মাসিক আত-তাহরীক অক্টোবর ২০১৫-এর
সম্পাদকীয় কলামটি সম্মানিত পাঠক-পাঠিকাদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম
দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আত-তাহরীক -এর অবস্থান পরিষ্কার করণার্থে নিম্নোক্ত
বিবৃতিটি প্রকাশ করা হ’ল-
সম্পাদকীয় কলামটির মূল প্রতিপাদ্য ছিল, শী‘আ-সুন্নী প্রাচীন আক্বীদাগত বিভেদকে উস্কে দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আগুন জ্বালানোর পাশ্চাত্য ফাঁদে পা না দেওয়ার প্রতি সংশ্লিষ্ট মুসলিম দেশগুলিকে সতর্ক করা। কেননা ওয়াকিফহাল মহল স্পষ্টতই অনুভব করছেন, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে দিনে দিনে যে চরম অস্থিতিশীল পরিবেশ গড়ে তোলা হচ্ছে, ক্রমেই তার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে যাচ্ছে শী‘আ-সুন্নী দ্বন্দ্ব। আর এই দ্বন্দ্ব-বিদ্বেষকে উস্কে দিয়ে এবং তাকে রাজনৈতিক রূপ দান করে পরস্পরকে লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়ে দিয়ে ফায়েদা উঠাচ্ছে পরাশক্তিগুলি। সেজন্য প্রাসঙ্গিক আলোচনায় সঊদী আরবের কিছু রাজনৈতিক পদক্ষেপের সমালোচনা করা হয়েছে এবং কিছু পরামর্শমূলক বক্তব্য পেশ করা হয়েছে। এর পিছনে ভ্রাতৃপ্রতীম সঊদী সরকারের প্রতি নেতিবাচক মনোবৃত্তি প্রকাশের আদৌ কোন উদ্দেশ্য ছিল না।
দ্বিতীয়তঃ ‘শী‘আ-সুন্নী বিদ্বেষ ভুলে যাও’ বাক্যটির দ্বারা উদ্দেশ্য কেবল শী‘আ-সুন্নী সশস্ত্র লড়াই থেকে পরস্পরকে বিরত রাখা। কেননা বিদ্বেষ সংঘাতের জন্ম দেয়। আর বিভেদ থাকলেও সংঘাত কাম্য নয়। যা পরবর্তী বাক্য ‘আদর্শকে আদর্শ দিয়ে মোকাবিলা কর’ দ্বারা স্পষ্ট করা হয়েছে। আর এ ব্যাপারে মুসলিম উম্মাহর প্রাণকেন্দ্র সঊদী আরবের দূরদর্শী ও অভিভাবকসুলভ ভূমিকা কামনা করা হয়েছে। মূলত: শী‘আ-সুন্নী আক্বীদাগত বিভেদ সহস্র বছরের। এই পথভ্রষ্ট ও চরম বিভ্রান্ত ফিরক্বার বিরুদ্ধে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত সর্বতোভাবে একমত। সুতরাং উপরোক্ত বাক্য থেকে ভুল অর্থ গ্রহণের অবকাশ নেই।
আশা করি এই বিবৃতি প্রকাশের পর সকল বিভ্রান্তির অবসান ঘটবে। আল্লাহ মুসলিম উম্মাহকে বাতিলের যাবতীয় ষড়যন্ত্র থেকে হেফাযত করুন। আমীন! (সম্পাদক)।