উত্তর : আয়াতটির অর্থ হ’ল- ‘হে মুমিনগণ! তোমরা যথার্থভাবে আল্লাহকে ভয় কর এবং তোমরা অবশ্যই  মুসলিম না হয়ে মরো না’ (আলে ইমরান ৩/১০২)। এখানে তিনটি বিষয় এসেছে, মুমিন, মুত্তাক্বী ও মুসলিম। প্রথম দু’টি হৃদয়ে বিশ্বাসগত কমবেশীর সাথে সম্পর্কিত এবং শেষেরটি বাহ্যিক আমলের সাথে সম্পর্কিত। যা অবশ্যই কঠিন। আলোচ্য আয়াতে হৃদয়ের বিশ্বাসকে আল্লাহভীতি ও যথাযথভাবে আমলের মাধ্যমে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, যদি ঈমান ও ইসলাম শব্দদ্বয় একই বাক্যে আসে, তাহ’লে ‘ইসলাম’ অর্থ হবে প্রকাশ্য আমল। আর ‘ঈমান’ অর্থ হবে আভ্যন্তরীণ বিশ্বাস। যেমন আল্লাহ বলেন, বেদুঈনরা বলল, আমরা ঈমান আনলাম। (হে নবী! তুমি) বল, তোমরা ঈমান আননি। বরং তোমরা বল, আমরা ইসলাম গ্রহণ করলাম। কারণ এখনও পর্যন্ত তোমাদের অন্তরে ঈমান প্রবেশ করেনি’ (হুজুরাত ৪৯/১৪)

এক্ষণে উপরোক্ত আলে ইমরান ১০২ আয়াতে মুমিনদেরকে বলা হয়েছে যে, তোমরা ইসলামের বিধি-বিধান সমূহ পরিপূর্ণভাবে পালন কর, যেন এর উপরেই তোমরা মৃত্যুবরণ করতে পার’ (ইবনু কাছীর, ঐ আয়াতের তাফসীর দ্রঃ)। ঈমানের কমবেশীর বিষয়টি আল্লাহ দেখবেন।

স্মর্তব্য যে, দ্বীনের স্তর হচ্ছে তিনটি : (১) ঈমান, যা ছয়টি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। আল্লাহর উপরে বিশ্বাস, ফেরেশতাগণ, আসমানী কিতাবসমূহ, নবী ও রাসূলগণ, ক্বিয়ামত দিবস এবং তাক্বদীরের ভালো-মন্দের উপর বিশ্বাস স্থাপন করা। (২) ইসলাম, যা পাঁচটি স্তম্ভের উপর প্রতিষ্ঠিত। কালেমা শাহাদত, ছালাত, যাকাত, ছিয়াম ও হজ্জ। (৩) ইহসান, যা একনিষ্ঠচিত্তে ও পূর্ণ ইখলাছের সাথে আল্লাহর ইবাদত করাকে বুঝায়। অর্থাৎ এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত করা যেন বান্দা আল্লাহকে দেখতে পাচ্ছে অথবা আল্লাহ স্বীয় বান্দাকে দেখছেন। পূর্ণ ঈমানের সাথে সকল প্রকার সৎকর্ম ইসলাম ও ঈমানের অন্তর্ভুক্ত। আর সেগুলি পূর্ণ ইখলাছের সাথে সম্পাদন করা ইহসানের অন্তর্ভুক্ত। এটিই হ’ল দ্বীনের সর্বোচ্চ স্তর। উল্লিখিত তিনটি বিষয় হাদীছে জিব্রীলে বর্ণিত হয়েছে (বুখারী হা/৫০, মুসলিম হা/৯; মিশকাত হা/২)






প্রশ্ন (৩৪/২৩৪) : ছিয়ামরত অবস্থায় কেউ কবীরা গুনাহে লিপ্ত হয়ে পড়লে তার ছিয়াম কি ভঙ্গ হয়ে যাবে?
প্রশ্ন (৭/২০৭) : ‘মসজিদে খায়েফে’র নীচে সত্তরজন নবীর কবর রয়েছে। বর্ণনাটির সত্যতা জানতে চাই। - -আব্দুর রহীম, নিয়ামতপুর, নওগাঁ।
প্রশ্ন (৩৩/১৫৩) : আমি গর্ভবতী হওয়ার পর ৭ম মাসে পেটে ব্যথা অনুভব করি এবং রক্তস্রাব হয়। আমি হাসপাতালে ভর্তি হই। চিকিৎসক আমাকে হাসপাতালে অবস্থান করতে বলেন। কিন্তু আমার বাড়িতে একমাত্র মেয়ে থাকায় চিকিৎসকের কাছে ঔষধ লিখে নিয়ে আমি বাসায় চলে যাই। কয়েকদিন পরে আমার পেটে বাচ্চা মারা যায়। এতে কি আমি গুনাহগার হব? এজন্য কি কোন কাফফারা দিতে হবে?
প্রশ্ন (২/২) : প্রাপ্তবয়স্ক জনৈক ছেলের নিজস্ব কোন আয় নেই। পিতার উপার্জনের বড় অংশ হারাম পদ্ধতিতে অর্জিত। এক্ষণে উক্ত ছেলের জন্য পিতার সম্পদ গ্রহণ করা জায়েয হবে কি? - -আব্দুন নূর শামীমবীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
প্রশ্ন (৯/১২৯) : আমি প্রবাসে থাকি। দেশে থাকা পিতা-মাতা আমার পুরো উপার্জনই ভোগ করতে চান। আমার স্ত্রী-সন্তানদের জন্য খরচ করতে অনীহা পোষণ করেন। এক্ষণে আমার করণীয় কি? - -বদরুল আলম, দক্ষিণ কোরিয়া।
প্রশ্ন (৩৪/৭৪) : আমার আপন ভাই নানা প্রকার সূদী ঋণ নিয়ে বেশুমার খরচ করে এখন ঋণগ্রস্ত। একই সাথে তার নেশাখোর সন্তান নানাভাবে বহু অর্থ নষ্ট করে চলেছে। এক্ষণে তার ঋণমুক্তির জন্য আমরা ভাই-বোনেরা যাকাতের টাকা প্রদান করলে তা জায়েয হবে কি? উল্লেখ্য যে, বিষয়টি স্বভাবগত হওয়ায় হয়তবা সে আবারো ঋণগ্রস্ত হবে। এমতাবস্থায় করণীয় কি? - -রূহুল হাসান, ধানমন্ডি, ঢাকা।
প্রশ্ন (১৫/১৭৫) : ৪৫ বছরের অধিক বয়সী মহিলা শারীরিক অক্ষমতার কারণে স্বামীর চাহিদা মিটাতে অপারগতা প্রকাশ করলে গোনাহগার হবেন কি?
প্রশ্ন (৩০/৩০) : বিবাহিতা কন্যা পিতার গৃহে তিনদিনের বেশী থাকতে পারবে না। থাকলে সে নিজে তার খরচ বহন করবে। এ বক্তব্য কি শরী‘আতসম্মত?
প্রশ্ন (৩২/২৩২) : দৃষ্টির হেফাযত করা এক হাযার নফল ছালাতের চেয়ে উত্তম। উক্ত বক্তব্য কি সঠিক?
প্রশ্ন (৩৫/২৩৫) : পিতার উপার্জিত সম্পদ হারাম হ’লে প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান তা গ্রহণ করতে পারবে কি? এছাড়া পিতার মৃত্যুর পর জেনে শুনে ঐ সম্পদের ওয়ারিছ হওয়া বা তা গ্রহণ করা যাবে কি?
প্রশ্ন (৩৬/১১৬) : একজন দ্বীনদার ব্যক্তির পক্ষে ব্যাংকে চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করা বৈধ হবে কি?
প্রশ্ন (৩৯/১৯৯) : মসজিদের ইমাম ও মুওয়াযযিনের বেতন সঠিকভাবে আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে মসজিদের নীচতলা সম্পূর্ণ মার্কেট করে ২য় তলায় ছালাত আদায় করা যাবে কি?
আরও
আরও
.