি দেবে।






আরও
আরও
.