হক কথা

-মুহাম্মাদ মুহসিন আলী

বড়গাছী, পদ্মপুকুর, রাজশাহী।

জীবন বিধান মোদের আল-কুরআন

হাদীছের বাণী সে তো সদা অম্লান।

সত্য-মিথ্যা এরা যেন দুই ভাই

কুরআন-হাদীছে মিথ্যার ঠাঁই নাই।

যঈফ-জাল হাদীছ অনেকেই মানে

কোন কাজে আসবে না যদিও বা জানে।

শিরক-বিদ‘আতে আকণ্ঠ আছে ডুবে,

জানি না, কবে হিদায়াত তারা পাবে।

কেউ বা মুরীদ হয় মরা পীর ধরে

কবরের পাশে গিয়ে সিজদাও করে।

এগুলো বাতিল ফিরে এসো সত্যে,

ভাল কিছু পেতে ভবের এই মর্তে।

দৃপ্ত কণ্ঠস্বর

-মুনতাহিম আহমাদ আদীব

নওদাপাড়া, রাজশাহী।

আমরা নবীন, আমরা তরুণ, শক্তি মোরা আগামীর,

ন্যায়ের মশাল জ্বালি মোরা, উড়াই নিশান অহি-র\

দিগ্বিদিক দামামা বাজিয়ে সামনে চলি জওয়ান-বীর,

আল্লাহ ছাড়া অন্যের তরে নত করি না মোদের শির\

শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) মোদের রাহবার,

তাঁর চেতনা আগলে রেখে হবই হব দুর্বার\

কুরআন মোদের সংবিধান, সুন্নাহ মোদের চলার পথ

এই দু’টিকে আগলে রেখে ছেড়েছি সব বাতিল মত\

স্বচ্ছ মনে দৃপ্ত প্রাণে করেছি মোরা আজকে পণ,

দ্বীনের তরে সংগ্রাম মোরা করেই যাব আমরণ\

মোদের দৃপ্ত পদচারণায় বাতিল পালাক দূর-সুদূর,

ঘৃণ্য ত্বাগূতের স্থান হোক ইতিহাসের আস্তাকুঁড়\

কেবল প্রভু তোমার কাছেই চাইছি মোরা বারংবার,

আমাদের কণ্ঠ-কলম করুক মানব-সমাজ সংস্কার\

ভয়াবহ বন্যা

-হাবীবুর রহমান মাহফূয

৯ম শ্রেণী, নওদাপাড়া মাদ্রাসা, রাজশাহী।

ফেনী, কুমিল্লা, বিভিন্ন যেলায় বন্যা দেখা দিল,

ধনী, কাঙাল সকলের মুখের হাসি কেড়ে নিল।

মাঠ-ঘাট আর বাড়ি-ঘর, পানির নিচে ঠাঁই

লাখো আদম দুর্বিপাকে যাওয়ার জায়গা নাই।

খাওয়ার মত কিছুই নেই, দুর্বিসহ ক্ষণ

শিশুর জন্য কেঁদে মরে মা-জননীর মন।

নতুন ধানে ভরবে গোলা ছিল মুখে হাসি

ধানের মাঠ ডুবিয়ে দিল বন্যা সর্বনাশী।

স্বদেশ

দেশে সাড়ে তিন কোটির অধিক শিশুর রক্তে বিপজ্জনক মাত্রায় সিসা

সিসাদূষণে ক্ষতিগ্রস্ত শিশুর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে চতুর্থ। বর্তমানে দেশে সাড়ে তিন কোটির অধিক শিশুর রক্তে বিপজ্জনক মাত্রায় সিসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কৌশল প্রণয়নে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে ইউনিসেফ।

ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ারস বলেন, সাধারণত ভারী ধাতু বিশেষ করে সিসা প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় শিশুদের ওপর বেশী প্রভাব ফেলে। এই ক্ষতি চিরস্থায়ী ও অপরিবর্তনীয়। দুর্ভাগ্যবশত শিশুদের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের বিকাশের সময়সীমা কমে যায় এবং প্রায় সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বয়স্কদের ক্ষেত্রে হৃদরোগ দেখা দেয়, আর গর্ভবতী নারীদের অনাগত শিশুরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে সুস্পষ্ট আইন ও সঠিক পদক্ষেপ দ্বারা এই দূষণ প্রতিরোধযোগ্য।

গবেষণা ইনস্টিটিউট আইইডিসিআর এবং (আইসিডিডিআরবি) সঙ্গে মিলে ইউনিসেফ কয়েকটি যেলায় ৯৮০ জন এবং ঢাকায় ৫০০ শিশুকে পরীক্ষা করে সবার রক্তে সিসার উপস্থিতি পেয়েছে। এসব নমুনার মধ্যে চার যেলায় ৪০% এবং ঢাকায় ৮০% নমুনায় প্রতি ডেসিলিটার রক্তে পাঁচ মাইক্রোগ্রামের বেশী সিসা পাওয়া যায়।

শিশুদের রক্তে সিসার উৎস হ’ল ব্যাটারিচালিত রিকশা ও সোলার প্যানেলের ব্যাটারি। এসব ব্যাটারি মেয়াদ শেষে নষ্ট হ’লে তা পুড়িয়ে সেখান থেকে সিসা বের করে নতুন করে ব্যাটারিতে ব্যবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে কিছু সিসা বের হয়ে প্রকৃতিতে মিশে যায়। যা আবার খাবারের সঙ্গে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এছাড়া দ্রুত নগরায়ণ ও শিল্পায়ন পরিবেশে ভারী ধাতুর দূষণ বাড়ার কারণে শিশুদের বিষাক্ত পদার্থের সংস্পর্শে আসার ঝুঁকি বেড়ে চলেছে।

বিদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হ’লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। চার বছর আগে হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর তার এ ফিরে আসা যুক্তরাষ্ট্রে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। যা দেশটির গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ৭৮ বছর বয়সী ট্রাম্প প্রয়োজনীয় ২৭০ ভোটের স্থলে ৩১২টি এবং কমলা মোট ২২৬ টি ইলেক্টোরাল ভোট পেয়েছেন। এছাড়া পপুলার ভোটেও তিনি প্রায় ২৭ লাখ ভোটে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের চেয়ে এগিয়ে আছেন।

দু’বার অভিশংসিত এবং একাধিক ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হ’লেও কম জনসমর্থনের মধ্যেই ট্রাম্প এ বিজয় অর্জন করেছেন। ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট, যিনি ফৌজদারি মামলা কাঁধে নিয়ে প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা চলমান। তার এ জয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও জলবায়ু পরিবর্তন নীতি, ইউক্রেন যুদ্ধ, কর ব্যবস্থা এবং অভিবাসন নীতিতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা যে ট্রাম্পকে ফাইভ-সিক্সের বাচ্চাদের মতো বলে মন্তব্য করেছেন; যিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে আগের ৪ বছরে ৩০ হাযার ৫৭৩টি মিথ্যা বা বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিয়েছিলেন; যার কথাবার্তা, আচার-আচরণ ও ক্ষমতার দাপট বিশ্ববাসীকে রীতিমতো ত্যক্ত-বিরক্ত করে আসছে। যিনি আদালতে দোষী সাব্যস্ত একজন অপরাধী, সুষ্ঠু নির্বাচনের গণরায় অমান্যকারী, দাঙ্গার উসকানিদাতা, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত, নারীবিদ্বেষী কিংবা বর্ণবাদী এসব নেতিবাচক পাবলিক ইমেজ তাকে নির্বাচিত হওয়া থেকে থামাতে পারেনি। তার এ প্রত্যাবর্তনে অধিকাংশ জাতিরাষ্ট্র বিচলিত ও উদ্বিগ্ন। কিন্তু কারও কিছু করার নেই। এটিই আজকের বিশ্বের ঘাড়ে চেপে বসা এক অদ্ভুত অসহায়ত্ব।

বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৮০ কোটির বেশী মানুষ

সারা বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৮০ কোটির বেশী প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। আগের হিসাবের তুলনায় যা প্রায় দ্বিগুণ। এর মধ্যে আবার চিকিৎসা নিচ্ছেন না ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ৩০ বছর বয়সী রোগীদের অর্ধেকের বেশী। ল্যানসেট সাময়িকীতে প্রকাশিত নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালে সারা বিশ্বে ১৮ কিংবা তদূর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে প্রায় ৮২ কোটি ৮০ লাখ ডায়াবেটিস রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তারা ডায়াবেটিসের টাইপ-১ কিংবা টাইপ-২ ধরনে আক্রান্ত।

ডায়াবেটিস হ’ল রক্তের শর্করার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি দীর্ঘস্থায়ী বিপাকীয় রোগ। এর চিকিৎসা না নেওয়া হ’লে হৃৎপিন্ড, রক্তনালি, স্নায়ু ও অন্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি হ’তে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আগের এক হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৪২ কোটি ২০ লাখ। গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯০ সাল থেকে বিশ্বে ডায়াবেটিসের হার ৭ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ শতাংশে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে আক্রান্তের হার বাড়ার প্রবণতা বেশী দেখা গেছে।

যৌথভাবে গবেষণাটি করেছে এনসিডি রিস্ক ফ্যাক্টর কোলাবোরেশন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এক হাযারের বেশী গবেষণার ওপর ভিত্তি করে নতুন গবেষণাটি করা হয়েছে। এই এক হাযারের বেশী গবেষণায় কোন না কোনভাবে ১৪ কোটির বেশী মানুষ জড়িত ছিলেন।

মুসলিম জাহান

সঊদী আরবে রক্তমূল্য ছাড়াই ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করলেন এক পিতা

সঊদী আরবে রক্তের বিনিময় গ্রহণ না করেই ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দিয়েছেন পিতা মুহাম্মাদ বিন সাগাহ। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ আসিরের বেসার এলাকায় এক সভায় ছেলের হত্যাকারীকে ক্ষমার ঘোষণা দেন তিনি। ক্ষমা করার সময় তিনি বলেন, শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আল্লাহর শপথ, রক্তমূল্য হিসাবে আমি এক রিয়ালও গ্রহণ করব না।

দেশটিতে হত্যার ঘটনায় রক্তমূল্য নিয়ে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেয়ার আইন রয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে সঊদীতে সাজাপ্রাপ্ত হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেয়ার বেশ কয়েকটা ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরই আরেক পিতা তার ছেলের হত্যাকারীকে বিচারের শেষ মুহূর্তে গিয়ে ক্ষমা করে দেন।

স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মত বাংলাদেশের বন্দরে পাকিস্তানী পণ্যবাহী জাহায

১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর প্রথম কোন পণ্যবাহী জাহায পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে এসেছে। এ পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। গত ১৩ই নভেম্বর বুধবার পাকিস্তানের করাচী বন্দর থেকে একটি পণ্যবাহী জাহায ৩০০টির বেশী কন্টেইনার নিয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে।

এ সময় উপস্থিত বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানী হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারূফ বলেন, এটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে একটি প্রধান পদক্ষেপ। এই নতুন রুটটি সাপ্লাই চেইনকে স্ট্রিমলাইন করবে, ট্রানজিট সময় কমিয়ে দেবে এবং উভয় দেশের জন্য নতুন ব্যবসার সুযোগ খুলে দেবে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সামুদ্রিক যোগাযোগ চালুর বিষয়টিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বতী সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ককে মসৃণ করার একটি প্রচেষ্টা হিসাবে দেখা হচ্ছে।

একজন ভারতীয় পর্যবেক্ষক বলেছেন, ড. ইউনূস ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশ একটি রিসেট মুডে আছে এবং তাদের অগ্রাধিকার গুলোর মধ্যে একটি মনে হচ্ছে, ভারত থেকে নিজেদের দূরে সরিয়ে রাখা এবং পাকিস্তানের আরও বেশী কাছাকাছি হওয়া। তিনি বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধুত্বের কারণে আমাদের উদ্বেগ এই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ে।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক নৌ মহড়া আমান ২০২৫-এ তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে একজন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ বলেন, এই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের সাথে বাংলাদেশ যৌথ মহড়ায় অংশ নেবে। গত মাসে এই উদ্দেশ্যে একটি ফ্রিগেট পাকিস্তানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এই বিষয়গুলো অবশ্যই ভারতকে উদ্বিগ্ন করতে পারে।

বিজ্ঞান ও বিস্ময়

বিশ্বে প্রথম এআই হাসপাতাল চালু করছে চীন

চীন স্বাস্থ্যখাতে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসাবে বিশ্বে প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই পরিচালিত হাসপাতাল চালু করছে। হাসপাতালটির নাম ‘এজেন্ট হাসপাতাল’। বেইজিংয়ে চালু হ’তে যাওয়া এই ভার্চুয়াল হাসপাতালটি ১৪ জন এআই চিকিৎসক ও ৪ জন ভার্চুয়াল নার্সের মাধ্যমে রোগী সেবা নিশ্চিত করবে। গবেষকরা আশা করছেন, চীনের কিংহুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের ডিজাইন করা এজেন্ট হাসপাতালটি প্রচলিত হাসপাতালের ধারণাকে বদলে দেবে। কারণ এআই হাসপাতালের মাধ্যমে চিকিৎসা হবে দ্রুত, সহজলভ্য এবং কার্যকর। ফলে একজন মানব চিকিৎসকের জন্য যে পরিমাণ রোগীর সেবা দিতে দু’বছর সময় লাগবে, একজন এআই চিকিৎসক তা কয়েকদিনে দিতে সক্ষম হবে।

এজেন্ট হাসপাতাল চালুর আগে এআই চিকিৎসকদের দক্ষতা যাচাইয়ে তাদেরকে ইউএস মেডিকেল লাইসেন্স পরীক্ষার প্রশ্নের ভিত্তিতে পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষায় এআই চিকিৎসকদের সাফল্যের হার ছিল ৯৩.০৬%, যা এআই চিকিৎসকদের নির্ভরযোগ্যতা প্রমাণ করে। এআইয়ের এই দক্ষতা মানব চিকিৎসকদের পরিপূরক হিসাবে উচ্চমানের চিকিৎসা সেবা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

ভার্চুয়াল এই হাসপাতালে দ্রুত পরামর্শ, তাৎক্ষণিক রোগ নির্ণয় এবং ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে, যা রোগীর সেবার মান বাড়াবে। ফলে রোগীদের সেবা প্রাপ্তির অভিজ্ঞতা আরও সহজ ও আনন্দদায়ক হবে।

গবেষণার নেতৃত্বে থাকা লিউ ইয়াং এর মতে, এআই চিকিৎসকরা শুধুমাত্র দৈনন্দিন স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের বাইরে গিয়ে সম্ভাব্য মহামারি পূর্বাভাসেও ভূমিকা রাখতে পারবে। এটি ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আরও সুরক্ষিত করবে।

আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ

আন্দোলন

যেলা সম্মেলন : নীলফামারী (পূর্ব-পশ্চিম) ২০২৪

আহলেহাদীছ একটি পথের নাম

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

১লা নভেম্বর শুক্রবার স্টেডিয়াম ময়দান, জলঢাকা, নীলফামারী : অদ্য বেলা ১১-টায় যেলার জলঢাকা উপযেলাধীন জলঢাকা স্টেডিয়াম ময়দানে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ নীলফামারী-পূর্ব ও পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে আশাতীত জনগণের মহা সমাবেশে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি সূরা আন‘আমের ৫০ আয়াত তেলাওয়াত করে বলেন, শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ) আমাদের নিকট তাঁর নিজস্ব মনগড়া কোন কথা বলেননি। বরং তাঁর নিকট যে অহি-র বিধান এসেছে, তিনি তাই প্রচার ও প্রতিষ্ঠা করেছেন। আমরা আপনাদের সেই একই দাওয়াত দিচ্ছি। তাই আহলেহাদীছ আন্দোলন প্রচলিত কোন মাযহাবের নাম নয় বরং একটি পথের নাম। এটি সার্বিক জীবনে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের পথে জীবন পরিচালনার আন্দোলন।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মাদ ওছমান গণীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ডে’র চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, নীলফামারী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলীল, পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুছ ছামাদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, জলঢাকা উপযেলার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ মনোয়ার প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন নীলফামারী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রশিক্ষণ সম্পাদক আশরাফ আলী।

সম্মেলনে নীলফামারী-পূর্ব ও পশ্চিম ছাড়াও রংপুর পূর্ব-পশ্চিম, দিনাজপুর প্রভৃতি যেলা সমূহ থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মী ও শ্রোতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

যেলা সম্মেলন : লালমণিরহাট ২০২৪

সার্বিক জীবনে অহি-র বিধানের অনুসরণ করুন!

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

২রা নভেম্বর শনিবার কালেক্টরেট ময়দান, লালমণিরহাট : অদ্য বেলা ১১-টায় যেলা শহরের কালেক্টরেট ময়দানে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ লালমণিরহাট যেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হাযার হাযার জনতার উপচেপড়া যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­াহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি সূরা আহযাবের ৩৬ আয়াত তেলাওয়াত করে বলেন, সার্বিক জীবনে যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিধানের অনুসরণ করে তারাই মুমিন। কুরআনের বিধান আগে, তারপর মানুষের বক্তব্য। সার্বিক জীবন তাওহীদ ও সুন্নাতের পথে চললেই সমাজ পরিবর্তন হবে ইনশাআল্ল­­াহ। সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন নীলফামারী-পশ্চিমের সভাপতি ডা. মুস্তাফীযুর রহমান।

মুহতারাম আমীরে জামা‘আতের বক্তব্য শেষে হিন্দু যুবক উৎপল কুমার (২৫), গ্রাম ও পোঃ কাকিনা, উপযেলা : কালীগঞ্জ, যেলা : লালমণিরহাট তাঁর হাতে ইসলাম গ্রহণ করেন। আমীরে জামা‘আত তার নাম পরিবর্তন করে রাখেন আব্দুল্লাহ।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা শহীদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে ভাষণ দেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফায়ছাল মাহমূদ, সাবেক কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও বর্তমান ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় অফিস সহকারী মুহাম্মাদ আনোয়ারুল হক, আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ শিহাবুদ্দীন, যুববিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আযীযুল ইসলাম, রংপুর-পশ্চিম যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুতীউর রহমান, যেলা ‘যুবসংঘে’র সহ-সভাপতি আব্দুল লতীফ, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব, ‘সোনামণি’র পরিচালক মুস্তাফীযুর রহমান প্রমুখ।

সম্মেলনে লালমণিরহাট ছাড়াও রংপুর পূর্ব-পশ্চিম, কুড়িগ্রাম উত্তর-দক্ষিণ, নীলফামারী পূর্ব-পশ্চিম প্রভৃতি যেলা সমূহ থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মী ও শ্রোতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য যে, সম্মেলনে মুছল্লীদের তৃষ্ণা দূর করার জন্য যেলার সদর থানাধীন গোশালা বাজারের মুহাম্মাদ আব্দুল মতীন (৩৫) স্বেচ্ছায় পানি পান করানোর ব্যবস্থা করেন। আল্লাহ তাকে উত্তম জাযা দান করুন-আমীন!

উল্লেখ্য যে, এ দিন লালমণিরহাট শহরের অধিকাংশ দোকান এবং মহিষখোচা বাজারের সকল দোকান-পাট বন্ধ ছিল।

সম্মেলন শেষে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত কনিষ্ঠ পুত্রকে নিয়ে আদিতমারী উপযেলাধীন মহিষখোচায় গমন করেন। সেখানে তিনি যেলা ‘আন্দোলন’-এর উপদেষ্টা মৃত মুহাম্মাদ আব্দুছ ছামাদ মাস্টারের কবর যিয়ারত করেন এবং তাঁর পরিবারের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন ও তাদের প্রতি সংক্ষিপ্ত নছীহত করেন। অতঃপর তিনি সেখান থেকে ‘আন্দোলন’-এর উপদেষ্টা মুহাম্মাদ হোসাইন চেয়ারম্যান ও তার ভাই মাওলানা জাহিদ হোসাইনের কবর যিয়ারত করেন। সেখান থেকে তিনি যেলার ঐতিহ্যবাহী চৌরাহা ইসলামিয়া মাদ্রাসায় গমন করেন এবং ছাত্র-শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণ প্রদান করেন। অতঃপর তিনি মাদ্রাসার রাস্তা সংলগ্ন মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন।

যেলা সম্মেলন : গাইবান্ধা-পূর্ব

সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে সংগঠনকে মযবূত করুন!

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

৯ই নভেম্বর শনিবার শিমুলবাড়ী সালাফিইয়াহ মাদ্রাসা ময়দান, সাঘাটা, গাইবান্ধা : অদ্য সকাল ১০-টা হ’তে যেলার সাঘাটা উপযেলাধীন শিমুলবাড়ী মা‘হাদ ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) সালাফিইয়াহ মাদ্রাসা ময়দানে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ গাইবান্ধা-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত লাখো জনতার উপচেপড়া যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­াহ আল-গালিব সমবেত জনসমূদ্রের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি সূরা হামীম সাজদাহর ৩৩ আয়াত তেলাওয়াত করে বলেন, নবী-রাসূলগণের পৃথিবীতে আগমনের উদ্দেশ্য ছিল পথভোলা মানুষকে আল্লাহর পথে ফিরিয়ে আনা। যিনি নিঃস্বার্থভাবে মানুষকে আল্লাহর পথে দাওয়াত দিবেন, মানুষকে আল্লাহর পথে সংগঠিত করবেন, তিনিই আল্লাহর প্রশংসিত পথে পরিচালিত বলে গণ্য হবেন।

তিনি শিমুলবাড়ীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, এই মাদ্রাসা পরিচালনার জন্য আমরা ২৮ বিঘা জমি ক্রয় করেছিলাম কুয়েতী দাতা সংস্থার মাধ্যমে। কিন্তু অনেকেই সেগুলি অন্যায়ভাবে ভোগ করছেন। যাদের কাছে এগুলো আছে, তারা মাদ্রাসাকে ফেরত দিন। নইলে আল্লাহর কাঠগড়ায় বাঁচতে পারবেন না।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক আশরাফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে ভাষণ দেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, ঢাকার মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আবুল কালাম, আল-‘আওনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শওকত হাসান, যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা ফযলুর রহমান, যুববিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ মশীউর রহমান, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাসলীম সরকার, নারায়ণগঞ্জ যেলার সাবেক সভাপতি মাওলানা শফীকুল ইসলাম, যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ ইউনুস, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মুরাদ, গাইবান্ধা-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামূন, সাধারণ সম্পাদক মুস্তাফীযুর রহমান, রংপুর-পশ্চিম যেলার সভাপতি মুহাম্মাদ মুতীউর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক আবু রায়হান ও গাইবান্ধা-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘যুবসংঘে’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ শিহাবুদ্দীন। এ দিন মুহতারাম আমীরে জামা‘আতকে সম্মেলন ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে সভাপতি মশীউর রহমান সাগর ও সাধারণ সম্পাদক বায়তুর রহমান আমীরে জামা‘আতের প্রতিষ্ঠিত শিমুলবাড়ী মাদ্রাসার সুদীর্ঘ দ্বিতল ভবনের ছবি সম্বলিত ক্রেস্ট উপহার দেন।

উল্লেখ্য যে, আমীরে জামা‘আতের অসুস্থতার কারণে সম্মেলন কর্তৃপক্ষ হেলিকপ্টারে করে তাঁকে নিয়ে যান। যা দুপুর ২-৫৫ মিনিটে রাজশাহী এয়ারপোর্ট থেকে উড্ডয়ন করে ৩.৩০ মিনিটে শিমুলবাড়ী মাদ্রাসার নিকটবর্তী নদীতীরে অবতরণ করে। এতে তাঁর সঙ্গী ছিলেন ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, মাওলানা মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম ও ড. সাখাওয়াত হোসাইন। উল্লেখ্য যে, মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ইতিপূর্বে গাইবান্ধা যেলায় ৩৪টি মসজিদ, দুই শতাধিক টিউবয়েল, নুরা জাহিম হাসপাতাল স্থাপন ও ব্যাপক হারে বন্যাত্রাণ বিতরণ করেছেন।

যেলা সম্মেলন : নওগাঁ

 যে কোন মূল্যে আল্লাহর নৈকট্য হাছিল করুন!

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

১৩ই নভেম্বর বুধবার ডাক বাংলা ময়দান, মহাদেবপুর, নওগাঁ : অদ্য বেলা ২-টায় যেলার মহাদেবপুর উপযেলাধীন ঐতিহাসিক ডাক বাংলো ময়দানে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ নওগাঁ যেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­াহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি সূরা মায়েদাহ ৩৫ আয়াত তেলাওয়াত করে বলেন, আল্লাহর নৈকট্য হাছিলের জন্য তিনটি বিষয় অর্জন করতে হবে। ছহীহ আক্বীদা, ছহীহ তরীক্বা ও আল্লাহর পথে জিহাদ। আল্লাহভীতি না থাকলে সর্বক্ষেত্রে ধ্বংস নেমে আসবে। তাই ইহকালে কল্যাণ ও পরকালে মুক্তি পেতে হ’লে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত আ­ল্লাহকে ভয় করে চলতে হবে এবং তাঁর বিধান অনুযাযী জীবন পরিচালনা করতে হবে।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে ভাষণ দেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, খুলনা যেলা সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফায়ছাল মাহমূদ, সোনামণি’র কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক নাজমুন নাঈম, আল-‘আওনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আফযাল হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শহীদুল আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি আব্দুর রহমান।

যেলা সম্মেলন : দিনাজপুর-পূর্ব

সংস্কার আন্দোলনে নবীগণের পথ অনুসরণ করুন!

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

১৬ই নভেম্বর শনিবার বিরামপুর সরকারী কলেজ ময়দান, বিরামপুর, দিনাজপুর : অদ্য বাদ আছর হ’তে যেলার বিরামপুর উপযেলাধীন বিরাম সরকারী কলেজ ময়দানে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ দিনাজপুর-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­াহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি সূরা নাহলের ৩৬ আয়াত তেলাওয়াত করে বলেন, পৃথিবীতে ৩টি তাগূতী দর্শনের মুকাবিলায় আহলেহাদীছ আন্দোলন কাজ করে যাচ্ছে। আমেরিকার RAND গবেষণা সংস্থার হিসাব মতে সে ৩টি হ’ল, ধর্মনিপেক্ষতাবাদ, মডারেট ও ছূফীবাদ। এ ৩টি মতবাদ পাশ্চাত্যের অতীব নিকটবর্তী। সালাফী বা আহলেহাদীছগণ ব্যতীত’। যারা পাশ্চাত্যের ঘোর বিরোধী। পক্ষান্তরে ‘মডারেট’ হ’ল তারাই, যারা পাশ্চাত্যের তরীকায় ইসলাম কায়েম করতে চায়। আমীরে জামা‘আত বলেন, আহলেহাদীছ আন্দোলনের জন্য চাই একদল আপোষহীন মানুষ। যারা কেবল নবীদের তরীকায় সমাজের সার্বিক সংস্কার আন্দোলনে জীবনপাত করবে। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ সে পথেই মানুষকে আহবান করে। যে পথের শেষ ঠিকানা হ’ল জান্নাত।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, খুলনা যেলার সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবুল কালাম, প্রচার সম্পাদক আব্দুন নূর, সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক রবীউল ইসলাম, আল-‘আওনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আনওয়ারুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক আবু তাহের মেছবাহ।

যেলা সম্মেলন : বগুড়া

মৃত্যুকে স্মরণ করে দুনিয়াবী জীবন পরিচালিত করুন!

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

১৭ই নভেম্বর রবিবার আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠ, বগুড়া : অদ্য বাদ আছর হ’তে যেলা শহরের আলতাফুন্নেসা খেলার মাঠে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ বগুড়া যেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­াহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি সূরা আম্বিয়া ৩৫ আয়াত তেলাওয়াত করে বলেন, আমাদের অবশ্যই মৃত্যু হবে এবং আমাদের অবশ্যই আমাদের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর নিকটে ফিরে যেতে হবে। অতঃপর সেখানে গিয়ে জীবনের ভালো-মন্দ প্রতিটি কাজের হিসাব দিতে হবে। তাই মৃত্যুকে স্মরণ করে দুনিয়াবী জীবন পরিচালনা করুন! এটাই বুদ্ধিমান লোকের কাজ।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি হাফেয মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসাবে ভাষণ দেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, ঢাকার মাদারটেক আহলেহাদীছ জামে মসজিদের খতীব মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফায়ছাল মাহমূদ, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ, আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির, যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নূরুল ইসলাম, যেলা ‘যুবসংঘে’র সাবেক সভাপতি তাওহীদুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আল-আমীন, আল-‘আওনে’র যেলা সভাপতি হাফেয মীযানুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘যুবসংঘে’র প্রচার সম্পাদক আব্দুর রহমান ও সাবেক সভাপতি আব্দুর রাযযাক।

উল্লেখ্য যে, এই যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র বিগত ও বর্তমান সেশনের সভাপতিদেরকে যেলা ‘যুবসংঘে’র পক্ষ থেকে সম্মানজনক ‘ক্রেস্ট’ উপহার দেওয়া হয়।

কুরআন মাজীদের হদর, মশক ও ছিফাত চর্চার বিশেষ প্রশিক্ষণ

ব্যবহারিক জীবনে কুরআনের বিধান মেনে চলুন!

-মুহতারাম আমীরে জামা‘আত

মোল্লাপাড়া, রাজশাহী ৩০শে অক্টোবর বুধবার : অদ্য বাদ আছর রাজশাহী মহানগরীর মোল্লাপাড়া ফায়যুল কুরআন হিফয মাদ্রাসায় ৫দিনব্যাপী রাজশাহী বিভাগীয় কুরআন মাজীদের হদর, মশক ও ছিফাত চর্চার বিশেষ কোর্স প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­­­াহ আল-গালিব উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি বলেন, আল্লাহ তা‘আলা শুধু তেলাওয়াতের জন্য আমাদের কুরআন মাজীদ দান করেননি, বরং তার বিধান সার্বিক জীবনে বাস্তবায়নের জন্য এই শ্বাশত জীবন বিধান নাযিল করেছেন। এ ব্যাপারে অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সচেতন থাকতে হবে।

‘হুফ্ফাযুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’-এর রাজশাহী বিভাগীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফেয মাওলানা সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ড-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলার সভাপতি মাওলানা দুররুল হুদা, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর হিফয ও মক্তব বিভাগের পরিচালক হাফেয লুৎফর রহমান, সহ-পরিচালক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির প্রমুখ। অনুষ্ঠানে প্রধান প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জামে‘আ ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ী, ঢাকার ক্বিরাআত বিভাগের প্রধান শিক্ষক ক্বারী আনীসুর রহমান। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন অত্র মাদ্রাসার পরিচালক হাফেয মুহাম্মাদ নাযিমুদ্দীন পাঠান ও সহ-পরিচালক মুহাম্মাদ শাহরিয়ার হাসান।

সুধী সমাবেশ

১৪ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর : অদ্য বাদ এশা যেলার সদর থানাধীন তারেকুর রহমানের বাসায় লক্ষ্মীপুর যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র আহবায়ক কমিটি গঠন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শওকত হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আরাফাত যামান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর আহবায়ক কমিটির আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ হাসান, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর আহবায়ক কমিটি আহবায়ক তারেকুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে ইঞ্জিনিয়ার ইউসুফ হাসানকে আহবায়ক ও আব্দুর রায্যাককে যুগ্ম আহবায়ক করে যেলা ‘আন্দোলন’-এর আহবায়ক কমিটি এবং তারেকুর রহমানকে আহবায়ক ও যহীরুদ্দীনকে যুগ্ম আহবায়ক করে যেলা ‘যুবসংঘ’-এর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

সোনামণি

 

সোনামণি

১৫ই নভেম্বর শুক্রবার, দিনাজপুর-পশ্চিম : অদ্য সোনামণি দিনাজপুর-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে যেলার বিভিন্ন শাখায় দিনব্যাপী তাবলীগী সফর অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮-টায় চিরিরবন্দর উপযেলাধীন বারোবিঘা আহলেহাদীছ মসজিদে অত্র যেলা ‘সোনামণি’র পরিচালক জিহাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সোনামণি প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর সকাল ১০-টায় উলূমুন নাফি‘আ সালাফিইয়া মাদ্রাসায় অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মাদ রিযওয়ানুল হকের সভাপতিত্বে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও স্থানীয় কিছু মক্তবের শিক্ষকের অংশগ্রহণে শিক্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর রাণীরবন্দর হাট আহলেহাদীছ জামে মসজিদে কেন্দ্রীয় মেহমান জুম‘আর খুৎবা প্রদান করেন। অতঃপর বাদ আছর খামার সাতনালা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ মীযানুর রহমানের সভাপতিত্বে মহিলা তা‘লীমী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অতঃপর বাদ মাগরিব বড় হাশিমপুর নমীর মুন্সি (আযীমুন্সি পাড়া) আহলেহাদীছ জামে মসজিদে মাসিক তা‘লীমী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র এলাকা গঠন করা হয়। দিনব্যাপী উক্ত প্রশিক্ষণ সফরে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক রবীউল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ মীযানুর রহমান, প্রচার সম্পাদক শিহাব চৌধুরী, ‘সোনামণি’র পরিচালক জিহাদুল ইসলাম, সহ-পরিচালক আবুবকর ছিদ্দীক, চিরিরবন্দর উপযেলা পরিচালক মুহাম্মাদ রিযওয়ানুল হক প্রমুখ।

প্রশ্ন (১/৮১) : মহিলা মাদ্রাসায় বাধ্যগত কারণে পুরুষ শিক্ষক পাঠদান করার ক্ষেত্রে কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখা আবশ্যক? বিশেষত ছাত্রীদের বিবাহ, পবিত্রতা, নারী বিষয়ক মাসআলা পাঠদান করার ক্ষেত্রে শিক্ষার নামে গোপনীয় বিষয়গুলো খোলাখুলি উপস্থাপন করা জায়েয হবে কি?

-মঈন ইসলাম, রংপুর।

উত্তর : শর্তসাপেক্ষে নারীরা পুরুষের দরসে বসতে পারে এবং পুরুষরা পাঠাদান করতে পারে। যেমন- (১) শারঈ পর্দার পোষাক পরিধান করা বা উভয়ের মাঝে প্রয়োজনীয় আড়াল সৃষ্টি করা (নূর ২৪/৩১; আহযাব ৩৩/৫৯)। (২) চক্ষু অবনমিত রাখা (নূর ২৪/৩১)। (৩) অন্তরকে পরিচ্ছন্ন রাখা এবং অপরকে আকৃষ্ট না করা বা নিজে আকৃষ্ট না হওয়া (আহযাব ৩৩/৩২; নূর ২৪/৩১; মুসলিম হা/২১২৮; মিশকাত হা/৩৫২৪)। (৪) নারীর সুগন্ধি ব্যবহার থেকে বিরত থাকা (ছহীহাহ হা/১০৩১)। (৫) নির্জনে অবস্থান না করা (ছহীহাহ হা/৪৩০)। (৬) অপ্রয়োজনীয় কথা বলা থেকে বিরত থাকা (আহযাব ৩৩/৫৩)। আর ফিক্বহী বিষয়গুলো পাঠদানের সময় খোলাখুলি না বলে শালীনতা বজায় রেখে ইশারা-ইঙ্গিতে বুঝানোর চেষ্টা করা ইত্যাদি।

প্রশ্ন (২/৮২) : ইক্বামতের সময় ইমাম কোনদিকে ঘুরে থাকবে? ক্বিবলার দিকে না মুছল্লীদের দিকে?

-আব্দুল্লাহ লাবীব, রাজশাহী।

উত্তর : ইক্বামতের সময় ইমাম কিবলামুখী হয়ে অথবা মুছল্লীদের দিকে মুখ ফিরে থাকবেন। অতঃপর তিনি কাতার সোজা করার প্রতি নির্দেশনা দিবেন। এ সময় তিনি মুছল্লীদের দিকে মুখ করে থাকবেন। আবূ মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছালাতের সময় আমাদের কাঁধ স্পর্শ করে বলতেন, তোমরা সোজা হয়ে দাঁড়াও এবং আগে-পিছে বিচ্ছিন্নভাবে দাঁড়িয়ো না। অন্যথায় তোমাদের অন্তর বিচ্ছিন্নতায় লিপ্ত হবে। বুদ্ধিমান, অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী ব্যক্তিরা আমার কাছাকাছি দাঁড়াবে। অতঃপর এসব বিষয়ে যারা তাদের নিকটবর্তী তারা পর্যায়ক্রমে কাছাকাছি দাঁড়াবে (মুসলিম হা/৪৩২; মিশকাত হা/১০৮৮)। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ছাহাবীদের মাঝে প্রথম সারিতে এগিয়ে আসতে গড়িমসি লক্ষ্য করে তাদেরকে বললেন, সামনে এগিয়ে এসো। আমার অনুসরণ কর। তাহ’লে যারা তোমাদের পেছনে রয়েছে তারা তোমাদের অনুসরণ করবে। এরপর তিনি বললেন, একদল লোক সর্বদাই প্রথম কাতারে দাঁড়াতে দেরী করতে থাকে। পরিণামে আল্লাহ তা‘আলাও তাদের পিছনে ফেলে রাখবেন (মুসলিম হা/৪৩৮; মিশকাত হা/১০৯০)

নু‘মান ইবনু বাশীর (রাঃ) বলেন, আমরা ছালাতে দাঁড়ালে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) (প্রথমে মুখে অথবা হাতে ইশারা করে) কাতারগুলোকে ঠিক করে দিতেন। যখন আমরা ঠিক হয়ে দাঁড়াতাম তিনি তাকবীরে তাহরীমা বলতেন (আবুদাউদ হা/৬৬৫; মিশকাত হা/১০৯৭)। আনাস (রাঃ) বলেন, একদা ছালাতের তাকবীর বলা হ’ল, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদের প্রতি মুখ ফিরিয়ে বললেন, ‘তোমরা কাতার সোজা কর এবং পরস্পরে মিলিত হয়ে দাঁড়াও! নিশ্চয়ই আমি তোমাদেরকে আমার পিছন দিক হ’তেও দেখে থাকি’ (বুখারী, মিশকাত হা/১০৮৬)

আনাস (রাঃ) বলেন, (ছালাত শুরু করার পূর্বে) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রথমে তাঁর ডানপাশে ফিরে বলতেন, ঠিক হয়ে দাঁড়াও, কাতারগুলোকে সোজা করো। তারপর তাঁর বামপাশে ফিরে বলতেন, ঠিক হয়ে দাঁড়াও, কাতারগুলোকে সোজা কর’ (আবুদাউদ হা/৬৭০; মিশকাত হা/১০৯৮)

প্রশ্ন (৩/৮৩) : বায়তুল মাল থেকে মৃত সচ্ছল ব্যক্তির পরিবারকে ঋণ পরিশোধের জন্য সহায়তা করা যাবে কি?

-আব্দুল বাতেন, কাদিরগঞ্জ, রাজশাহী।

উত্তর : বায়তুল মাল রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমাকৃত সম্পদ, যা বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত হয়। যেমন যাকাত, ওশর, খারাজ, জিযিয়া, খাজনা, গণীমত ইত্যাদি। কোন ব্যক্তি মারা গেলে তার সম্পদ থেকে প্রথমেই মাইয়েতের ঋণ পরিশোধ করবে এবং আরো সম্পদ থাকলে অছিয়ত পূর্ণ করবে। এরপর বাকী সম্পত্তি ওয়ারিছেরা ভাগ করে নিবে (নিসা ৪/১১)। এক্ষণে মাইয়েতের পরিত্যক্ত সম্পদ দ্বারা যদি ঋণ পরিশোধ না হয় তাহ’লে রাষ্ট্র বা সংগঠন তা পরিশোধ করার দায়িত্ব নিতে পারে। যেমন রাসূল (ছাঃ) বায়তুল মাল থেকে অসহায়দের ঋণ পরিশোধ করেছিলেন (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১০/৩৩)। অতএব এটা নির্ভর করবে মাইয়েতের আর্থিক অবস্থার উপর।

প্রশ্ন (৪/৮৪) : বাথরুমে ওযূ করার ব্যবস্থা থাকলে সেখান থেকে বের হওয়ার দো‘আ কখন পাঠ করতে হবে? ওযূ করার পূর্বে নাকি বাথরুম থেকে বের হওয়ার সময়?

-ডা. শামসুল হক, রাজশাহী।

উত্তর : ওয়াশরুমে টয়লেট ও গোসলখানা উভয়টি থাকলে টয়লেট সেরে গোসলের স্থানে এসে বিসমিল্লাহ বলে ওযূ শুরু করবে এবং ওযূ শেষে বাথরুম থেকে বের হয়ে ওযূ ও বাথরুম থেকে বের হওয়ার দো‘আ একসাথে পাঠ করবে (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১০/২৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৯৪; ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১/১৩০)। কারণ আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বাথরুম থেকে বের হওয়ার সময় বলতেন, (غُفْرَانَكَ) গুফর-নাকা ‘আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি (আবুদাউদ হা/৩০; মিশকাত হা/৩৫৯)

প্রশ্ন (৫/৮৫) : চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণকালে স্ত্রী সহবাসে শারঈ কোন নিষেধাজ্ঞা আছে কি?

-আজাদ, পঞ্চগড়।

উত্তর : চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণের সময় স্ত্রীর সাথে সহবাসের ব্যাপারে হাদীছে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণের সময় করণীয় সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কারো মৃত্যু ঘটা বা জন্মগ্রহণের কারণে কখনো সূর্যগ্রহণ বা চন্দ্রগ্রহণ হয় না। তোমরা যখন সূর্যগ্রহণ দেখবে তখন এ অবস্থা দূর না হওয়া পর্যন্ত ছালাত আদায় করবে এবং দো‘আ করতে থাকবে’ (বুখারী হা/১০৪০,১০৪২; মিশকাত হা/১৪৮৩)

প্রশ্ন (৬/৮৬) : দাফনের প্রাক্কালে নারী বা পুরুষ মাইয়েতের বুকের উপর নিজের হাত রেখে ইমাম ছাহেব ‘বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ’ বলবেন। এ বিধানের কোন সত্যতা আছে কি?

-রবিউল ইসলাম, নাটোর।

উত্তর : এর কোন ভিত্তি নেই। বরং মাইয়েতকে কবরে রাখার সময় উপস্থিত সকলে ‘বিসমিল্লা-হি ওয়া ‘আলা মিল্লাতে রাসূলিল্লাহ’ অথবা ‘ওয়া ‘আলা সুন্নাতে রাসূলিল্লাহ’ দো‘আটি পাঠ করবে (ইবনু মাজাহ হা/১৫৫০; আহমাদ হা/৪৯৯০)

প্রশ্ন (৭/৮৭) : স্বর্ণের যাকাত সাড়ে সাত ভরি অতিক্রম করলে দিতে হয়। এক্ষণে যাকাত কি সাড়ে সাত ভরির অতিরিক্ত অংশের উপর দিতে হবে নাকি পুরো স্বর্ণের উপরেই দিতে হবে?

-ফয়ছাল আহমাদ, কুমিল্লা।

উত্তর : পুরো স্বর্ণের উপরে যাকাত দিতে হবে। কারণ যাকাত ফরয হওয়ার নেছাব হচ্ছে সাড়ে সাত ভরি। এর কম হ’লে কোন যাকাত দিতে হবে না। কিন্তু এ পরিমাণ বা এর বেশী হ’লে পুরো সোনার মূল্য হিসাব করে শতকরা আড়াই ভাগ হারে যাকাত দিতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/২৬)

প্রশ্ন (৮/৮৮) : রাসূল (ছাঃ) কি তার সকল বক্তব্যের ক্ষেত্রেই দাঁড়িয়ে এবং হাতে লাঠি নিয়ে বক্তব্য দিতেন? এখন যারা মাহফিল, তা‘লিমী বৈঠকে বক্তব্য রাখেন, তাদের কি দাঁড়িয়ে এবং হাতে লাঠি নিয়ে বক্তব্য রাখা উচিত?

-আব্দুল মালেক, চাঁপাই নবাবগঞ্জ সদর।

উত্তর : যেকোন বক্তব্যের সময় প্রয়োজনে লাঠি বা এ জাতীয় কিছু ব্যবহার করা মুস্তাহাব (আবূদাঊদ হা/১০৯৬, সনদ হাসান)। তবে এটি নিয়মিত সুন্নাত বা ওয়াজিব নয়। কারণ রাসূল (ছাঃ) নিয়মিত ব্যবহার করেছেন মর্মে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। সেজন্য হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িম, ওছায়মীন ও আলবানীসহ একদল বিদ্বান প্রয়োজনের প্রেক্ষিতে লাঠি ব্যবহারকে জায়েয বললেও সুন্নাত বলেননি (যাদুল মা‘আদ ১/৪২৯; আশ-শারহুল মুমতে‘ ৫/৬২-৬৩; যঈফাহ হা/৯৬৪-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। অতএব অন্যান্য ওয়ায মাহফিলেও লাঠি ব্যবহারের বিষয়টি সুন্নাত নয়, বরং বক্তার প্রয়োজনের উপর নির্ভর করে।

প্রশ্ন (৯/৮৯) : আমি কা‘বাগৃহের সামনে বসে দো‘আ ও মানত করেছিলাম যে, আমার সন্তান হ’লে আমি ওমরাহ করব। পরবর্তীতে আমার সন্তান হয়েছে। এক্ষণে আমার পক্ষ থেকে আমার স্বামী যদি ওমরাহ করেন তাহ’লে উক্ত মানত পূর্ণ হবে কি?

-ফারযানা আখতার, ঢাকা।

উত্তর : মানত পূর্ণ করা ওয়াজিব। আর হজ্জ এবং ওমরার মানতের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে অন্যকে দিয়ে বদলী আদায় করানো যায়। যেমন মানতকারীর শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা না থাকা কিংবা মানতকারীর মৃত্যু হওয়া। স্মর্তব্য যে, হজ্জের মত বদলী ওমরাহ আদায়কারীর জন্যও নিজে প্রথমে ওমরাহ পালন করা শর্ত (নববী, আল-মাজমূ‘ ৭/১১২; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/২২৩; ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ৪/৭০)

প্রশ্ন (১০/৯০) : ব্যবসা-বাণিজ্যে কত শতাংশ পর্যন্ত লাভ করা যায় সে ব্যাপারে শারঈ কোন নির্দেশনা আছে কি?

-তানযীম হাসান, মানিকগঞ্জ।

উত্তর : লাভের পরিমাণের সীমারেখা নির্দিষ্ট নয়। আল্লাহ বা তাঁর রাসূল (ছাঃ) কেউ লভ্যাংশের সীমারেখা নির্ধারণ করেননি (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৩/৮৮; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব)। তবে ইসলামী শরী‘আতে ‘আল-মাছলাহাতুল মুরসালা’ বা জনস্বার্থ নামে একটি মূলনীতি রয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে পণ্যের মূল্য এতো পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে না যা জনস্বার্থ বিরোধী হয়, তথা সাধারণ মানুষের উপর যুলুম হয়ে যায়। বরং জনগণকে সুলভ মূল্যে পণ্য সরবরাহ করার জন্য সর্বদা চেষ্টা করতে হবে (মা‘আলিমু ফী উছূলিল ফিক্বহ ইন্দা আহলিস সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আহ ২৩৫-২৪০ পৃ.; শানক্বীতী, আল-মাছালিহুল মুরমসালাহ গ্রন্থ দ্রষ্টব্য)।

প্রশ্ন (১১/৯১) : সাধারণ বিদ‘আত কিংবা কুফরী পর্যায়ভুক্ত বিদ‘আত উভয় বিদ‘আতীর আমলই কি তওবা না করা পর্যন্ত কবুল হবে না?

-গোলাম রাববী, বরিশাল।

উত্তর : বিদ‘আতযুক্ত আমল যে প্রকারেরই হোক, তওবা না করা পর্যন্ত তা আল্লাহর কাছে কবুল হবে না (আবূদাঊদ হা/৪৬০৭, সনদ ছহীহ)। উল্লেখ্য যে, বিদ‘আতকারীর কোন প্রকার আমল কবুল হয় না, তা নয়; বরং তার যে আমলটি বিদ‘আতযুক্ত, সেটি কবুল হবে না (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ১১/৬৮৪-৮৫)। স্মর্তব্য যে, যদি কেউ তওবা করে, তবে মহান আল্লাহ তাকে ক্ষমা করতে পারেন এবং স্বীয় অনুগ্রহে তার কৃতকর্মগুলোকে সৎকর্মেও রূপান্তরিত করে দিতে পারেন (ফুরক্বান ২৫/৭০)

প্রশ্ন (১২/৯২) : জনৈকা নারীর সাথে আমার বিবাহের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আমি কোন কারণে রাগবশত তাকে কিছু কথা বলি। যেমন- তোমার সাথে বিবাহ হ’লে তিন তালাক হয়ে যাবে, এরূপ করলে বিবাহের আগেই তোমাকে তালাক ইত্যাদি ভাষায় তাকে হুমকি দেই। এক্ষণে এরূপ কথায় তালাক কার্যকর হবে কি?

-ইমাম হোসাইন, কুষ্টিয়া।

উত্তর : বিবাহের পূর্বে তালাক কার্যকর হয় না। কারণ যে স্ত্রী নয় তাকে তালাক দেয়ার প্রশ্নই উঠে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, বিয়ের পূর্বে তালাক নেই (ইবনু মাজাহ হা/২০৪৮; মিশকাত হা/৩২৮১, সনদ ছহীহ)। তিনি আরো বলেন, নারীকে স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকারও তার (ইবনু মাজাহ হা/২০৮১; ছহীহুল জামে‘ হা/৭৮৮৭)। অতএব বিবাহের পূর্বে যাই বলা হোক না কেন, তা মূল্যহীন।

প্রশ্ন (১৩/৯৩) : স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রীর অভিভাবক কে? পুত্র, জামাই না অন্য কেউ। সেক্ষেত্রে তিনি কি তার পুত্রের কথা অনুযায়ী চলতে বাধ্য থাকবেন? জামাই যদি তার অধিক পসন্দের হন এবং তিনি জামাইয়ের কথা মত চলেন সেটা জায়েয হবে কি?

-লাবীবা ফেরদাউস, মুহাম্মাদপুর, ঢাকা।

উত্তর : স্বামীর মৃত্যুর পর নারীর অভিভাবক তার পিতা। পিতার অবর্তমানে দাদা, সাবালক ছেলে বা ভাই। যে সকল ক্ষেত্রে অভিভাবকের প্রয়োজন সে সকল ক্ষেত্রে মা ছেলের পরামর্শ অনুসরণ করবেন। সাধারণভাবে সামাজিক ও ধর্মীয় যে কোন ক্ষেত্রে ছেলের জন্য আবশ্যক হ’ল মায়ের আনুগত্য করা। আর মেয়ের জামাতা কখনো শাশুড়ির অভিভাবক হ’তে পারে না। তবে পরিবার পরিচালনায় জামাতার পরামর্শ গ্রহণ করতে পারে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/১৬; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ২০/২০৭)

প্রশ্ন (১৪/৯৪) : আমার ভাইয়েরা তাদের স্ত্রীদের পর্দার ব্যাপারে গাফেল। ফলে আমাকে প্রায়ই চোখের গোনাহের শিকার হ’তে হয়। অনেক বুঝিয়েও কাজ হয় না। এক্ষণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও এরূপ পাপের মধ্যে পড়ে যাওয়ায় আমি গোনাহগার হব কি? এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি?

-সিফান শেখ, নড়াইল।

উত্তর : সর্বদা চক্ষু অবনমিত রাখার চেষ্টা করবে। আল্লাহ বলেন, তুমি মুমিন পুরুষদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে। এটা তাদের জন্য পবিত্রতর (নূর ২৪/৩০)। তবে অনিচ্ছাকৃতভাবে কোন নারীর প্রতি দৃষ্টি পড়ে গেলে দৃষ্টি ফিরিয়ে নিবে। তাহ’লে কোন গুনাহ হবে না। জারীর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে হঠাৎ কোন নারীর প্রতি দৃষ্টি পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, তোমার চোখ ফিরিয়ে নিবে (মুসলিম হা/২১৫৯; মিশকাত হা/৩১০৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হযরত আলী (রাঃ)-কে বলেন, ‘হে আলী! তুমি দৃষ্টির উপর দৃষ্টি ফেলো না। হঠাৎ যে দৃষ্টি পড়ে ওটা তোমার জন্য ক্ষমা। কিন্তু পরবর্তী দৃষ্টি তোমার জন্য বৈধ নয়’ (তিরমিযী, প্রভৃতি মিশকাত হা/৩১১০, সনদ ছহীহ)। এরপর নিজের আর্থিক সামর্থ্য হ’লে আলাদা বাসস্থানের ব্যবস্থা করবে, যাতে ভাবীরা বারবার দৃষ্টির সামনে না পড়ে।

প্রশ্ন (১৫/৯৫) : আমার পরীক্ষা বিকাল ৩-টা থেকে সন্ধ্যা ৬-টা পর্যন্ত। আছরের ছালাতের ওয়াক্ত ৩.১০ মিনিটে। আর মাগরিব ৫.৩০-এ। এক্ষণে আছর ও মাগরিব ছালাতে আদায়ের ক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?

-আমীনুল ইসলাম, মিরপুর, ঢাকা।

উত্তর : বিশেষ পরিস্থিতিতে যোহর-আছর এবং মাগরিব-এশার ছালাত জমা‘ করা অর্থাৎ তাক্বদীম-তাখীর (আগে-পিছে) করে আদায় করা যায়। এক্ষণে এরূপ পরিস্থিতিতে পরীক্ষার পূর্বে যোহর ও আছরের ছালাত এক সাথে আদায় করবে এবং পরীক্ষা শেষে মাগরিব পিছিয়ে এশার সাথে উভয় ওয়াক্তের ছালাত একই সময়ে আদায় করবে (মুসলিম হা/৭০৫; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১২/৩০৯; ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৪/৩৯৩)। তবে এরূপ ক্ষেত্রে ক্বছর করা যাবে না বরং পূর্ণ ৪ রাক‘আত ছালাত আদায় করতে হবে।

প্রশ্ন (১৬/৯৬) : কোন কারণে ওযূ বা তায়াম্মুম করার সুযোগ না হ’লে, ওযূ বা তায়াম্মুম ছাড়াই ছালাত আদায় করা যাবে কি?

-রিয়াদ ইসলাম, আন্দারিয়া পাড়া, মান্দা, নওগাঁ।

উত্তর : একমাত্র পানি ব্যবহারে অক্ষম বা তায়াম্মুম করতে অপারগ ব্যক্তিরা ওযূ ও তায়াম্মুম ছাড়াই ছালাত আদায় করবে। কারণ জ্ঞান থাকা পর্যন্ত মুসলিমের উপর থেকে ছালাত রহিত হয় না (ইবনু হাজার, ফাৎহুল বারী ১/৪৪০; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/৩৭৭; শাওকানী, নায়লুল আওতার ১/৩৩৭)। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) উসায়েদ ইবনু হুযায়ের (রাঃ) এবং আরো কয়েক ব্যক্তিকে আয়েশা (রাঃ)-এর একটি হার সন্ধানের জন্য পাঠিয়েছিলেন, যেটি তিনি যে স্থানে অবতরণ করেছিলেন সেখানে হারিয়েছিলেন। এমতাবস্থায় ছালাতের সময় উপস্থিত হ’ল, অথচ লোকেদের ওযূ ছিল না, আর তারা পানিও পাচ্ছিলেন না। তখন তারা ওযূ ব্যতীতই ছালাত আদায় করলেন। তারপর তারা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট তা বললেন। এমন সময় আল্লাহ তা‘আলা তায়াম্মুমের আয়াত নাযিল করলেন (বুখারী হা/৩৭৭৩; মুসলিম হা/৩৬৭)

উল্লেখ্য যে, যে সকল বাহনে পানি বা মাটি কিছুই পাওয়ার সম্ভাবনা নেই সে সকল বাহনে আরোহণকালে তায়াম্মুমের জন্য প্রয়োজনীয় মাটির টুকরো বহন করতে পারে (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ইখতিয়ারাতুল ফিক্বহিয়া ৩৯৬ পৃ.)

প্রশ্ন (১৭/৯৭) : যেকোন নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রেই কি নেতার পাপের বোঝা কর্মীকে বহন করতে হবে? বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে মন্দের ভালো হিসাবে নেতা নির্বাচন করতে হয়। কারণ কেউই ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। কে কি পাপ করবে সেটা বুঝাও যায় না। এরূপ ক্ষেত্রেও কি নেতার পাপের বোঝা ভোটারদের বহন করতে হবে কি?

-গোলাম কিবরিয়া, বড়াইগ্রাম, নাটোর।

উত্তর : যেকোন পর্যায়ের নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিয়ত সঠিক রেখে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে সমর্থন দিবে। এরপর যদি সে কোন পাপ কাজে লিপ্ত হয়, তবে সে নিজেই গুনাহগার হবে। কারণ কেউ কারো পাপের বোঝা বহন করবে না (আন‘আম ৬/১৬৪)। আল্লাহ বলেন, কাফেররা মুমিনদের বলে তোমরা আমাদের পথ অনুসরণ কর। আমরা তোমাদের পাপভার বহন করব। অথচ তারা তাদের পাপভার কিছুই বহন করবে না। বস্ত্তত ওরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী (আনকাবূত ২৯/১২)

তবে যদি কেউ কোন নেতাকে পাপের কাজে সহায়তা করে, পাপ কাজ দেখেও সমর্থন করে তাহ’লে তার পাপের বোঝা সমর্থনকারীকেও বহন করতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘তারা অবশ্যই নিজেদের পাপভার বহন করবে এবং সেই সাথে অন্যদের পাপভার। আর তারা যেসব মিথ্যারোপ করেছে, সে বিষয়ে ক্বিয়ামতের দিন অবশ্যই তারা জিজ্ঞাসিত হবে’ (আনকাবূত ২৯/১৩)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘আর যারা যুলুম করেছে তোমরা তাদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না, অন্যথায় আগুন তোমাদেরকে স্পর্শ করবে এবং আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবক থাকবে না। অতঃপর তোমরা সাহায্যপ্রাপ্ত হবে না’ (হূদ ১১/১১৩)

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আর যে লোক ইসলামে কোন অশুভ নীতি চালু করল এবং তারপরে সে অনুযায়ী আমল করা হ’ল তাহ’লে ঐ আমলকারীর মন্দ প্রতিদানের সমান গুনাহ তার জন্য লিখিত হবে। এতে তাদের পাপ সামান্য ঘাটতি হবে না’ (মুসলিম হা/১০১৭)। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশসহ অধিকাংশ দেশে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক যে পদ্ধতি চালু আছে তা শরী‘আত সম্মত নয়। কেননা ইসলাম জ্ঞানীদের পরামর্শ ভিত্তিক শাসন ব্যবস্থা সমর্থন করে। অথচ প্রচলিত গণতন্ত্রে স্রেফ মাথা গণনা করা হয়। তার মেধা যাচাই করা হয় না। এটা দেখেও যারা এই ভোটে অংশগ্রহণ করে, তারা ঐ জনপ্রতিনিধির পাপের ভাগীদার হবে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘যে ব্যক্তি ভাল কাজে সুফারিশ করে, তার জন্য তাতে একটি অংশ থাকে। আর যে ব্যক্তি মন্দ কাজে সুফারিশ করে তার জন্য তাতে একটি অংশ থাকে। বস্ত্তত আল্লাহ সকল বিষয়ের উপর শক্তিমান’ (নিসা ৪/৮৫)। 

প্রশ্ন (১৮/৯৮) : স্ত্রীর জৈবিক চাহিদা পূরণের আহবানে স্বামী বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে যদি মাঝে মাঝেই সাড়া দিতে না পারে তাহ’লে স্বামীর গোনাহ হবে কি?

-নাঈম, কাহালু, বগুড়া।

উত্তর : স্বামী তার সক্ষমতা অনুযায়ী স্ত্রীর জৈবিক চাহিদা মিটানোর চেষ্টা করবে। আল্লাহ বলেন, তোমরা স্ত্রীদের সাথে সদ্ভাবে বসবাস কর। যদি তোমরা তাদের অপসন্দ কর, (তবে হ’তে পারে) তোমরা এমন বস্ত্তকে অপসন্দ করছ, যার মধ্যে আল্লাহ প্রভূত কল্যাণ রেখেছেন (নিসা ৪/১৯)। স্ত্রীর জৈবিক চাহিদা পুরণ করা তার সাথে সদ্ভাবে বসবাস করার অন্তর্ভুক্ত। কেউ সক্ষমতা থাকার পরেও বা সময়-সুযোগ থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাকৃতভাবে স্ত্রীর চাহিদা পূরণ না করলে সে গুনাহগার হবে। যদিও স্ত্রী চাওয়ামাত্রই স্বামী তার চাহিদা মিটানোতে বাধ্য নয় (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ১/২৯৪; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৫/২৪১)। উল্লেখ্য যে, সহবাস করাও একটি সৎকর্ম। একদা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ‘তোমাদের স্ত্রী-মিলন করাও ছাদাক্বা। ছাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের কেউ স্ত্রী-সহবাস করে নিজের জৈবিক ক্ষুধা নিবারণ করে, তবে এতেও কি তার নেকী হবে? তিনি বললেন, তোমাদের কি ধারণা! যদি কেউ অবৈধভাবে যৌন-সম্ভোগ করে, তাহ’লে কি তার পাপ হবে? তারা বললেন, নিশ্চয়ই হবে। অনুরূপভাবে সে যদি বৈধভাবে নিজের জৈবিক ক্ষুধা নিবারণ করে, তাহ’লে তাতে তার নেকী হবে’ (মুসলিম হা/১০০৬; মিশকাত হা/১৮৯৮)

প্রশ্ন (১৯/৯৯) : বড়শি দিয়ে টোপ ফেলে মাছ শিকার করা জায়েয হবে কি? এভাবে ধোঁকা দিয়ে শিকার করা তাক্বওয়া বিরোধী কি? ইমাম বুখারী খাবারের ধোঁকা দিয়ে ঘোড়ার গলায় দড়ি বাধায় জনৈক লোকের নিকট থেকে হাদীছ গ্রহণ করেননি। এ ব্যাপারে সঠিক সমাধান কি?

-শরীফুল ইসলাম, রাজশাহী।

উত্তর : যেকোন হিলা বা কৌশল অবলম্বন করে মাছ শিকার করা যায়। এটা প্রতারণা হিসাবে গণ্য হবে না (রুহায়বানী, মাতালিবু উলিন নুহা ৬/৩৫৪)। কারণ আল্লাহ তা‘আলা (মাছ-মাংস সহ) সব কিছুকে মানুষের কল্যাণের জন্য সৃষ্টি করেছেন (বাক্বারাহ ২/২৯)। আর ইমাম বুখারীর বিষয়টি ছিল হাদীছ সংকলনে তার অধিকতর সতর্কতার বিষয়। সুতরাং মাছ শিকার আর হাদীছ যাচাই করা এক নয়।

প্রশ্ন (২০/১০০) : আমাদের স্কুলের নিউট্রিশন ক্লাবে ছেলে মেয়ে উভয়ে একত্রে কাজ করতে হয়। শিক্ষিকাগণ জোরপূর্বক আমাদের বাধ্য করেন এতে অংশগ্রহণ করতে। এখানে ছেলেদের সাথে কথা বলতে হয়। পরামর্শ করতে হয়। তারা আমাদের দিকে তাকিয়ে কথা বলে। বাধ্যগতভাবে একত্রে কাজ করার জন্য গুনাহগার হ’তে হবে কি?

-ফারহানা যামান, দিনাজপুর।

উত্তর : এভাবে পর্দার বিধান লংঘন করে ক্লাবের কাজে সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না। কেননা এতে শয়তান পরস্পরকে পাপ কাজে প্ররোচিত করবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আর তুমি মুমিন নারীদের বলে দাও, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থান সমূহের হেফাযত করে। আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে কেবল যেটুকু প্রকাশ পায় সেটুকু ব্যতীত। আর তারা যেন তাদের মাথার কাপড় বক্ষদেশের উপর রাখে (অর্থাৎ মাথা ও বুক দু’টিই ঢেকে রাখে)। আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে (নূর ২৪/৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কোন বেগানা পুরুষ কোন বেগানা মহিলার সাথে নির্জনে অবস্থান করলে তাদের তৃতীয় জন হয় শয়তান (তিরমিযী হা/১১৭১, মিশকাত হা/৩১১৮)। এক্ষণে যে সকল প্রতিষ্ঠানে নারীদের জন্য আলাদা ল্যাব বা আলাদা সময়ে বা অন্য স্থানে ক্লাবের ব্যবস্থা আছে সেখানে পড়াশুনা করবে। কেননা সহশিক্ষা ও সহকর্মস্থল ইসলামে নিষিদ্ধ। আর বাধ্যগত বিষয়ের হুকুম আলাদা। এটি বাধ্য হয়ে মৃত ভক্ষণের মত নয়’ (বাক্বারাহ ২/১৭৩)

প্রশ্ন (২১/১০১) : যৌথ ফ্যামিলিতে একত্রে থাকার কারণে পর্দা মেনে চললেও কাজ করার ক্ষেত্রে গায়রে মাহরামের সামনে কনুই পর্যন্ত দুই হাত, পায়ের গোড়ালী বা পাতা ঢেকে রাখা সম্ভব হয় না। এতে আমি গুনাহগার হব কি?

-হাবীবা ইসলাম, ঢাকা।

উত্তর : সাধ্যমত পর্দা রক্ষার করবে এবং পরিপূর্ণ পর্দা করা যায় এমন পরিবেশ তৈরীর চেষ্টা করবে (তাগাবুন ৬৪/১৬)। প্রয়োজনে একক পরিবার নিয়ে বসবাস করার চেষ্টা করবে। মনে রাখতে হবে যে, নারীদের হাতের কব্জি পর্যন্ত অংশ পর্দার অন্তর্ভুক্ত। অনুরূপভাবে নারীদের পায়ের পাতা পর্যন্ত পর্দার অন্তর্ভুক্ত (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৫/২৩৮; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৭/২৩৯)

প্রশ্ন (২২/১০২) : মসজিদের পাশে খ্রিষ্টানদের পরিচালিত এনজিও ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন’ সংস্থা একটি পানির ট্যাংক স্থাপন করেছে। এর পানি দিয়ে ওযূ করা যাবে কি?

-জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

উত্তর : অমুসলিমদের ব্যবস্থাপনায় নির্মিত ট্যাংক-এর পানি দ্বারা ওযূ করা জায়েয। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ইহূদী-নাছারাদের দেওয়া হাদিয়া গ্রহণ করেছেন (বুখারী হা/৩১৬১; ইবনু তায়মিয়াহ, ইকতিযাউছ ছিরাতিল মুস্তাক্বীম ১/২৫১)। অতএব পানি পবিত্র হ’লে ওযূ করা যাবে।

প্রশ্ন (২৩/১০৩) : ছালাতুল ইস্তিস্কায় দাঁড়িয়ে হাত উল্টিয়ে মুনাজাত করা হয়। এরূপ করা সুন্নাহসম্মত কি? এছাড়া এসময় দাঁড়িয়ে কাপড় উল্টিয়ে দিতে হয়। এসবের ব্যাখ্যা কি?

-জাহিদুল ইসলাম, ঢাকা।

উত্তর : ইস্তিস্কার ছালাতে দু’টি কাজ ভিন্নভাবে বা নতুন আঙ্গিকে করা হয়। (১) ছালাতের মধ্যে চাদর পরিবর্তন করা। এর হিকমত সম্পর্কে বলা হয়েছে, এই ছালাতের মাধ্যমে বৃষ্টির প্রত্যাশা করা হয় এবং বৃষ্টি হ’লে খারাপ অবস্থা থেকে ভালো অবস্থার দিকে প্রত্যাবর্তন করা হয়। যার মাধ্যমে এক অবস্থা থেকে অন্য অবস্থায় ফিরে যাওয়ার লক্ষণ সুস্পষ্ট হয়। ২. দো‘আর সময় হাতের তালু নিম্নমুখী করা। এর হিকমত হচ্ছে অবস্থার পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষা করা। ইমাম নববী (রাঃ) বলেন, কেবল ছালাতুল ইস্তিস্কায় প্রার্থনা করার সময় হাতের তালুর পিঠ দিয়ে দো‘আর মাধ্যমে পরিস্থিতির পরিবর্তন সম্পর্কে আশাবাদ রয়েছে, যেমনটি পোষাক পরিবর্তনের মধ্যেও রয়েছে (নববী, শরহ মুসলিম ৬/১৮৮)। কেউ কেউ বলেছেন, হাতের তালু নিম্নমুখী করার মাধ্যমে প্রার্থনা করা হয় যে, এভাবে মেঘমালাকে উল্টিয়ে বৃষ্টি বর্ষণ করা হউক। অর্থাৎ হাতের তালু নিম্নমুখী করলে যেমন হাতের পানি পড়ে যায়, তেমনি আল্লাহর পক্ষ থেকে বৃষ্টি নামার কামনা করা হয় (ফাৎহুল বারী ২/৫১৮; শাওকানী, নায়লুল আওতার ৪/১২)। সর্বোপরি আল্লাহই সর্বাধিক অধিক অবগত।

প্রশ্ন (২৪/১০৪) : আমি একটা সরকারী কলেজে শিক্ষকতা করি। শিক্ষকগণ সকালে আসেন এবং দুপুর দুইটায় ক্লাস শেষ করে চলে যান। কিন্তু সরকারী নির্দেশনা হ’ল, সকাল ৯-টা থেকে বিকেল ৫-টা পর্যন্ত অফিস করা। তাদের যুক্তি হ’ল তারা ক্লাস নিয়েছেন তাদের কাজ শেষ। তারা খাতা দেখা সহ অন্যান্য কাজ বাসায় রাতেও করেন। এমনকি ছুটির দিনেও প্রয়োজনে কাজ করেন। তাদের অফিস টাইমের বাইরে বাসায় পড়াশোনাও করতে হয়, যা সরকারী অন্যান্য অফিসাররা করেন না। তাই তারা সরকারী অফিস টাইমের নিয়ম মানেন না। তাদের এ কাজে প্রিন্সিপালেরও মত আছে। তিনি বাধা দেন না। এমতাবস্থায় আমার করণীয় কি? আমি কি চলে যাবো, না চাকুরীবিধি অনুযায়ী অফিসে ৫-টা পর্যন্ত কাজ করব?

-মুক্তা, রাজশাহী।

উত্তর : পরিচালনা পরিষদের অনুমোদন থাকলে এবং প্রতিষ্ঠানের শৃংখলা ভঙ্গ না হ’লে বা স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত না হ’লে এমন সুযোগ গ্রহণ করা যেতে পারে। কারণ সরকার সময় নির্ধারণের ব্যাপারে অধ্যক্ষ মহোদয়কে কিছু ক্ষেত্রে ইখতিয়ার দিয়ে থাকে। অতএব কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে যথাযথ পন্থা অবলম্বন করবে।

প্রশ্ন (২৫/১০৫) : ৭ বছর আগে আমার তালাকপ্রাপ্তা বোন অন্য কোথাও বিবাহ করেনি। তার ২ সন্তান আছে। তবে তার প্রাক্তন স্বামী ৫ বছর আগে বিবাহ করেছে এবং ঐ ঘরে তার একটি কন্য সন্তান আছে। এখন ঐ স্বামী আমার বোনকে পুনরায় বিবাহ করতে চায়। এটা জায়েয হবে কি?

-শাহাবুদ্দীন, যশোর।

উত্তর : শারঈ পদ্ধতিতে তিন তালাক কার্যকর হ’লে এখন আর পুনরায় বিবাহের সুযোগ নেই। অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীকে তিন মাসে তিন তালাক দিয়ে থাকলে অন্যত্র বিবাহ হওয়ার পর স্বামী কর্তৃক স্বাভাবিকভাবে তালাকপ্রাপ্তা না হওয়া পর্যন্ত সাবেক স্ত্রীকে বিবাহ করতে পারবে না। আর তিন তালাক না দিয়ে থাকলে কিংবা এক বৈঠকে তিন তালাকের মাধ্যমে ভুল পদ্ধতিতে তালাক দিয়ে থাকলে সেক্ষেত্রে নতুন বিবাহের মাধ্যমে উক্ত স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে পারবে (মুসলিম হা/১৪৭২; ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৩৩/৬৭; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২১/৩৯৯)

প্রশ্ন (২৬/১০৬) : বিবাহে ওয়ালীমা, সাজসজ্জা, দেনমোহর ইত্যাদিতে কি পরিমাণ খরচ করা যাবে? এ ব্যাপারে শারঈ কোন নির্দেশনা আছে কি?

-আব্দুল্লাহ শেখ, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

উত্তর : বিবাহে খরচ কম হওয়া উত্তম (আবুদাউদ হা/২১১৭)। এছাড়া যে নারীর বিবাহের মোহর কম, সে বিবাহকে হাদীছে বরকতপূর্ণ বলা হয়েছে (আহমাদ হা/২৪৫২২; ইরওয়া হা/১৯২৮, সনদ হাসান)। অতএব বিবাহ ও মোহরানা সকল ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় থেকে বিরত থাকা উচিৎ।

তবে বর তার সাধ্যানুযায়ী ওয়ালীমা, সাজসজ্জা ইত্যাদিতে খরচ করতে পারে। কারণ শরী‘আতে এ ব্যাপারে কোন সীমারেখা নির্ধারণ করা হয়নি। তবে অপচয় করা যাবে না এবং দরিদ্রদের দাওয়াত থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা খাও ও পান কর। কিন্তু অপচয় করো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীদের ভালবাসেন না’ (আ‘রাফ ৭/৩১)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমরা খাও, পান কর এবং অপচয় ও অহংকার ব্যতীত খরচ ও ছাদাক্বা কর। আল্লাহ তা‘আলা চান যে, তার নে‘মতের নিদর্শন বান্দার মধ্যে পরিলক্ষিত হৌক (হাকেম হা/৭১৮৮, সনদ হাসান)। তিনি আরো বলেন, ঐ ওয়ালীমার খাদ্য নিকৃষ্ট খাদ্য, যে আয়োজনে শুধু ধনীদের দাওয়াত করা হয় এবং গরীবদের বঞ্চিত করা হয় (বুখারী হা/৫১৭৭; মিশকাত হা/৩২১৮)। উল্লেখ্য যে, সমাজে প্রচলিত কনের বাড়ীতে অনুষ্ঠান করার আবশ্যকতা নেই। অনেক সময় বর পক্ষ থেকে অধিক সংখ্যক লোক কনের বাড়ীতে গমন করে, যা কনের পক্ষের উপর যুলুম হয়ে যায়। অতএব এ ধরনের অনুষ্ঠান থেকে সাবধান থাকা কর্তব্য।

উল্লেখ্য, যে বিবাহে খরচ কম সে বিবাহে অধিক বরকত লাভ করা যায় মর্মে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ (বায়হাক্বী শো‘আব হা/৬১৪৬; মিশকাত হা/৩০৯৭; যঈফাহ হা/১১১৭-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)

প্রশ্ন (২৭/১০৭) : জনৈক নারীর প্রতি আমার ভালোবাসা আছে। আগামীতে বিবাহ করার ইচ্ছা আছে। তবে তার সাথে আমি কথাও বলি না এবং শরী‘আত লঙ্ঘন করে কিছু করি না। এভাবে দূর থেকে করো প্রতি আসক্তি থাকলে গুনাহগার হ’তে হবে কি?

-তাওহীদ, রংপুর।

উত্তর : কারো প্রতি মহববত সৃষ্টি হওয়া মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য। এক্ষণে বিবাহের উদ্দেশ্যে কোন মেয়ের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি হ’লে বৈধ অভিভাবকের নিকটে বিবাহের প্রস্তাব দিয়ে বিবাহের ব্যবস্থা করবে। রাযী না হ’লে তাক্বওয়া অবলম্বন করবে এবং আসক্তি দূর করার চেষ্টা করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব; ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৯/০২)

প্রশ্ন (২৮/১০৮) : ইবনু হযমের ‘মুহাল্লা’ গ্রন্থে আছার বর্ণিত হয়েছে যে, ইবনু মাসঊদ (রাঃ) বলেছেন, ছালাতে তিনটি বিষয় অনুচ্চস্বরে পাঠ করতে হবে। আঊযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ ও আমীন। আছারটি ছহীহ কি?

-আহনাফ, বরিশাল।

উত্তর : অনুরূপ বর্ণনা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব ও আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে। ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) বলেছেন, ইমাম চারটি বিষয় নিঃশব্দে পড়বে। আঊযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ, আমীন ও রববানা লাকাল হামদ (ইবনু হযম, মুহাল্লা ২/২৯৪)। বর্ণনাটির পূর্ণ সনদ না থাকায় তা গ্রহণযোগ্য নয়।

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসঊদ বলেছেন, ইমাম তিনটি বিষয় নিঃশব্দে পড়বে। আঊযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ এবং আমীন (ইবনু হাযম, মুহাল্লা ২/২৯৪)। উক্ত বর্ণনার কোন সনদ নেই। তাছাড়া ইব্রাহীম নাখঈ তাদলীস করেছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয় (ত্বাবাক্বাতুল মুদাল্লিসীন, জীবনী নং ৩৫)। ইবনু হযম উক্ত বর্ণনা উল্লেখ করার পর বলেছেন ইমাম আবু হানীফা ও সুফিয়ান ছাওরী ওমর ও ইবনু মাসঊদ থেকে বর্ণনাটি নকল করেছেন। তবে তাদের কথা রাসূলের আমল ও কথার উপর দলীল নয় (মুহাল্লা ২/২৯৫)। 

প্রশ্ন (২৯/১০৯) : জেনে-বুঝে কোন অত্যাচারী ব্যক্তি বা শাসককে সহযোগিতা করা, তাকে শক্তিশালী করা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাওয়ার মত পাপ কি?

-মুনীরুয্যামান, সাভার, ঢাকা।

উত্তর : উক্ত মর্মে একটি প্রসিদ্ধ হাদীছ পাওয়া যায়। যাতে বলা হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি অত্যাচারীর সাথে এ উদ্দেশ্যে চলে যে, সে তার শক্তি বৃদ্ধি করবে; আর সে এটা জানে যে, সে যুলুমকারী, তবে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল’ (ত্বাবারাণী কাবীর হা/৬১৯; মিশকাত হা/৫১৩৫; যঈফাহ হা/৭৫৮)। তবে বর্ণনাটির সনদ ছহীহ নয় (আলবানী, যঈফাহ হা/৭৫৮)। এক্ষণে যুলুম যদি বড় শিরক পর্যায়ের হয় এবং তাতে কেউ সহায়তা করে তাহ’লে সে ইসলাম থেকে বের হয়ে যাবে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘আর তোমরা যালেমদের প্রতি ঝুঁকে পড়ো না। তাহ’লে তোমাদেরকে জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবে’ (হূদ ১১/১১৩)

উল্লেখ্য যে, কোন অবস্থাতেই এবং কোনভাবেই যালেম শাসককে সহায়তা করা যাবে না। আত্বা বিন রাবাহ বলেন, ‘কারো জন্য যালেমকে সাহায্য করা জায়েয নয়। তার জন্য কোন কিছু লিখে দিবে না এবং তার সাহচর্যে থাকবে না। যদি কেউ এর কোন একটি করে, তাহ’লে সে যালেমের সাহায্যকারী হিসাবে গণ্য হবে’ (তাফসীরে কুরতুবী ১৩/২৬৩)

ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘যালেমদের এজেন্ট হচ্ছে সেই ব্যক্তি, যে তাদের সাহায্য করে; যদিও সে তাদের জন্য কালি প্রস্ত্তত করে অথবা তাদের জন্য একটি কলম তৈরী করে দেয়। এমনকি কেউ কেউ মনে করেন, যে যালেমদের কাপড় ধুয়ে দেয় সেও তাদের সহযোগী’ (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৭/৬৪)। তিনি আরো বলেন, ‘কোন লোকের জন্য যালেমের সহায়ক হওয়া জায়েয নয়’ (মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ২৮/২৮৩)

প্রশ্ন (৩০/১১০) : আমার পিতা মায়ের মৃত্যুর পর আরেক বিধবা নারীকে বিবাহ করেছেন। যার ১০ বছর বয়সী ১টা ছেলে আছে। আমার পিতা বাসায় কেউ আসলে বা কেউ জিজ্ঞেস করলে ঐ ছেলেকে নিজের ছেলে হিসাবেই পরিচয় করিয়ে দেন। এটা জায়েয হবে কি?

-আব্দুল্লাহ আল-নাঈম, চট্টগ্রাম।

উত্তর : সাধারণভাবে এমন সন্তানকে ছেলে হিসাবে পরিচয় দিতে পারে। তবে ব্যাখ্যার প্রয়োজন হ’লে বিষয়টি স্পষ্ট করে দিবে। কারণ অন্যের সন্তানকে নিজ সন্তান হিসাবে পরিচয় দেয়া প্রতারণার শামিল। আর আল্লাহ তা‘আলা বলেন, তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের ‘পুত্র’ করেননি। এগুলি তোমাদের মুখের কথা মাত্র। বস্ত্তত আল্লাহ সত্য বলেন এবং তিনিই সরল পথ প্রদর্শন করে থাকেন। তোমরা তাদেরকে তাদের পিতৃ পরিচয়ে ডাকো। সেটাই আল্লাহর নিকট অধিক ন্যায় সঙ্গত। যদি তোমরা তাদের পিতৃ পরিচয় না জানো, তাহ’লে তারা তোমাদের ধর্মীয় ভাই ও বন্ধু (আহযাব ৩৩/৪-৫)। অতএব পরিস্থিতির দিকে খেয়াল রেখে স্ত্রীর পূর্বের স্বামীর সন্তানের পরিচয় দিবে।

প্রশ্ন (৩১/১১১) : আমি ক্রোধবশতঃ স্ত্রীকে বলেছি যে, আগামীতে তুমি নেকাব ছাড়া বাসার বাইরে বের হ’লে আমাদের মধ্যে তালাক হয়ে যাবে। এক্ষণে একথা ফিরিয়ে নেয়ার কোন উপায় আছে কি? সে নেকাব ছাড়া বের হ’লে ১ তালাক হয়ে যাবে কি?

-আতীকুর রহমান, মুন্সীগঞ্জ।

উত্তর : এমতাবস্থায় স্ত্রী নেকাব ছাড়া বাসার বাইরে বের হ’লে এক তালাক হয়ে যাবে। কারণ ভবিষ্যতের শর্তযুক্ত তালাক ফিরিয়ে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। বরং শর্ত ভঙ্গের সঙ্গে সঙ্গেই এক তালাক হয়ে যাবে। সেজন্য স্ত্রীর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং অধিক হারে নছীহত করবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/৪২৭)। তবে ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, যদি কোন ব্যক্তি তালাক শব্দ ব্যবহার করে স্ত্রীকে শাসনের নিয়তে তালাককে শর্তযুক্ত করে তাহ’লে উক্ত তালাক সংঘটিত হবে না। বরং সেটা কসম হিসাবে গণ্য হবে এবং কসম ভঙ্গের কারণে স্বামীকে কাফফারা আদায় করতে হবে। কিন্তু তালাকের নিয়তেই তালাককে শর্তযুক্ত করে থাকলে স্ত্রী যখনই শর্তভঙ্গ করবে তখনই এক তালাক হয়ে যাবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ৩৩/১২৯)

প্রশ্ন (৩২/১১২) : বর্তমানে পণ্য বিক্রয়ের সাথে সাথে নানা অফার দেয়া হচ্ছে। যেমন ১০টি বই কিনলে ওমরাহ করার সুযোগ। যাতে লটারীর মাধ্যমে ১জন সুযোগ পায়। মূলত উক্ত বইয়ের মূল্যের মধ্যে ওমরাহ করানোর খরচের চেয়ে অধিক অর্থ তুলে নেয়া হচ্ছে। তারপর লটারীর মাধ্যমে ১ জনকে নির্বাচন করে ওমরায় পাঠানো হচ্ছে। এটা জায়েয হবে কি?

-আতীকুল ইসলাম, ঢাকা।

উত্তর: কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে উক্ত পণ্য ক্রয়-বিক্রয় করা জায়েয। ১. পণ্যের মূল্য বাজারদর অপেক্ষা বেশী হওয়া যাবে না। ২. কেবল পুরস্কার পাওয়ার উদ্দেশ্যে পণ্য ক্রয় করা যাবে না। ৩. অন্য ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য থাকা যাবে না। উক্ত তিনটি বিষয়ের কোন একটি থাকলে উক্ত পণ্য ক্রয় করা যাবে না। আর কোন বৈধ উদ্দেশ্যে কাউকে নির্বাচনের জন্য লটারীর আশ্রয় গ্রহণ করা জায়েয। এছাড়া পণ্যের সাথে সুনির্দিষ্ট কোন উপহার প্রদান করা হ’লে তা গ্রহণেও কোন বাধা নেই (ওছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ৪৯/০৫; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন ‘আলাদ-দারব)

প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : কোন ব্যক্তি মারা গেলে মৃত ব্যক্তির কবরে মাটি দেওয়ার উদ্দেশ্যে কবরস্থানের মাটি মুষ্টিবদ্ধ করে দো‘আ পড়ে একটি পাত্রে রেখে সেই মাটি মহিলারা কবরস্থানে পাঠাতে পারবে কি?

-সাদিয়া আফরীন, তালা, সাতক্ষীরা।

উত্তর : মাইয়েতকে দাফন করার দায়িত্ব পুরুষদের। যদিও নারীরা জানাযায় অংশ গ্রহণ করতে পারে। সেজন্য নারী হোক বা পুরুষ হোক কারো জন্য দূরে কোন পাত্রে মাটি দিয়ে সে মাটি কবরে দেয়া জায়েয নয়। বরং যাদের সামর্থ্য আছে তারা কবরে মাইয়েতের মাথার দিক থেকে তিন অঞ্জলী মাটি ‘বিসমিল্লাহ’ বলে কবরের উপরে ছড়িয়ে দিবে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ২/৩৭২; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২৫/১৯৯)

প্রশ্ন (৩৪/১১৪) : বিবাহের কয়েক মাস পর স্বামীর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হ’লে আমি পিতার বাসায় চলে আসি। গর্ভবতী হওয়ায় ডিভোর্স হয়নি। পরে অনেক বার যেতে চেয়েছি সন্তানের কথা ভেবে। সে নেয়নি। দু’বছর পর স্বামীর ইচ্ছায় আবার ওনার বাড়িতে এসেছি। এক্ষেত্রে আমাদের বিবাহ বহাল আছে কি? চলে আসার কারণে আমি গোনাহগার হব কি?

-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক।

উত্তর : স্বামী তালাক না দিলে বা নারী খোলা‘ না করে থাকলে বিবাহ বহাল আছে। কারণ তালাক এবং খোলা‘ ব্যতীত বিবাহ বিচ্ছিন্ন হয় না। অতএব দু’বছর পর স্বামীর ঘরে ফিরে আসায় অপরাধ হয়নি এবং এজন্য গুনাহগার হওয়ারও কোন কারণ নেই। বরং বৈবাহিক সম্পর্ক রক্ষা করার নেকী রয়েছে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৩২/১০৭, ১১৩, ১৩২; ফিক্বহুস সুন্নাহ ২/৩১৪)। তবে স্বামীর সাথে বিরোধ করে স্বামীর বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার কারণে অনুতপ্ত হৃদয়ে স্বামীর নিকটে ক্ষমা চাইবে।

প্রশ্ন (৩৫/১১৫) : সাত দিনে আক্বীক্বা করা সুন্নাত। কিন্তু পিতার আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকায় কোনভাবেই তার পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষণে সক্ষমতা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা জায়েয হবে কি?

-নাজমুছ ছাকিব, তালা, সাতক্ষীরা।

উত্তর : যখন আর্থিক সক্ষমতা আসবে তখনই আক্বীক্বা করবে। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘বাচ্চা আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে। তার পক্ষ থেকে সপ্তম দিনে আক্বীক্বা করতে হবে, নাম রাখতে হবে এবং মাথা মুন্ডন করতে হবে’ (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪১৫৩ ‘আক্বীক্বা’ অনুচ্ছেদ)। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নবুআত প্রাপ্তির পর নিজে তার আক্বীক্বা দিয়েছিলেন (ত্বাবারাণী আওসাত্ব হা/৯৯৪; ছহীহাহ হা/২৭২৬)

প্রশ্ন (৩৬/১১৬) : আমার বন্ধু ১৫-১৬ বছর বয়সে সমকামিতায় লিপ্ত ছিল। বর্তমানে সে সবকিছু ত্যাগ করেছে এবং নিয়মিত ছালাত আদায় করছে। কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ সে তার অপরাধ নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। আগামীতে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হ’লে তাকে স্বউদ্যোগে শাস্তি গ্রহণ করতে হবে কি-না সেটা নিয়েও সে ভীত। এক্ষণে তার করণীয় কি?

-*সৌরভ, টাঙ্গাইল।

*[আরবীতে ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]

উত্তর :প্রথমত নিজ অপরাধের কথা গোপন রেখে খালেছ নিয়তে তওবা করবে এবং অধিকহারে সৎকর্ম সম্পাদন করবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর তুমি ছালাত কায়েম কর দিনের দুই প্রান্তে ও রাত্রির কিছু অংশে। নিশ্চয়ই সৎকর্মসমূহ মন্দ কর্মসমূহকে বিদূরিত করে’ (হূদ ১১/১১৪)। তিনি আরো বলেন, ‘বল, হে আমার বান্দারা! যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করে দিবেন। তিনি তো ক্ষমাশীল ও দয়াবান’ (যুমার ৩৯/৫৩)দ্বিতীয়ত কেউ গোপনে কোন পাপ করে ফেললে সেটা ইসলামী রাষ্ট্রের কাছে বলতে হবে এর বাধ্যবাধকতা নেই। বরং আল্লাহ চান কারো পাপের কথা প্রকাশ না পাক। বরং নিজে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করবে। তবে প্রকাশ হয়ে গেলে বা বিচারকের নিকট নালিশ করা হ’লে এবং সেটা প্রমাণিত হ’লে বিচারের মুখোমুখী হ’তে হবে (ইবনু মাজাহ হা/২৫৯৫; মিশকাত হা/৩৫৯৮; সনদ ছহীহ)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত কোন অপরাধ তোমাদের মাঝে সীমাবদ্ধ থাকে, ততক্ষণ তোমরা পরস্পরে তা ক্ষমা করে দাও। আর যদি তা আমার নিকট পেশ করা হয়, তবে তার জন্য শরী‘আত সম্মত শাস্তি প্রদান ওয়াজিব হয়ে যায়’ (আবুদাউদ হা/৪৩৭৬; মিশকাত হা/৩৫৬৮; ছহীহুল জামে‘ হা/২৯৫৪)

প্রশ্ন (৩৭/১১৭) : কুরআন বা হাদীছের সাথে শরীফ যুক্ত করা বিদ‘আত কি? এজন্য গুনাহগার হ’তে হবে কি?

-শফীকুল ইসলাম, হরিপুর, ঠাকুরগাঁও।

উত্তর : শরীফ কুরআনের কোন গুণবাচক নাম নয়। তবে শরীফ অর্থ সম্মানিত, উঁচু, উচ্চ মর্যাদা সম্পন্ন ইত্যাদি। সে হিসাবে কুরআনের সাথে সম্মানার্থে শরীফ শব্দ যুক্ত করলে দোষ নেই। তবে সর্বদা কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত ছিফাতগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করবে। যেমন আল-কুরআনুল কারীম, আল-কুরআনুল হাকীম, আল-কুরআনুল মাজীদ ইত্যাদি (তাফসীরে ত্বাবারী ১/৪৭৫)

প্রশ্ন (৩৮/১১৮) : পূজার সময় বাজারে ছাগল ক্রয়-বিক্রয় চাঙ্গা হয়। এ সময় ছাগল বিক্রয় লাভজনক হয়। এ সময় মুসলমানদের জন্য ছাগল বিক্রয় জায়েয হবে কি?

-ছামিদুল হক, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ।

উত্তর : পূজাকে কেন্দ্র করে ছাগল বিক্রয় করা যাবে না। কারণ এ সময় তা হিন্দুরা কিনে মূর্তির নামে উৎসর্গ করে থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা সৎকর্ম ও আল্লাহভীতির কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা কর এবং পাপ ও সীমালংঘনের কাজে পরস্পরকে সহযোগিতা করো না’...। ‘তোমাদের উপর হারাম করা হ’ল মৃত প্রাণী, রক্ত, শূকরের মাংস, আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে উৎসর্গীত পশু, শ্বাসরোধে মৃত পশু, প্রহারে মৃত পশু, পতনে মৃত পশু, শিংয়ের গুঁতায় মৃত পশু, হিংস্র জন্তুর খাওয়া পশু, তবে যা তোমরা যবেহ দ্বারা হালাল করেছ, তা ব্যতীত এবং পূজার বেদীতে যবেহ করা পশু... (মায়েদাহ ৫/২-৩)। তবে পূর্ব থেকে আর্থিক সংকটের কারণে বিক্রয় করে থাকলে বা মুসলিম ক্রেতার নিকট বিক্রয় করলে বা মূর্তির উদ্দেশ্যে ক্রয় হচ্ছে না বিষয়টি নিশ্চিত হ’লে এ সময়ে ছাগল ক্রয়-বিক্রয়ে দোষ নেই।

প্রশ্ন (৩৯/১১৯) : মসজিদে নববীতে আয়েশা খুঁটি, হান্নানা খুঁটি এরূপ বিভিন্ন খুঁটি রয়েছে। এসব স্থানের পাশে ছালাত আদায় করায় বিশেষ কোন ফযীলত আছে কি?

-মুশফীকুর রহমান, আল-খাফজী, সঊদী আরব।

উত্তর : এসব স্থানে ছালাত আদায় করার পৃথক কোন ফযীলত নেই। মসজিদে নববীর যে কোন স্থানে ছালাত আদায় করলে (মসজিদে হারাম ছাড়া) সে ছালাত অন্য স্থানের এক হাযার ছালাত অপেক্ষা উত্তম হবে (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬৯২ ‘মসজিদ সমূহ’ অনুচ্ছেদ)। উল্লেখ্য যে, মসজিদে কারু নামে দরজা বা খুঁটি বানানো ঠিক নয়। কারণ তাতে মানুষ ফযীলতের ধোঁকায় পড়ে বিদ‘আতে লিপ্ত হ’তে পারে। রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় মসজিদে নববীতে এইসব খুঁটি ছিল না।

প্রশ্ন (৪০/১২০) : পরিবারে আমরা তিন ভাই। পিতা জীবদ্দশায় আমার মায়ের নামে আমাদের সম্মতিতে ১৮ শতক জমি লিখে দেন। পরবর্তীতে আমাদের তিন ভাইয়ের অসম্মতিতে বা আমাদের না জানিয়ে মায়ের নামে আরো ৪০ শতক জমি লিখে দেন। পিতা মারা যাওয়ার পর জানতে পারি যে মায়ের নামে আরো ৪০ শতক জমি আছে। এটা করার কারণে পিতা গোনাহগার হবেন কি? এক্ষণে আমাদের করণীয় কি?

-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, ফরিদপুর।

উত্তর : পিতা নিজ সম্পত্তি খরচ করা বা দান করার ব্যাপারে সম্পূর্ণ স্বাধীন। সন্তানদের অজ্ঞাতে স্ত্রীকে নিজ সম্পদ দান করা অপরাধ নয়। আর এ ব্যাপারে সন্তানদের অবহিত করতেও তিনি বাধ্য নন। কেবলমাত্র একাধিক স্ত্রী বা একাধিক সন্তানদের দান করতে চাইলে সমতা রক্ষা করা আবশ্যক (আবুদাউদ হা/১৬৭৮; ফাৎহুল বারী ৩/২৯৫; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৩/১০২)






প্রশ্ন (১৮/২৫৮) : আমি যে এলাকায় ব্যবসা করি, সেখানকার মানুষ কুকুর ও শূকর কেটে খায়। এমনকি আমি যে বাসায় থাকি তারাও খায়। তারা যে টিউবওয়েল-বাথরুম ব্যবহার করে আমিও সেগুলি ব্যবহার করি। এমনকি যখন ব্যবসা করি তখন তারা রক্ত মাখা হাতেই টাকা বের করে দেয়। এখন আমার প্রশ্ন, এরূপ পরিবেশে ব্যবসা করা জায়েয হবে কি? - -সোহেল রানা, ধুলিয়ান, ভারত।
প্রশ্ন (৩১/৭১) : প্রতি ওয়াক্ত ছালাত বা যেকোন নফল ছালাত শুরুর পূর্বে বিশেষ কোন দো‘আ আছে কি?
প্রশ্ন (২০/৩৮০) : শরী‘আতে জামা‘আতবদ্ধ জীবন-যাপনের গুরুত্ব কতটুকু? ইসলামী নেতৃত্ব কিভাবে গঠিত হবে।
প্রশ্ন (৩৯/৪৩৯) : মু‘আয বিন জাবাল (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, রাসূলুললাহ (সঃ) বলেছেন, আললাহ তা‘আলা শা‘বান মাসের পনের তারিখ রাতে সৃষ্টিকুলের প্রতি রহমতের দৃষ্টি দান করে এবং সকলকে ক্ষমা করে দেন, তবে মুশরিক এবং হিংসুক ব্যতীত (ত্বাবারাণী)। শবেবরাতের ফযীলত প্রমাণে উপস্থাপিত এই হাদীছটি কি ছহীহ?
প্রশ্ন (১২/৯২) : জান্নাতে পুরুষদের জন্য স্ত্রী থাকবে। কিন্তু তারা সেখানে কোন সন্তান জন্ম দিতে পারবে কি?
প্রশ্ন (৪০/৪৪০) : আছহাবুল উখদূদের লোকসংখ্যা কতজন ছিল? সঠিক সংখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২৫/৩০৫) : জনৈক আলেম বলেন, ইবরাহীম (আঃ) আমাদের ‘জাতির পিতা’-একথা ভুল। বরং তিনি কুরায়েশ বংশের পিতা। এ বক্তব্যের সত্যতা আছে কি?
প্রশ্ন (৯/৯) : স্বীয় আত্মাকে পাপ কাজে প্ররোচিত হওয়া থেকে বাঁচানোর জন্য করণীয় কি?
প্রশ্ন (৯/২০৯) : চার রাক‘আত বিশিষ্ট সুন্নাত ছালাতের প্রতি রাক‘আতেই কি অন্য সূরা মিলাতে হবে? না প্রথম দু’রাক‘আতে মিলালেই যথেষ্ট হবে?
প্রশ্ন (২৫/৬৫) : মৃত ব্যক্তির কবরের পাশে নিয়মিতভাবে কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি?
প্রশ্ন (১/৪১) : মিশকাতের ৯২৪, ৯২৬ ও ৯২৮ নং হাদীছে বর্ণিত হয়েছে ‘উম্মতের দরূদ ও সালাম রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট পৌছে’। ৯২৫নং হাদীছে বর্ধিতভাবে এসেছে ‘নিশ্চয় আল্লাহ আমার নিকট আমার রূহ ফেরত দেন যাতে আমি সালামের জবাব দিতে পারি’। সারাবিশ্বে প্রতিনিয়ত দরূদ ও সালাম পাঠ হচ্ছে। এমতাবস্থায় নবী (ছাঃ)-এর জীবিত থাকাই স্বাভাবিক। এক্ষণে হাদীছদ্বয়ের ব্যাখ্যা জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (৬/৪৬) : ‘বূলাস’ নামে কোন নবী ছিলেন কি?
আরও
আরও
.