
গত
১০ই মার্চ রবিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশান বিভাগের কড়াইল বস্তি সংলগ্ন
এরশাদ স্কুল মাঠে মাদক ও জঙ্গিবাদবিরোধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়াঁ বলেন, মাদক
ব্যবসায়ীদের কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করা হবে। তবে
এটা সত্য যে, পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা ছাড়া মাদক ব্যবসা চলতে পারে
না। প্রয়োজনে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে
তুলতে হবে। তিনি বলেন, আমার পুলিশ যদি মাদকের আখড়া থেকে চাঁদা তোলে,
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যদি মাদকের আখড়া থেকে টাকা তোলে, স্থানীয় নেতারা যদি
সুবিধা নেয়, তাহ’লে এই ব্যবসা কখনো বন্ধ করা যাবে না।
[ডিএমপি কমিশনারের এই স্পষ্ট বক্তব্যের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এটাই তিক্ত সত্য যে, শুধু স্থানীয় নেতারা নয়, বরং সর্বোচ্চ নেতারাও এসবের ভাগ পান, যা ‘ওপেন সিক্রেট’। অতএব মাদক বহনকারীদের গুলি করে হত্যা বা পঙ্গু না করে সর্বোচ্চ রাঘব বোয়ালদের দমন করার মধ্যেই সাময়িকভাবে এর স্রোত বন্ধ করা সম্ভব। স্থায়ীভাবে দমন করতে চাইলে অবশ্যই ইসলামী অনুশাসন ব্যতীত সম্ভব নয়। আশা করি সরকার সবকিছুর উপরে দ্রুত ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থা চালু করবেন এবং প্রশাসনের সর্বস্তরে ইসলামী অনুশাসন কঠোরভাবে পালন করার প্রতি আন্তরিক হবেন (স.স.)।]