২রা নভেম্বর শনিবার আলতাফুন নেসা খেলার মাঠ, বগুড়া :
অদ্য বাদ আছর যেলা শহরের ঐতিহাসিক আলতাফুন নেসা খেলার মাঠে ‘আহলেহাদীছ
আন্দোলন বাংলাদেশ’ বগুড়া যেলার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত যেলা সম্মেলনে প্রধান
অতিথির ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
জনগণের প্রতি উপরোক্ত আহবান জানান। তিনি পবিত্র কুরআনের সূরা হূদের ১১২
আয়াত পাঠ করে বলেন, মানুষের জীবনে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হ’ল লক্ষ্য নির্ধারণ
করা ও সেই লক্ষ্যে অবিচল থাকা। মুমিন জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য হ’ল জান্নাত
পাওয়ার উদ্দেশ্যে যে কোন মূল্যে ছিরাতে মুস্তাক্বীমের উপরে অবিচল থাকা।
প্রখ্যাত ছাহাবী সুফিয়ান বিন আব্দুল্লাহ ছাক্বাফী রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট
উপদেশ চাইলে তিনি বলেন, ‘তুমি বল আমি বিশ্বাস স্থাপন করলাম আল্লাহর উপরে।
অতঃপর এই বিশ্বাসের উপর অবিচল থাক’। ছিরাতে মুস্তাকীমের উপর টিকে থাকতে
আমরা দৈনন্দিন ছালাতে আল্লাহর নিকটে সূরা ফাতিহার মাধ্যমে প্রার্থনা করে
থাকি। সেখানে অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট ইহূদী-নাছারাদের পথে না যাওয়ার জন্য
আল্লাহর নিকটে সাহায্য কামনা করে থাকি। অথচ আমরা তাদেরই মতবাদে পড়ে
রাজনৈতিক জীবনে নানা দলে বিভক্ত এবং পরস্পরে হিংসা ও প্রতিহিংসায় জর্জরিত।
বলতে গেলে তারাই বেনামীতে সারা পৃথিবী শাসন করছে। তাদের চক্রান্তেই ওছমানীয়
খেলাফত ধ্বংস হয়ে বর্তমানে মুসলিম বিশ্ব ৫৭টি ক্ষুদ্র রাষ্ট্রে বিভক্ত
হয়েছে। এছাড়া ধর্মীয়ভাবে মুসলমানরা আজ শতধা বিভক্ত। তিনি বলেন, রাসূল
(ছাঃ)-এর বাণী অনুযায়ী সবাই জাহান্নামী হবে। কেবল একটি দল ব্যতীত। যারা
পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের একনিষ্ঠ অনুসারী। কেবলমাত্র তারাই জান্নাতী
হবেন।
যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মশীউর রহমান বেলালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম, নারায়ণগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা শফীকুল ইসলাম, মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (পাবনা), যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমীন, প্রচার সম্পাদক মুফীযুল ইসলাম প্রমুখ। সম্মেলনে সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাযযাক।
সম্মেলনের সাথে সাথে সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবী নিরাপদ রক্তদান সংস্থা আল-‘আওন-এর ক্যাম্পিং’ চলে। যেখানে ১৪১ জনের ব্লাড গ্রুপিং হয় এবং ১৮১ জন ডোনর হন।
উল্লেখ্য যে, সম্মেলনে ‘যাবতীয় চরমপন্থা হ’তে বিরত থাকুন’ ‘মদ-জুয়া হ’তে বিরত থাকুন’ এবং ‘ঈদে মীলাদুন্নবী’ প্রভৃতি সংগঠনের প্রচারপত্র সমূহ ব্যাপকহারে বিতরণ করা হয়।