সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা মেলে না। এই বাক্যটি এখন একেবারেই বেমানান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্ষেত্রে। অথচ মাত্র বছর তিনেক আগেও এ হাসপাতালটির কথা উঠলে মানুষের মনে বেদনাদায়ক স্মৃতি ভেসে উঠতো। মাত্র আড়াই বছরেই সেনাবাহিনীর একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় যুগান্তকারী এক পরিবর্তন এনেছেন। যাঁর নাম নাছিরুদ্দীন আহমাদ। তিনি নিজের মেধা, শক্তি ও শ্রমের অপূর্ব সমন্বয় ঘটিয়ে খাদের কিনারা থেকে টেনে তুলেছেন এক সময়কার ডুবন্ত এ হাসপাতালকে। এই হাসপাতালে সেবার গল্প আর কোন রূপকথা নয়, বাস্তবতা।

জানা গেছে, তিনি এ হাসপাতালে অনিয়ম ও দুর্নীতির মহোৎসবের বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে ওষুধ পাচার ঠেকিয়ে দিয়েছেন। দেশের সব সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মধ্যে এখন শুধুমাত্র এই  হাসপাতালেই শতভাগ ওষুধ বিনামূল্যে দেয়ার রেকর্ড গড়েছেন এ সেনা কর্মকর্তা।

দেখা গেছে, গোটা হাসপাতালজুড়েই পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি ভাব। সফলতার সঙ্গে চালু রয়েছে ২৪ ঘন্টার ওয়ানস্টপ সার্ভিস সুবিধা। এর ফলে আধুনিক সব যন্ত্রপাতির মাধ্যমে নামমাত্র খরচে উপহার দিয়েছেন সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। দালালদের কোন উৎপাত এখন আর চোখে পড়ে না। হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ হাসপাতালের আমূল পরিবর্তন ও সেবার মান বৃদ্ধি পাওয়ায় রোগীর চাপ বেড়েছে। ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর, নেত্রকোণা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ তো বটেই সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, গাযীপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রোগীরা এ হাসপাতালে ভিড় করছেন।

হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা সবাই দৃশ্যপট বদলে দেওয়ার জন্য কৃতিত্ব দিয়েছেন পরিচালককে। যিনি কেবল এ হাসপাতালেই সফলতার স্বাক্ষর রাখেননি, বরং যখন যেখানে ছিলেন সেখানেই আলো ছড়িয়েছেন। তিনি বিজিবির দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে খাগড়াছড়ি, চুয়াডাঙ্গা ও ঠাঁকুরগাঁওয়ে মোট তিনটি বিজিবি হাসপাতালকে  ঢেলে সাজিয়েছেন এবং সর্বশেষ ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের কমান্ডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করে সেটাকেও বিশ্বমানে নিয়ে গেছেন।






আরও
আরও
.