গত ২৫ নভেম্বর’১৫ আযাদ কাশ্মীর মারকাযী জমঈয়তে আহলেহাদীছের আমীর শায়খ শিহাবুদ্দীন মাদানী (৫৭) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজেঊন)। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী  এবং ৩ ছেলে রেখে গেছেন। ঐদিন বাদ আছর মুযাফফরাবাদের ইউনিভার্সিটি কলেজ ময়দানে তাঁর জানাযায় বহু আলেম-ওলামাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মামনূন হোসাইন, প্রধানমন্ত্রী নওয়ায শরীফ, বিরোধী দলীয় নেতা খুরশীদ শাহ এবং আযাদ কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী চৌধুরী আব্দুল মাজীদসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ শোক প্রকাশ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন তাহরীকে আযাদিয়ে কাশ্মীরের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মুহাম্মাদ ইউনুস আছারী, যিনি আযাদ কাশ্মীর অঞ্চলে আহলেহাদীছ আন্দোলনের মূল উদ্গাতা ছিলেন। তিনি মুযাফফরাবাদ সরকারী পোস্ট গ্রাজুয়েট কলেজের প্রফেসর হিসাবে কর্মরত ছিলেন। এছাড়া মারকাযী জমঈয়তে আহলেহাদীছ, আযাদ কাশ্মীরের আমীর এবং তাহরীকুল মুজাহিদীন জম্মু-কাশ্মীরেরও প্রধান ছিলেন। বিগত আতীকুর রহমান সরকারের আমলে তিনি সরকারী ওলামা-মাশায়েখ কাউন্সিলের সভাপতি এবং ইসলামী নযরিয়াতী কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। আযাদ কাশ্মীর অঞ্চলে তিনি বেশ কয়েকটি আহলেহাদীছ মাদরাসা ও মসজিদ প্রতিষ্ঠাসহ আহলেহাদীছ আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। কাশ্মীরের আযাদী প্রসঙ্গে বিভিন্ন সময় তাঁর সাহসী পদক্ষেপসমূহ প্রশংসিত হয়েছে। ২০০৪ সালের ৮ই আগস্ট ওআইসির সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াদ আব্দুল্লাহ আমীন মাদানী কাশ্মীর সফরে এলে তিনি তাঁর সাথে নির্ধারিত বৈঠক বয়কট করেন। তিনি বলেন, ওআইসির সেক্রেটারীকে তিনি অত্যন্ত সম্মান করলেও মুসলিম উম্মাহর উপর অব্যাহত নির্যাতনের বিরুদ্ধে তাঁর কোন পদক্ষেপ না থাকায় তিনি প্রতিবাদস্বরূপ বৈঠক বয়কট করছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে কাশ্মীর আযাদী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ স্বাগত জানান।






আরও
আরও
.