উত্তর : ইসমে আ‘যম হ’ল আল্লাহর মহান নাম। ইসমে আ‘যমকে কেন্দ্র করে ১৪টি মত রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ কথা হ’ল ইসমে আযম হ’ল ‘আল্লাহ’ ও তাঁর সকল গুণবাচক নাম। আর এগুলোর মধ্যে যে নামগুলোতে তাওহীদের ঘোষণা রয়েছে সেগুলো অধিক গুরুত্বপূর্ণ। যেমন আল হাইয়ুল ক্বাইয়ূম, যুল জালালে ওয়াল ইকরাম, আল-আহাদ, আছ-ছামাদ ইত্যাদি। যেমন হাদীছে এসেছে, জনৈক ব্যক্তি ছালাত শেষে নিম্নোক্ত দো‘আ পাঠ করে; ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা বিআন্নাকা আনতাল্লা-হুল আহাদুছ ছামাদুল্লাযী লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ ওয়া লাম ইয়াকুল লাহূ কুফুওয়ান আহাদ’ (হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে প্রার্থনা করছি। কেননা তুমি আল্লাহ। তুমি এক ও অমুখাপেক্ষী। যিনি কাউকে জন্ম দেননি ও যিনি কারু থেকে জন্মিত নন এবং যাঁর সমতুল্য কেউ নেই)।  ঐ ব্যক্তিকে এটা পড়তে শুনে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ঐ ব্যক্তি আল্লাহর নিকটে তাঁর ‘ইসমে আযম’ (মহান নাম) সহ দো‘আ করেছে। যে ব্যক্তি উক্ত নাম সহকারে প্রার্থনা করবে, তাকে তা দেওয়া হবে। আর যখন এর মাধ্যমে দো‘আ করা হবে, তা কবুল করা হবে’ (ইবনু মাজাহ হা/৩৮৫৭, আবুদাঊদ হা/১৪৯৩; মিশকাত হা/২২৮৯; ছহীহুত তারগীব হা/১৬৪০)। অন্য হাদীছে এসেছে রাসূল (ছাঃ) বলেন, কুরআনে তিনটি সূরায় ইসমে আ‘যম রয়েছে, সূরা বাক্বারাহ ২৫৫, আলে ইমরান ২ ও ত্বোয়াহা ১১১ আয়াতে’ (হাকেম হা/১৮৬৭; ছহীহাহ হা/৭৪৬)। অর্থাৎ সূরাগুলোর আল হাইয়ুল ক্বাইয়ূম অংশ। অন্য হাদীছে এসেছে, আনাস (রাঃ) বলেন, একদিন আমি নবী (ছাঃ)-এর সাথে মসজিদে নববীতে বসে ছিলাম। তখন জনৈক ব্যক্তি ছালাত আদায় করছিল এবং ছালাতের পর বলছিল, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকা বি আন্না লাকাল হামদু লা ইলাহা ইল্লা আনতাল হান্নানুল মান্নানু বাদী‘উস সামাওয়াতি ওয়াল আরযি, ইয়া যাল-জালালি ওয়াল ইকরাম, ইয়া হাইয়ু  ইয়া ক্বাইয়ূমু  ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। কারণ তোমারই জন্য সকল প্রশংসা। তুমি ছাড়া কোন মাবূদ নেই। তুমিই বড় দয়ালু ও বড় দাতা। তুমিই আসমান ও যমীনের স্রষ্টা। হে মর্যাদা ও সম্মান দানের মালিক! হে চিরঞ্জীব, হে সবকিছুর ধারক! তখন নবী (ছাঃ) বললেন, যে আল্লাহ্কে ইসমে আ‘যম-এর সাথে ডাকে, তিনি তাতে সাড়া দেন এবং যখন তাঁর কাছে প্রার্থনা করা হয়, তখন তিনি তা দান করেন’ (আবুদাঊদ হা/১৪৯৫; মিশকাত হা/২২৯০; ছহীহুত তারগীব হা/১৬৪১)






প্রশ্ন (১৫/২১৫) : মহিলারা কয়জন পুরুষের সামনে বিনা পর্দায় যেতে পারে? - আব্দুল্লাহ বিন যহীর আবুধাবী, আরব আমিরাত।
প্রশ্ন (২০/৩৮০) : তাবলীগ জামা‘আতের সাথে ৪০ দিনের চিল্লায় গিয়ে জানতে পারলাম যে, দাওয়াতের কাজে বের হয়ে নিজের প্রয়োজনে ১ টাকা খরচ করলে ৭ লক্ষ টাকা ছাদাক্বা করার সমান ছওয়াব পাওয়া যায়। একবার সুবহানাল্লাহ বললে ৪৯ কোটি ছওয়াব আমলনামায় লেখা হয়। এসব কথা কি সঠিক? দাওয়াতী কাজের সঠিক পদ্ধতি জানিয়ে বাধিত করবেন।
প্রশ্ন (২১/২১) : ছয় মাসের ভেড়া কুরবানী করা যাবে কি?
প্রশ্ন (২৯/২৯) : ঋণগ্রস্ত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করলে তাকে বিনা জানাযায় পুঁতে দিতে হবে মর্মে বক্তব্যটির কোন ভিত্তি আছে কি?
প্রশ্ন (৬/২৮৬) : জনৈক ব্যক্তি একটি কঠিন পাপকর্ম থেকে তওবা করার পর শয়তানের ধোঁকায় পড়ে পুনরায় উক্ত গোনাহে লিপ্ত হয়েছে। এক্ষণে উক্ত ব্যক্তির করণীয় কি?
প্রশ্ন (২৫/১০৫) : ইসলামী নির্দেশনা অনুযায়ী একজন আমীরের নির্ধারিত কোন মেয়াদকাল আছে কি? - .
প্রশ্ন (১৩/৯৩) : আযান চলাকালীন সময়ে আযানের জওয়াব দিতে হবে, নাকি সুন্নাত ছালাত আদায় করতে হবে? - -রেযাউল করীম, রসূলপুর, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৮/১৬৮) : ৭৮৬-এর শারঈ ভিত্তি কী? - -লুৎফর রহমান, ঠাকুরগাঁও।
প্রশ্ন (২৪/৪২৪) : আমাদের সমাজে নারী-পুরুষ সম্পর্ক করে অশ্লীল কাজে জড়িয়ে পড়ছে। পরে অনেকের বিবাহ হচ্ছে, অনেকের হয় না। এর পরিণতি কি?
প্রশ্ন (২/২৮২) : প্রিয় ব্যক্তিকে হেদায়াতের জন্য কোন নির্দিষ্ট দো‘আ আছে কি? দো‘আ থাকলে সেটি কি? - -আব্দুল মান্নান, মোহনপুর, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৮/৩৪৮) : যদি কোন মেয়েকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা নির্যাতন করে, আর সে যদি তা পিতাকে জানায় তাহলে গীবত হবে কি?
প্রশ্ন (৩১/৩১১) : বিবাহ সম্পাদনের সময় পবিত্র অবস্থায় থাকার কোন শর্ত আছে কি?
আরও
আরও
.