মাওলানা মোশাররফ হোসেন আকন্দ (৬২) গত ১১ই জানুয়ারী বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেছেন ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। পরদিন শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় তাঁর জানাযা ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় দূর-দরায থেকে  বিপুল  সংখ্যক  মুছল্লী  অংশগ্রহণ   করেন।   ভোলা   যেলার হয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। একমাত্র বড় ভাই (৯০) ব্যতীত তারা ৪ ভাই ও ৪ বোনের সবাই মারা গেছেন। তিনি নিঃসন্তান ছিলেন।

বোরহানুদ্দীন থানাধীন দেউলা গ্রামে পারিবারিক গোরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। দু’বছর আগে থেকেই তিনি প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ছিলেন।

১৯৯৬ সালে তাবলীগী ইজতেমা উপলক্ষে তিনি প্রথম নওদাপাড়া মারকাযে আসেন ও আমীরে জামা‘আতের নিকট ‘শবেবরাত’ বইয়ের লেখক কে জানতে চান। অতঃপর তিনি আহলেহাদীছ হন। ঐ সময় আমীরে জামা‘আতের সুফারিশে তাঁকে এহইয়াউত তুরাছের সর্বোচ্চ ভাতাপ্রাপ্ত দাঈ নিযুক্ত করা হয়। তাঁর প্রচেষ্টায় ’৯৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে বোরহানুদ্দীন থানার কাচিয়া-চৌমুহনী মাদরাসা ময়দানে আয়োজিত পাঁচদিন ব্যাপী তাফসীর মাহফিলে আমীরে জামা‘আত অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি তাঁদের গ্রামে একটি জামে মসজিদ নির্মাণ করে দেন। যা আজও রয়েছে। তিনি ভাল বক্তা ও তার্কিক ছিলেন। ’৯৬-৯৮ সালে তাওহীদ ট্রাস্টের ঢাকার উত্তরা অফিসে নিয়মিতভাবে আয়োজিত পাক্ষিক ওলামা বৈঠকগুলিতে তিনি সক্রিয় ভূমিকা রাখতেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত তাঁর সদ্য বিধবা স্ত্রীর সাথে মোবাইলে কথা বলেন ও সান্ত্বনা প্রদান করেন। আমরা তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি (সম্পাদক)






আরও
আরও
.