কাকডাঙ্গা সিনিয়র মাদ্রাসা, কলারোয়া, সাতক্ষীরা ৪ঠা মার্চ সোমবার : অদ্য বাদ আছর যেলার কলারোয়া উপযেলাধীন কাকডাঙ্গা সিনিয়র মাদ্রাসার ৬০তম বার্ষিক ওয়ায মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মাহফিলে প্রধান অতিথির ভাষণে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব বলেন, আমরা এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ‘কাকডাঙ্গা আহমাদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা’র ছাত্র ছিলাম। এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও সুপার ছিলেন আমাদের পিতা মাওলানা আহমাদ আলী (১৮৮৩-১৯৭৬ খৃ.)। তিনি ছিলেন আজীবন শিক্ষাব্রতী ও সমাজ সংস্কারক এবং আমাদের শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু ও দীক্ষাগুরু। লাবসা মাদ্রাসায় দীর্ঘ ২৭ বছর যাবৎ শিক্ষকতার সুবাদে তিনি ছিলেন এতদঞ্চলের অধিকাংশ আলেমের ও শিক্ষিত লোকদের ওস্তাদ। অতঃপর এক পাশে আগরদাঁড়ি আমীনিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা এবং অন্য পাশে হামীদপুর হামীদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার মাঝখানে ‘কাকডাঙ্গা আহমাদিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা’ প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজে বিশুদ্ধ ইসলামের বাহক কিছু আলেম ও কর্মী তৈরী করা। উক্ত উদ্দেশ্যেই তাঁরা জান-মাল উৎসর্গ করার বিনিময়ে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এই মাদ্রাসা গড়ে তুলেছিলেন।

সেদিন যে চেতনার বীজ তাঁরা আমাদের মত ছাত্রদের মধ্যে বপন করেছিলেন, সেটাই আজ দেশের ঘরে ঘরে এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ধ্বনিত হচ্ছে, ‘আসুন! পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ি!’ আমরা আশা করব, বর্তমান মাদ্রাসা কমিটি এবং শিক্ষক ও ছাত্রবৃন্দ এই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন এবং তাঁদের লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নে তৎপর হবেন।   

উক্ত মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, মাওলানা আবুবকর (রাজশাহী) ও মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল হালীম (সাতক্ষীরা) প্রমুখ। উল্লেখ্য যে, অভিজ্ঞদের মতে মাদ্রাসার ইতিহাসে এটাই ছিল স্মরণকালের বৃহত্তম ওয়ায মাহফিল। মাহফিলে সাতক্ষীরা যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’-এর নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের ব্যাপক সমাগম ঘটে।






আরও
আরও
.