দেশে প্রতি চারজনের মধ্যে একজন তথা অন্তত ৩ কোটি মানুষ কোন না কোন মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এ হার দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর মানসিক ব্যাধিতে আক্রান্তদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যাই বেশি। গত ১৩ই ডিসেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলালুদ্দীন আহমাদ। তিনি জানান, বাংলাদেশে ১৮.৭ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক এবং ১২.৬ শতাংশ শিশু-কিশোর কোন না কোন মানসিক রোগে ভুগছে। বেকারত্ব, হতাশা, অস্থিরতা, ব্যক্তিজীবনের অনিয়ম, বিশৃঙ্খলা, নানামুখী চাপ, অপ্রাপ্তি, লোভ ও বিচারহীনতা তরুণদের মানসিক রোগীতে পরিণত করছে। প্রবন্ধে বলা হয়, দেশে প্রতি বছরে গড়ে ১০ হাযারেরও বেশি মানুষ আত্মহত্যা করে থাকে। আর গুরুতর মানসিক রোগীদের মধ্যে ৪২ শতাংশই কোন না কোন দীর্ঘমেয়াদী শারীরিক রোগে ভুগছে। এর মধ্যে ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃৎপিন্ডের সমস্যা, ব্রেন টিউমার, লিভার, কিডনি ও হার্টফেল অন্যতম। এতে আরও বলা হয়, করোনাকালে মানসিক রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এমনকি করোনার প্রথম বছরই সারা দেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ আত্মহত্যা করেছে। যাদের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি।

স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম এনায়েত হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।






আরও
আরও
.