নিযামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার অজানা কাহিনী

ইরাকের রাজধানী বাগদাদ ইসলামের প্রাচীন সমৃদ্ধশালী শহর ছিল। দজলা নদীর তীরবর্তী শহরটি দ্বিতীয় আববাসীয় খলীফা আল-মানছূর (১৩৬-১৫৮হি.) ১৪৪ অথবা ১৪৬ হিজরীতে নির্মাণ সমাপ্ত করেন।[1] সে সময় একে মদীনাতুস সালাম বা শান্তির শহর বলা হ’ত। তখন থেকে অদ্যাবধি এটি রাজধানী শহর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। অল্প সময়ের ব্যবধানে এই শহরটি মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর হয়ে উঠে। যার সুশোভিত গাছপালা, স্নিগ্ধ প্রভাত সমীরণ এবং সিঞ্চিত শিশিরকণার কোমল স্পর্শে যেন জরাগ্রস্ত প্রাণও নবজীবন লাভ করে। অপরদিকে তিন স্তর প্রাচীর বেষ্টিত বৃহদাকৃতির সুরম্য প্রাসাদ, সুরক্ষিত দুর্গ ও তোরণসহ নান্দনিক স্থাপত্যশিল্প তৎকালীন ইসলামী সভ্যতার ঐশ্বর্য এবং মুসলমানদের অভিনব স্থাপত্য বিদ্যার সাক্ষ্য বহন করে।

বাগদাদ শুধু নৈসর্গিক সৌন্দর্য আর দালান-কোঠার অবকাঠামোগত বৈচিত্র্যময় নিপুণতার জন্য বিখ্যাত নয়, বরং এটি শিক্ষা নগরী হিসাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিত ছিল। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা এখানে জ্ঞান সাগরে অবগাহনের জন্য আসত। এই শহরেই ৪৫৯ হি./১০৬৬ খৃ. সর্বপ্রথম উচ্চ শিক্ষার অনন্য প্রতিষ্ঠান নিযামিয়া মাদ্রাসা, সেলজুক সুলতান আল্প আরসালান (মৃ. ৪৬৫ হি.) ও মালিকশাহ (মৃ. ৪৮৫ হি.)-এর চৌকষ মন্ত্রী নিযামুল মুলক তুসী (মৃ. ৪৮৫ হি.)-এর হাত ধরে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে সময় ইসলামী বিশ্বের একদিকে বাগদাদ কেন্দ্রিক আববাসীয় খেলাফত ও মিশর কেন্দ্রিক ইসমাঈলী শী‘আপন্থী ফাতেমীয় খেলাফত এবং অপরদিকে পারস্যের ইছফাহান কেন্দ্রিক সেলজুক তুর্কী সালতানাতের রাজত্ব কায়েম ছিল। আববাসীয় খেলাফতে যেমন সেলজুকদের ব্যাপক প্রভাব ছিল তদ্রূপ এই দুই সাম্রাজ্যের উপর শী‘আ মতালম্বীদের সর্বাত্মক আধিপত্য ছিল। ইসলামী সাম্রাজ্যকে অস্থিতিশীল করে তুলতে বিভিন্ন সময়ে কারামতী, রাফিযী, ইসমাঈলী বাতিনী ও হাশাশিনী শী‘আরা রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের অপচেষ্টা, ভ্রান্ত আক্বীদা প্রচারসহ মুসলিম বিশ্বের বহু আলেম, মুজাহিদ ও নেতাদের গুপ্ত হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিল।

বছরার আল-কাতিফে সংগঠিত হওয়া কারামতী শী‘আ গোষ্ঠীর নেতা আবু সাঈদ আল-জানাবী ২৮৬ হিজরীতে আববাসীয় খলীফা মু‘তাদিদ (মৃ. ২৮৯ হি.)-এর রাজত্বকালে আত্মপ্রকাশ করে সর্বত্র নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। ৩১৭ হিজরীতে হজ্জ চলাকালীন ৮ই যিলহজ্জ কারামতীরা পবিত্র মক্কা নগরী অবরোধ করে কা‘বার ভিতরে বহু হাজীদের নির্মমভাবে হত্যা করে যমযম কূয়ায় ফেলে দেয়। উদ্দেশ্য ছিল পানি দূষিত করে যমযমের পবিত্রতা নষ্ট করা। তাদের আমীর আবু সাঈদের ভাই আবু তাহির কা‘বার দরজায় বসে ছিল। তার পাশেই পবিত্র শহরে, পবিত্র মাসে, পবিত্র দিনে মসজিদুল হারামে তলোয়ার দিয়ে মানুষকে হত্যা করা হচ্ছিল। সেই কাফের তখন বলেছিল,أنا الله وباللَّه، أنا أنا أخلق الخلق وأفنيهم أنا ‘আমিই আল্লাহ, আল্লাহ্র শপথ আমি, আমি সৃষ্টি জগত সৃষ্টি করি এবং আমিই ধ্বংস করি’ (নাঊযুবিল্লাহ!)। এমনকি এই পথভ্রষ্টরা জান্নাতী পাথর হাজারে আসওয়াদকে কা‘বার দেয়াল থেকে উপড়ে ফেলে ইয়ামনে নিয়ে যায়। দীর্ঘ ২২ বছর পর ৩৩৯ হিজরীতে তারাই সেটি বিপুল অর্থের বিনিময়ে ফেরত দেয়।[2]

৪৫০ হিজরীতে তৎকালীন আববাসীয় খলীফা কায়িম বি-আমরিল্লাহ (মৃ. ৪৬৭হি.)-কে ক্ষমতাচ্যুত করে বাগদাদ দখলে নেয় আববাসীয়দের এক সময়ের বিশ্বস্ত সেনাপতি রাফিযী নেতা আল-বাসাসীরী (মৃ. ৪৫১ হি.)। মূলত সে ফাতেমীয় শী‘আ খলীফা মুসতানছির বিল্লাহ (মৃ. ৪৮৭ হি.)-এর প্রতি আনুগত্যশীল ছিল। বিধায় বাগদাদ দখলের পর খলীফাকে কারাবন্দি করে এবং ফাতেমী খলীফার নামে খুত্ববা পাঠের আদেশ জারী করে। অধিকন্তু ইরাকের সব শহরে আযানের বাক্য পরিবর্তন করে حى على خير العمل ‘ভাল কাজের দিকে এসো’ বাক্য সংযুক্ত করে প্রচার করা হয়। অতঃপর ৪৫১ হিজরীতে সেলজুক সুলতান তুগরুল বেগ (মৃ. ৪৫৫ হি.) আল-বাসাসীরীকে হত্যা করে বাগদাদে আববাসীয় খিলাফত পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে সহযোগিতা করেন এবং তিনি নিজেও খলীফার আনুগত্য স্বীকার করেন।[3]

সেলজুক সাম্রাজ্যেরও পর্ণকুটির থেকে রাজ প্রাসাদ পর্যন্ত বাতিনী শী‘আদের সুদূরপ্রসারী দৌরাত্ম্য ছিল। বিশেষভাবে সুলতান মালিকশাহ ও তদীয় পুত্র সুলতান বারকিয়ারুক (মৃ. ৪৯৮ হি.)-এর শাসনামলে বাতিনী ফেতনা চরম আকার ধারণ করে। বাতিনী শী‘আরা মনে করত ইসলাম যাহিরী বা প্রকাশ্য এবং বাতিনী বা অপ্রকাশ্য এই দু’ভাগে বিভক্ত। যাহিরী জ্ঞান সকলের থাকলেও বাতিনী জ্ঞান কেবল তাদের ইমাম এবং সর্বোচ্চ নেতারা ছাড়া আর কারও কাছে নেই। আর সেটাও সাধারণ বাতিনীদের জানানো হ’ত না। তারা তাদেরকে বোঝাত সেই গোপন জ্ঞান সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। সে জ্ঞান আহরণের জন্য অনেক কষ্ট সহ্য করে বিভিন্ন স্তর পাড়ি দিতে হয়। মূলত তারা কুফরী আক্বীদা লালন করত এবং ইসলামকে ধ্বংস করে তাদের ভ্রান্ত মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করাই তাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। ইরানের তৎকালীন সেলজুক সাম্রাজ্যে এই মতবাদ প্রতিষ্ঠিত করে গোপন সংগঠন তৈরী করেছিল হাসান ছাববাহ (মৃ. ৫১৮ হি.)। সে ফাতেমী খলীফা মুসতানছির বিল্লাহর অনুসারী ছিল। খলীফার মৃত্যুর পর ইসমাঈলী মতাদর্শ তার দুই ছেলের নামানুসারে যথাক্রমে নিজারীয়া ও মুসতালীয়া উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। হাসান ছাববাহ ইসমাঈলী নিজারী মতবাদ পোষণ করত। ইছফাহানে সুলতান মালিকশাহের শাসনামলে হাসান ছাববাহ প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ মন্ত্রী নিযামুল মুলকের আনুকূল্য লাভ করে। পরবর্তীতে তার বাতিনী মতবাদের সাথে সম্পৃক্ততা প্রকাশ পেলে ইছফাহান থেকে তাকে বিতাড়িত করা হয়। ৪৮৩ হিজরীতে ছাববাহ ইরানের কাজভীনে অবস্থিত ২১৬৩ মিটার উচ্চতাসম্পন্ন ‘আল-বুর্য’ পর্বতের ‘আল-মওত’ দুর্গ দখল করে বাতিনী মতবাদ প্রচার করতে থাকে।

ছাববাহ ও বাতিনী দাঈরা অজ্ঞ ব্যক্তিদের নিশানা করে নিজেদের সদস্য বৃদ্ধি করত। এ সমস্ত অজ্ঞদের মধুমিশ্রিত এক প্রকার খাবার খাইয়ে সম্মোহিত করত। তারপর আহলে বায়াত সম্পর্কিত বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর বক্তব্য শুনিয়ে তাদের মনে বাতিনী আক্বীদার বিষ ঢোকান হ’ত। ফলে তারা নিজের পিতামাতার চেয়েও এই মতবাদের প্রতি আনুগত্যশীল হয়ে যেত। বাতিনীদের মধ্যে সবচেয়ে উগ্র, দুর্ধর্ষ, সন্ত্রাসী ও মস্তিষ্ক বিকৃত খুনী ছিল হাশাশিন উপদলটি। হাসান ছাববাহ তাদেরকে সেভাবেই গড়ে তুলেছিলেন। তারা নির্দ্বিধায় ও নিঃসংকোচে তৎকালীন সাম্রাজ্যের বহু গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তিবর্গকে হত্যা করে সর্বত্র ত্রাস সৃষ্টি করেছিল। বাতিনীদের ফেদায়ীরা (আত্মত্যাগী) আনুগত্যের চূড়ান্ত স্তরে অবস্থান করত। যেকোন মুহূর্তে তারা স্বীয় নেতার আদেশে জীবন দিতে দ্বিধা করত না। বিধায় তাদেরকে ফেদায়ী বলা হ’ত। একবার সুলতান মালিকশাহ এই কুফরী মতবাদ প্রচার করা থেকে নিবৃত্ত থাকতে আহবান করে আল-মওত দুর্গে হাসান ছাববাহকে চিঠি লেখেন এবং শাস্তির ভয় দেখিয়ে হুমকি দেন। চিঠির জবাবে মালিকশাহের দূতের সামনেই ছাববাহ তার সভায় উপস্থিত যুবকদের উদ্দেশ্য করে বলল, ‘আমি তোমাদের একজনকে এই ব্যক্তির মনিবের কাছে দূতরূপে প্রেরণ করতে চাই। তখন উপস্থিত সকলেই আগ্রহভরে তার দিকে তাকাল। অতঃপর সে জনৈক যুবককে নির্দেশ দিল, তুমি তোমাকে হত্যা কর। সে তখন একটি চাকু বের করে নিজেই নিজের গলা কেটে ফেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। এরপর সে আরেকজনকে নির্দেশ দিল, তুমি এই পাহাড় থেকে নিচে ঝাঁপিয়ে পড়। সে তখন সেই দুর্গের চূড়া থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করল। অতঃপর ছাববাহ সুলতান মালিকশাহের দূতকে বলল, (তুমি যা কিছু দেখলে), এটাই আমার জওয়াব’।[4] বাতিনীরা স্বীয় মতাদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতি এমনই উন্মাদ প্রকৃতির আনুগত্যশীল ছিল।

উপরোক্ত প্রেক্ষাপটে ইসলামী সাম্রাজ্যে শী‘আদের নগ্ন আগ্রাসনের সুদূরপ্রসারী ধ্বংসাত্মক প্রভাব বুঝতে পেরে তুর্কী সুলতান আল্প আরসালানের সময়ে বিদ্যানুরাগী মন্ত্রী নিযামুল মুলক বাগদাদে নিযামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ক্ষমতা দিয়ে বাতিনী শী‘আদের ইসলাম বিধ্বংসী মতবাদ রুখে দেয়া সম্ভব নয়। বরং তাদের মতবাদের মূলোৎপাটন করতে হ’লে মানুষের আক্বীদার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। ইসলামী শিক্ষা সম্প্রসারণের জন্য মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে প্রকৃত আক্বীদা শিক্ষা দিতে হবে এবং এই ভ্রান্ত আক্বীদা খন্ডন করে মানুষকে সচেতন করতে হবে। সেজন্য তিনি বাগদাদে প্রথম নিযামিয়া মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর সেযুগের বিজ্ঞ পন্ডিতদের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। স্বয়ং ইমাম গাযালী (মৃ. ৫০৫ হি.) বাগদাদে শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছিলেন এবং বাতিনী মতবাদের বিরুদ্ধে মূল্যবান গ্রন্থও রচনা করেছিলেন। নিযামুল মুলক শুধুমাত্র বাগদাদ নয় বরং বালখ, নিশাপুর, হেরাত, ইছফাহান, বছরা, মার্ভ, তাবারিস্তান, মছুল, ইরাক ও খোরাসানের প্রত্যেক শহরে একটি করে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন যেগুলো নিযামিয়া মাদ্রাসা নামে খ্যাত ছিল।[5]

বাগদাদে নিযামিয়া মাদ্রাসায় নাহু, ছরফ, উলূমুল কুরআন, হাদীছ, ফিক্বহ ও উছূলে ফিক্বহ, ইলমুল কালাম, ইলমুল আদাব, ইলমুল হিসাব (গণিত, ফারায়েয) ইত্যাদি বিষয় পড়ানো হ’ত। প্রত্যেক বিষয়ে আলাদা আলাদা শিক্ষক পাঠদান করতেন। শিক্ষকগণ প্রত্যেকে তাদের যামানায় ইলমের জগতে শ্রেষ্ঠত্বের অধিকারী ছিলেন। কেননা খুব গুরুত্ব ও সতর্কতার সাথে শিক্ষক নিয়োগে যাচাই-বাছাই করা হ’ত এবং স্বয়ং খলীফার অনুমোদন ছাড়া নিয়োগ চূড়ান্ত হ’ত না। দারস প্রদানের সময় শিক্ষক উঁচু স্থানে বসতেন আর শিক্ষার্থীরা দোয়াত কলম নিয়ে বিভিন্ন মাসআলা শিক্ষকের মুখ থেকে যে শব্দে শুনত সেভাবেই লিখে নিত। সেখানে বিস্তর গবেষণার জন্য ছিল সমৃদ্ধ লাইব্রেরী। নিযামুল মুলক সেই লাইব্রেরীর জন্য অনেক দুর্লভ গ্রন্থ সংগ্রহ করেছিলেন।[6]

নিযামিয়া মাদ্রাসা নিছক গতানুগতিক ধারার কোন মাদ্রাসা নয় বরং এটি তৎকালীন গৌরবান্বিত বিশ্ববিদ্যালয় ছিল। যেটা ইসলামী সংস্কৃতির ধারক, ইসলামী শিক্ষার রূপকার এবং বুদ্ধিবৃত্তিক শিক্ষা আন্দোলনের সূতিকাগার হিসাবে ইসলামী বিশ্বে সমাদৃত। এই মাদ্রাসার মননশীল শিক্ষা পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের বিদগ্ধ পন্ডিত এবং দক্ষ মানব সম্পদে পরিণত করেছিল। কিন্তু কালচক্রে হারিয়ে যায় বাগদাদের জৌলুসভরা সোনালী অতীত। মিটে যায় বিদ্যার্থীদের সুমধুর ইলাহী কলকাকলিতে মুখরিত মাদ্রাসার অস্তিত্ব। হয়ত কালের গহবরে মাদ্রাসার অবকাঠামো বিলীন হয়েছে কিন্তু নিযামিয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রীক যে অভিনব শিক্ষা বিপ্লব ঘটেছিল তার অনুকরণে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে লাখো প্রতিষ্ঠান।

-মুহাম্মাদ আব্দুর রঊফ*

*শিক্ষক, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী।


[1]. আল-বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১০/৯৬-৯৭ পৃ.।

[2]. প্রাগুক্ত, ১১/১৬০-১৬১ পৃ.।

[3]. প্রাগুক্ত, ১২/৭৮,৮৩ পৃ.।

[4]. প্রাগুক্ত, ১২/১৫৯-১৬০ পৃ.।

[5]. মুহাম্মাদ সাহেল শফীক, জামেয়া নিযামিয়া (বাগদাদ) কা ইলমি ওয়া ফিকরি কেরদার (২৫৬-৪৫৭ হি.) ইয়ে এক তাহক্বীক্বী জায়েযা (করাচী : করাচী বিশ্ববিদ্যালয়, পিএইচ.ডি থিসিস ২০০৯ খৃ.), পৃ. ১৪৩।

[6]. প্রাগুক্ত, পৃ. ১৭০-৮১।






আরও
আরও
.