দিনাজপুরের বিরল
উপযেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তী ধুলাপাথার এলাকার বনে চারটি গাছের সন্ধান
মিলেছে, যেগুলো থেকে সব সময় ঝিরঝির করে পানি ঝরছে। গাছগুলোর প্রতিটি নতুন
কান্ডের পাশের ডালের বাকলের ফাটা অংশ দিয়ে এই পানি বের হচ্ছে। যা ঝিরঝির
বৃষ্টির মতো মনে হয়। তবে অস্বাভাবিকতা হ’ল, এই পানি বের হচ্ছে একধরনের
স্প্রে করার মতো চাপ দিয়ে। প্রথমে স্থানীয় কয়েকজন লোক এই গাছ দেখেন। পরে
বৃষ্টি ঝরা গাছটিকে নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। গাছটি দেখার
জন্য প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন যাচ্ছেন বনের ভেতরে। গাছটির বিষয়ে
জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ডাল-পাতাসহ নমুনা সংগ্রহ করেছে দিনাজপুর
সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের একটি দল। ইতিমধ্যে গবেষণা কার্যক্রমও
শুরু করেছে তাঁরা।
উদ্ভিদবিষয়ক গবেষক, লেখক ও দিনাজপুর সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দেলোয়ার হোসাইন বলেন, ইতিমধ্যেই গাছের পাতা ও ডালসহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছেন তিনি। একই সঙ্গে গাছটির প্রকৃতি, বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই সম্পর্কে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিবেদনগুলো খুঁটিয়ে দেখা শুরু করেছেন। যে কয়েকটি গাছ থেকে অনবরত বৃষ্টির মতো পানি ঝরছে, এটি গাটেশন প্রক্রিয়া। তবে যে পরিমাণে পানি বের হচ্ছে, তা অস্বাভাবিক। এই দ্রুতগতিতে পানি বের হওয়া নিয়ে বাংলাদেশে গবেষণা হয়েছে, এমন তথ্য জানা নেই।
[আল্লাহর সৃষ্টি বিষয়ে মানুষ বহু কিছু জানে না। সে কারণেই তিনি বলেছেন, তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর এবং দেখ কিভাবে তিনি সৃষ্টির সূচনা করেছেন (আনকাবূত ২৯/২০)]