বিজ্ঞান ও বিস্ময়

পৃথিবী বর্গাকার হ’লে কি হ’ত

যদি পৃথিবী বর্গাকার হ’ত, তবে আমাদের পরিচিত প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীবনের ওপর বড় পরিবর্তন আসত। বর্গাকার আকৃতির কারণে অভিকর্ষ ক্ষেত্র অসমান হ’ত। ফলে কেন্দ্র হ’ত শক্তিশালী আর প্রান্ত হ’ত দুর্বল। ফলে ভূমির গঠন বিকৃত হয়ে কেন্দ্রে স্ফীত ও প্রান্তে চাপা হ’ত। এ কারণে প্রাণীর দেহে মেরুদন্ড ও পেশির ওপর অস্বাভাবিক চাপ সৃষ্টি হ’ত।

বায়ুমন্ডল কেন্দ্রে ঘন ও প্রান্তে পাতলা হয়ে বায়ুপ্রবাহে পরিবর্তন আনত। পানি কেন্দ্রের দিকে জমে বিশাল অভ্যন্তরীণ মহাসাগর গঠন করত, আর প্রান্ত অঞ্চল শুষ্ক থাকত। ভূ-আলোড়ন ও টেকটোনিক প্লেটের আচরণ বদলে নতুন ধরনের পাহাড়, আগ্নেয়গিরি ও ভূমিকম্প দেখা যেত।

সূর্যের আলো কেন্দ্রে সরাসরি পড়ায় সেখানে অধিক তাপ থাকত, আর প্রান্তে কম। ফলে তাপমাত্রা ও ঋতুর ব্যবস্থাপনায় বড় পার্থক্য দেখা যেত। সব মিলিয়ে, বর্গাকার পৃথিবীতে জীবনধারা হ’ত সম্পূর্ণ ভিন্ন ও জটিল।

গুগলের এআই কো-সায়েন্টিস্ট মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় সমাধান করল ১০ বছরের বৈজ্ঞানিক রহস্য

গুগল জেমিনির নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা টুল ‘কো-সায়েন্টিস্ট’ মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি জটিল বৈজ্ঞানিক রহস্য সমাধান করে বৈজ্ঞানিক মহলে চমক সৃষ্টি করেছে। ব্রিটেনের লন্ডন ভিত্তিক ইম্পেরিয়াল কলেজের মাইক্রোবায়োলজিস্ট অধ্যাপক জোসে পেনাডেস এবং তার গবেষণা দল দীর্ঘ ১০ বছর ধরে একটি মারাত্মক জীবাণু তথা সুপারবাগ নিয়ে কাজ করছিলেন। এই সুপারবাগ অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে এতটা প্রতিরোধী যে, সাধারণ চিকিৎসায় এদের ধ্বংস করা কঠিন হয়ে পড়ে।

এটি এমন এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক, যারা একাধিক অ্যান্টিবায়োটিকের প্রভাবকে পরাস্ত করতে সক্ষম। অতিরিক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে শরীরে এই ধরনের জীবাণুর জন্ম হ’তে পারে। একবার শরীরে ঢুকলে এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে মারাত্মক ক্ষতি করে।

অধ্যাপক পেনাডেসের তত্ত্ব ছিল, সুপারবাগ একটি ভাইরাসের সাহায্যে এক ব্যাকটেরিয়া প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিতে ছড়িয়ে পড়ে এবং তাতেই প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই তত্ত্ব শুধুমাত্র গবেষকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। কোথাও প্রকাশিত হয়নি। এরপর তিনি গুগলের এআই টুলকে এই রহস্য সমাধানের দায়িত্ব দেন। চমকপ্রদভাবে টুলটি মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সমস্যাটির যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দেয় এবং একটি সম্ভাব্য সমাধানও প্রস্তাব করে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, এটি শুধু গবেষকদের ধারণাকেই সমর্থন করেনি, বরং আরও চারটি নতুন হাইপোথিসিস বা সম্ভাবনার কথা বলেছে, যেগুলোর প্রতিটিই বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক।

পেনাডেসের মতে, তার গবেষণা এখনও প্রকাশিত হয়নি। তাই এআই কিভাবে এত নিখুঁতভাবে সেই গোপন তথ্য বুঝতে পারল, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন এবং অবাক তিনি। এই অগ্রগতি বিজ্ঞানীদের মনে নতুন আশার আলো জাগিয়েছে। তারা আশা করছেন, এআই-এর সহায়তায় অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধী জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর ওষুধ তৈরি সম্ভব হবে এবং ভবিষ্যতে সুপারবাগ চিরতরে নির্মূল করা যেতে পারে।

ইটভাটার জন্য নতুন পরিবেশবান্ধব কৌশল উদ্ভাবন

দেশী-বিদেশী গবেষকরা পরিবেশবান্ধব ও জ্বালানী-সাশ্রয়ী নতুন এক কৌশল উদ্ভাবন করেছেন, যা ইটভাটার দূষণ কমাতে সহায়ক। যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ও স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, আইসিডিডিআর,বি, গ্রিনটেক নলেজ সলিউশনস এবং বুয়েটের গবেষকরা এই কৌশল উদ্ভাবন করেন। গবেষণা অনুযায়ী, এই পদ্ধতিতে ইট উৎপাদনে কার্বন নির্গমন ২০% ও জ্বালানী খরচ ২৩% কমে যাবে এবং সামাজিক সুফল আর্থিক ব্যয়ের তুলনায় ৬৫ গুণ বেশী হবে।

এই ‘র‌্যান্ডমাইজড কন্ট্রোলড’ পদ্ধতির প্রয়োগে উচ্চমানের ইট উৎপাদন বাড়ে, কয়লা খরচ কমে এবং পরিবেশের ক্ষতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। এক টন কার্বন ডাই অক্সাইড কমাতে খরচ মাত্র ২.৮৫ ডলার, যেখানে ক্ষতির আর্থিক মূল্য প্রায় ১৮৫ ডলার। গবেষকরা বলছেন, দেশে সব জিগজ্যাগ ইটভাটায় এই কৌশল প্রয়োগ করলে বার্ষিক কার্বন নিঃসরণ প্রায় ২% কমানো সম্ভব।

আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ

বৃ-কুষ্টিয়া দারুলহাদীছ সালাফিইয়াহ মাদ্রাসার নতুন ভবন উদ্বোধন

২৬শে এপ্রিল শনিবার শাহজাহানপুর, বগুড়া : অদ্য বিকাল ৩-টায় যেলার শাহজাহানপুর থানাধীন বৃ-কুষ্টিয়া দারুলহাদীছ সালাফিইয়াহ তাহফীযুল কুরআন মাদ্রাসা ও ইয়াতীমখানার বালিকা শাখার নতুন ভবন উদ্বোধন করেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও অত্র মাদ্রাসার সভাপতি প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। এ সময়ে তিনি মহিলাদের দ্বীনী শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং মহিলাদেরকে দ্বীনী শিক্ষার প্রতি এগিয়ে আসার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষাবোর্ড’-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়ার সেক্রেটারী মাওলানা দুররুল হুদা ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক আব্দুন নূর। অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা পেশ করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি হাফেয মুখলেছুর রহমান, অত্র মাদ্রাসার সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ দিলবর রহমান, সেক্রেটারী অধ্যাপক মাহতাবুদ্দীন, উপযেলা বিএনপির সভাপতি এনামুল হক শাহীন, যেলা ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ আল-আমীন, সরকারী কমরুদ্দীন ইসলামিয়া ডিগ্রী কলেজের প্রিন্সিপাল শফীকুত তারীক, বগুড়া আইডিয়াল হেরিটেজ একাডেমীর শিক্ষক মুহাম্মাদ আছিফ রেযা ও মাওলানা রেযাউল করীম সালাফী প্রমুখ।

ঈদুল ফিৎর পরবর্তী দাওয়াতী সফরে আমীরে জামা‘আত

১লা এপ্রিল মঙ্গলবার চারঘাট, রাজশাহী : পবিত্র ঈদুল ফিৎরের পরের দিনকে দাওয়াতী সফরে ব্যয় করার উদ্দেশ্যে মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­াহ আল-গালিব রাজশাহী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার বিভিন্ন এলাকা সফর করেন। সফরের বিবরণ নিম্নরূপ :

রাজশাহী-সদর যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা দুররুল হুদার নেতৃত্বে ১টি হাইয়েস ও ১টি প্রাইভেটকার যোগে নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি সকাল ৯-টায় নওদাপাড়া মারকায থেকে রওয়ানা হন। এসময় আমীরে জামা‘আতের সফরসঙ্গী ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও মাসিক আত-তাহরীকের সহকারী সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, নওদাপাড়া মারকাযের শিক্ষক মুফাক্ষার হোসাইন, মারকাযের হেফয বিভাগের সহকারী পরিচালক হাফেয আহমাদ আব্দুল্ল­াহ শাকির। এতদ্ব্যতীত ‘আল-‘আওন’-এর স্বাস্থ্য বিভাগের সম্পাদক মুহাম্মাদ জাহিদ, রাজশাহী-সদর ‘আন্দোলন’-এর কর্মী সালমান ফারেসী, আইটি সহকারী জিএম ওয়ালিউল্ল­াহ প্রমুখ।

(ক) সারদা পুলিশ একাডেমী, চারঘাট : মারকায থেকে রওয়ানা হয়ে সকাল সাড়ে ৯-টায় চারঘাট উপযেলার সারদা পুলিশ একাডেমীতে পৌঁছলে সেখানকার পুলিশ কর্মীরা এবং রাজশাহী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে ২২টি হোন্ডার বহর আমীরে জামা‘আত ও তাঁর সফরসঙ্গীদের সাদর অভ্যর্থনা জানান। এসময় এলাকার সুধী ও কর্মীদের শ্লে­াগানে পুলিশ একাডেমী মুখরিত হয়ে ওঠে। তারপর ৬০ জন কর্মীসহ তিনি পুলিশ একাডেমী পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানকার পদ্মার শাখা নদীর উপরে নির্মিত ভিআইপি রেষ্ট হাউস ‘পদ্মকুটির’ ও ঝুলন্ত ব্রীজ গমন করেন। তিনি ভারত থেকে উপহার প্রাপ্ত ইন্ডিয়ান জাতের বড় বড় ৪৫টি ঘোড়া ও তাদের আস্তাবল পরিদর্শন করেন। অতঃপর ভিআইপি লাউঞ্জে সেখানকার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আমীরে জামা‘আত ও তাঁর সফরসঙ্গীদের আপ্যায়ণ করান। পুলিশকর্মীদের মধ্যে অনেককে ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)-এর ভক্ত পাঠক হিসাবে দেখে তিনি আপ্লুত হন। তাদের মধ্যে একজন কেঁদে ফেলে বলেন, যে বই পড়ে আমি আমার জীবন পরিবর্তন করেছি, সেই বইয়ের লেখককে আমি আজ এখানে স্বচক্ষে দেখতে পাব স্বপ্নেও ভাবিনি। 

(খ) চারঘাট বাজার মসজিদ পরিদর্শন : পুলিশ একাডেমী থেকে বেরিয়ে আমীরে জামা‘আত চারঘাট বাজার আহলেহাদীছ মসজিদে পৌঁছেন। এ সময়ে সফরসঙ্গী, সুধী ও কর্মীদের শ্লোগানে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। আমীরে জামা‘আত সাথীদের নিয়ে সেখানে যোহর ও আছর ছালাত জমা ও ক্বছর আদায় করেন। ছালাতের পর সেখানে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বক্তব্য পেশ করেন চারঘাট উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইনসহ আমীরে জামা‘আতের সফরসঙ্গীগণ। তারপর তিনি উপযেলার অর্থ সম্পাদক আযীযুর রহমানের মিয়াপুরস্থ বাসায় সাথীদের নিয়ে দুপুরের খাবার গ্রহণ করেন এবং হালকা বিশ্রাম করেন। অতঃপর সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে দাওয়াতী সফর শেষে তিনি বিকাল ৫-টায় নওদাপাড়া মারকাযে ফিরে আসেন। ফালিল্লাহিল হাম্দ!

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বিলুপ্তির দাবীতে

ঢাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ

২রা মে শুক্রবার বায়তুল মোকাররম, ঢাকা : অদ্য বাদ জুম‘আ নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বিলুপ্তি ও এর প্রতিবেদন বাতিলের দাবীতে ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ঢাকা যেলার উদ্যোগে ঢাকা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর প্রধান উপদেষ্টা আলহাজ্জ মুহাম্মাদ আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, শূরা সদস্য কাযী হারূণুর রশীদ, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফায়ছাল মাহমূদ ও আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরাম-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ডা. শওকত হাসান।

এসময় বক্তাগণ বলেন, বিদেশী খুদ-কুঁড়ো খাওয়া নাস্তিক্যবাদী চিহিণত নারীবাদীদের দ্বারা গঠিত নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের গত ১৯ এপ্রিল দেওয়া প্রস্তাবনা সরাসরি ইসলামী নারী নীতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্য হামলা। অবিলম্বে এটি বাতিল ও উক্ত কমিশন বিলুপ্ত করতে হবে। উক্ত সমাবেশ থেকে বর্তমান সরকারের প্রতি নিম্নোক্ত দাবীসমূহ পেশ করা হয়।

(১) আল্লাহ পবিত্র কুরআনে নারী ও পুরুষের যেসকল হক ও মর্যাদা প্রদান করেছেন, তা যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠা করাই হবে সরকারের প্রধান কাজ। (২) ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কোন আইন প্রণয়ন না করে বরং ইসলামী আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। (৩) যিনা-ব্যভিচারের পুঁজিবাদী সংস্করণ পতিতাবৃত্তিকে শ্রমের মর্যাদা নয় বরং রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশের সকল পতিতালয় বন্ধ করতে হবে। সেই সাথে পতিতাবৃত্তিতে লিপ্ত নারীদেরকে কোন বৈধ পেশায় পুনর্বাসন করতে হবে। (৩) প্রতিনিয়ত ঘটে চলা ধর্ষণ, যৌন হয়রানি এবং নারী নির্যাতন বন্ধ করতে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে শারঈ আদালত চালু করতে হবে। (৪) সুদ, ঘুষ, মদ, জুয়া লটারী ইত্যাদি শরী‘আত গর্হিত কর্মকান্ড বন্ধ করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। (৫) সর্বোপরি দেশের সার্বিক কল্যাণ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী দেশের আইন, বিচার ও শাসন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে হবে।

যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক উপদেষ্টা তাসলীম সরকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন যেলা ‘আন্দোলনে’র সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আযীমুদ্দীন, ঢাকা-উত্তর সাংগঠনিক যেলার সভাপতি মাওলানা সাইফুল ইসলাম যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি ড. ইহসান ইলাহী যহীর, গাযীপুর উত্তর যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম, নরসিংদী যেলা ‘যুবসংঘে’র সাবেক সভাপতি মুহাম্মাদ দেলোয়ার, এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আমীনুল ইসলাম। সমাবেশে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ যেলা ছাড়াও পাশ্ববর্তী নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাযীপুর ও উত্তরবঙ্গে লালমণিরহাট সহ বেশ কিছু যেলা থেকে উৎসুক কর্মী দায়িত্বশীলগণ যোগদান করেন।

মারকায পরিদর্শনে পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম আল্লামা ইবতিসাম ইলাহী যহীর

১৭ই ফেব্রুয়ারী সোমবার নওদাপাড়া, রাজশাহী : অদ্য বাদ মাগরিব ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী পরিদর্শন উপলক্ষে মারকাযী জামে মসজিদে এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­াহ আল-গালিব-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘কুরআন ও সুন্নাহ আন্দোলন পাকিস্তান’-এর চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের বিশিষ্ট আলেম আল্লামা ইহসান ইলাহী যহীরের পুত্র আল্লামা ইবতিসাম ইলাহী যহীর। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন আহলেহাদীছ আন্দোলন, সঊদী আরব শাখার সহ-সভাপতি হাফেয মুহাম্মাদ আখতার ও মারকাযের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. নূরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন মারকাযের শিক্ষক সারওয়ার মিছবাহ। তেলাওয়াত করেন মারকাযের ৫ মাসে হিফয সম্পন্নকারী হাফেয মুহাম্মাদ হুযায়ফা।

প্রশিক্ষণ

২রা মে শুক্রবার আরামরগর, জয়পুরহাট : অদ্য বাদ জুম‘আ যেলা শহরের আরামনগর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’-এর উদ্যোগে এক দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ডা. আমীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম।

৩রা মে শনিবার গাংনী, মেহেরপুর : অদ্য সকাল ১০-টায় যেলার গাংনী থানাধীন বামুন্দী বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে মেহেরপুর যেলা আহলেহাদীছ ইমাম পরিষদের উদ্যোগে এক ইমাম প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি আব্দুর রশীদ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি তরীকুয্যামান ও ইমাম পরিষদের সদস্যগণ।

১০ই মে শুক্রবার কাচিয়ারচর, উল্লাপাড়া, সিরাজগঞ্জ : অদ্য সকাল ৯-টায় যেলার উল্লাপাড়া উপযেলাধীন কাচিয়ারচর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে সিরাজগঞ্জ যেলা ‘আন্দোলন’ ও ‘যুবসংঘ’-এর উদ্যোগে কর্মী ও দায়িত্বশীল প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ মুর্তাযার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম ও যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার। অন্যান্যের মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি শফীউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতীন, কামারখন্দ উপযেলার অর্থ সম্পাদক শামসুল আলম, এনায়েতপুর উপযেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সুবহান, উল্লাপাড়া উপযেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যেলা ‘যুবসংঘে’র সভাপতি আব্দুল ওয়ারেছ ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল মাহমূদ প্রমুখ।

যুবসংঘ

‘ফিলিস্তীনে ইস্রাঈলের বর্বরচিত গণহত্যা : মুসলিম উম্মাহর করণীয়’ শীর্ষকসেমিনার

৩রা মে শনিবার টিএসসি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় : অদ্য সকাল ১০-টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ‘ফিলিস্তীনে ইস্রাঈলের বর্বরচিত গণহত্যা : মুসলিম উম্মাহর করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য ড. সালেহ হাসান নকীব। কিন্তু তিনি বিশেষ কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত ও অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক খন্দকার মুহাম্মাদ মাহমূদুল হাসান, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মাদ তরুণ হাসান, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুন নূর, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রঊফ ও দফতর সম্পাদক মুহাম্মাদ আরাফাত যামান। সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘যুবসংঘ’-এর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-মামূন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ‘যুবসংঘ’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ। সেমিনারে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

কেন্দ্রীয় কাউন্সিল প্রশিক্ষণ

৯ ও ১০ই মে শুক্র ও শনিবার নওদাপাড়া, রাজশাহী : গত ৯ ও ১০ই মে শুক্র ও শনিবার আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহীর পূর্ব পার্শ্বস্থ মারকাযী জামে মসজিদের দ্বিতীয় তলায় ‘বাংলাদেশ আহলেহাদীছ যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় উদ্যোগে দু’দিন ব্যাপী কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সদস্য প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল কালাম আযাদের সভাপতিত্বে প্রথম দিন সকাল ৬-টা থেকে দ্বিতীয় দিন যোহরের পূর্ব পর্যন্ত অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্ল­াহ আল-গালিব।

অন্যান্যের মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ড. নূরুল ইসলাম, ড. মুখতারুল ইসলাম, মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ, বর্তমান কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফয়ছাল মাহমূদ, প্রচার সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুন নূর, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আব্দুর রঊফ, ‘আহলেহাদীছ পেশাজীবী ফোরামে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ডা. মুহাম্মাদ ছাবিত, রাজশাহী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মুহাম্মাদ আব্দুল মান্নান, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়ার শিক্ষক ক্বারী আব্দুল আউয়াল প্রমুখ।

মাহে রামাযান উপলক্ষে দেশব্যাপী কর্মী প্রশিক্ষণ, আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

২৬. ৩রা রামাযান ৪ঠা মার্চ মঙ্গলবার নওগাঁ : অদ্য সকাল ৯-টায় যেলা শহরের আনন্দনগর আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী জামে মসজিদে নওগাঁ যেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম ও শূরা সদস্য মুহাম্মাদ তরীকুয্যামান।

২৭. ৪ঠা রামাযান ৫ই মার্চ বুধবার নওগাঁ : অদ্য সকাল ৯-টায় যেলার মান্দা থানাধীন পাঁজরভাঙ্গা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম ও শূরা সদস্য মুহাম্মাদ তরীকুয্যামান।

২৮. ৭ই রামাযান ৮ই মার্চ শনিবার কালদিয়া, বাগেরহাট : অদ্য বাদ যোহর যেলার সদর থানাধীন কালদিয়াস্থ আল-মারকাযুল ইসলামী সংলগ্ন জামে মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আববাসুদ্দীন ইলিয়াসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মদ কাবীরুল ইসলাম ও খুলনা যেলার সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ আযীযুর রহমান।

২৯. ৮ই রামাযান ৯ই মার্চ রবিবার তেরখাদা, খুলনা : অদ্য বাদ যোহর যেলার তেরখাদা উপযেলা সংলগ্ন আহলেহাদীছ জামে মসজিদে উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এক প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম।

৩০. ১২ই রামাযান ১৩ই মার্চ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল : অদ্য বাদ আছর যেলার বাশাইল থানাধীন কাঞ্চনপুর কাঠালতলী আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক শামসুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম।

৩১. ১২ই রামাযান ১৩ই মার্চ বৃহস্পতিবার লালবাগ, দিনাজপুর-পশ্চিম : অদ্য বাদ আছর যেলা শহরের লালবাগস্থ আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফীতে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মফীযুদ্দীন আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক যয়নুল আবেদীন ও ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক আবু তাহের মেছবাহ।

৩২. ১২ই রামাযান ১৩ই মার্চ বৃহস্পতিবার উযীরপুর, বরিশাল-পশ্চিম : অদ্য বাদ যোহর যেলার উযীরপুর থানাধীন শোলক আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা ইব্রাহীম কাওছার সালাফীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় দাঈ রাক্বীবুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আরাফাত যামান।

৩৩. ১২ই রামাযান ১৩ই মার্চ বৃহস্পতিবার ঝিনাইদহ : অদ্য বাদ যোহর যেলার সদর থানাধীন শিশুকুঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সম্মুখস্থ বায়তুল আমান জামে মসজিদে এক প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল আযীযের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ বাহারুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফায়ছাল মাহমূদ।

৩৪. ১২ই রামাযান ১৩ই মার্চ বৃহস্পতিবার, সিলেট : অদ্য বেলা ১১-টায় যেলা শহরের শাহী ঈদগাহ সংলগ্ন হাদীছ ফাউন্ডেশন পাঠাগারে সিলেট-উত্তর ও দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এক প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট-উত্তর-এর সভাপতি জাবের আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম, আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির ও রাজশাহী-সদরের অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ ছাববীর।

৩৫. ১৩ই রামাযান ১৪ই মার্চ শুক্রবার গাযীপুর-দক্ষিণ : অদ্য বাদ যোহর যেলা সদরের ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাফেয আব্দুল্লাহ আল-মা‘রূফ।

৩৬. ১৩ই রামাযান ১৪ই মার্চ শুক্রবার সোহাগদল, পিরোজপুর : অদ্য সকাল ১০-টায় যেলার স্বরূপকাঠি থানাধীন সোহাগদল আহলেহাদীছ জামে মসজিদে যেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি শাহ আলম বাহাদুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন ও কেন্দ্রীয় দাঈ রাক্বীবুল ইসলাম।

৩৭. ১৩ই রামাযান ১৪ই মার্চ শুক্রবার মানিকগঞ্জ : অদ্য বাদ জুম‘আ যেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন নওখন্ডা আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জামীল আহমাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফায়ছাল মাহমূদ।

৩৮. ১৩ই রামাযান ১৪ই মার্চ শুক্রবার মাদারীপুর : অদ্য বাদ আছর যেলা সদরের দরগা শরীফ রোডস্থ তাক্বওয়া কালার ভবনের নীচতলায় এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা কামাল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় দাঈ রাক্বীবুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আরাফাত যামান।

৩৯. ১৩ই রামাযান ১৪ই মার্চ শুক্রবার কুলাউড়া, মৌলভীবাজার : অদ্য বাদ জুম‘আ যেলার কুলাউড়া থানাধীন মসজিদুত তাওহীদ-এ মৌলভীবাজার যেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা সাধারণ সম্পাদক আবু মুহাম্মাদ সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল হালীম, আল-‘আওনে’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেয আহমাদ আব্দুল্লাহ শাকির ও রাজশাহী-সদর যেলার অর্থ সম্পাদক ছাববীর আহমাদ প্রমুখ।

৪০. ১৩ই রামাযান ১৪ই মার্চ শুক্রবার রাজবাড়ী : অদ্য বাদ জুম‘আ যেলার সদর থানাধীন রেলগেইট বাজার বায়তুল হিকমাহ আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা মুকবূল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ বাহারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক রাক্বীবুল ইসলাম।

৪১. ১৪ই রামাযান ১৫ই মার্চ শনিবার সারিয়াকান্দি, বগুড়া : অদ্য বাদ আছর যেলার সারিয়াকান্দি উপযেলার নিজ বোলাইল আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম।

৪২. ১৪ই রামাযান ১৫ই মার্চ শনিবার লাখাই, হবিগঞ্জ : অদ্য বাদ যোহর যেলার লাখাই উপযেলাধীন আমানুল্লাহপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা এ. কে. এম জা‘ফর আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. আব্দুল হালীম।

৪৩. ১৪ই রামাযান ১৫ই মার্চ শনিবার বোদা, পঞ্চগড় : অদ্য বাদ যোহর যেলার বোদা উপযেলাধীন ফুলতলাহাট আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি যয়নুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক যয়নুল আবেদীন ও ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক আবু তাহের মেছবাহ।

৪৪. ১৪ই রামাযান ১৫ই মার্চ শনিবার পাটগ্রাম, লালমণিরহাট : অদ্য বাদ যোহর যেলার পাটগ্রাম উপযেলা পরিষদ মিলনায়তনে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা শহীদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবুল কালাম।

৪৫. ১৪ই রামাযান ১৫ই মার্চ শনিবার গোপালগঞ্জ : অদ্য বাদ যোহর যেলার কোটালীপাড়া থানাধীন কাঠিগ্রাম কেন্দ্রীয় আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইদ্রীস আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় দাঈ রাক্বীবুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আরাফাত যামান।

৪৬. ১৪ই রামাযান ১৫ই মার্চ শনিবার চুয়াডাঙ্গা : অদ্য বাদ যোহর যেলার দামুড়হুদা থানাধীন জয়রামপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ সাঈদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম এবং ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক রাক্বীবুল ইসলাম।

৪৭. ১৪ই রামাযান ১৫ই মার্চ শনিবার, পুঠিয়া, রাজশাহী-পূর্ব : অদ্য সকাল ১০-টায় যেলার পুঠিয়া উপযেলাধীন বানেশ্বর দারুল হাদীছ সালাফিইয়াহ মাদ্রাসায় এক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক মুহাম্মাদ আব্দুল লতীফ, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আসাদুল্লাহ আল-গালিব ও ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক মুহাম্মাদ মঈনুল ইসলাম।

৪৮. ১৫ই রামাযান ১৬ই মার্চ রবিবার পাঁচদোনা, নরসিংদী : অদ্য সকাল ১০-টায় যেলা সদরের পাঁচদোনা বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি কাযী আমীনুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, কেন্দ্রীয় শূরা সদস্য অধ্যাপক মাওলানা জালালুদ্দীন ও ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম।

৪৯. ১৫ই রামাযান ১৬ই মার্চ রবিবার গাংনী, মেহেরপুর : অদ্য সকাল ১১-টায় যেলার গাংনী উপযেলাধীন বাঁশবাড়িয়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ তরীকুয্যমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম ও যুববিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রশীদ আখতার।

৫০. ১৫ই রামাযান ১৬ই মার্চ রবিবার কুমিল্লা : অদ্য বাদ আছর যেলার সদর থানাধীন আলেখারচরস্থ হাসান সালাফিইয়াহ মাদ্রাসা মসজিদে কুমিল্লা এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ছফিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমাদুল্লাহ।

৫১. ১৫ই রামাযান ১৬ই মার্চ রবিবার হরিপুর, ঠাকুরগাঁও : অদ্য বাদ আছর যেলার হরিপুর উপযেলাধীন বনগাঁও আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি যিয়াউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জয়পুরহাট যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাবেক সভাপতি মাহফূযুর রহমান, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রকাশনা সম্পাদক যয়নুল আবেদীন ও ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় সহ-পরিচালক আবু তাহের মেছবাহ।

৫২. ১৫ই রামাযান ১৬ই মার্চ রবিবার জলঢাকা, নীলফামারী : অদ্য সকাল সাড়ে ১১-টায় যেলার জলঢাকা উপযেলাধীন পাইলট বালিকা বিদ্যালয় মিলনায়তনে নীলফামারী-পূর্ব সাংগঠনিক যেলার উদ্যোগে এক প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ডা. মুহাম্মাদ মুতীউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবুল কালাম।

৫৩. ১৫ই রামাযান ১৬ই মার্চ ররিবার ফরিদপুর : অদ্য বাদ আছর যেলা শহরে অবস্থিত ‘আন্দোলন’-এর কার্যালয়ে এক প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ দেলাওয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ফায়ছাল মাহমূদ। অন্যান্যের মধ্যে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ নূরুল ইসলাম।

৫৪. ১৬ই রামাযান ১৭ই মার্চ সোমবার নওদাপাড়া, রাজশাহী : অদ্য বাদ আছর নওদাপাড়া মারকাযী জামে মসজিদে রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা দুররুল হুদার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, মারকাযের ভাইস প্রিন্সিপাল ড. নূরুল ইসলাম, ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মাদ শরীফুল ইসলাম প্রমুখ।

৫৫. ১৬ই রামাযান ১৭ই মার্চ সোমবার সৈয়দপুর, নীলফামারী : অদ্য বাদ যোহর যেলার সৈয়দপুর আহলেহাদীছ জামে মসজিদে উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উপযেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মুহাম্মাদ শহীদুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আবুল কালাম।

৫৬. ১৭ই রামাযান ১৮ই মার্চ মঙ্গলবার জয়পুরহাট : অদ্য সকাল ১০-টায় যেলা শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ডা. মুহাম্মাদ আমীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শরীফুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আবুল কালাম ও প্রচার সম্পাদক আব্দুন নূর ।

৫৭. ১৭ই রামাযান ১৮ই মার্চ মঙ্গলবার মোহনপুর, রাজশাহী-পশ্চিম : অদ্য বেলা ১১-টায় যেলার মোহনপুর উপযেলাধীন পিয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক তোফায্যাল হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল লতীফ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা দুররুল হুদা।

৫৮.১৮ই রামাযান ১৯শে মার্চ বুধবার চাঁদপুর : অদ্য বাদ যোহর যেলার সদরের এলিট চাইনিজ রেস্টুরেন্টে চাঁদপুর যেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি আতাউল্লাহ শরীফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রঊফ।

৫৯. ১৯শে রামাযান ২০শে মার্চ বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া : অদ্য বাদ আছর যেলা শহরের কাউতলীস্থ ফুডহাট রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টারে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি খবীরুদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম।

৬০. ১৯শে রামাযান ২০শে মার্চ বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর : অদ্য বাদ আছর যেলা শহরের তা‘লীমুদ্দীন মডেল মাদ্রাসায় এক ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সহ-সভাপতি আব্দুর রায্যাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরজুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রঊফ।

৬১. ১৯শে রামাযান ২০শে মার্চ বৃহস্পতিবার বরগুনা : অদ্য বাদ যোহর যেলা শহরের ডি. কে. পি রোড আহলেহাদীছ জামে মসজিদে যেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক ফকীর নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় দাঈ রাক্বীবুল ইসলাম ও ‘যুবসংঘে’র কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক আরাফাত যামান।

৬২. ১৯শে রামাযান ২০শে মার্চ বৃহস্পতিবার গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধা : অদ্য সকাল ১০-টায় যেলার গোবিন্দগঞ্জ উপযেলাধীন টিএন্ডটি সংলগ্ন আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও বাদ আছর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি ডা. আওনুল মা‘বূদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মাওলানা নূরুল ইসলাম, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ও রাজশাহী-সদর সাংগঠনিক যেলা ‘সোনামণি’র পরিচালক ইমরুল কায়েস।

৬৩. ১৯শে রামাযান ২০শে মার্চ বৃহস্পতিবার, শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ : অদ্য বাদ যোহর যেলার শিবগঞ্জ উপযেলাধীন কানসাট আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী জামে মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মাদ শহীদুল করীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিলে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল লতীফ, প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, ‘যুবসংঘ’-এর সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মুহাম্মাদ আরীফুল ইসলাম ও ‘সোনামণি’র কেন্দ্রীয় পরিচালক রবীউল ইসলাম।

৬৪. ১৯শে রামাযান ২০শে মার্চ বৃহস্পতিবার মাগুরা : অদ্য বাদ যোহর যেলার মুহাম্মাদপুর থানাধীন নাগরা পূর্বপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদে এক সংক্ষিপ্ত প্রশিক্ষণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা ওয়াহীদুয্যামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত প্রশিক্ষণে কেন্দ্রীয় মেহমান ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক মুহাম্মাদ বাহারুল ইসলাম।

৬৫. ২০শে রামাযান ২১শে মার্চ শুক্রবার মেলান্দহ, জামালপুর-উত্তর : অদ্য বেলা ৩-টায় যেলার মেলান্দহ উপযেলার মাহমূদপুর বাজার আহলেহাদীছ জামে মসজিদে যেলা ‘আন্দোলন’-এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। যেলা সভাপতি মাওলানা মাসঊদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ কাবীরুল ইসলাম।

সীরাত কোর্স ১ম ব্যাচের পুরস্কার বিতরণী

১৮ই এপ্রিল, শুক্রবার, শাহমখদুম এভিনিউ, উত্তরা, ঢাকা : অদ্য বিকাল ৪-টায় ঢাকা উত্তরার ১২নং সেক্টরের শাহমখদুম এভিনিউ-এর ওমর ফারূক সেমিনার হলে হাদীছ ফাউন্ডেশন অনলাইন একাডেমী পরিচালিত সীরাত কোর্স ১ম ব্যাচের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক এবং ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ড’-এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য পেশ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, গাযীপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইমাম হোসাইন, ‘যুবসংঘ’-এর কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক হাফেয আব্দুল্ল­াহ আল-মা‘রূফ, ঢাকা দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলা ‘আন্দোলন’-এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদূদ, আইডিয়াল ইসলামিক হেরিটেজ, বগুড়ার পরিচালক ড. আব্দুল্ল­াহিল কাফী, আল-কুরআনের ভাষা ইন্সটিটিউট, ঢাকা-এর আরবী ভাষা শিক্ষক এস. এম. নাহিদ হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সঞ্চালক ছিলেন ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন অনলাইন একাডেমী’র কো-অর্ডিনেটর আবু রায়হান।

উল্লেখ্য যে, ‘হাদীছ ফাউন্ডেশন শিক্ষা বোর্ড’ কর্তৃক পরিচালিত হাদীছ ফাউন্ডেশন অনলাইন একাডেমী-এর অধিনে বিগত ২রা অক্টোবর ২০২৪ইং তারিখে তিন মাস ব্যাপী আমীরে জামা‘আত রচিত ‘সীরাতুর রাসূল (ছাঃ)’ গ্রন্থের উপরে ‘সীরাত কোর্স ২০২৪’ শুরু হয়। উক্ত কোর্সে সারাদেশ থেকে মোট দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। অতঃপর ১৬ই এপ্রিল ২০২৫ তারিখে অনলাইনেই চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করেন মামূনুর রশীদ (নওগাঁ), ২য় স্থান অধিকার করেন শাকিরুল ইসলাম (রংপুর) ও ৩য় স্থান অধিকার করেন তুষার আহমাদ (গোপালগঞ্জ)। তারা পুরস্কার হিসাবে ওমরাহ পালনের সুযোগ লাভ করেন। এছাড়া আরো ৭ (সাত) জন ১০,০০০/- টাকা সমমূল্যের হাদীছ ফাউন্ডেশন প্রকাশিত বই পুরস্কার হিসাবে লাভ করেন। তারা হলেন- তারেক আহমাদ (নাটোর), আসাদুয্যামান (সাতক্ষীরা), সাবিনা ইয়াসমীন (রাজশাহী), ইউনুস আলী (দিনাজপুর), রাযিয়া বেগম (নারায়ণগঞ্জ), মাহবূবা মাস‘ঊদ (লালমণিরহাট) ও শাকিলা খাতুন (সিরাজগঞ্জ)। উল্লেখ্য, ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারী তিন জনের ওমরার স্পন্সর করেন যথাক্রমে- কাযী হজ্জ কাফেলা, আত-তা‘লীম হজ্জ কাফেলা ও ছবর হজ্জ ও ওমরাহ কাফেলা। ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব ভিডিও বার্তায় উক্ত অনুষ্ঠানে যোগদান করে বিজয়ীদের শুভেচ্ছা জানান।

মৃত্যু সংবাদ

(১) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ যশোর যেলার শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুহাম্মাদ আসাদুয্যামান (৮৭) গত ১৯শে ফেব্রুয়ারী বুধবার রাত ১২-টায় হার্ট এ্যাটাকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও ২ কন্যাসহ বহু সাংগঠনিক সাথী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। পরদিন সকাল ১০-টায় যশোর যেলার কেশবপুর পাবলিক ময়দানে তার ১ম জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন খুলনা যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা জাহাঙ্গীর আলম। অতঃপর বিকাল ৩-টায় তার নিজ গ্রাম মণিরামপুর উপযেলাধীন গৌরীপুরে তার বাড়ীর সম্মুখস্থ ময়দানে ২য় জানাযায় অনুষ্ঠিত হয়। এখানে ইমামতি করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম। জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি আবুল খায়ের, সহ-সভাপতি ইব্রাহীম খলীল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ যেলা ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীলবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।

(২) ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’ ঢাকা-দক্ষিণ সাংগঠনিক যেলার সভাপতি ও ঢাকা বেরাইদ পূর্বপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদের মুতাওয়াল্লী মুহতারাম আমীরে জামা‘আত প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিব-এর ঘনিষ্ট সুহৃদ জনাব মুহাম্মাদ মোশাররফ হোসাইন (৬৭) ব্রেইন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৭ই মে বুধবার দুপুর আড়াইটায় মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লা-হি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজে‘ঊন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ পুত্র ও ২ কন্যাসহ বহু সাংগঠনিক সাথী ও আত্মীয়-স্বজন রেখে যান। এদিন রাত সাড়ে ৯-টায় বেরাইদ পূর্বপাড়া আহলেহাদীছ জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে তার জানাযার ছালাত অনুষ্ঠিত হয়। জানাযায় ইমামতি করেন তার ছোট ছেলে ইয়াসির আরাফাত। জানাযা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা। জানাযায় আমীরে জামা‘আতের পক্ষ থেকে অংশগ্রহণ করেন ‘আন্দোলন’-এর কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক ড. মুহাম্মাদ সাখাওয়াত হোসাইন, শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব। এছাড়া যেলা ‘আন্দোলন’, ‘যুবসংঘ’ ও ‘সোনামণি’র দায়িত্বশীলবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।

 

প্রশ্ন (১/৩২১) :মেয়েদের হরমোনগত কারণে দাড়ি বা গোফ বৃদ্ধি পেলে রেজার বা অন্য কোন রিমুভার দিয়ে তা তুলে ফেলা বা শেভ করা যাবে কি?

-জুলেখা, ঢাকা।

উত্তর : স্বাস্থ্যগত ক্ষতি হবে না এমন যেকোন উপকরণ ব্যবহার করে নারীরা তাদের শরীরের অবাঞ্ছিত লোমগুলো দূর করতে পারে। যেমন দাড়ি, গোঁফ ও শরীরের বিভিন্ন অবাঞ্ছিত পশমসমূহ। কারণ এটা নারীর সৌন্দর্যের খেলাফ (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৫/১৯৪-৯৫; ফাতাওয়া মারআতিল মুসলিমাহ ২/৫৩৬-৩৭; ওছায়মীন, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১১/১৩৪)

প্রশ্ন (২/৩২২) :কুরআন তেলাওয়াত করলে যেমন ছওয়াব পাওয়া যায়, তেমনি কেউ যদি মনোযোগ সহকারে কুরআনের তেলাওয়াত শ্রবণ করে একই ছওয়াব পাবে কি?

-রবীউল হাসান, ঢাকা।

উত্তর : কুরআন তেলাওয়াত করার মতই তেলাওয়াত শ্রবণে দশ গুণ বা ততোধিক ছওয়াব পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে এটি নির্ভর করবে শ্রবণকারীর মনোযোগের উপর (তিরমিযী, মিশকাত হা/২১৩৭; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব)। সেজন্য আল্লাহ তা‘আলা কুরআন মনোযোগ সহকারে শুনার আদেশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন মনোযোগ দিয়ে শোন এবং চুপ থাক, যাতে তোমাদের উপর রহমত নাযিল হয়’ (আ‘রাফ ৭/২০৪)। তিনি আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তি একটি ভাল কাজ করবে এর বিনিময়ে তার জন্য দশটি নেকী রয়েছে’ (আন‘আম ৬/১৬০)। রাসূল (ছাঃ) ইবনু মাসঊদ, উবাই ইবনু কা‘ব, আবু মূসা আশ‘আরীসহ অন্যান্য ছাহাবীদের নিকট থেকে কুরআন তেলাওয়াত শুনতেন। ছাহাবায়ে কেরামও একত্রিত হ’লে একে অপরের নিকট থেকে কুরআন তেলাওয়াত শুনতেন (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘উল ফাতাওয়া ১১/৬২৬; তাফসীরুস সা‘দী ১/৩১৪)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘আদম সন্তানের প্রত্যেক নেক আমলের দশগুণ হ’তে সাতশত গুণ ছওয়াব প্রদান করা হয়..’ (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৯/১৯৫৯)

প্রশ্ন (৩/৩২৩) :আমি একজন চাকুরীজীবী নারী। আমার স্বামী বিভিন্ন পারিবারিক অশান্তিতে যিদের বশে পরবর্তীতে আরো ২টা বিবাহ করেন। ২ বছর পর সে ভুল বুঝতে পারে। এক্ষণে সে আমার চাহিদার কারণে পরবর্তীতে বিবাহ করা দুই স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে কি?

-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, বাঘা, রাজশাহী।

উত্তর : একাধিক বিবাহ শরী‘আতে জায়েয। সুতরাং কারো অর্থনৈতিক ও শারীরিক সক্ষমতা থাকলে সর্বোচ্চ চারটি পর্যন্ত বিবাহ করতে পারে। এক্ষণে প্রথমা স্ত্রীর দাবীর প্রেক্ষিতে

পরের দুই স্ত্রীকে তালাক দেওয়া যাবে না। কারণ ইসলামে অকারণে স্ত্রী তালাক দেওয়া জঘন্যতম কাজ (আবুদাউদ হা/২১৭৮; মিশকাত হা/৩২৮০)। বরং প্রথমা স্ত্রী তালাক দিতে প্ররোচিত করলে সে গুনাহগার হবে। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোন স্ত্রীকে তার স্বামীর বিরুদ্ধে অথবা দাসকে তার মনিবের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয় (আবুদাউদ হা/২১৭৫; মিশকাত হা/৩২৬২; ছহীহাহ হা/৩২৪)। অতএব বিনা কারণে স্ত্রীদ্বয়কে তালাক দেওয়া সমীচীন নয়। তবে উক্ত স্ত্রীদের দ্বীনদারীতে কোন সমস্যা থাকলে শারঈ পন্থায় তালাক দেওয়া যেতে পারে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৩২/২৯৩; ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৮/২৩৫)

প্রশ্ন (৪/৩২৪) :আমাদের মসজিদে পুরুষের পিছনে নারীদের খোলা স্থানে ছালাত আদায় করতে হয়। পুরুষরা সরাসরি তাদেরকে দেখতে পায়। এক্ষেত্রে মসজিদের দায়িত্বশীলগণ নববী যুগে নারীদের ছালাত আদায় এবং বর্তমানে মসজিদুল হারামে নারী-পুরুষ একই স্থানে ছালাত আদায়ের যুক্তি পেশ করেন। এক্ষণে এভাবে ছালাত আদায় জায়েয হবে কি?

-আমানুল্লাহ, ডালাস, টেক্সাস, আমেরিকা।

উত্তর : উক্ত পদ্ধতি জায়েয হ’লেও বর্তমান ফিৎনার যুগে নারী-পুরুষের মাঝে স্বতন্ত্র পর্দা টাঙিয়ে বা প্রতিবন্ধক দেয়াল রেখে ছালাত আদায়ের ব্যবস্থা করাই উত্তম (বুখারী হা/৩৮০; মুসলিম হা/৬৫৮; আব্দুল মুহসিন আল-আববাদ, শরহ সুনান আবু দাউদ ৪/৮৯)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলতেন, ‘ছালাতে পুরুষদের জন্যে সবচেয়ে উত্তম কাতার হচ্ছে প্রথম কাতার এবং নিকৃষ্ট হ’ল পিছনের কাতার। আর মহিলাদের জন্য সবচেয়ে উত্তম কাতার হ’ল পিছনের কাতার এবং সবচেয়ে অনুত্তম হচ্ছে প্রথম কাতার’ (ছহীহ মুসলিম হা/৪৪০; মিশকাত হা/১০৯২)। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, ‘পুরুষদের কাতারসমূহের যে বর্ণনা হাদীছে দেয়া হয়েছে তা স্বাভাবিকভাবে প্রযোজ্য তথা পুরুষদের জন্য প্রথম কাতার সর্বদাই উত্তম এবং শেষ কাতার সর্বদাই কম ছওয়াব অর্জনের কারণ। পক্ষান্তরে নারীদের কাতারসমূহের যে বিবরণ হাদীছে এসেছে তা মূলত ঐ সকল নারীদের কাতার যারা পুরুষদের সাথে জামা‘আতে ছালাত আদায় করে। অন্যদিকে যদি তারা পুরুষদের থেকে আলাদা হয়ে জামা‘আতে ছালাত আদায় করে তাহ’লে তাদের জন্যও প্রথম কাতারে ছালাত আদায় করা অধিক ছওয়াবের কারণ। আর শেষ কাতারে ছালাত আদায় করা ছওয়াব কম হওয়ার কারণ (নববী, শরহে মুসলিম ৪/১৫৯)। এখান থেকে বুঝা যায়, মসজিদে জামা‘আতে পুরুষ ও নারীর মাঝে ব্যবধান ও আড়াল রাখাই কাম্য এবং অধিকতর নিরাপদ। উল্লেখ্য যে, হজ্জের সময়েও বর্তমানে মহিলাদের কাতার পৃথক করা হচ্ছে।

প্রশ্ন (৫/৩২৫) :আমাদের মসজিদে ইমাম ছাহেব সালাম ফিরানোর পর নিয়মিতভাবে ১ মিনিটও অপেক্ষা না করে নানা বক্তব্য শুরু করেন। ফলে ছালাত পরবর্তী তাসবীহ পাঠ এবং মাসবূকদের বাকী ছালাত আদায় কষ্টকর হয়। এভাবে বক্তব্য দেয়া জায়েয কি?

-আমানুল্লাহ, ডালাস, টেক্সাস, আমেরিকা।

উত্তর : ছালাতান্তে বক্তব্য প্রদানকালে মাসবূকের বিষয়টি খেয়াল রাখা কর্তব্য। কারণ এতে ফরয ছালাত আদায়রত মুছল্লীদের ছালাতে বিঘ্ন সৃষ্টি হবে, যা অনুচিৎ। একদা রাসূল (ছাঃ) মসজিদে ই‘তিকাফকালে ছাহাবীদেরকে উচ্চ স্বরে ক্বিরাআত করতে শুনে পর্দা উঠিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখ! তোমরা প্রত্যেকেই তোমাদের রবের সাথে গোপনে আলাপরত আছ। অতএব তোমরা (উচ্চ স্বরে তেলাওয়াত দ্বারা) একে অন্যকে কষ্ট দিয়ো না’ (আবুদাউদ হা/১৩৩২; ছহীহাহ হা/১৫৯৭)। অন্যত্র তিনি বলেন, হে লোক সকল! তোমাদের প্রত্যেকেই তার রবের সাথে মুনাজাত করে। অতএব একজন অন্যজনের চেয়ে তেলাওয়াতে জোরে আওয়ায করে যেন মুমিনদের কষ্ট না দেয়া (ছহীহাহ হা/৩৪০০)। এজন্য ইমাম শাফেঈ (রহঃ) বলতেন, ইমাম ও মুক্তাদীর জন্য আবশ্যক হচ্ছে সালাম শেষে যিকিরগুলো নীরবে পাঠ করা। তবে এক দিন শিক্ষা দেওয়ার জন্য সামান্য জোরে পাঠ করার বিষয়টি ভিন্ন। কারণ আল্লাহ বলেন, ‘আর তুমি তোমার ছালাতের ক্বিরাআতে স্বর অধিক উঁচু করো না বা একেবারে নীচু করো না। বরং দু’য়ের মধ্যবর্তী পথ অবলম্বন কর (ইসরা ১৭/১১০)। অতএব মাসবূকের ছালাত শেষ হ’লে ইমাম প্রয়োজনীয় কথা বলতে বা বক্তব্য দিতে পারেন। যেমন রাসূল (ছাঃ) দিতেন (বুখারী হা/৮৪৬; মুসলিম হা/৪২৬; মিশকাত হা/৪৫৯৬)

প্রশ্ন (৬/৩২৬) :জনৈক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে এক তালাকে রাজ‘ঈ দিয়েছে এবং স্ত্রী ইদ্দতের মধ্যেই রয়েছে। এক্ষণে স্ত্রী খোলা‘ করে স্বামী থেকে বিচ্ছিন্ন হ’তে পারবে কি?

-ইহসান, কুমিল্লা।

উত্তর : ইদ্দতের মধ্যে থাকায় স্ত্রী এখনো স্বামীর অধীনে আছে। সুতরাং সে নিজ স্বামী থেকে কোন প্রকার অনিষ্টের আশঙ্কা করলে পারিবারিকভাবে বা আদালতের মাধ্যমে খোলা‘ করে আলাদা হয়ে যেতে পারে (ইবনু কুদামাহ, মুগনী ৭/৫১৯; শরহ মুখতাছরে খলীল ৪/২১)। উল্লেখ্য যে, খোলা‘ তথা বিবাহ বিচ্ছেদ যা নারীর পক্ষ থেকে হয় স্বামী থেকে নেওয়া মোহর বা মোহরের অংশবিশেষ স্বামীকে ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে। 

প্রশ্ন (৭/৩২৭) :ছালাতের প্রথম তাকবীর বলতে কি বুঝানো হয়েছে? সফরে থাকাবস্থায় একাকী বা দু’জন মিলে ছালাত আদায় করলে তাকবীরে ঊলায় অংশ গ্রহণের ছওয়াব পাওয়া যাবে কি?

-আব্দুল্লাহ রায়হান, কুমিল্লা।

উত্তর : বিশুদ্ধ মতে, ইমামের তাকবীরে তাহরীমা পাঠরত অবস্থায় যে ছালাতে অংশ গ্রহণ করবে, সে তাকবীরে ঊলা পেয়েছে বলে গণ্য হবে এবং হাদীছে বর্ণিত ফযীলত লাভ করবে ইনশাআল্লাহ (নববী, রওযাতুত ত্বালেবীন ১/৩৪২; ইবনু রজব, ফাৎহুল বারী ৭/৯৩; ইবনু মুফলেহ, আল-ফুরূ‘ ১/৫২১; ওছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাফতূহ ২/১৯২)। পরে যারা অংশগ্রহণ করবে তারা জামা‘আত পেয়েছে বলে গণ্য হবে। এক্ষণে কেউ চল্লিশ দিন জামা‘আতে ছালাত আদায় করার নিয়ত করার পর সফরে বের হয়ে গেলে জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করার চেষ্টা করবে। এরপরে সম্ভব না হ’লে সফর সঙ্গীদের সাথে বা একাকী ছালাত আদায় করবে তাকবীরে উলায় অংশ গ্রহণের ছওয়াব পেয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মানুষ রোগে অসুস্থ হ’লে অথবা সফরে থাকলে তার আমালনামায় তাই লেখা হয়, যা সে সুস্থ অবস্থায় বা বাড়ীতে থাকলে লেখা হ’ত’ (বুখারী হা/২৯৯৬; মিশকাত হা/১৫৪৪)

উল্লেখ্য যে, কেউ যদি চল্লিশ দিন জামা‘আতের সাথে প্রতি ওয়াক্ত ছালাত আদায় করে থাকে তাহ’লে হাদীছে বর্ণিত ছওয়াব পেয়ে যাবে বলেও হাদীছ বর্ণিত হয়েছে যদিও সে ইমামের তাকবীরে তাহরীমার পরে ছালাতে অংশ গ্রহণ করে। কারণ হাদীছ দ্বারা উদ্দেশ্য হচ্ছে লোকেরা যাতে নিয়মিত জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করে (বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান হা/২৬১৪)

প্রশ্ন (৮/৩২৮) :স্বামী যদি স্ত্রীকে বলে তুমি চেহারা, আচরণে আমার মায়ের মত। এটা যিহারের অন্তর্ভুক্ত হবে কি? যিহারের কাফ্ফারা কি?

-সারোয়ার হোসেন, মান্দা, নওগাঁ।

উত্তর : এটা যিহার হবে না। যিহারের জন্য শর্ত হচ্ছে যিহারের নিয়ত করতে হবে (ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূউল ফাতাওয়া ৫/৩৪)। কেউ স্ত্রীর সাথে যিহার করে ফেললে তাকে স্পর্শ করার পূর্বে কাফফারা দিতে হবে। অন্যথায় তালাক দিয়ে মুক্ত হবে। কাফফারা দেওয়ার পূর্বে স্ত্রী মিলন করতে পারবে না। করলে কবীরা গুনাহ হবে (ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৫/৩৪৩)। যিহারের কাফফারা হচ্ছে একজন দাস মুক্ত করা, অক্ষম হ’লে ধারাবাহিকভাবে দুই মাস ছিয়াম পালন করা, এতে অক্ষম হ’লে ষাটজন মিসকীনকে খাদ্য প্রদান করা (মুজাদালাহ ৫৮/৩-৪)

প্রশ্ন (৯/৩২৯) :একজন গৃহ শিক্ষকের কাছে মাসে ৬০০ টাকার চুক্তিতে ২৪ দিন প্রাইভেট পড়ি। তিনি তার নিজের বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে ১৮ দিন প্রাইভেট পড়িয়েছেন। এক্ষণে ৬০০ টাকা নেয়া তার জন্য জায়েয হবে কি?

-আব্দুল্লাহ ছাকিব, কাকডাঙ্গা, সাতক্ষীরা।

উত্তর : শিক্ষার্থী বা শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সম্মতি থাকলে শিক্ষকের জন্য উক্ত টাকা নেয়া জায়েয হবে নইলে নয়। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মুসলিমগণ পরস্পরের মধ্যে যে শর্ত করবে, তা অবশ্যই পালন করবে। কিন্তু যে শর্ত ও চুক্তি হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল করবে তা জায়েয হবে না (আবুদাঊদ হা/৩৫৯৪; ইবনু মাজাহ হা/২৩৫৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৬২)

প্রশ্ন (১০/৩৩০) :রক্তের মত প্লাজমা দান করায় শারঈ কোন বাধা আছে কি?

-গোলাম রাববী, বরিশাল।

উত্তর : রক্তের মতই প্লাজমা দান করাও মুস্তাহাব। কারণ এর মাধ্যমে আরেকজন মানুষের জীবন রক্ষা পায় বা উপকৃত হয়। তবে নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়টি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ২৫/৭০; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১/২৯২-৯৩)

প্রশ্ন (১১/৩৩১) :জনৈক ব্যক্তি বলেন, জুম‘আর খুৎবা শ্রবণ ওয়াজিব এবং তাহিইয়াতুল মসজিদ ছালাত পড়া সুন্নাত। সুতরাং খুৎবা শুরু হয়ে গেলে তাহিইয়াতুল মসজিদ আদায় না করে খুৎবা শুনতে হবে। একথা সঠিক কি?

-কাবীরুল ফরাযী, গোপালগঞ্জ।

উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। কারণ খুৎবা চলাকালীন তাহিইয়াতুল মসজিদ দু’রাক‘আত ছালাত আদায়ের ব্যাপারে রাসূল (ছাঃ) কর্তৃক স্বতন্ত্র নির্দেশনা এসেছে। সুলাইক গাত্বাফানী (রাঃ) জুম‘আর দিন মসজিদে ঢুকে বসে পড়লেন যখন রাসূল (ছাঃ) খুৎবা দিচ্ছিলেন। সে সময় রাসূল (ছাঃ) তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে সুলাইক! দাঁড়াও। সংক্ষিপ্তভাবে দু’রাক‘আত ছালাত পড়ে নাও। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘তোমাদের কেউ খুৎবা চলাকালে মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন সংক্ষিপ্তভাবে দু’রাক‘আত ছালাত পড়ে নেয় (মুসলিম হা/৮৭৫; মিশকাত হা/১৪১১)

ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, এই সমস্ত হাদীছ স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে, যদি কেউ জুম‘আর দিনে ইমামের খুৎবা চলাকালে মসজিদে প্রবেশ করে তবে তার জন্য মসজিদে দু’রাক‘আত তাহিইয়াতুল মসজিদ ছালাত আদায় করা সুন্নাতে মুওয়াক্কাদাহ হবে। আর এ দুই রাক‘আত সংক্ষেপে পড়া সুন্নাত, যাতে দ্রুত শেষ করে খুৎবা শুনতে পারে (শরহ মুসলিম ৬/১৬৪)

প্রশ্ন (১২/৩৩২) :আমার ব্যবসা করার ইচ্ছা। যেহেতু ব্যবসায় উন্নতির জন্য দান-ছাদাক্বার গুরুত্ব অত্যধিক, তাই আগামীতে ব্যবসায় উন্নতির জন্য আমি আমার অল্প আয় থেকে নিয়মিত দান করি। এভাবে দুনিয়াবী স্বার্থে দান করলে তা কবুল হবে কি?

-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রায়গঞ্জ, সিরাজগঞ্জ।

উত্তর : এভাবে দান করা জায়েয। তবে উদ্দেশ্য হবে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি এবং তাঁর বরকত লাভ করা। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা দানকারীদের জন্য বর্ধিত প্রতিদানের ওয়াদা দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘কে আছে যে আল্লাহকে উত্তম ঋণ দিবে? অতঃপর সেজন্য তিনি তাকে বহুগুণ বেশী দিবেন এবং তার জন্য রয়েছে উত্তম পুরস্কার? (হাদীদ ৫৭/১১)। ওছায়মীন বলেন, ‘সম্পদের বরকত লাভের নিয়তে ছাদাক্বা করা বৈধ। তবে শর্ত হ’ল, নিয়ত যেন আল্লাহ্র ইবাদতের উদ্দেশ্যে হয়; শুধু দুনিয়াবী লাভের উদ্দেশ্যে নয়। কারণ দুনিয়া ও আখেরাত উভয় কল্যাণ একত্রে চাওয়া ইসলামে কাম্য (মাজমূ‘ ফাতাওয়া ২/২০৯)

প্রশ্ন (১৩/৩৩৩) :হাতের ইশারায় সালাম প্রদান করা জায়েয কি?

-মুমিন, ঢাকা।

উত্তর : সম্বোধিত ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ দূরে থাকায় মুখে সালাম উচ্চারণের পাশাপাশি হাতের ইশারায় সালাম দেয়া জায়েয। যেমন বিভিন্ন জনসভা বা বড় মজলিসে করা হয়ে থাকে। হাদীছে এসেছে, কোন এক সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদের দিকে যাচ্ছিলেন। সেখানে একদল মহিলা বসা ছিল। তিনি হাত উঠিয়ে তাদেরকে সালাম দিলেন (তিরমিযী হা/২৬৯৭; আহমাদ হা/২৭৬৩০)। তবে সালাম মুখে উচ্চারণ না করে কেবল ইশারা করে সালাম আদান-প্রদান করা নাজায়েয (বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ৬/৪৪৪)। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাদের ছাড়া অন্য জাতির সাথে সাদৃশ্য করে সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়। তোমরা ইহূদী ও খ্রিষ্টানদের সাথে সাদৃশ্য করো না। কেননা ইহূদীরা অঙগুলির ইশারায় সালাম দেয়, আর খ্রিষ্টানরা হাতের তালু দ্বারা সালাম করে (তিরমিযী হা/২৬৯৫; মিশকাত হা/৪৬৪৯; ছহীহাহ হা/২১৯৪)

প্রশ্ন (১৪/৩৩৪) :টিকটিকির পায়খানা নাপাক কি? এটা বিছানায় লাগলে উক্ত মল ঝেড়ে ফেললেই যথেষ্ট হবে না কাপড় ধুয়ে দিতে হবে?

*-জুইঁ, সিলেট।

*[আরবীতের সুন্দর ইসলামী নাম রাখুন (স.স.)]

উত্তর : টিকটিকি অপবিত্র প্রাণী। সুতরাং এর বিষ্ঠা বা পায়খানা অপবিত্র। বিছানা বা কাপড়ের কোন ভিজা স্থানে বা নরম পায়খানা শুকনো কাপড় বা বিছানায় লাগলে অবশ্যই তা ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে শুকনো হ’লে ঝেড়ে ফেলাই যথেষ্ট হবে (মারদাভী, আল-ইনছাফ ১/৩৩৯; ওছায়মীন, শরহ বুলূগুল মারাম ১/১০৯)

প্রশ্ন (১৫/৩৩৫) :কোন কিছুতে হেলান দিয়ে ছালাত আদায় করা যাবে কি?

-আব্দুল ক্বাহহার, বাঘা, রাজশাহী।

উত্তর : সুস্থ অবস্থায় কোন কিছুতে হেলান দিয়ে ছালাত আদায় করা যাবে না। বরং কেউ হেলান দিয়ে ছালাত আদায় করলে তা বাতিল হবে (আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ৪/১০৪)। অবশ্য অতি বৃদ্ধ বা অক্ষম ব্যক্তি কোন কিছুতে হেলান বা ঠেঁস দিয়ে ছালাত আদায় করতে পারে। কারণ এটা তার জন্য ওযর (নববী, শরহ মুসলিম ৬/১৫; আল-মাজমূ‘ ৪/২০১)। 

প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) :যে খাদ্য বা বস্ত্র মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর তা যদি হালাল হয়, তাহ’লে তা খাওয়া বা পরা যাবে কি?

-ছাববীর আহমাদ, মোহনপুর, রাজশাহী।

উত্তর : খাদ্য বা বস্ত্র যদি হালাল হয়, তাহ’লে তা খাওয়াতে বা ব্যবহারে দোষ নেই। এক্ষণে কোন ব্যক্তির জন্য বিশেষ কোন খাদ্য বা বস্ত্র যদি তার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হয় তাহ’লে তা পরিত্যাগ করতে পারে (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ১৫/১০)। আর ইসলামের অন্যতম মূলনীতি হচ্ছে নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এবং অন্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে না (ইবনু মাজাহ হা/২৩৪০; ছহীহাহ হা/২৫০)। যেমন কোন কোন খাদ্য বা গরুর গোশত কারো কারো শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও এলার্জির কারণ। সুতরাং তার জন্য এজাতীয় খাদ্য পরিহার করা উচিৎ (ওছায়মীন, লিক্বাউল বাবিল মাখতূহ ৭/২২৯)

প্রশ্ন (১৭/৩৩৭) :মালিকের অনুমতি ছাড়া কর্মচারী ক্রেতাদের বাকীতে পণ্য বিক্রয় করতে পারবে কি?

-রুতবান, বাগমারা, রাজশাহী।

উত্তর : মালিকের অনুমতি থাকলে পারবে (বাহুতী, কাশশাফুল কেনা‘ ৮/৪৩৬; যুহায়লী, আল-ফিক্বহুল ইসলামী ৪/৫১০)

প্রশ্ন (১৮/৩৩৮) :আমরা ১৮ সদস্যের একটি সমবায়ভিত্তিক ইসলামী ব্যবসার উদ্যোগ নিয়েছি, যেখানে সবাই মাসে ৫০০০ টাকা করে জমা রাখেন। যা বিভিন্ন হালাল ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হয়। এখানে কেউ ৩ বছরের আগে সদস্যপদ ত্যাগ করলে মূলধনের ১০% কর্তন করে তিন মাসের মধ্যে মূলধন ফেরত দেয়া হয় এবং মাসিক কিস্তি সময়মত না দিলে ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ দু’টি নিয়ম শরী‘আত সম্মত কি?

-মুহাম্মাদ মূসা, আফতাবনগর, ঢাকা।

উত্তর : সবার সম্মতি থাকলে এরূপ শর্ত করা জায়েয। কারণ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নীতিমালা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কোন কারবার জায়েয যতক্ষণ না তা নিষেধের দলীল পাওয়া যায় (ইবনু তায়মিয়াহ, আল-ফাতাওয়াল কুবরা ৪/১৩)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, মুসলিমগণ পরস্পরের মধ্যে যে শর্ত করবে, তা অবশ্যই পালন করবে। কিন্তু যে শর্ত ও চুক্তি হালালকে হারাম এবং হারামকে হালাল করবে তা জায়েয হবে না (আবুদাঊদ হা/৩৫৯৪; ইবনু মাজাহ হা/২৩৫৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৩৮৬২)

প্রশ্ন (১৯/৩৩৯) :অবিবাহিত মেয়ের স্বর্ণের যাকাত কে দিবে, যেটা এখনো মেয়েকে বুঝিয়ে দেয়া হয়নি?

-মাহমূদা, গোদাগাড়ী, রাজশাহী।

উত্তর : যাকাত প্রদানের জন্য শর্ত হচ্ছে নিছাব পরিমাণ স্বর্ণ নিজের মালিকানায় থাকা। যদি উক্ত স্বর্ণ মালিকানায় না আসে তাহ’লে বর্তমানে যার মালিকানায় আছে সে যাকাত দিবে। পিতা-মাতার অধীনে থাকলে তারা যাকাত দিবে। অনুরূপভাবে নাবালক সন্তানেরও যাকাত অভিভাবক প্রদান করবেন। কাসিম বিন মুহাম্মদ বলেন, আয়েশা (রাঃ) আমাকে ও আমার ভ্রাতাকে লালন-পালন করতেন। আমরা উভয়েই ছিলাম ইয়াতীম। আয়েশা (রাঃ) আমাদের ধন-সম্পত্তিরও যাকাত প্রদান করতেন (মুওয়াত্ত্বা মালেক হা/১৩; মুসনাদুশ শাফেঈ হা/৭১৪-৭১৫)

প্রশ্ন (২০/৩৪০) :স্বর্ণ ও নগদ টাকা থাকলে কিভাবে যাকাতের হিসাব করব?

-মাহমূদা খাতুন

টাইগার পাস, খুলশী, চট্টগ্রাম।

উত্তর : স্বর্ণের মূল্য এবং নগদ অর্থ মিলে নিছাব পরিমাণ সম্পদ হ’লে এবং মালিকানায় এক বছর অতিক্রম করলে যাকাত দিতে হবে (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/৩২৪; আল-মাওসূ‘আতুল ফিক্বহিয়া ২৩/২৬৭; বিন বায, মাজমূ‘ ফাতাওয়া ১৪/১২৫)। যেমন কারো কাছে যদি নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা এবং পাঁচ ভরি স্বর্ণ থাকে, তাহ’লে স্বর্ণের মূল্য ও নগদ অর্থ একসাথে মিলিয়ে হিসাব করতে হবে এবং তা সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণের মূল্য সমতূল্য তথা নিছাব পরিমাণ হ’লে যাকাত ফরয হয়ে যাবে।

প্রশ্ন (২১/৩৪১) :রাতে কুরবানীর পশু যবহ করা যাবে কি?

-আব্দুর রঊফ

সালনা, গাযীপুর।

উত্তর : কুরবানীর পশু দিনে যবহ করা সুন্নাত। তবে কারো কোন সমস্যা থাকলে রাতেও যবহ করা যায়। উল্লেখ্য যে, ঈদের দিনসহ পরবর্তী তিন দিন পর্যন্ত কুরবানীর পশু যবহ করা যায়। অর্থাৎ যিলহজ্জ মাসের ১৩ তারিখ মাগরিবের পূর্ব পর্যন্ত কুরবানী করা যায় (আহমাদ হা/১৬৭৯৭; ছহীহাহ হা/২৪৭৬; ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১১/৪০৬; ওছায়মীন, আহকামুল উযহিইয়া)

প্রশ্ন (২২/৩৪২) :আমি কুরবানী করার নিয়ত করেছি। এক্ষণে যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পরে মাথার চুল বা দাড়ি আঁচড়ানো যাবে কি? কারণ এতে কিছু চুল পড়ে যায়।

-শাকীব হাসান, ইশ্বরদী, পাবনা।

উত্তর : যিলহজ্জ মাসের চাঁদ দেখার পরে চুল, নখ বা চামড়া কেটে ফেলতে নিষেধ করা হয়েছে (মুসলিম হা/১৯৭৭)। কুরবানীর নিয়তকারী চুল বা দাড়ি আঁচড়াতে পারবে। তবে সাবধানে অাঁচড়াবে যাতে চুল-দাড়ি উঠে না যায়। আর অনিচ্ছাকৃভাবে কোন চুল বা দাড়ি উঠে গেলে গুনাহ হবে না (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ৯/৫৮)। উল্লেখ্য যে, কুরবানীর নিয়তকারী ইচ্ছা করে চুল বা নখ কেটে ফেললে তাকে তওবা করতে হবে। তবে এজন্য তাকে কোন প্রকার কাফফারা বা আর্থিক জরিমানা আদায় করতে হবে না (ফাতাওয়া ইসলামিয়া ২/৩১৬)

প্রশ্ন (২৩/৩৪৩) :যিলহজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পর সিজার বা অপারেশন করে শরীরের কোন অঙ্গ কেটে ফেলা যাবে কি?

-রাফীকা, চাঁপাই নবাবগঞ্জ।

উত্তর : যিলহজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পর সিজারসহ যেকোন অপারেশন থেকে বিরত থাকা উচিৎ। কারণ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এসময় কুরবানীর নিয়তকারীকে চামড়া কাটতেও নিষেধ করেছেন। তবে অপারেশন যরূরী হ’লে তাতে দোষ নেই (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৭/৪৮৮; বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৮/১৮১-৮২)

প্রশ্ন (২৪/৩৪৪) :জনৈক ইমাম মসজিদে মহিলাদের ছালাতের জন্য বরাদ্দ ঘরে নিজ স্ত্রীর সাথে মিলনে লিপ্ত হয়েছেন। এক্ষণে উক্ত ইমামের পিছনে ছালাত আদায় বা তাকে ইমাম হিসাবে রাখা জায়েয হবে কি?

-আব্দুল হান্নান, বাগমারা, রাজশাহী ।

উত্তর : মসজিদের কোন স্থানে স্ত্রী সহবাসে লিপ্ত হওয়া জায়েয নয়। কারণ মসজিদ যিকর, ছালাত ও কুরআন তেলাওয়াতের জন্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, এটা হ’ল মাসজিদ। এখানে প্রস্রাব করা কিংবা ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। বরং এ হ’ল আল্লাহ্র যিকর করা, ছালাত আদায় করা এবং কুরআন পাঠ করার স্থান (মুসলিম হা/২৮৫; মিশকাত হা/৪৯২)। এক্ষণে ইমামের কর্তব্য হচ্ছে অনুতপ্ত হয়ে তওবা করা এবং এরূপ কাজ পরবর্তীতে না করার ব্যাপারে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া। তবে এই পাপের জন্য ইমামের উপর কোন সামাজিক বা রাষ্ট্রীয় শাস্তি প্রযোজ্য হবে না।

প্রশ্ন (২৫/৩৪৫) :আমার একাধিক স্ত্রী আছে। তাদের সকলের পক্ষ থেকে একটা পশু কুরবানী করলে যথেষ্ট হবে কি?

-শরীফুল ইসলাম, গাযীপুর।

উত্তর : স্ত্রীরা যদি স্বামীর সঙ্গে এক পরিবারভুক্ত থাকে, তবে সকলের পক্ষ থেকে একটি পশুই যথেষ্ট। রাসূল (ছাঃ) বিদায় হজ্জের ভাষণে বলেছেন, হে জনগণ! নিশ্চয় প্রত্যেক পরিবারের উপর প্রতি বছর একটি করে কুরবানী (তিরমিযী হা/১৫১৮; আবুদাঊদ হা/২৭৮৮; ইবনু মাজাহ হা/৩১২৫; মিশকাত হা/১৪৭৮)। ছাহাবী আবু আইয়ূব আনছারী (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হ’লে তিনি বলেন, ‘একজন লোক একটি বকরী দ্বারা নিজের ও নিজের পরিবারের পক্ষ হ’তে কুরবানী দিতেন। অতঃপর তা খেতেন ও অন্যকে খাওয়াতেন এবং এভাবে লোকেরা বড়াই করত। এই নিয়ম নবীর যুগ হ’তে চলে আসছে। বর্তমানে তুমি যা দেখছ’ (তিরমিযী হা/১৫০৫ ‘কুরবানী’ অধ্যায়; ইবনু মাজাহ হা/৩১৪৭ ‘নিজ পরিবারের পক্ষ হ’তে একটা বকরী কুরবানী করা’ অনুচ্ছেদ, ‘কুরবানী’ অধ্যায়)। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সুঠাম ও শিংওয়ালা দু’টি দুম্বা দিয়ে কুরবানী করেন (বুঃ মুঃ মিশকাত হা/১৪৫৩)। কুরবানীর পশু হ’ল ৩টি। বকরী, গরু ও উট (আন‘আম ৬/১৪৩-৪৪)। অতএব খাসী হৌক, গরু হৌক, ভেড়া হৌক নিজ পরিবারের পক্ষ থেকে এক বা একাধিক পশু কুরবানী করবে।

প্রশ্ন (২৬/৩৪৬) :কোন রংয়ের পশু দ্বারা কুরবানী করা উত্তম?

-আব্দুল্লাহ, মোহনপুর, রাজশাহী।

উত্তর : যেকোন রংয়ের গবাদিপশু দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। তবে সাদা রংয়ের পশু কুরবানী করা উত্তম। রাসূল (ছাঃ) বলেন, দু’টি কালো পশু কুরবানী দেওয়া অপেক্ষা সাদা রংয়ের একটি পশু কুরবানী দেওয়া উত্তম। عَفْرَاءَ অর্থ যে পশুর অধিকাংশ সাদা বা সাদাটে রং (ছহীহাহ হা/১৮৬১)। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে সরাসরি সাদা রংয়ের বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে (বায়হাক্বী হা/১৯০৯০; তালখীছুল হাবীর হা/২৩৮৭; ছহীহাহ হা/১৮৬১-এর আলোচনা)। এজন্য বিদ্বানগণ কুরবানীর পশুর রংয়ের ব্যাপারে বলেন, সর্বোত্তম হ’ল সাদা। এরপর হলুদ/লাল, এরপর মেটে, এরপর সাদা-কালোর মিশ্রণ, এরপর কালো (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৩৯৬; ইবনু কুদামা, মুগনী ৯/৪৩৯)। কারণ রাসূল (ছাঃ) সাদা রংয়ের দুম্বা কুরবানী করতেন (বুখারী হা/১৭৭৪; মিশকাত হা/১৪৫৩)। এক্ষণে রাসূল (ছাঃ) অধিকাংশ সময় কালো পশু কুরবানী করতেন বলে ধারণা করা সঠিক নয়। কারণ উক্ত হাদীছের অর্থ ঐ পশুর পা, হাত, মুখ ও পেট কালো রংয়ের ছিল। কিন্তু তার দেহের রং ছিল সাদা। আর এই ধরনের পশু কুরবানী তিনি কয়েকবার করেছেন (মুসলিম হা/১৯৬৭; মিশকাত হা/১৪৫৪; নববী, শরহ মুসলিম ১৩/১২০)

প্রশ্ন (২৭/৩৪৭) :নারীরা কুরবানীর পশু যবেহ করে গোশত প্রস্ত্তত করতে পারবে কি?

-সাইফুল ইসলাম, কাজলা, রাজশাহী।

উত্তর : নারীরাও কুরবানীসহ যেকোন হালাল পশু যবেহ করে গোশত প্রস্ত্তত করতে পারবে (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নুরুন আলাদ-দারব ২০/০২)। কা‘ব ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, তার একটি ছাগল সালা‘ নামক চারণক্ষেত্রে ছিল। তাঁর এক দাসী ছাগলটিকে মরণাপন্ন দেখে পাথর দ্বারা যবেহ করে দেয়। বিষয়টি তিনি রাসূল (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি ছাগলটি খাওয়ার নির্দেশ দেন (বুখারী হা/২৩০৪; মিশকাত হা/৪০৭২)

প্রশ্ন (২৮/৩৪৮) :কুরবানীর পশু যবহ করার সুন্নাতসম্মত তরীকা জানতে চাই।

-আব্দুর রঊফ, ময়মনসিংহ।

উত্তর : কুরবানীর পশু যবহ করার পূর্বে কয়েকটি কাজ করা যরূরী। যেমন- (১) ছুরি ভালোভাবে ধার দেওয়া এবং দ্রুত যবহের কাজ সমাধা করা। যেন পশুর কষ্ট কম হয় (মুসলিম হা/১৯৫৫; মিশকাত হা/৪০৭৩)। (২) গরু বা ছাগলের মাথা দক্ষিণ দিকে রেখে বাম কাতে ফেলে ক্বিবলামুখী হয়ে ‘যবহ’ করবে (মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক হা/৮৫৮৫; আলবানী, মানাসিকুল হাজ্জ, সনদ ছহীহ)। (৩) যবহের সময় দো‘আ পাঠ করা, যেমন- (ক) বিসমিল্লা-হি আল্ল-হু আকবার (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৫৩) (খ) কুরবানীর পশু যবহ করার সময় বলবে, বিসমিল্লা-হি আল্ল-হুম্মা রাববানা তাক্বাববাল হাযা মিন্নী ওয়া মিন আহলে বায়তী(মুসলিম হা/১৯৬৭)। এক্ষণে পশু যবেহ করার সুন্নাতী তরীকা হ’ল- উট দাঁড়ানো অবস্থায় এর হুলকূম বা কণ্ঠনালীর গোড়ায় ছুরিকাঘাতের মাধ্যমে রক্ত প্রবাহিত করে নহর করা (সুবুলুস সালাম, ৪/১৭৭ পৃঃ; মির‘আত ২/৩৫১; ঐ, ৫/৭৫ পৃঃ)

প্রশ্ন (২৯/৩৪৯) :আমার মা মারা যাওয়ার পর দাদী, নানী, বড় বোন, ভাবী, মামী, খালা, চাচী ও ফুফুসহ আটজন আপন আত্মীয়া আমাকে পূর্ণাঙ্গভাবে দুধ পান করিয়েছেন। তারা সবাই আমার দুধ মা। এক্ষণে আমার আপন ভাই বোন বা চাচাতো, মামাতো, খালাতো, ফুফাতো ভাই-বোনেরা দুধ সম্পর্কের কারণে নিজেদের মধ্যে কাউকে বিবাহ করতে পারবে কি?

-আব্দুল্লাহ, খুলনা।

উত্তর: যে দুধ পান করবে কেবল তার জন্য দুধ মা সাব্যস্ত হবে এবং বৈবাহিক হারামের বিষয়টি কেবল দুধপানকারীর সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যদের সাথে নয়। অতএব দুধ পানকারীর অন্যান্য ভাই-বোনদের জন্য দুগ্ধদানকারীর আত্মীয়রা মাহরাম সাব্যস্ত হবে না এবং তাদের পারস্পরিক বিবাহে কোন বাধা নেই (ওছায়মীন, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ্দারব ১৯/২)। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য হারাম করা হ’ল- তোমাদের মা, মেয়ে, ফুফু, খালা, ভাতিজী, ভাগ্নী, দুধ-মা, দুধ-বোন...’ (নিসা ৪/২৩)

প্রশ্ন (৩০/৩৫০) :সফর অবস্থায় কুরবানী করার বিধান কি?

-আল-আমীন, ভূগরইল, রাজশাহী।

উত্তর : কুরবানী করা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নাত এবং ইসলামের প্রকাশ্য শে‘আর। সেজন্য কারো সামর্থ্য থাকলে সফরেও কুরবানী করা মুস্তাহাব (নববী, আল-মাজমূ‘ ৮/৪২৬)। ছাওবান (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তার কুরবানীর পশু যবহ করলেন। তারপর বললেন, হে ছাওবান! এর গোশত উত্তমভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করো। তারপর থেকে তিনি মদীনায় আগমন করা পর্যন্ত আমি তাকে উক্ত গোশত হ’তে খাওয়াতে থাকি (মুসলিম হা/১৯৭৫)

প্রশ্ন (৩১/৩৫১) :কোন জীবিত আত্মীয়ের পক্ষ থেকে কুরবানী করা যাবে কি?

-ছাদিক, তানোর, রাজশাহী।

উত্তর : কুরবানী করা অন্যতম আর্থিক ইবাদত। এই ইবাদত কারো পক্ষ থেকে করলে তার অনুমতি নিতে হবে। কারণ যেকোন ইবাদত করার জন্য নিয়ত শর্ত। আর যার পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়া হবে তিনি অবগত না থাকলে নিয়ত করতে পারবে না। সেজন্য যেকোন জীবিত আত্মীয়ের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়ার জন্য তাকে অবগত করানো শর্ত (খতীব শারবীনী, মুগনিল মুহতাজ ৪/১১১)

প্রশ্ন (৩২/৩৫২) :জনৈক ব্যক্তি ইমামকে কুরবানীর পশু যবহ করার জন্য অনুরোধ জানায়। তাকে বলা হয় এটি নিযামের পক্ষ থেকে কুরবানী হবে। ইমাম ভুলে তার নাম না বলে তার ছোট ভাই ফরীদের নামে দো‘আ পাঠ করে কুরবানী যবহ করে। এক্ষণে কুরবানী কার পক্ষ থেকে হ’ল?

-নুরুল ইসলাম, পাবনা।

উত্তর : কুরবানী উল্লেখিত নিযাম নামক ব্যক্তির পক্ষেই গণ্য হবে। কারণ তার জন্যই নিয়ত করা হয়েছিল। আর রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘প্রত্যেক ভালো কাজের ছওয়াব প্রাপ্তি নির্ভর করে নিয়তের উপর (বুখারী হা/১; মিশকাত হা/১)। অতএব ইমাম কুরবানী দাতার নাম উচ্চারণে ভুল করলেও নিয়তের কারণে উদ্দিষ্ট ব্যক্তির নামেই কুরবানী হবে (মারদাভী, আল-ইনছাফ ৪/৯৪; শরহু মুখতাছারে খলীল ৩/৪৩)

প্রশ্ন (৩৩/৩৫৩) :ছালাতের ক্বিয়াম, রুকূ, সিজদা এবং তাশাহহুদে দৃষ্টি কোথায় থাকবে?

-মাস‘ঊদ, রাজশাহী।

উত্তর : ছালাতে সাধারণভাবে দৃষ্টি থাকবে সিজদার স্থানে। আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন কা‘বা ঘরে ঢুকে ছালাত আদায় করলেন, তখন তাঁর দৃষ্টি ছালাত শেষ হওয়া পর্যন্ত সিজদার স্থান থেকে সরেনি (হাকেম হা/১৭৬১; ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/৩০১২; ছিফাতু ছালাতিন নবী (ছাঃ) ১/৬৯)। অন্যত্র তিনি বলেন, রাসূল (ছাঃ) যখন রুকূ করতেন, মাথা উপরেও করতেন না এবং নীচুও করতেন না। বরং তার মাঝামাঝি রাখতেন (মুসলিম হা/৪৯৮, মিশকাত হা/৭৯১)। আর তাশাহহুদে বসা অবস্থায় রাসূল (ছাঃ) তর্জনী আঙগুল দ্বারা ইশারা করতেন এবং তাঁর দৃষ্টি আঙগুলের ইশারা বরাবর থাকত, তার বাইরে যেত না (আবুদাউদ হা/৯৮৮, ৯৯০; নাসাঈ হা/১২৭৫; মিশকাত হা/৯১২)। ইমাম নববী (রহঃ) বলেন, তাশাহহুদের সময় দৃষ্টি আঙগুলের উপর রাখাই সুন্নাত (নববী, শারহ মুসলিম হা/৯১০, নায়লুল আওত্বার ২/৩১৭)

প্রশ্ন (৩৪/৩৫৪) :পুরুষ বিক্রেতা নারীদের অন্তর্বাস সহ নারীদের ব্যবহার্য পোষাক-প্রসাধনী বিক্রি করার ক্ষেত্রে শারঈ কোন বাধা আছে কি?

-মুহাম্মাদ রাফসান, ঢাকা।

উত্তর : বাধা নেই। তবে বিক্রয়ের সময় অবশ্যই শালীনতা অবলম্বন করবে। আর ক্রেতারাও নিজেদের সম্ভ্রম রক্ষা করে ক্রয় করবে (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৯/৭৮)

প্রশ্ন (৩৫/৩৫৫) :আমি হজ্জে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমার কিছু বন্ধু আমাকে রাসূল (ছাঃ)-এর কবর যিয়ারতের সময় সালাম পৌঁছানোর দায়িত্ব দিয়েছে। এভাবে সালাম পাঠানো শরী‘আতসম্মত কি?

-তোফায্যল হক, রাজশাহী।

উত্তর : কারো মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ্র নিকট সালাম পাঠানো শরী‘আতসম্মত নয়। বরং এটি বিদ‘আত (ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ১৬/২৮; আলবানী, আহকামুল জানায়েয ১/২৬০)। কারণ রাসূল (ছা.)-কে সালাম পৌঁছাতে কোন মাধ্যম প্রয়োজন হয় না। বরং পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম দিলে বা দরূদ পাঠ করলে তা ফেরেশতারা তাঁর নিকট পৌঁছে দেয়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, আল্লাহ্র কিছু ফেরেশতা আছেন যারা বিশ্বে ঘুরে বেড়ান, আমার উম্মতের সালাম তাঁরা আমার কাছে পৌঁছে দেন (নাসাঈ হা/১২৮২; মিশকাত হা/৯২৪, সনদ ছহীহ)। তিনি আরো বলেন, ‘তোমরা আমার উপর দরূদ পাঠ করো। তোমরা যেখানেই থাকো না কেন তোমাদের দরূদ আমার কাছে পৌঁছানো হবে (আবুদাউদ হা/২০৪২; ছহীহুল জামে‘ হা/৭২২৬)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কেউ আমার উপর সালাম পেশ করলে আল্লাহ আমার রূহ ফিরিয়ে দেন এবং আমি তার সালামের জবাব দেই (আবুদাউদ হা/২০৪১; মিশকাত হা/৯২৫; ছহীহাহ হা/২২৬৬)

প্রশ্ন (৩৬/৩৫৬) :আমি আমার জমি বিক্রি করছি, অন্য একটি জমি ক্রয় করার উদ্দেশ্যে। নতুন জমি ক্রয়ের সকল কার্যক্রম শেষ, শুধু টাকা হস্তান্তর বাকী আছে। বর্তমানে সেই টাকাটা আমার কাছে গচ্ছিত আছে। এর যাকাত দিতে হবে কি?

-আব্দুর রহমান, কালাই, জয়পুরহাট।

উত্তর : উক্ত জমি বসবাস কিংবা চাষাবাদের জন্য ক্রয় করা হ’লে উক্ত টাকার যাকাত দিতে হবে না। বরং ক্রয়কৃত জমিতে যে ফসল উৎপন্ন হবে তাতে ওশর দিতে হবে। আর জমি ক্রয়-বিক্রয়ের ব্যবসা করলে জমির মূল্য ধরে বছর শেষে যাকাত দিতে হবে (ওছায়মীন, আশ-শারহুল মুমতে‘ ৬/১৪২)। সামুরা বিন জুন্দুব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আমাদেরকে ব্যবসায়ের উদ্দেশ্যে খরিদকৃত জায়গা বা পণ্যের যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন (আবুদাউদ হা/১৫৬২; ইরওয়া হা/৮২৭, সনদ যঈফ হলেও মর্ম ছহীহ)

প্রশ্ন (৩৭/৩৫৭) :ধর্ষণের শিকার হয়ে কোন নারী গর্ভবতী হ’লে তার জন্য সন্তান জন্ম দেয়া এবং এ্যাবোরশন করে সন্তান ফেলে দেয়া বৈধ হবে কি?

-নাঈম, সান্তাহার, বগুড়া।

উত্তর : কোন নারী ধর্ষণের শিকার হ’লে এবং গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি জানলে সাথে সাথে গর্ভপাতের মাধ্যমে নিজেকে মুক্ত করতে পারে। তবে এটা প্রথম চল্লিশ দিনের মধ্যে হ’লে ভালো। আর এটা সম্ভব না হ’লে আশি দিনের পূর্বে গর্ভপাত করতে পারে। তবে ১২০ দিনের পর কোনভাবেই গর্ভপাত ঘটানো যাবে না, কারণ তখন ভ্রূণটি প্রাণের অধিকারী হয়ে যায় (ওমর বিন মুহাম্মাদ, আহকামুল জানীন ফী ফিক্বহিল ইসলামী; রামলী, নিহায়াতুল মুহতাজ ৮/৪৪২; ড. ইব্রাহীম মুহাম্মাদ কাসেম, আহকামুল ইজহায ফিল ফিক্বহিল ইসলামী, পৃ. ১৩৫-১৪১)

প্রশ্ন (৩৮/৩৫৮) :কুরবানীর পশুর মধ্যে কোন দোষ থাকলে তা কুরবানীর জন্য অযোগ্য বলে গণ্য হবে কি?

-মাহির, বাগমারা, রাজশাহী।

উত্তর : বারা ইবনু আযেব (রাঃ) বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কুরবানীতে কি ধরনের পশু হ’তে বেঁচে থাকা উচিৎ? রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হাতের ইশারা করে বললেন, চার রকমের পশু হ’তে বেঁচে থাকা উচিৎ (১) স্পষ্ট খোঁড়া (২) স্পষ্ট কানা (৩) স্পষ্ট রোগী এবং (৪) জীর্ণ শীর্ণ (নাসাঈ, মিশকাত হা/১৪৬৫)। অর্থাৎ এই চার শ্রেণীর পশু কুরবানীর জন্য অযোগ্য। তাছাড়া কান কাটা, শিং ভাঙ্গা, কৃশকায় পশু দ্বারা কুরবানী করা থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।

প্রশ্ন (৩৯/৩৫৯) :আমি অনেক লোকের জুয়ার টাকা কৌশলে মেরে দিয়েছি। এটা কি ফেরত দিতে হবে। এটা কি হক নষ্টের মধ্যে পড়বে? আমি সব কিছু ছেড়ে ভালো হ’তে চাচ্ছি। এখন সব টাকা কি ফেরত দিতে হবে? আর সব টাকার হিসাব পাওয়া মুশকিল।

-নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, কিশোরগঞ্জ।

উত্তর : জুয়া খেলা নিকৃষ্ট হারাম এবং তা থেকে প্রাপ্ত সম্পদও হারাম। তবে এর ভয়াবহতা সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে সে খালেছ নিয়তে তওবা করবে এবং সে দরিদ্র হ’লে প্রয়োজনীয় সম্পদ রেখে অবশিষ্ট সম্পদ প্রাপকদের কাছে ফিরিয়ে দিবে। আর সেটা সম্ভব না হ’লে তাদের নামে সাধারণভাবে ছাদাক্বা করে দিবে (নববী, আল-মাজমূ‘ ৯/৩৫১; ইবনুল ক্বাইয়িম, যাদুল মা‘আদ ৫/৬৯০)। কারণ আল্লাহ তা‘আলা বলেন, অতঃপর যার নিকটে তার প্রভুর পক্ষ থেকে উপদেশ এসে গেছে এবং সে বিরত হয়েছে, তার জন্য পিছনের সব গোনাহ মাফ। তার (তওবা কবুলের) বিষয়টি আল্লাহ্র উপর ন্যস্ত (বাক্বারাহ ২/২৭৫)

প্রশ্ন (৪০/৩৬০) :এক ব্যক্তির নিজস্ব বাড়ি আছে এবং অতিরিক্ত ৫০-৬০ লাখ টাকা মূল্যের জমি রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে তার আয় কমে যাওয়ায় সংসারের খরচের জন্য প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা ঋণ হয়েছে। উক্ত জমি বিক্রি করলে সে ঋণ পরিশোধ করে স্বচ্ছল হ’তে পারবে। এ অবস্থায় কি তাকে যাকাত দিয়ে সাহায্য করা যাবে?

-শাহরিয়ার অনিক, দোহার, ঢাকা।

উত্তর : উক্ত ব্যক্তি যাকাত গ্রহণের উপযুক্ত নয়। বরং সে কিছু জায়গা বিক্রয় করে ঋণ পরিশোধ করার চেষ্টা করবে। কারণ বর্তমানে সে যাকাতের হকদার আট শ্রেণীর মধ্যে পড়ে না (বিন বায, ফাতাওয়া নূরুন আলাদ-দারব ১৫/৩৩০)






প্রশ্ন (১৩/৫৩) : এক ব্যক্তি বলেছেন, শনিবারে মাছ ধরা যাবে না। এই দিন মাছ ধরলে চেহারা বিকৃত হয়ে মৃত্যু ঘটবে। এটা কি ঠিক? - -আশরাফুল ইসলাম, ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া।
প্রশ্ন (২৭/৪২৭) : খাসীকৃত প্রাণী কি ত্রুটিপূর্ণ নয়? এ ধরনের প্রাণী দ্বারা কুরবানী কিভাবে জায়েয হবে? আমরা দেখেছি পাকিস্তান বা ভারতের অনেক এলাকায় খাসী কুরবানী না করার প্রচলন রয়েছে। - -আব্দুল হাফীয, আটরশি, ফরিদপুর।
প্রশ্ন (৩৩/১১৩) : হস্তমৈথুন কেমন পাপ? এই অপকর্ম থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায় কি? - -নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, রাজশাহী।
প্রশ্ন (২৫/১৮৫) : ফজরের পর সফরে বের হয়ে মাগরিবের পর সফর শেষ হয়। এর মধ্যকার যোহর ও আছর ছালাত মাগরিবের ছালাতের সাথে পড়তে হবে? না ফজরের সময় এক সাথে সকল ছালাত পড়ে নিয়ে সফরে বের হ’তে হবে? - -মঈনুদ্দীন আহমাদনওহাটা, রাজশাহী।
প্রশ্ন (১৬/২৯৬) : শারঈ ওযর বশতঃ মসজিদে যেতে না পারায় ঘরে ছালাত আদায় করলে জামা‘আতের নেকী পাওয়া যাবে কি?
প্রশ্ন (২৩/২৬৩) : স্বামীর নিয়ত ছিল ১ তালাক দিয়ে স্ত্রীকে রেখে দিবে যাতে তারা দু’জনই নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। কিন্তু তালাক দেয়ার সময় কাযী অফিস থেকে তাকে তিন তালাক দিতে বাধ্য করা হয়। এমতাবস্থায় তিন তালাক হবে কি?
প্রশ্ন (২৩/৬৩) : জনৈক ব্যক্তি হাদীছ অস্বীকার করে এবং বর্তমানে নবী হিসাবে কেবল মুহাম্মাদ (ছাঃ)-ই অনুসরণীয় সেটা সে বিশ্বাস করে না। এরূপ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক রাখা বা তার যবেহকৃত পশু খাওয়া হালাল হবে কি?
প্রশ্ন (১৪/৪১৪) : কোন কারণ ছাড়া পরিবার পরিকল্পনা করা যাবে কি? কারণগুলো বিস্তারিত জানাবেন।
প্রশ্ন (৩২/৪৭২): অল্প পরিমাণ অ্যালকোহল মিশ্রিত পেপসি, সেভেনআপ, কোকাকোলা, এনার্জি ডিংক্স প্রভৃতি কোমল পানীয় পান করা বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (১৬/৩৩৬) : বার্ধক্যের কারণে ছিয়াম পালন করছে না এমন কাউকে ফিদইয়া হিসাবে খাবার দেওয়া যাবে কি? ফিদইয়া কি রামাযান মাসেই দিতে হবে না অন্য মাসেও দেওয়া যাবে?
প্রশ্ন (৪/৪৪) : অনেক সময় মসজিদে ভীড়ের কারণে এমন কাতারে দাঁড়াতে হয়, যার মাঝখানে পিলার রয়েছে। বাধ্যগত অবস্থায় এভাবে দাঁড়ালে ছালাত সিদ্ধ হবে কি? - -রেযওয়ানুল ইসলামকাদিরগঞ্জ, রাজশাহী।
প্রশ্ন (৩৮/৩৫৮) : আমি তৃতীয়বারের মত হজ্জে যেতে চাই। কিন্তু একই পরিমাণ খরচে স্ত্রী-সন্তানসহ ওমরাহ করা সম্ভব। এক্ষণে আমার কোনটা করা অধিক ছওয়াবপূর্ণ হবে?
আরও
আরও
.