নলেজ হারবাল স্কুল এন্ড কলেজ ময়দান, সাবগ্রাম, বগুড়া ২৮শে অক্টোবর শনিবার : অদ্য বাদ যোহর যেলা শহরের সাবগ্রাম নলেজ হারবাল স্কুল এন্ড কলেজ ময়দানে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ বগুড়া যেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান।
তিনি বলেন, পৃথিবীতে নবী-রাসূলগণ এসেছিলেন মানুষকে নিজের মনগড়া মতবাদ থেকে দূরে রেখে এক আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনার আহবান জানাতে। কেননা মানুষ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। তাদের মতবাদে নানা রকম ভুল-ভ্রান্তি থাকবে। কিন্তু আল্লাহর পক্ষ থেকে আগত অহি নির্ভেজাল সত্যের একমাত্র মানদন্ড। যার মাধ্যমে মানুষ ইহকালীন জীবনে কল্যাণ ও পরকালীন জীবনে মুক্তি পাবে। তাই আমরা সকল মানুষকে একই দাওয়াত দিচ্ছি যে, সকল তন্ত্রমন্ত্র বাদ দিয়ে অহি-র বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করুন! তবেই অশান্ত পৃথিবীতে শান্তির ফল্গুধারা প্রবাহিত হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে সৎকর্ম সম্পাদন করুন এবং অসৎকর্ম থেকে বিরত থাকুন। দাওয়াতী ময়দানে সরব প্রচারণা রাখুন। তবেই সমাজ পরিবর্তন হবে ইনশাআল্লাহ।
যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি হাফেয মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ড’-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম, ঢাকা মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খত্বীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নূরুল ইসলাম, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমীন, যেলা ওলামা ও ইমাম পরিষদের সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম, সাবগ্রাম নলেজ হারবাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মনযূরুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুর রাযযাক। সম্মেলনে বগুড়া ছাড়াও, রংপুর, গাইবান্ধা, সিরাজগঞ্জ প্রভৃতি যেলা সমূহ থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মী ও শ্রোতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।