كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ الْحَسَنَةُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ قَالَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ إِلاَّ الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِى وَأَنَا أَجْزِى بِهِ يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِى لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ. وَلَخُلُوفُ فِيهِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ-

১. অনুবাদ : হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এরশাদ করেন, বনু আদমের প্রত্যেক নেক আমলের ছওয়াব ১০ গুণ হ’তে ৭০০ গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়ে থাকে। আল্লাহ বলেন, তবে ছওম ব্যতীত। কেননা ছিয়াম আমার জন্য রাখা হয় এবং ওটার ছওয়াব আমি দেব। এ জন্য যে, ঐ ব্যক্তি তার প্রবৃত্তির চাহিদা এবং খানাপিনার আকাংখা আমার সন্তুষ্টির জন্য পরিত্যাগ করেছে। ছায়েমের জন্য দু’টি খুশীর মুহূর্ত রয়েছে। একটি ইফতারকালে ও অপরটি তার প্রভুর সাথে দীদারকালে। ছায়েমের মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকটে মিশকের চেয়েও সুগন্ধিময়। ছিয়াম হ’ল ঢাল স্বরূপ। অতএব তোমাদের মধ্যে যখন কেউ ছিয়াম পালন করবে, তখন সে যেন মন্দ কথা না বলে ও অযথা শোরগোল না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা লড়াই করতে আসে, তবে সে যেন বলে যে, ‘আমি ছায়েম’।[1]

২. রাবীর পরিচয় : ছাহাবাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হাদীছজ্ঞ, তীক্ষ্ণ মেধা সম্পন্ন, আবেদ, যাহেদ, বিনয়ী, শীর্ষস্থানীয় মুফতী ও ফকীহ ছাহাবী আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর জাহেলী যুগের নাম আব্দু শাম্স (সূর্যের গোলাম) বা আব্দু আমর। ইসলামী নাম আব্দুল্লাহ বা আব্দুর রহমান। তাঁর সম্পর্কে বর্ণিত অন্যূন ৩৫টি নামের মধ্যে সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও প্রসিদ্ধ নাম আব্দুর রহমান বিন ছাখর আদ-দাওসী। ইয়ামনের দাওস গোত্রের লোক হিসাবে দাওসী বলা হয়। ছোট থেকেই তিনি বিড়াল ভালবাসতেন। ইবনু আব্দিল বার্র হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হ’তে বর্ণনা করেন যে, একদা আমি আমার জামার আস্তিনে করে একটি বিড়ালছানা নিয়ে আসছিলাম। আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) তা দেখে ফেলেন ও বলেন, ওটা কি? আমি বললাম, বিড়ালছানা। তখন তিনি বললেন, ‘তুমি বিড়ালছানার পিতা বা আবু হুরায়রা’। هِرَّةٌ (হির্রাতুন) বিড়াল هُرَيْرَةٌ ‘ছোট বিড়াল’ أَبُو هُرَيْرَةَ ‘ছোট বিড়ালের বাপ’ (মিরক্বাত ১/৬৯)

উক্ত লকবের মাধ্যমে একদিকে রাসূল (ছাঃ)-এর হালকা রস সংযুক্ত সাহিত্যবোধ-এর পরিচয় পাওয়া, অন্যদিকে সাথীদের সাথে তাঁর খোলামেলা ও গভীর আন্তরিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। ছাহাবী আব্দুর রহমান বিন ছাখর নিজের জন্য রাসূলের (ছাঃ) দেওয়া ‘আবু হুরায়রা’ নামটিকেই বেশী পসন্দ করেন। দুনিয়ার মুসলমানের কাছেও তিনি ‘আবু হুরায়রা’ নামেই সমধিক পরিচিত। অধিকাংশ লোকই তাঁর আসল নামের খবর রাখে না। কিন্তু আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর নাম জানে না এমন মুসলমান পাওয়া যাবে কি-না সন্দেহ।

ইমাম হাকেম, আবু আহমাদ বলেন, ‘আবু হুরায়রা’ এই কুনিয়াত বা উপনামটিতে তিনি এতই প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন যে, মনে হয় তাঁর আর কোন নামই নেই। ৭ম হিজরীতে খায়বার বিজয়ের বছরে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন ও খায়বার যুদ্ধে যোগদান করেন। অবিবাহিত এই যুবক ছাহাবী হাদীছ লেখার তীব্র আকাংখায় সর্বদা রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে থাকতেন। মুহাজির ছাহাবীগণ ব্যবসা ও আনছারগণ সাংসারিক ঝামেলায় ব্যস্ত থাকলেও তিনি রাসূল (ছাঃ)-এর সঙ্গ ছাড়তেন না।

একদা তিনি রাসূল (ছাঃ)-কে বলেন,يَا رَسُولَ اللهِ، إِنِّى أَسْمَعُ مِنْكَ حَدِيثًا كَثِيرًا أَنْسَاهُ (وأنا أخشى أن أنسى). قَالَ: ابْسُطْ رِدَاءَكَ، فَبَسَطْتُهُ. قَالَ: فَغَرَفَ بِيَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ: ضُمُّهُ، فَضَمَمْتُهُ فَمَا نَسِيتُ شَيْئًا بَعْدَهُ- ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি আপনার নিকট থেকে বহু হাদীছ শুনি ও স্মৃতিতে ধরে রাখি। কিন্তু ভয় হয় যদি কখনো ভুলে যাই। তখন রাসূল (ছাঃ) বললেন, তোমার চাদর মেলে ধরো। তিনি মেলে ধরলেন। রাসূল (ছাঃ) তাঁর দুই হাত একত্রিত করে চাদরের উপরে মলে দিলেন এবং বললেন, এবার গুটিয়ে নাও। তিনি গুটিয়ে নিলেন। অতঃপর তিনি মন্তব্য করেন যে, এই ঘটনার পর থেকে আমি আর কিছুই ভুলিনি’।[2]

ইমাম বুখারী বলেন, ছাহাবী ও তাবেঈ মিলে তাঁর নিকট থেকে অন্যূন ৮০০ ব্যক্তি হাদীছ বর্ণনা করেছেন। তিনি ছাহাবীদের মধ্যে সর্বাধিক হাদীছ বর্ণনাকারী ছিলেন। তাঁর বর্ণিত হাদীছের সংখ্যা ৫৩৬৪টি। তন্মধ্যে বুখারী ও মুসলিম একত্রিতভাবে ৩২৫টি, বুখারী এককভাবে ৩৯০টি ও মুসলিম এককভাবে ১৯০টি হাদীছ স্ব স্ব গ্রন্থে সংকলন করেছেন।

তিনি মদীনার আমীর (গবর্ণর) ছিলেন। ইসলাম গ্রহণের প্রথম অবস্থায় তিনি মসজিদে নববীতে অবস্থানরত ‘আছহাবে কুফফা’র অন্তর্ভুক্ত ছিলেন এবং প্রচন্ড ক্ষুৎ-পিপাসায় কষ্ট ভোগ করেন। মদীনাতেই জীবন কাটিয়ে দেন তিনি নিজে, তাঁর স্ত্রী ও খাদেম তিনজন পালাক্রমে জেগে থেকে রাত্রিতে ইবাদতে মশগুল থাকতেন। আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) তাঁর জন্য খাছ দো‘আ করে বলেছিলেন, اللَّهُمَّ حَبِّبْ عُبَيْدَكَ هَذَا وَأُمَّهُ إِلَى عِبَادِكَ الْمُؤْمِنِينَ وَحَبِّبْهُمْ إِلَيْهِمَا- ‘হে আল্লাহ! আপনি আপনার এই বান্দাটিকে ও তাঁর মাকে আপনার মুমিন বান্দাদের নিকটে প্রিয় করুন এবং তাদেরকে এ দু’জনের প্রিয় করুন’।[3] রাসূল (ছাঃ)-এর এই প্রিয় ছাহাবী সর্বাধিক বিশুদ্ধ বর্ণনা মতে ৫৯ হিজরীতে ৭৮ বছর বয়সে মদীনায় ইন্তেকাল করেন এবং ‘বাক্বী’ কবরস্থানে সমাহিত হন।* ???

৩। সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা : উক্ত হাদীছে ছায়েম মুমিনদের জন্য ছওমের বিশেষ ফযীলত ও ছওয়াবের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে। সকল ইবাদতের নেকী সংখ্যায় বর্ণনা করা হ’লেও ছিয়ামের নেকীর কোন সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়নি। দ্বিতীয়তঃ এর নেকী স্বয়ং আল্লাহ দিবেন। কত দিবেন তা বলা হয়নি। সঙ্গত কারণেই ধরে নেওয়া যায় যে, তা হবে বেশুমার। তৃতীয়তঃ সকল নেক আমলের ছওয়াব বর্ণিত হ’লেও ছিয়ামের নেকীর পরিমান এজন্য গোপন রাখা হ’তে পারে যে, ছিয়াম সত্যিকার অর্থেই একটি গোপন ইবাদত। অন্যান্য ইবাদত লোকে দেখতে পায়। ফলে সেখানে ইবাদতকারী মুছল্লী, হাজী বা যাকাত দাতার মধ্যে রিয়া বা লোকদেখানো মনোবৃত্তি জাগতে পারে। কিন্তু ছিয়াম পালনকারী মুখ দিয়ে নিজের ছিয়ামের কথা না বলা পর্যন্ত কেউ জানতে পারে না এবং তিনি গোপনে এক ঢোক পানি পান করলেও কেউ দেখতে পান না। তবুও তিনি শত কষ্ট ও আবেগকে দমন করে ছিয়াম পালন করে যান, কেবল আল্লাহর ভয়ে ও তাঁর সন্তুষ্টি লাভের জন্য। যেহেতু তার এই গোপন ইবাদত অতীব কঠিন ও রিয়ামুক্ত, সেখারণ তার ছওয়াবও হবে অগণিত ও বেশুমার-যা গোপনে আল্লাহ নিজে প্রদান করবেন। পরীক্ষার ফলাফল জানার জন্য পরীক্ষার্থী যেভাবে ফলাফল ঘোষণার দিনটির জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে, তেমনি ছায়েম তার অজানা ছওয়াব স্বয়ং আল্লাহর নিকট থেকে পাবার জন্য তাঁর দীদার লাভের উদগ্র বাসনায় ব্যাকুল থাকে।

এজন্যই বলা হয়েছে ছায়েমের জন্য দু’টি খুশীর মুহূর্ত রয়েছ। একটি ইফতারকালে দুনিয়াবী সাময়িক খুশী এবং অন্যটি আল্লাহর দীদারকালে আখেরাতের চিরস্থায়ী খুশী। ঐদিন জান্নাতী মুমিনগণ আল্লাহকে তাদের সম্মুখে পূর্ণিমার চাঁদের ন্যায় স্পষ্ট দেখতে পাবে। কিন্তু জাহান্নামীগণ বঞ্চিত হবে। আল্লাহ! আমাদেরকে তোমার দীদার লাভের তাওফীক্ব দাও- আমীন!!

الصِّيَامُ جُنَّةً ‘ছিয়াম’ মুমিনের জন্য ঢাল স্বরূপ। কেননা ছিয়াম তাকে অন্যায়-অপকর্ম হ’তে বিরত রাখে এবং ছিয়াম কবুল হলে সে জাহান্নাম থেকে বেঁচে যায়।

إِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ ... صَائِمٌ ‘হাদীছের শেষাংশে ছওমকে পরিচ্ছন্ন ও কবুলযোগ্য করার জন্য বিশেষ একটি পদ্ধতি বলে দেওয়া হয়েছে। সেটি হ’ল যথাসম্ভব চুপ থাকা এবং দুনিয়াবী শোরগোল ও ঝক্কি-ঝামেলা হ’তে দূরে থাকা। এ কারণে ছায়েমের জন্য তার মুখ ও হাতকে সংযত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেননা এ দু’টিই হল যাবতীয় অপকর্মের মাধ্যম। অন্য হাদীছে এসেছে الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ ‘প্রকৃত মুসলিম সেই যার যবান ও হাত থেকে অন্য মুসলমান নিরাপদ থাকে’।[4] ছায়েমকে একমাস ধরে এর কঠোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়। কেননা এটাতে ব্যর্থ হ’লে তার ছিয়াম ব্যর্থ হবার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা অন্য হাদীছে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) এরশাদ করেন,مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ فَلَيْسَ لِلَّهِ حَاجَةٌ فِى أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ ‘যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ ছাড়তে পারল না, তার খামাখা খানাপিনা ত্যাগ করার আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই’।[5]

এই কঠোর ধমকি মনে রেখে ছিয়াম পালন করলেই ছিয়ামের সার্থকতা হবে। লন্ড্রীতে কাপড় দিলে যদি তা পরিচ্ছন্ন ও পারিপাটি না হয়, বরং আগের মতই ময়লাযুক্ত থাকে তবে তা ধোয়া হ’লেও যেমন কাপড়ের মালিক তা ফেরত দেন। অমনিভাবে খানাপিনা ত্যাগ করার ফলে বিধান মোতাবেক ছায়েম বলা গেলেও তার ছওম যদি ময়লাযুক্ত হয়, তবে তা আল্লাহর নিকটে কবুল না হবারই সম্ভাবনা বেশী।

দুর্ভাগ্য আমরা আমাদের ছওমগুলিকে রেওয়াজী ছওমে পরিণত করেছি। এর মাধ্যমে মুসলিম সমাজে কোনরূপ নৈতিক উন্নয়ন চোখে পড়ে না। রামাযান মাসেই দুর্নীতি যেন হিংস্র হায়েনার মত মুসলিম সমাজকে হামলা করে।

ব্যবসায়ী তার পণ্যের মূল্য বাড়ায়, ঘুষখোর অফিসার-কেরানীরা নির্লজ্জভাবে ঘুষ হাতিয়ে নেয়। রাজনৈতিক নেতারা এমনকি বুদ্ধিজীবীরাও লাগামহীনভাবে মিথ্যা কথা বলেন। চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীরা তাদের অপকর্ম বাড়িয়ে দেয়। এটা যেন রামাযানের পবিত্রতার বিরুদ্ধে একটা অঘোষিত যুদ্ধ ঘোষণা। যেদেশের মুসলমানেরা প্রতিনিয়ত আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে, তাদের উপরে আল্লাহর রহমত কিভাবে নেমে আসবে? আল্লাহ গাফূরুর রহীম না হ’লে আমাদের মত পাপীদের জন্য স্রেফ গযব ছাড়া আর কিছুই পাওয়ার ছিল না।

রামাযানের শুরু থেকে জাহান্নামের দরজা বন্ধ ও জান্নাতের দরজা খোলা থাকে। কারণ এই সময় মুমিন গুনাহে কবীরা থেকে দূরে থাকে। ফলে জাহান্নামে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। জান্নাতের দরজা খোলা থাকে। কেননা এই মাসে মুমিন বেশী বেশী নেকী করে যা অবিরত ধারায় আল্লাহর নিকটে পৌঁছতে থাকে। ফলে বিশেষ সময়ে দিন রাত অফিস খোলা রাখার ন্যায় বান্দার অসংখ্য নেকী জমা করার জন্য জান্নাতের দরজা সর্বদা খোলা রাখা হয়। আর এই নেকী লাভের জন্য অন্য হাদীছে দু’টি বিষয় উল্লেখিত হয়েছে। সেটি হ’ল إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا ‘ঈমান ও ইহতিসাব’। অর্থাৎ পূর্ণ ঈমানদারী ও ছওয়াবের আশায় যদি কেউ ছিয়াম পালন করে তবেই সে ব্যক্তির পিছনের যাবতীয় গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। পরন্তু অত্র হাদীছ অনুযায়ী আল্লাহর নিজস্ব পুরষ্কার দানের বিষয়টিতো রয়েছেই।

অতএব ছিয়ামের রেওয়াজ পালন নয়; বরং সত্যিকার অর্থেই ছিয়াম পালনের জন্য সকল মুমিনকে প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করতে হবে। আর এ জন্যই নিজের মধ্যে নেকী উপার্জনের প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি করতে হবে। সকল অন্যায় থেকে তওবা করব এবং অন্য মাসে যা নেকী করি, এমাসে তার চাইতে বেশী করব- এই মনোভাব থাকতেই হবে। আগামী রামাযান আমার ভাগ্যে আর না-ও আসতে পারে।

অতএব আসুন! এ বছরে যারা আমরা রামাযান পেয়েছি, তারা হৃদয়ভরে রামাযানকে স্বাগত জানাই ও তার বরকত ও ছওয়াব উপার্জনের জন্য প্রতিযোগিতার মনোভাব গ্রহণ করি। আমাদের এই নোংরা স্বার্থপর সমাজকে কল্যাণময় পবিত্র সমাজে পরিণত করার শপথ নেই।

কুরআন নাযিলের এই মহিমান্বিত মাসে কুরআন ও ছহীহ হাদীছের আলোকে নিজের ধর্মীয় ও বৈষয়িক জীবন পরিশুদ্ধ করি এবং অহি-র বিধান অনুযায়ী নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা শুরু করি। এটা করতে পারলেই রামাযান ও ঈদুল ফিৎর আমাদের জন্য সার্থক হবে।


[1]. বুখারী হা/১৯০৪; মুসলিম হা/১১৫১; মিশকাত হা/১৯৫৯ ‘ছওম’ অধ্যায়।

[2]. মির‘আত ১/৪৩ পৃ.; বুখারী হা/১১৯।

[3]. আহমাদ হা/৮২৪২, সনদ হাসান।

[4]. বুখারী হা/১০; মুসলিম হা/৪১; মিশকাত হা/৬।

[5]. বুখারী হা/১৯০৩; মিশকাত হা/১৯৯৯।






বিষয়সমূহ: আমল
উত্তম পরিবার - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
কথা ও কাজ - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আমানতদারিতা - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
ইসলাম বিশ্বজয়ী ধর্ম - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় করা - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
মৃত্যুকে স্মরণ - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
দ্বীন হ’ল নছীহত - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
নেকীর প্রতিযোগিতা কর - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
বায়‘এ মুআজ্জাল - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
ফেরকা নাজিয়া-এর পরিচয়
ইসলামী শিক্ষা - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
বড় পরীক্ষায় বড় পুরস্কার - প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব
আরও
আরও
.