
সউদী বাদশাহ সালমান ক্রাউন প্রিন্স (যুবরাজ) হিসাবে স্বীয় পুত্র মুহাম্মাদ বিন সালমানের নাম ঘোষণা করেছেন। এর মধ্য দিয়ে আগের যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন নায়েফের (৫৭) কাছ থেকে ক্রমান্বয়ে ক্ষমতা নিয়ে নেওয়ার কাজ শেষ হ’ল। দেশটির রাজকীয় এক ফরমানে একইসাথে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষমন্ত্রী হিসাবে মুহাম্মাদ বিন সালমানের (৩১) নাম ঘোষণা করা হয়েছে। এসপিএ জানিয়েছে, সউদী আরবের উত্তরাধিকার নির্ধারণ কমিটির ভোটাভুটিতে ৪৩টি ভোটের মধ্যে ৩১টি পান মুহাম্মাদ।
ফরমানে বলা হয়, মুহাম্মাদ বিন নায়েফকে তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। রাজধানী রিয়াদের কিং সউদ ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করার পর খুব অল্প বয়স থেকেই বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সংস্থায় কাজ করেছেন তিনি। ২০০৯ সালে পিতার বিশেষ উপদেষ্টা হিসাবে, ২০১৩ সালে মন্ত্রীর মর্যাদায় সউদী রয়্যাল কোর্টের প্রধান হিসাবে এবং সর্বশেষ ২০১৫ সাল থেকে ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ইয়ামনে সামরিক অভিযান শুরুর পিছনে অন্যতম ভূমিকা ছিল এই মুহাম্মাদের।
এছাড়া দেশটির তেলনীতি বাস্তবায়নে ও ব্যবসা পরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছেন তিনি। সউদী আরবের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্যও তাঁর সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাও প্রকাশ করেছেন, যা ভিশন ২০৩০ নামে পরিচিত।
সউদী আরবের রাজনীতিতে মাত্র ৩১ বছর বয়সী মুহাম্মদ বিন সালমানের অতি দ্রুত উত্থান বেশ চমক সৃষ্টি করেছে। এছাড়া সউদী রাজতন্ত্রের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোন বাদশাহ নিজ ছেলেকে যুবরাজ বানালেন।
[আমরা এই তরুণ যুবরাজের সাফল্য কামনা করি। সেই সাথে যুদ্ধনীতি পরিহারের মাধ্যমে সঊদী আরবকে মুসলিম বিশ্বের মুরববী দেশ হিসাবে সর্বদা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের মর্যাদায় উন্নীত করার জন্য তার প্রচেষ্টা আশা করি (স.স.)]