বিভ্রান্তে মুসলিম আমরা মানে বুঝি উল্টা,
উর্দূ না ফার্সী হবে, বিভ্রাটে ছাড়ি মূলটা।
হায় বদনসীব কেমন হুঁশের মুসলমান,
উর্দূ-ফার্সী ভাষা মিলেই কি নাযিল হয়েছে ইসলামী বিধান?
নামাযকে ধরেছি আমরা, ছেড়ে দিয়ে প্রিয় ছালাত,
ছিয়ামকে জানলাম, না খাওয়ার ইবাদত
যাকাতকে ভাবি জরিমানা, বুঝি না মালের পরিশুদ্ধি,
কালেমা হ’ল ভিক্ষার বুলি, কবে ঘটবে জ্ঞানের শুভবুদ্ধি।
‘কদর’ হ’ল সম্মানিত রজনী, খবর রাখি না তার,
‘হাযার মাসের চেয়ে উত্তম’ এ ঘোষণা মহান আল্লাহর।
তাকে অবজ্ঞা করে খুঁজি শুধু হালুয়া-রুটির রাত,
আলফিয়া নামাযে কাটাই কথিত সেই শবেবরাত।
ভাগ্য কি ফিরেছে কভু ওগো হতভাগ্য মুসলমান?
তাহযীবে পৌত্তলিক তুমি তমুদ্দুনে খৃষ্টান!
নইলে পানিকে বল কেন ওদের মত জল,
মাংশ নয় গোস্তই সঠিক মুসলিমগণ বল।
কাজের শুরুতে‘ বিসমিল্লাহ’ বল অন্য কিছু নয়,
সাতশ’ ছিয়াশী লিখলে বেআদবী হয়।
কেমন করে দরূদ হ’ল বালাগাল উলা...
আল্লাহর কাছে এসব দিয়ে যাবে না কিছু চাওয়া।
‘আল্লাহু’ ‘মুহাম্মাদ’ কেন লিখা মসজিদের দেয়ালে,
তবে কি বিভ্রান্তে বিভ্রাট মুসলিম শয়তানী খেয়ালে।
আজব হুজুগে বাড়ছে আবার শিরক-বিদ‘আতের মাত্রা,
আর ঐ দিকে উলুধনী দিয়ে শুরু হয়েছে মঙ্গল শোভাযাত্রা।
রক্ত দিয়ে কেনা আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা,
অধর্ম, অপসংস্কৃতির নামে চাপানো যাবে না কোন পরাধীনতা।
এভাবে বিভ্রান্তে বিভ্রাটে জাতি চলবে কতদিন,
হে মঙ্গলময়, মহান কর্তা আমাদের রেহাই দিন\