সুধী সমাবেশ

বাড়ইপাড়া, কালিয়াকৈর, গাযীপুর ১১ অক্টোবর শুক্রবার : অদ্য বাদ জুম‘আ গাযীপুর যেলার কালিয়াকৈর থানাধীন বাড়ইপাড়ায় প্রকাশ আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ গাযীপুর যেলার উদ্যোগে এক সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গাযীপুর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি ডাঃ মুহাম্মাদ যবান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রশীদ আখতার। প্রধান অতিথি তাঁর ভাষণে সকল মাযহাব, মতবাদ, ইজম ও তরীকার অনুসরণ বাদ দিয়ে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে নিজেদের সার্বিক জীবন গড়ে তোলার আহবান জানান।

বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাঁদের সংক্ষিপ্ত ভাষণে জামা‘আতী যিন্দেগীর গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং সবাইকে সংগঠনভুক্ত হয়ে কাজ করার আহবান জানান। উক্ত সুধী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রশিক্ষণ সম্পাদক ডাঃ মুহাম্মাদ ফযলুল হক, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ যুবায়ের। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রংপুর যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক সভাপতি ও সাবেক কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য মুহাম্মাদ লোকমান হাকীম।

সর্বশেষ মামলার রায়ে বেকসুর খালাস

জঙ্গীবাদের ভিত্তিহীন অভিযোগ থেকে মুহতারাম

আমীরে জামা‘আত মুক্ত

বগুড়া ২০ নভেম্বর বুধবার : অদ্য বিকাল ৪-৩০ মিনিটে বগুড়া অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলা থেকে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন। ফালিল্লাহিল হাম্দ। রায় শোনার পর উপস্থিত নেতাকর্মীগণ অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। অনেকে শুকরিয়ার সিজদা করেন। অনেক কর্মীর চোখের কোণ থেকে ঝরে পড়ে আনন্দাশ্রু। আমীরে জামা‘আত তাঁর আইনজীবি এ্যাডভোকেট গোলাম রববানী রোমান ও এ্যাডভোকেট মুহাম্মাদ সিরাজুল ইসলামকে ধন্যবাদ জানান। দীর্ঘ  ৮ বছর ৮ মাস ২৮ দিন যাবৎ চলা এ মামলায় সাক্ষী ও শুনানী শেষে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত এ রায় প্রদান করেন। এর মাধ্যমে বিগত চারদলীয় জোট সরকার কর্তৃক ষড়যন্ত্রমূলকভাবে দায়েরকৃত ১০টি মামলার সর্বশেষ মামলাটিতেও তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হ’লেন। ইতিপূর্বে ৬টি মামলায় ফাইনাল রিপোর্ট ও ৩টি মামলায় তিনি আদালত কর্তৃক বেকসুর খালাস প্রাপ্ত হন।

মামলার বিবরণ :

ক্রঃ

যেলা

থানা

রায়

রায়ের তারিখ

1. 

রাজশাহী

শাহমখদুম

এফআরটি

০৯.০৪.২০০৫

2.      

সিরাজগঞ্জ

উল্লাপাড়া

এফআরটি

০৪.০৭.২০০৫

3.      

গাইবান্ধা

গোবিন্দগঞ্জ

এফআরটি

২৬.০৭.২০০৫

4.      

নওগাঁ

পোরশা

এফআরটি

১৩.১১.২০০৫

5.      

গোপালগঞ্জ

কোটালীপাড়া

এফআরটি

০৫.১১.২০০৬

6.      

গাইবান্ধা

পলাশবাড়ী

বেকসুর খালাস

২৬.০৬.২০০৮

7.      

বগুড়া

গাবতলী

বেকসুর খালাস

৩০.০৯.২০১০

8.      

নওগাঁ

রাণীনগর

এফআরটি

০৫.০৭.২০১১

9.      

বগুড়া

শাহজাহানপুর

বেকসুর খালাস

৩১.০৭.২০১১

10.   

বগুড়া

শাহজাহানপুর

বেকসুর খালাস

২০.১১.২০১৩

উল্লেখ্য যে, ২০০৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২-টায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব সহ ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় চার নেতাকে তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকার প্রথমে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে। অতঃপর বিভিন্ন যেলায় বোমাবাজি, ব্যাংক ডাকাতি ও হত্যা মামলা সহ মোট ১০টি মিথ্যা মামলায় শ্যোন এরেষ্ট দেখায়। অতঃপর ঢাকা, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জে মোট এক মাস রিমান্ড সহ ৩ বছর ৬ মাস ৬ দিন কারারুদ্ধ রেখে ইতিহাসের বর্বরোচিত ঘৃণ্য অধ্যায় রচনা করে। অতঃপর ২০০৮ সালের ২৮ আগষ্ট তিনি হাইকোর্ট থেকে যামিনে মুক্তি লাভ করেন।

এই রায়ের মাধ্যমে উক্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ সর্বাংশে মিথ্যা প্রমাণিত হ’ল। সেই সাথে কলঙ্কমুক্ত হ’ল এ দেশের শীর্ষস্থানীয় দ্বীনি সংগঠন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’। মিথ্যাচারের ভয়ঙ্কর থাবা থেকে বিচারিক মুক্তি পেলেন দেশের বরেণ্য শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও খ্যাতিমান আলেম প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব।

রায় ঘোষণার দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল লতীফ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিন, সহ-সভাপতি নূরুল ইসলাম, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রায্যাক বিন ইউসুফ, মুহাদ্দিছ মাওলানা আব্দুল খালেক সালাফী, শিক্ষক মাওলানা ফযলুল করীম, রুস্তম আলী, আফযাল হোসাইন, শামসুল আলম এবং বগুড়া ও পার্শ্ববর্তী নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা-পূর্ব, যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’-এর দায়িত্বশীল ও বিপুল সংখ্যক কর্মীবৃন্দ।

রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের নিকট মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, যারা আমাদেরকে মিথ্যা অপবাদে কলংকিত করেছে, হাজতের নামে আমাদের জীবন থেকে অনেকগুলি বছর ছিনিয়ে নিয়েছে, তাদের ব্যাপারে আল্লাহর কাছেই বিচার রইল। তিনি এ ধরনের সরকারী সন্ত্রাস বন্ধের আহবান জানান এবং বর্তমান বিচার ব্যবস্থা পরিবর্তন করে দেশে ইসলামী বিচার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জোর দাবী জানান। সেই সাথে অত্র হত্যা মামলার মূল আসামীদের গ্রেফতারের দাবী জানান। তিনি বলেন, জঙ্গীবাদ একটি নিকৃষ্ট মতবাদ। ইসলামের সাথে এর কোন সম্পর্ক নেই।

রায় পরবর্তী আলোচনা সভা

সাবগ্রাম, বগুড়া : আদালতের ব্যস্ততা শেষ করে মাগরিবের সামান্য পূর্বে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও উপস্থিত নেতা-কর্মীগণ শহরের উপকণ্ঠে সাবগ্রামে অবস্থিত মাদরাসাতুল হাদীছ আস-সালাফিয়ায় গমন করেন। সেখানে বাদ মাগরিব বগুড়া যেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে অনুষ্ঠিত শুকরিয়া সমাবেশে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত তাঁর প্রদত্ত ভাষণে বলেন, আল্লাহ পাকের অশেষ অনুগ্রহে আজ একটি দুঃসহ বোঝা নেমে গেল। আল্লাহ যখন কোন বান্দাকে বা দলকে ভালবাসেন, তখন তাদেরকে বারবার পরীক্ষায় ফেলেন। আমাদের তিনি পরীক্ষা নিয়েছেন। পরীক্ষা শেষে আল্লাহর রহমত নাযিল হয়েছে। আমরা মুক্তি পেয়েছি ও আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি। সাথে সাথে শুকরিয়া আদায় করছি দেশে ও প্রবাসে হাযার হাযার ভক্ত অনুসারী ভাই-বোনদের, যারা প্রাণভরে আমাদের জন্য দো‘আ করেছেন। বিশেষভাবে দো‘আ করছি বগুড়াবাসীর জন্য এবং যেলা সংগঠনের সকলের জন্য, যারা প্রতিটি হাজিরার দিনে তাদের সব কাজকর্ম ফেলে আদালতে আসতেন ও সার্বিক সহযোগিতা করতেন। যাদেরকে দেখে মনে সাহস পেতাম ও হৃদয়ে উৎসাহ পেতাম। আমরা প্রাণভরে তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য দো‘আ করছি, আল্লাহ যেন ইহকাল ও পরকালে তাদেরকে এর উত্তম জাযা দান করেন। অতঃপর তিনি নিজের জন্য ও কর্মীদের জন্য দো‘আ করেন যেন আল্লাহ আমাদের ও আমাদের সন্তানদের সৎকর্মশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব আব্দুর রহীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও আত-তাহরীক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিন, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ, অত্র মাদরাসার শিক্ষক জনাব শামসুল আলম, মাদরাসাতুল হাদীছ আস-সালাফিয়ার পরিচালক মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে আরবীতে বক্তব্য পেশ করে অত্র মাদরাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ইয়াকূব আলী, কুরআন তেলাওয়াত করে ৩য় শ্রেণীর ছাত্র নাজমুছ ছাক্বিব এবং ইসলামী জাগরণী পরিবেশন করে ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্র জাহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুস সালাম।

নওদাপাড়া, রাজশাহী : বগুড়া থেকে রওয়ানা হয়ে রাত ১১-টায় আমীরে জামা‘আত নওদাপাড়া মারকাযে পৌঁছেন। মারকাযের পশ্চিম পার্শ্বস্থ বড় মসজিদে অপেক্ষমান রাজশাহী মহানগর ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’ ও সোনামণি’র দায়িত্বশীল ও কর্মীবৃন্দ, মারকাযের ছাত্র-শিক্ষক এবং স্থানীয় সুধীবৃন্দের সমন্বয়ে স্বতঃস্ফূর্ত এক শুকরিয়া সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং মারকাযের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল লতীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত বলেন, আজকে মারকাযের জন্য এবং আহলেহাদীছ আন্দোলনের জন্য একটি আনন্দঘন দিন। দীর্ঘ ৮ বছর ৮ মাস ২৮ দিন পর আজ আমরা একটি নিকৃষ্ট অপবাদ থেকে বিচারিক মুক্তি পেলাম। কিন্তু কেন এল এই রাষ্ট্রীয় নির্যাতন? কারণ আমরা প্রচলিত শয়তানী তরীকা ছেড়ে নবীগণের তরীকা অবলম্বন করেছি। ক্ষমতাতন্ত্রের অস্থায়ী পথে না গিয়ে আক্বীদা পরিবর্তনের স্থায়ী বিপ্লবের পথে গিয়েছি। আমরা চেয়েছি এমন একটি ইসলামী সমাজ, যেখানে থাকবেনা প্রগতির নামে কোন বিজাতীয় মতবাদ; থাকবে না ইসলামের নামে কোনরূপ মাযহাবী সংকীর্ণতাবাদ। আমরা বলেছি, সকল বিধান বাতিল কর, অহি-র বিধান কায়েম কর। আমরা জনগণকে ডেকেছি- আসুন! পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে জীবন গড়ি। ফলে ক্ষেপেছে তথাকথিত প্রগতিবাদীরা, ক্ষেপেছে মনগড়া ইসলামপন্থীরা। আমরা সরকার বিপ্লবের চাইতে সমাজ বিপ্লবকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। সাংগঠনিকভাবে আমরা সে কাজই করে যাচ্ছি। নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে যেমন একটি চারা বড় গাছে পরিণত হয়, তেমনি নিয়মিত সাংগঠনিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি সমাজ পরিবর্তিত হয়। সেজন্য অন্য সবকিছুর চাইতে সংগঠন সবচেয়ে বড় ফরয। আর সেই সংগঠন সবচেয়ে শক্তিশালী, যে সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে পারস্পরিক মহববত সবচেয়ে বেশী। পরিশেষে তিনি ছাত্র-শিক্ষক ও এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করেন।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিন, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন। অনুষ্ঠান শেষে সবাই ছাত্রদের আয়োজিত শুকরিয়ামূলক আতিথেয়তায় অংশগ্রহণ করেন।

আমীরে জামা‘আতের জয়পুরহাট সফর

২৪ নভেম্বর রবিবার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগে যোগদানপত্র প্রদানের পর অদ্য বাদ যোহর দুপুর পৌনে ২-টায় মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ‘আন্দোলন’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক জনাব হাফীযুর রহমানের কবর যেয়ারতের উদ্দেশ্যে রাজশাহী হ’তে জয়পুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

প্রথমে তিনি যেলার কালাই থানাধীন শিকটা গ্রামে পৌঁছেন। সেখানে তিনি মাগরিবের ছালাতান্তে উপস্থিত মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত ভাষণ প্রদান করেন। অতঃপর জনাব হাফীযুর রহমানের কবর যেয়ারত করেন এবং তাঁর মাগফিরাতের জন্য দো‘আ করেন। অতঃপর তাঁর প্রথমা স্ত্রীর বাসভবনে গমন করেন এবং পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সান্ত্বনা ও নছীহতমূলক বক্তব্য পেশ করেন। এসময়ে তিনি বিভিন্ন আইনী বাধার কারণে এতদিন যাবৎ আসতে না পারায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য যে, জনাব হাফীযুর রহমান ২০০৫ সালের ২২ নভেম্বর শনিবার দিবাগত রাতে বিগত চারদলীয় জোট সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে এবং পত্রিকায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা দেখে আন্দোলন-এর ঢাকা অফিসে হার্টফেল করে মারা যান।

অতঃপর ‘আন্দোলন’-এর সমাজকল্যাণ সংস্থা ‘তাওহীদ ট্রাষ্ট’-এর সৌজন্যে প্রতিষ্ঠিত ‘কালাই কমপ্লেক্স’-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং কমপ্লেক্স জামে মসজিদে এশার ছালাত আদায় করেন। ছালাত শেষে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলনে’র সাবেক কর্মী জনাব আনীসুর রহমান তালুকদার ও আলহাজ্জ মাহতাবুদ্দীন তালুকদার আমীরে জামা‘আতের সাথে কুশল বিনিময় করেন। অতঃপর সংক্ষিপ্ত ভাষণে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত উপস্থিত সকলকে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর পতাকাতলে সমবেত হয়ে দ্বীনে হক-এর নিষ্কলুষ দাওয়াত সমাজের সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার উদাত্ত আহবান জানান। কমপ্লেক্সের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে তিনি উক্ত কমপ্লেক্সের সকল কর্মকান্ড অহি-র বিধান অনুযায়ী পরিচালনার পরামর্শ দেন। মসজিদে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে তিনি রাত ৯-টার দিকে রউফ নগরে আলহাজ্জ রেযাউল করীমের বাড়ীতে গমন করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রউফ নগর এলাকা ‘আন্দোলন’-এর দায়িত্বশীল আলহাজ্জ মুহাম্মাদ মাহফূযুর রহমান (মূলগ্রাম), জনাব শামসুল আলম, মাওলানা খলীলুর রহমান (বাখড়া), মাওলানা সাইফুল ইসলাম (নানাহার) ও অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অতঃপর তিনি রাত সাড়ে ৯-টায় বটতলীর অনতিদূরে অবস্থিত তালতলী মৎস্য হ্যাচারী পরিদর্শন করেন। অতঃপর জয়পুরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হন। জয়পুরহাট শহরে পৌঁছে তিনি স্থানীয় আরামনগর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে অপেক্ষমান কর্মী ও সুধীদের সাথে মত বিনিময় করেন। অতঃপর সেখান থেকে জনাব হাফীযুর রহমান ছাহেবের দ্বিতীয়া স্ত্রীর বাসভবনে যান। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্যে সান্ত্বনা ও উপদেশমূলক বক্তব্য পেশ করেন।

অতঃপর আমীরে জামা‘আত জামালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন। সেখানে গত ২রা নভেম্বর মৃত্যুবরণকারী যেলা ‘আন্দোলন’-এর উপদেষ্টা ও মিথ্যা মামলায় কারা নির্যাতন ভোগকারী জনাব মুহাম্মাদ ইদরীস আলীর কবর যেয়ারত করেন এবং তাঁর মাগফিরাতের জন্য দো‘আ করেন। তারপর তাঁর বাড়ীতে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন এবং পরিবারের সকলকে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’-এর পতাকাতলে থেকে অহি-র বিধান অনুযায়ী সার্বিক জীবন পরিচালনার উপদেশ দেন। অতঃপর রাত ১১-টায় রওয়ানা হয়ে রাত ৩-টায় তিনি রাজশাহী মারকাযে পৌঁছেন।

আমীরে জামা‘আতের সফরসঙ্গী ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় মুবাল্লিগ মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী নওদাপাড়ার শিক্ষক শামসুল আলম, ছাত্র হাফেয মারূফ এবং বগুড়া যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব আব্দুর রহীম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক রফীকুল ইসলাম ও দফতর সম্পাদক ছহীমুদ্দীন প্রমুখ। সফরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন জয়পুরহাট যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব মাহফূযুর রহমান এবং ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘে’র দায়িত্বশীল কর্মীবৃন্দ।

ইমাম প্রশিক্ষণ

বলরামপুর (আরিফপুর), পাবনা ২৫ ডিসেম্বর বুধবার : অদ্য সকাল সোয়া ৮-টায় যেলার সদরানাধীন বলরামপুর (আরিফপুর) আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ও ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ পাবনা যেলার উদ্যোগে এক ইমাম প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা বেলালুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক-এর সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফ্ফর বিন মুহসিন, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল ও আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রায্যাক বিন ইউসুফ প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রচার সম্পাদক জনাব আব্দুল কুদ্দূস ও মাদরাসা দারুল হাদীছ, বাঁশবাজার, পাবনার শিক্ষক মাওলানা মুশাররফ হোসাইন। অনুষ্ঠানের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনায় ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন’ সঊদী আরব শাখার প্রচার সম্পাদক সোহরাব আলী। অনুষ্ঠানে যেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত ১২০ জন ইমাম ও ৩ শতাধিক কর্মী ও সুধী উপস্থিত ছিলেন।

মাসিক তাবলীগী ইজতেমা

কুষ্টিয়া-পশ্চিম ৮ নভেম্বর শুক্রবার : অদ্য সকাল ৯-টায় ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ কুষ্টিয়া-পশ্চিম সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে ধর্মদহ মধ্যপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘মাসিক তাবলীগী ইজতেমা’ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি জনাব গোলাম যিল কিবরিয়া সভাপতিত্ব করেন। তিনি দরসে কুরআন, বক্তব্য ও জুম‘আর খুৎবা প্রদান করেন। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহসভাপতি নাযির খান, যেলা যুবসংঘের সহ-সভাপতি আব্দুছ ছামাদ, গরুড়া শাখা আন্দোলনের সভাপতি ইউনুস আলী প্রমুখ। বিভিন্ন শাখা হতে কর্মীদের উপস্থিতি ছিল প্রায় ৩০০ জন। উল্লেখ্য যে, পার্শ্ববর্তী গ্রামের ৩ জন নতুন আহলেহাদীছ ভাইদের পরিচিতি প্রদান করা হয়। ফালিল্লাহিল হামদ

  দেশব্যাপী কুনূতে নাযেলাহ পাঠ

যুদ্ধ বা বিশেষ কোন বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আল্লাহর নিকটে ছালাতরত অবস্থায় রাসূল (ছাঃ) বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তি বা শক্তির বিরুদ্ধে এমনকি একমাস যাবৎ কুনূতে নাযেলাহ পাঠ করেছেন। সেই সুন্নাত অনুসরণে দেশে সাম্প্রতিক চরম রাজনৈতিক অস্থিরতার অবসানের জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী গত ১ মাস যাবৎ দেশব্যাপী কুনূতে নাযেলাহ পাঠ করা হয়েছে।

যুবসংঘ

পশ্চিম দৌলতপুর, বাগমারা, রাজশাহী ১৫ নভেম্বর শুক্রবার : অদ্য বাদ মাগরিব যেলার বাগমারা থানাধীন পশ্চিম দৌলতপুর পূর্বপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব আলহাজ্জ পিয়ারবক্স-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আব্দুল হালীম বিন ইলিয়াস। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’ রাজশাহী-উত্তর সাংগঠনিক যেলার সহ-সভাপতি ও বাগমারা উপযেলার সভাপতি ডা. মুহাম্মাদ মুহসিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘যুবসংঘ’-এর কর্মী হাফেয শহীদুল ইসলাম। জাগরণী পরিবেশন করেন ইসমাঈল।

প্রবাসী সংবাদ

মদীনা, সঊদী আরব ৬ই নভেম্বর বুধবার : অদ্য বাদ মাগরিব ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে বিন লাদেন কম্পানির মসজিদে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদের ইমাম শায়খ মুহাম্মাদ সাঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’ মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেয মুকাররম বিন মুহসিন ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া। অনুষ্ঠানে প্রায় তিন শতাধিক বাংলাভাষী কর্মী ও সুধী উপস্থিত ছিলেন।

মদীনা, সঊদী আরব ৭ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার : অদ্য বাদ মাগরিব ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’ মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে মসজিদে নববীর পার্শ্ববর্তী একটি খেজুর বাগানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুহাম্মাদ নূরুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুযাফফর বিন মুহসিন, ঢাকা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সভাপতি মাওলানা আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল। অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘ’ মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার দায়িত্বশীলবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানে আব্দুল হামীদ (বরিশাল)-কে সভাপতি ও আমীনুল ইসলাম (টাঙ্গাইল)-কে সাধারণ সম্পাদক করে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ হারাম (মসজিদে নববী) শাখা গঠন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক বাংলাভাষী কর্মী ও সুধী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘যুবসংঘ’ মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক হাফেয মুকাররম বিন মুহসিন।

মারকায সংবাদ

১. আল-মারকাযুল ইসলাম আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী :

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে অনুষ্ঠিত জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (JDC) পরীক্ষা-২০১৩-তে এই মাদরাসা থেকে ৪৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ২১ জন জিপিএ-৫ (A+), ২৭ জন জিপিএ-৪ (A), ১ জন জিপিএ-৩ (A-) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় এবার এই মাদরাসা থেকে ১২৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ৫১ জিপিএ-৫ (A+), ৫৭ জন জিপিএ-৪ (A), ১০ জন জিপিএ-৩.৫ (A-), ৩ জন জিপিএ-৩ (B) এবং ৩ জন জিপিএ-২ (C) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। ১জন অকৃতকার্য হয়েছে।

শ্রেষ্ঠ ২০টি মাদরাসার মধ্যে পঞ্চম : বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় মেধার দিক দিয়ে দেশের শীর্ষ ২০টি মাদরাসার মধ্যে আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী ৫ম স্থান অধিকার করেছে।

২. দারুল হাদীছ আহমাদিয়া সালাফিইয়াহ, বাঁকাল, সাতক্ষীরা :

এ মাদরাসা থেকে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (JDC) পরীক্ষায় এবার ১৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ৬ জন জিপিএ-৫ (A+), ৪ জন জিপিএ-৪ (A), ৫ জন জিপিএ-৩ (A-) এবং ১ জন জিপিএ-৩ (B) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় এবার এই মাদরাসা থেকে ২৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ১৯ জিপিএ-৪ (A), ৫ জন জিপিএ ৩.৫ (A-) এবং ২ জন জিপিএ-৩ (B) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

৩. আল-মারকাযুল ইসলামী, কালদিয়া, বাগেরহাট :

ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় এবার ৮ জন ছাত্র অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে ৩ জন জিপিএ-৪ (A), ১ জন জিপিএ- ৩.৫ (A-), ১ জন জিপিএ-৩ (B) এবং ৩ জন জিপিএ-২ (C) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

৪. মাদরাসাতুল হাদীছ আস-সালাফিয়া, সাবগ্রাম, বগুড়া :

এ মাদরাসা থেকে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (JDC) পরীক্ষায় এবার ৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ২ জন জিপিএ-৫ (A+), ২ জন জিপিএ-৪ (A) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় এবার এই মাদরাসা থেকে ৭ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ৭ জিপিএ-৪ (A) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

৫. বৃ-কুষ্টিয়া দারুল হাদীছ আস-সালাফিয়া তাহফীযুল কুরআন, বগুড়া :

এ মাদরাসা থেকে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (JDC) পরীক্ষায় এবার ৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ৩ জন জিপিএ-৫ (A+), ১ জন জিপিএ-৪ (A), ১ জন জিপিএ-৩ (A-) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় এবার এই মাদরাসা থেকে ১০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ১ জন জিপিএ-৫ (A+), ৯ জন জিপিএ ৩.৫ (A-) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

৬. মেন্দিপুর-চাকলা সালাফিয়া মাদরাসা, গাবতলী, বগুড়া :

ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় এবার এই মাদরাসা থেকে ৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ২ জন জিপিএ-৫ (A+), ২ জন জিপিএ-৪ (A), ১ জন জিপিএ-২ (C) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

৭. সাহারবাটী সিএমএস দাখিল মাদরাসা, গাংনী, মেহেরপুর :

এ মাদরাসা থেকে জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (JDC) পরীক্ষায় এবার ৫ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ১ জন জিপিএ-৪ (A), ১ জন জিপিএ-৩ (A-) এবং ২ জন জিপিএ-৩ (B) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। অসুস্থতার কারণে ১ জন অনুপস্থিত ছিল।

ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় এবার এই মাদরাসা থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তন্মধ্যে ২ জন জিপিএ-৪ (A), ৩ জন জিপিএ-৩ (B), ৫ জন জিপিএ-২ (C) এবং  ২ জন জিপিএ-১ (D) গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. মুস্তাফিজুর রহমান-এর মৃত্যু

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সাবেক প্রফেসর ও চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান গত ১৮ই জানুয়ারী শনিবার সকাল ৮.০৫ মিনিটে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৫ই জানুয়ারী উত্তরাস্থ নিজ বাসভবনে ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হ’লে তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য যে, তিনি ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীর প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব-এর অত্যান্ত প্রিয় শিক্ষক ছিলেন। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উপর তার কৃত ডক্টরেট থিসিসে তাঁর বাণী রয়েছে।

[আমরা তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জ্ঞাপন করছি- সম্পাদক]






আরও
আরও
.