[১৯৯১ সালে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ কর্তৃক আয়োজিত ‘২য় জাতীয় সম্মেলন ও তাবলীগী ইজতেমা’ সম্পর্কে মাসিক আত-তাহরীক-এর সম্পাদক মন্ডলীর মাননীয় সভাপতি ও ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবে’র এই স্মৃতিচারণমূলক সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন আত-তাহরীক-এর গবেষণা সহকারী নূরুল ইসলাম]
আত-তাহরীক : ১৯৯১ সালের ২৫ ও ২৬শে এপ্রিল রাজশাহী কেন্দ্রীয় মারকাযে অনুষ্ঠিত ২য় তাবলীগী ইজতেমার আয়োজনের প্রেক্ষাপট কি ছিল?
আমীরে জামা‘আত : ১৯৮৯ সালের ২রা জুলাই আব্দুল মতীন সালাফীকে বহিষ্কারের পর ২১শে জুলাই যখন ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র সাথে ‘জমঈয়তে আহলেহাদীস’ সম্পর্কহীনতা ঘোষণা করে এবং একই বছর ২৮শে ডিসেম্বর ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র বিপরীতে ‘জমঈয়ত শুববানে আহলেহাদীস’ গঠন করে, সেই সাথে ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় কমিটির সেক্রেটারী সহ কয়েকজনকে যখন বিভিন্ন টোপ দিয়ে টেনে নেওয়া হয়, তখন ঐক্যের সকল আশা তিরোহিত হয়। এ সময় রাজশাহী মহানগরীর বর্ষিয়ান আহলেহাদীছ ব্যক্তিত্ব অবসরপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুছ ছামাদ ছাহেব (রাজশাহীর সাবেক মেয়র খায়রুযযামান লিটনের দাদা) যিনি নিজেকে জমঈয়ত সভাপতির মুরববী বলতেন, তিনি একবার শেষ চেষ্টা করতে চাইলেন। আমরা রাযী হ’লাম। ডক্টর ছাহেব রাণীবাজার এলেন। সেখান থেকে ম্যাজিস্ট্রেট ছাহেবের বাসায় আসার কথা। আমি ও সালাফী ছাহেব ওনার বাসায় গেলাম। কিন্তু উনি এলেন না। ১৯৯০ সালের মার্চের এই সর্বশেষ চেষ্টায় ব্যর্থতার ফলে সবাই যখন নিরাশ হয়ে গেলেন, তখন আমি ও সালাফী ছাহেব[1] সরাসরি ঢাকায় তাঁর বাসায় গিয়ে শেষ চেষ্টা করলাম। কিন্তু পরদিন আমাদের শুনতে হ’ল ‘জমঈয়ত ভাঙার ষড়যন্ত্রকারীরা রাতের অন্ধকারে এসে আত্মসমর্পণ করেছে’। অতঃপর মাননীয় জমঈয়ত সভাপতি ও তাঁর সাথীগণের সফর চলল পাবনা ও রাজশাহী সহ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলিতে। সর্বত্র ‘যুবসংঘে’র বিরুদ্ধে জনমত উত্তপ্ত করার ব্যর্থ চেষ্টা করেন। তখন আমরা মিটিং ডেকে তাঁকে ছাড়াই রাজশাহীতে ‘যুবসংঘে’র ‘২য় জাতীয় সম্মেলন ও তাবলীগী ইজতেমা’ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিলাম। কেননা শুরু থেকে মাননীয় জমঈয়ত সভাপতি ছিলেন ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং ১৯৮০ সালের ৫ ও ৬ই এপ্রিল তাঁরই সভাপতিত্বে ঢাকার ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন হলে’ ও ‘ঢাকা যেলা ক্রীড়া সমিতি মিলনায়তনে’ দু’দিন ব্যাপী ১ম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর ১৯৮৯-এর ১৭ই ফেব্রুয়ারী তিনিই রাজশাহীতে আমাদের তখনকার মারকায রাণীবাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন। মূলতঃ ‘যুবসংঘ’ সর্বদা জমঈয়তের সহযোগী হিসাবে কাজ করত। কখনোই নিজেদেরকে পৃথক ভাবেনি। কিন্তু প্রেক্ষাপট সেদিকেই গড়িয়ে গেল।
২য় জাতীয় সম্মেলনের উল্লেখযোগ্য দিক সমূহ ছিল নিম্নরূপ :
(১) বর্তমান মারকাযের পূর্ব পার্শ্বের এক তলা বিল্ডিংয়ের দক্ষিণ পার্শ্বে খোলা ময়দানে ইজতেমার প্যান্ডেল করা হয়। যেখানে এখন ‘ইসলামিক কমপ্লেক্স মার্কেট’ হয়েছে। মুছল্লীদের ওযূ-গোসলের জন্য দক্ষিণ পার্শ্বের বড় পুকুরের চার ধারে বাঁশের লম্বা ঘাট বানানো হয়। এখন সে পুকুর ভরাট করে সেখানে রাজশাহী বিআরটিএ-র অফিস হয়েছে। ইজতেমা প্যান্ডেল মাদরাসার দক্ষিণ দেওয়াল থেকে পুকুর পাড় পর্যন্ত দীর্ঘ ছিল। তখন রাজশাহী-ঢাকা বর্তমান বাইপাস মহাসড়ক নির্মিত হয়নি। (২) এই সম্মেলনেই সর্বপ্রথম শফীকুল[2] ‘জাগরে যুবক নওজোয়ান’ গানটি গায়। যার লেখক ছিল ‘যুবসংঘে’র ঝিনা (রাজশাহী) এলাকার ‘কর্মী’ যীনাত আলী (বর্তমানে মৃত)। সেদিন শফীকুলের গাওয়া উক্ত গান মানুষকে পাগল করে ফেলে। গানের শেষে যখন সে ‘আল্লাহ সহায় মেহেরবান’ বলে দরায কণ্ঠে লম্বা টান দেয়, তখন সবাই যেন দুনিয়ার আকর্ষণ ভুলে অদৃশ্য জগতে পাড়ি জমায়। সেদিন সে ভুল করে ‘ভক্ত পীর’ বলার মধ্যে তার কণ্ঠে যে জোশ ছিল, ‘ভন্ড’ বললে সে জোশ আসে না। ফলে ওভাবেই রেখে দিই। যদিও সবাই জেনেছিল যে, ওটার সঠিক উচ্চারণ হবে ‘ভন্ড পীর’।[3] এরপরে আমরা নাম পাল্টে গানের বদলে ‘জাগরণী’ করলাম। আর শিল্পী গোষ্ঠীর নাম দেই ‘আল-হেরা’। উদ্দেশ্য মানুষকে হেরার জ্যোতিতে জাগিয়ে তোলা।
(৩) ইজতেমার মাস ছয়েক পূর্বে শীতকালে মাদরাসার নিজস্ব জালসা করা হয় পূর্ব পার্শ্বের ময়দানে। সেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন তখনকার নামকরা বক্তা খুলনার মাওলানা আব্দুর রঊফ। সেই সাথে ছিলেন আমাদের ছহীহ বুখারীর উস্তাদ ও ‘আহলেহাদীছ তাবলীগে ইসলামে’র আমীর মাওলানা হাবীবুল্লাহ খান রহমানী। আর ছিলেন জমঈয়তে আহলেহাদীসের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী রাজশাহী শ্যামপুরের এডভোকেট আয়নুদ্দীন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, বয়স্ক শ্রোতা ছিল সর্বসাকুল্যে ৫০ জন। অথচ সেখানেই যখন ‘যুবসংঘে’র জাতীয় সম্মেলন ডাকা হ’ল, তখন মাদরাসা ময়দান বাদ দিয়ে দক্ষিণ পার্শ্বের খোলা ময়দানে সম্ভবতঃ ১৫০×১৭৫ বর্গ ফুটের প্যান্ডেল করা হয়। যা কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ছাপিয়ে যায়। সংগঠনের বরকত ছিল এটি। যা রাজশাহীবাসী প্রথম টের পান। এর আগে ১৯৮০ সালে ঢাকায় আহুত ১ম জাতীয় সম্মেলনে একইভাবে ঢল নেমেছিল সারা দেশ থেকে। যে ঢল আজও অব্যাহত আছে আল্লাহর বিশেষ রহমতে। ফালিল্লাহিল হাম্দ।
আত-তাহরীক : বর্তমানে আমাদের এত প্রচার-প্রসার সত্ত্বেও যেভাবে প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে ঝামেলা পোহাতে হয়, সেসময় এরূপ ছিল কি?
আমীরে জামা‘আত : সে সময় প্রশাসনিক এত বাধা ছিল না। বলতেকি অনুমতিও লাগত না। বিশেষ সময়ে বিশেষ ক্ষেত্র ছাড়া।
আত-তাহরীক : প্রথমবারের মত রাজশাহীতে এরূপ ইজতেমায় অংশগ্রহণ করতে পেরে সাধারণ মানুষ ও আহলেহাদীছদের অভিব্যক্তি ও উদ্দীপনা কেমন ছিল?
আমীরে জামা‘আত : নতুনের চমক থাকা স্বাভাবিক। তবে দু’টি বিষয়ের প্রতি মানুষের আগ্রহ ছিল লক্ষণীয়। (১) ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র নামে রাজশাহীতে এটাই ছিল প্রথম জাতীয় সম্মেলন। এই নাম ও এই নামে জাতীয় সম্মেলন দু’টিই ছিল রীতিমত দুঃসাহসিক। কারণ ‘সাপ্তাহিক আরাফাতে’র অবিরত ধারায় অপপ্রচার এবং বিরোধী নেতাদের প্রকাশ্য দম্ভ ও হিংসাত্মক তৎপরতাকে নীরবে হযম করে সর্বদা পজেটিভ দাওয়াতের মাধ্যমে এই সম্মেলন অনুষ্ঠান সাধারণ আহলেহাদীছদের মধ্যে যেমন ঔৎসুক্য সৃষ্টি করেছিল, তেমনি সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল। ইতিপূর্বে মাদরাসার জালসায় শ্রোতাসংকট ও করুণ অবস্থা দেখে আমরা খানিকটা নিরাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু সাংগঠনিক সম্মেলনে বিভিন্ন যেলা থেকে গাড়ী রিজার্ভ করে কর্মীদের দলে দলে আগমন ও মানুষের বিপুল উৎসাহ দেখে আমাদের নৈরাশ্য কেটে যায় ও নতুন আশায় বুক বাঁধি। বলা চলে যে, ২য় জাতীয় সম্মেলনে এটাই ছিল আমাদের বড় পাওয়া। ফালিল্লাহিল হাম্দ।
আত-তাহরীক : সম্মেলনের কোন এক ফাঁকে শহরে বিশাল মিছিল হয়েছিল, সে ব্যাপারে কিছু জানতে চাই।
আমীরে জামা‘আত : সম্মেলনের ২য় দিন বাদ আছর ‘পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে দেশে ইসলামী আইন ও শাসন’ কায়েমের দাবী সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদানের জন্য রাজশাহীর যেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাওয়ার প্রোগ্রাম ছিল। মিছিল রওয়ানা হওয়ার পর জানতে পারলাম যে, মিছিলের উপর এসপি ছাহেবের নিষেধাজ্ঞা এসেছে। তখন আমরা সামনে থেকে মিছিলের নেতৃত্ব দিলাম। পুলিশ ভাইদের বললাম, আমরা মিছিল করছি। আপনারা দেখুন আইন-শৃংখলা বিরোধী কোন কাজ হয় কি-না। তারা বুঝলেন এবং আমাদের সাথেই চললেন।
সেদিনের একটি ঘটনা আজও ভুলতে পারি না। হাতেমখাঁ ছোট মসজিদের সেক্রেটারী ফযলুর রহমান ভাই (বর্তমানে মৃত) নওদাপাড়া বাজার পর্যন্ত এসে তার পায়ের নলায় বিরাট ফোঁড়া দেখিয়ে ওযর পেশ করলেন। আমি বললাম, আপনি রিকশা নিয়ে বাসায় চলে যান। এরপর ভিড়ে আর তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। নওদাপাড়া মারকায থেকে সাহেববাজার জিরো পয়েণ্টে গিয়ে পথসভা সেরে কোর্ট পর্যন্ত ৮ কিলোমিটারের অধিক রাস্তা হেঁটে যথারীতি স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে এসে আমরা মাদরাসা ময়দানে মাগরিব পড়লাম। ছালাত শেষে আমি বক্তৃতার জন্য দাঁড়িয়ে দেখি ফযলু ভাই এবং হাতেমখাঁর আসাদুযযামান ও আব্দুর রাযযাক ভাই (মামা-ভাগিনা) সামনেই বসা। বললাম, কি ব্যাপার! আপনাকে তো ছুটি দিয়েছিলাম। বললেন, জীবনে প্রথম আহলেহাদীছের মিছিল। তাই যত কষ্টই হৌক আমি এই সুযোগ হারাতে চাইনি’। দেখলাম, ফোঁড়া ফেটে রক্তে তার পাজামার একপাশের নীচের অংশ ভিজে গেছে।
আরেকটি ঘটনা ভুলতে পারি না- ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র পরপর দু’ সেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবুবকর (ঝিনাইদহ পরে মেহেরপুর) আমাদের না বলেই সম্মেলনের ১ম দিন দুপুরের ট্রেন ধরে বাড়ী চলে গেল। দুঃখিত হ’লাম। কিন্তু সান্ত্বনা ছিল যে, আল্লাহ যাকে কবুল না করেন, বান্দা চাইলেও তাকে ধরে রাখতে পারে না। হ্যাঁ সে আর কখনোই ফেরেনি। বিরোধী পক্ষের টোপ গিলে সে সংগঠন ত্যাগ করে ‘শুববান’ নেতা হয় (বর্তমানে মৃত)।
আত-তাহরীক : ইজতেমার টুকরো স্মৃতি ও শিক্ষণীয় ঘটনাবলী আরও কিছু জানতে চাই।
আমীরে জামা‘আত : বেদনা ও আনন্দের অনেক স্মৃতিই আছে। বেদনাগুলি বাদ দিয়ে কেবল কিছু আনন্দের স্মৃতি বলছি : (১) হড়গ্রামের অধ্যাপক আব্দুর রাযযাক ছাহেবের নানা সুলতান মুহাম্মাদ মানছূর, যাকে আমরাও নানা বলতাম, সেদিন প্রচন্ড জ্বর নিয়ে আমাদের ভাষণ শুনেছিলেন। যেটি পরে ‘দাওয়াত ও জিহাদ’ নামে বই আকারে প্রকাশিত হয়, তিনি মন্তব্য করেছিলেন, জ্বর ও মাথা ব্যথা নিয়ে ইজতেমায় বসেছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারলাম না কিভাবে দেড় ঘণ্টার ভাষণ শেষ হ’ল। আহলেহাদীছের এই গৌরবময় ইতিহাস আমি জীবনে কখনো শুনিনি। (২) ঐদিন শফীকুলের গান শুনে সর্বপ্রথম আনন্দে চিৎকার দিয়ে লাফিয়ে উঠেছিল বগুড়ার বর্তমান সভাপতি আব্দুর রহীম। সাথে অন্যেরাও। শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছিল সেদিন পুরা ইজতেমা ময়দান। ঐ স্মৃতি আর কখনোই ফিরে আসবে না। (৩) ঐদিন সাতক্ষীরার বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব দেছারুদ্দীন মুহুরী মঞ্চে বসে এক দৃষ্টে ভাষণ শুনেছিলেন। পরে এত বেশী আবেগ প্রকাশ করেছিলেন, যা বলতে সংকোচ বোধ হয় (বর্তমানে মৃত)। (৪) ম্যাজিষ্ট্রেট আব্দুছ ছামাদ সেদিন বলেছিলেন, রাজশাহী শহরে ও নওদাপাড়ায় এযাবৎ এরূপ ভাষণ ও সম্মেলন কখনো হয়নি। তিনি প্রাণ ভরে ‘যুবসংঘে’র জন্য দো‘আ করেন। তিনি এসময় ১৯৪৯ সালে নওদাপাড়ায় অনুষ্ঠিত মাওলানা কাফী ছাহেবের সম্মেলনের কথাও স্মরণ করেন। (৫) ইজতেমার প্রত্যেক বক্তা ও ওলামায়ে কেরাম এবং শ্রোতাবৃন্দ সেদিন যে কেমন খুশী হয়েছিলেন, তা ভাষায় প্রকাশ করার মত ক্ষমতা আমাদের নেই। সবাই যেন এরূপ একটি মহাসম্মেলনের জন্য যুগ যুগ ধরে অপেক্ষা করছিলেন। মৃত আহলেহাদীছ জামা‘আত সেদিন যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছিল। আল্লাহ তুমি হকপন্থীদের এই প্রাণস্রোত অব্যাহত রাখ।- আমীন!
[1]. আব্দুছ ছামাদ সালাফী (রাজশাহী)। যিনি তখন সঊদী মাবঊছ ছিলেন এবং ‘আহলেহাদীছ যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ও সুধী পরিষদের সদস্য ছিলেন। একই সময়ে তিনি মাদরাসার প্রিন্সিপ্যাল ছিলেন।
[2]. শফীকুল ইসলাম (জয়পুরহাট, বর্তমানে মৃত)। এর প্রকৃত নাম ছিল শফীউল আলম। পাল্টে করা হয় শফীকুল ইসলাম। তাকে সহ ‘যুবসংঘে’র ‘কর্মী’ জাহাঙ্গীর আলম ও আব্দুল মান্নান (সাতক্ষীরা)-কে নিয়ে এসময় ‘আল-হেরা’ শিল্পী গোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
[3]. যদিও ‘জাগরণী’ বইয়ে ‘ভন্ড’ই লেখা হয়েছে।