পথিক

মুহাম্মাদ আনিছুর রহমান

পুলিশ একাডেমী, সারদা, রাজশাহী।

পথিক তুমি ক্ষান্ত কেন চল পুনর্বার,

নইলে হারিবে ভবে দেখিবে অাঁধার।

গোলাপ ছিড়িতে গেলে হাতে বিধে কাঁটা

স্বপ্নের দ্বার নয়ত খোলা সে যে তালা অাঁটা।

বন্ধুর পথে কেন পাবে মনে ভয়,

দেখেছ কষ্ট বিনা আসে কার জয়?

পিপিলিকা অন্নের তরে দিন রাত ঘুরে,

চিল দেখ সুখের জন্য উঠে কত দূরে?

পানকৌড়ি জলে ডুবে মিটায় মনের আশা,

দেখনি কেমনে বাঁধে বাবুই তার বাসা?

তুমিতো মানব জাতি সবাই তোমায় মানে,

কেন তুমি ভীত হয়ে রবে ঘরের কোণে?

হস্ত-পদ শক্ত কর মনে কর বল,

দেখিবে সবই সহজ সবই সমতল।

জিহাদের প্রয়োজন

আশরাফুল হক

মোহনপুর, রাজশাহী।

পৃথিবীতে নেমে এসেছে অাঁধার ডুবে গেছে আফতাব

আকাশে সিতারা ম্রিয়মান ওঠে না আলোর চাঁদ।

যুগের দিশারী ঘুমেতে বিভোর জাগিবার নেই ভাব

কিসের কারণে আজ এ হতাশা কি কারণে অবসাদ?

ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ উত্তাল সাগর হুঁশিয়ার কান্ডারী!

পাহাড় সমান উর্মিমালা, হাঙ্গর-কুমির কত,

মেলেছে থাবা গ্রাসিতে তোমায় দুর্যোগ হয়েছে ভারি

এ তুফান কালে দিতে হবে পাড়ি সিন্দাবাদের মতো।

দিনের আলোক আবার ফুটিবে কেটে যাবে মেঘ-ঝড়

ঘুম ভেঙ্গে সব জেগে ওঠো আজ, জাগো জাগো ভাই-বোন,

সম্মুখে রয়েছে বিপুল আশার স্বপ্ন-জীবনভর

জীবন এবং দ্বীনের জন্য জিহাদের প্রয়োজন।

কেউ কি আছো এই সংকটে ধরিতে ন্যায়ের হাল,

জাতীয় জীবনে যুগের দিশারী হয়ে রইতে চিরকাল?

তওবা

মুমিনুল ইসলাম

নামাযগড় মাদরাসা, নওগাঁ।

জানি হে প্রভু! তোমার নাম রহীম ও রহমান,

ক্ষমা করে ক্বিয়ামতে রেখ আমার মান।

অসংখ্য লোকের মাঝে করো না আমায় অপমান,

ডান হাতে আমলনামা দিয়ে ক্ষমার দিও প্রমাণ।

যেখানে থাকবে প্রথম হ’তে শেষ নবীর অনুসারী,

পাপ পুণ্য মাপার সময় পুণ্যের পাল্লাটা করিও ভারী।

জানার পরেও যুলুম ও অন্যায় করছি নিজের উপর,

ক্ষমার আশায় আজ ভরসা করি শুধু তোমারই উপর।

তোমার ক্ষমা না পেয়ে আমি কোন দরবারে ঘুরি,

তুমি ছাড়া নেই কোন প্রভু তাই তোমায় সদা স্মরি।

তোমার ক্ষমা পেলে হবে না কেউ জাহান্নামী কভু,

তাই তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও হে দয়াময় প্রভু!

জানি আমার পাপ হয়েছে পর্বত পরিমাণ,

তবু এও জানি তোমার দয়া অসীম অফুরান।

শয়তানের ধোঁকায় পড়ে পাপ কাজে লিপ্ত হয়েছিলাম,

তোমার শাস্তির কথা মনে হয়ে পুনরায় ফিরে এলাম।

যাব না আর কখনও সেই কাজে তোমায় কথা দিলাম

তোমার কাছে তওবা করে অন্তরে প্রশান্তি পেলাম।

স্রষ্টার অস্তিত্ব

ক্বামারুযযামান

হারাগাছ, রংপুর।

মাশরিকের ঐ দিগন্তে ওঠে নবারুণ,

অস্ত যায় সন্ধ্যাবেলা কার কুদরতের দরুণ।

চারদিকে আসমান সাদা মেঘের ভেলা,

কোন সে কবির অতুল ছবি নিখুঁতভাবে অাঁকা।

অপরূপ সৃজন তোমার করছে তাসবীহ গুণগান,

অশ্রু ঝরে তোমার ভয়ে তুমিই স্রষ্টা মহান।

অবিনশ্বর এক, তুমি যে রিযিকদাতা,

তুমি যে অস্তিত্বশীল জানে না অনেক মানব ভ্রাতা

নিদর্শন তোমার ছড়িয়ে আছে এই ধরণীর বুকে,

বিবেক থাকার পরেও যে না বুঝে,

ব্যর্থ তার এ জনম এসে ধরা মাঝে।

প্রভুর গুণগান

এফ.এম. নাছরুল্লাহ হায়দার

কাঠিগ্রাম, কোটালীপাড়া, গোপালগঞ্জ।

কার ইশারায় চন্দ্রতারা

দিচ্ছে রাতে কিরণ

কাল মহাকাল এই ধরাতে

কেউ করেনি বারণ।

ছুবহে ছাদিক শেষ হ’ল

মুওয়াযযিনের আহবানে,

মুক্ত গগন ভোরের আলোয়

হরেক পাখির কলতানে।

শিশির কণা ঘাসের ডগায়

সদ্য স্মান করে,

লক্ষ বছর বেঁচে আছে

বংশ বিস্তার করে।

জিন-দানবের ভয় কাটিয়ে

রাত্রি হ’ল শেষ,

সোনার রবির পরশ পেয়ে

আলোকিত দেশ।

দেশ দেশান্তর চির সবুজ

ফসল ঘেরা মাঠ,

আল্লাহ তোমার সৃষ্টি সবি

বিশ্ব ভবের হাট।

ক্ষুধা মুক্ত দারিদ্র মুক্ত

গড় সফল দেশ,

তোমার গুণগান শুকরিয়া প্রভু

হবে নাকো শেষ।

ফুল ফুটল সুবাস দিতে

ফল হ’ল তাতে

আল্লাহ তোমার সৃষ্টি সবি

যা আছে জগতে।






আরও
আরও
.