নওগাঁ
ও মেহেরপুরের পর এবার চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পরিত্যক্ত পলিথিন থেকে
উৎপাদন করা হচ্ছে পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাস। দামুড়হুদা উপযেলার হেমায়েতপুর
গ্রামের মানছূর আলীর ছেলে শ্যালো ইঞ্জিনের মিস্ত্রী ছামাদুল ইসলাম তার নিজ
বাড়িতে পলিথিন থেকে পেট্রোল, ডিজেল ও গ্যাস উৎপাদন করছেন। তিনি জানান,
ফেসবুকে পলিথিন গলিয়ে তেল উৎপাদনের পদ্ধতি দেখে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। পরে পাঁচ
হাযার টাকা খরচ করে টিনের ড্রাম, প্লাস্টিকের কন্টেইনার ও কিছু স্টিলের
পাইপ দিয়ে রিফাইন মেশিন তৈরি করেন। এরপর প্রথম দিন ৬০ টাকার ৫ কেজি
পরিত্যক্ত পলিথিন ও ১৫০ টাকার খড়িসহ মোট ২১০ টাকা খরচ করে কাজ শুরু করেন। ৫
কেজি পলিথিন জ্বালিয়ে দেড় লিটার পেট্রোল ও আড়াই লিটার ডিজেল উৎপাদন করেন।
এতে গ্যাস উৎপাদন হ’লেও তা আটকে সংরক্ষণ করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তিনি এই
গ্যাস জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করছেন।
এ পদ্ধতিতে এক লিটার পেট্রোল উৎপাদন খরচ হচ্ছে ৭০ টাকা ও প্রতিলিটার ডিজেলের পেছনে খরচ হচ্ছে ৪২ টাকা। এই উদ্ভাবনে একদিকে যেমন যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পরিত্যক্ত পলিথিন রিসাইকেল হয়ে সম্পদে পরিণত হচ্ছে, অন্যদিকে পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পাচ্ছে। অপেক্ষাকৃত কম দামে পেট্রোল ও ডিজেল পেয়ে ব্যবহার করছেন এলাকাবাসীও।
সরকার যদি এদের পাশে দাঁড়ায় তাহ’লে আরো বড় পরিসরে কাজ করে সহজেই পলিথিন বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা এবং তা থেকে তেল উৎপাদনের মাধ্যমে জ্বালানীর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
[গ্রামের সামান্য এক শ্যালো মিস্ত্রী যদি এত বড় কাজ করতে পারে, তাহ’লে দেশের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীরা সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট হয়েও জাতির জন্য কি করছেন? সরকার এইসব গ্রাম্য প্রতিভাগুলিকে যথাযথভাবে মূল্যায়ন করবে বলে আমরা আশা করি (স.স.)]