সিলেট ১০ই জুলাই রবিবার: ‘আহলেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে সিলেট যেলার বন্যাদুর্গতদের মাঝে কুরবানীর গোশত বিতরণ করা হয়। ঈদুল আযহার দিন যেলার জৈন্তাপুর উপযেলার সেনগ্রামে ১টি, কানাইঘাট উপযেলার ফাগু-বাঁশবাড়ীতে ১টি এবং গোয়াইনঘাট উপযেলার কাফাউড়া ও ভিত্রিখেলে ২টি গরু কুরবানী করে দুস্থ ও অসহায় বন্যার্তদের মাঝে গোশত বিতরণ করা হয়। সেনগ্রামে ৪৭, ফাগু-বাঁশবাড়ীতে ৫০ এবং কাফাউড়া ও ভিত্রিখেলে ২২৫ সর্বমোট ৩২২টি পরিবারের মধ্যে এই গোশত বিতরণ করা হয়।

সুনামগঞ্জ ১০ই জুলাই রবিবার : যেলার শান্তিগঞ্জ উপযেলার সলফ গ্রামের ৮০টি বন্যার্ত পরিবারের মধ্যে ১টি গরু কুরবানী করে গোশত বিতরণ করা হয়।

গাইবান্ধা ১০ই জুলাই রবিবার : যেলার সাঘাটা উপযেলার পশ্চিম পবনতাইর গ্রামের ৩৬টি পরিবারের মধ্যে একটি ছাগল কুরবানী করে বিতরণ করা হয়।

কুড়িগ্রাম ১১ই জুলাই সোমবার : যেলার উলিপুর উপযেলাধীন বেগমগঞ্জ গ্রামের বন্যাদুর্গতদের মাঝে ১টি গরু কুরবানী করে গোশত বিতরণ করা হয়। এ উপলক্ষে সেখানে কুড়িগ্রাম-দক্ষিণ যেলা ‘আন্দোলন’-এর সভাপতি মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাহফূযুল হক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এ সময় মোট ১৬৫টি পরিবারের মধ্যে এই গোশত বিতরণ করা হয়।

সার সংক্ষেপ : চলতি বছরের মে মাসের বন্যায় প্রথম দফায় সিলেটে ৮৮৫ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী ও ৬৫ পরিবারে ৬৫ বান্ডিল টিন বিতরণ করা হয়। দ্বিতীয় দফায় এ পর্যন্ত সিলেটে ১৬১০, সুনামগঞ্জে ১৯৯২, মৌলভীবাজারে ২০০, কুড়িগ্রামে ৬৬০, নেত্রকোণায় ৫৮৪, নীলফামারীতে ২৭০, সর্বমোট ৫৩১৭ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী, ৬০৩টি পরিবারে কুরবানীর গোশত ও ২০০ পরিবারে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। ফালিল্লা-হিল হাম্দ।

উল্লেখ্য যে, বিতরণকৃত খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেটের পরিমাণ ছিল যথাক্রমে চাউল ৫ কেজি, আটা ২ কেজি, মসুর ডাল ১ কেজি, আলু ২ কেজি, পেঁয়াজ ১ কেজি, লবণ ১ কেজি, সরিষা/সয়াবিন তেল অর্ধ কেজি, মরিচ/গুঁড়া ১০০ গ্রাম, গুঁড়া হলুদ ১০০ গ্রাম। মোট ১২ কেজি ৭০০ গ্রাম। সংখ্যা বৃদ্ধির কারণে অনেক সময় বাধ্য হয়ে কমবেশী করতে হয়েছে।   

[‘আন্দোলন’-এর ৬৬টি সাংগঠনিক যেলার প্রায় সব ক’টি থেকে এবং প্রবাসী শাখা সমূহ থেকে, সেইসাথে বিভিন্ন সুধী ও শুভাকাংখীদের প্রেরিত দান সমূহ বন্যাত্রাণ কার্যক্রমে ব্যয়িত হয়। আমরা সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আল্লাহর নিকট সর্বোত্তম জাযা প্রার্থনা করছি (স.স.)]।  






আরও
আরও
.