২. রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর (অব.) শাহ মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান (৭৮) গত ৭ই আগস্ট সকাল পৌনে ৯-টায় রাবি ক্যাম্পাস সংলগ্ন ধরমপুর নিজ ভাড়া বাড়ীতে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি ১ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। ঐদিন বিকাল সাড়ে ৫-টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে তার জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় রাবি ভিসি প্রফেসর গোলাম সাবিবর সাত্তার, চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর এ.কে.এম. আযহারুল ইসলাম, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক মন্ডলী, প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী, ছাত্রমন্ডলী ছাড়াও ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত আরবী বিভাগের প্রফেসর (অব.) ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব, মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, মারকাযের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ড. নূরুল ইসলামসহ বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। জানাযা শেষে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।

প্রফেসর শাহ মুহাম্মাদ হাবীবুর রহমান খুলনার বর্তমান কয়রা উপযেলার আমাদী জায়গীর মহল গ্রামে ১৯৪৫ সালের ২৫শে সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। ৪ বছর বয়সে মাকে হারিয়ে তিনি পিতার সাথে বাগেরহাট আসেন। অতঃপর বাগেরহাট টাউন হাইস্কুল থেকে ১৯৬১ সালে ম্যাট্রিক এবং ১৯৬৪ সালে যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধিনস্ত বাগেরহাট পিসি কলেক থেকে এইচ এস সি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় মানবিক বিভাগে ৪র্থ স্থান অধিকার করেন। অতঃপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে অনার্স (১৯৬৬) ও এম এ (১৯৬৭) পাস করেন। অতঃপর বাগেরহাট পিসি কলেজে দু’বছর অধ্যাপনা করেন। অতঃপর ১৯৭০ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাবে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন এবং ২৭ বছর পর ১৯৯৭ সালে ‘প্রফেসর’ পদে উন্নীত হন। অতঃপর ২০১২ সালে তিনি অবসর গ্রহণ করেন। ২০১৫ সালে তিনি স্ত্রী হারান এবং ইতিপূর্বে তার এক পুত্র হারান।

তার বড় মেয়ে ড. মুর্শিদা ফিরদাউস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর এবং ছোট মেয়ে ফারযানা কাওকাব স্বামীর সঙ্গে মালয়েশিয়ার টেকনোলজি ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপিকা। ছোট ছেলে শাহ মুহাম্মাদ নাজমুছ ছাকিব সস্ত্রীক জার্মানীর একটি বহুজাতিক সংস্থায় সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কর্মরত। অবসর জীবনে তিনি বড় মেয়ের সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ধরমপুরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।

[আমরা মাইয়েতগণের রূহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের শোকাহত পরিবারবর্গের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।- সম্পাদক]







আরও
আরও
.